ইউজার লগইন
সমসাময়িক
শোনা কথায় বইমেলা: ফেব্রুয়ারি ৭
আগের পর্বগুলোতে সরাসরিই লিখেছিলাম- বইমেলা আর শাহবাগের মধ্যে এখন আর কোনো পার্থক্য নাই। পত্রপত্রিকাগুলো খবর দিচ্ছে, শাহবাগ থেকে উৎসাহিত হয়ে প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেশে। তার মানে বইমেলা আস্তে আস্তে বাংলা একাডেমী থেকে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। লিখেছিলাম- শাহবাগের একেকটি মানুষ একেকটি বই। তার মানে এরকম লাখ লাখ বই এখন সারা দেশে, প্রতিবাদমুখর। সেই সাথে কিছু প্রশ্নও জাগছে মনে, কেন অন্য শহরের মানুষগুলোর এক বা দুদিন পর থেকে প্রতিবাদ শুরু করলেন? শাহবাগে যেমন প্রতিবাদী মানুষজন রায়ের ঘণ্টাখানিকের মধ্যে প্রতিবাদ করতে দাড়িয়ে গেলেন, তেমননি কেন হলো না অন্য শহরগুলোতে? সবকিছুকে ঢাকাকে অনুসরণ করা কি আমাদের অভ্যাসে পরিণত হচ্ছে?
আবার একুশে
কালকে থেকে প্রচন্ড মেজাজ খারাপ ছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ইস্যুতে। বন্ধুরা সবাই এক হয়েছে, একই দাবীতে দেখে ভালো লাগছে। কিন্তু আমি যেতে পারছি না। অসুস্থ হয়ে বারো দিন টানা বিছানায় পড়ে থাকা আমার ভাই সন্ধ্যায় যখন বলল - ‘যাবি? রেডি হ এখনই’ তখন মনে হলো - ভাইয়ের মতো ভাই। এরকম ভাই তখনো ছিলো, এখনো আছে। তাই আজকে আমরা এখনো বেঁচে আছি। তখনি আর যাওয়া হলো না তবে ঠিক হলো কাল, কাল ঠিক পৌঁছে যাবো শাহাবাগ।
পরশুও যাবো। যেতেই হবে। কারণ আমার ভাইয়ের মতোই আর একজনও আছে যার অবদান আমার জীবনে অনেক। আমার বাজি। তার জন্য পরশু আমার গন্তব্য হবে শাহাবাগ থেকে বইমেলা।
সেদিন দুপুরে ফেসবুকে বাজির বইয়ের কভারপেজ দেখে আধা ঘুমে থাকা আম্মুকে ডেকে দেখালাম, বললাম। আম্মু আমার উত্তেজনা দেখে নির্লিপ্ত ভাবে বলল, গতবারওতো ছিল। আমি আরো জোরে ডেকে বললাম, গতবার তো ছিল কিন্তু এবারে আস্ত একটা বই।
হ্যাঁ, এবারে আস্ত একটা বই। আর তাই আমার উত্তেজনাটা একটু বেশীই। আমার নাচ, গান, পড়া-লেখা, লক্ষ্ণী হওয়া, বান্দর হওয়া সব কিছুরই শুরু তার কাছ থেকেই কিনা। তাই আমি একটু বেশীই উত্তেজিত।
শোনা কথায় বইমেলা: ফেব্রুয়ারি ৬
কিছু কিছু সময় আসে যখন স্বাভাবিক নিয়মের ধারা বাদ দিয়ে উত্তুঙ্গ বিষয়টিকে আঁকড়ে ধরতে হয়। সেই সময়টাই চলছে এখন। যদিও এ ধরনের সময়ের কিছু দুর্বলতা থাকে- মানুষের একদিকের মনোযোগের ফাঁকে অন্য অনেক বড় বড় কাজ বা কুকাজ করে ফেলা যায়- সেরকমটা হচ্ছে কিনা কে জানে! এই মুহূর্তের মনোযোগের বিষয় সবটুকু কেড়ে নিয়েছে শাহবাগ- মানুষজন যেখানে দিনের পর দিন মিছিল দিয়ে স্লোগান দিয়ে আন্দোলন করে দিনাতিপাত করছে- সেখানে বইমেলা নিয়ে সিরিজ লেখা এবং তা পড়া এবং তা নিয়ে কমেন্ট করা বিসদৃশ লাগার কথা। ভেবেছিলাম বন্ধ করে দিবো- কিন্তু মনে পড়লো ফেব্রুয়ারির ৪ তারিখের লেখাটির কথা। সেখানে স্পষ্টভাবেই বলেছিলাম- শাহবাগের একেকটি মানুষ একেকটি বই। শাহবাগের একেকটি মানুষ একেকটি বইমেলা। সেদিনের পর থেকে শাহবাগে ‘ছাপানো নয় কিন্তু জীবন্ত’ এরকম বইয়ের পরিমাণ বেড়েছে বহুগুণ। এরকম নতুন নতুন বই এসেছে অভাবিত পরিমাণে। সেদিনের পর থেকে শাহবাগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রতিটা মিনিটের বইমেলা। সুতরাং তাদেরকে নিয়ে লিখলেও আদতে বইমেলা নিয়েই লেখা হয়।
মন খারাপের দিন
আমার মেয়ে মাত্রই দশে পা দিলো। তাকে আমি সজ্ঞানে কখনো সেভাবে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গল্প করিনি। একটা বিরাট কারণ প্রবাসীনি হওয়ায়। আর মায়ের কাছে সন্তান সবসময় ছোট থাকে। মনে হতো এতো ভয়াবহ ঘটনা বাচ্চার মনে খারাপ প্রভাব ফেলবে, আর একটু বড় হোক সে, তারপর জানবে সব। কিন্তু যা হয়, বাসায় আলোচনা শুনে শুনে, খালা – মামা, গুগল থেকে সে জানে, ৭১ এ পাকিস্তানীরা বাংলাদেশের সাথে “অনেক খারাপ” করেছিলো। মানুষ মেরে ফেলেছিলো, তাই পাকিস্তানীরা বাংলাদেশের বন্ধু নয়, আমরা কখনো কোন কাজে পাকিস্তানকে সমর্থন করতে পারি না, এটা কখনো আর সম্ভব নয়। যেহেতু এটা সে জানেই, তাকে আমি “আমার বন্ধু রাশেদ” সিনেমাটা বেশ কয়েকবার দেখতে দিয়েছিলাম। আমার মনে হয় আমাদের বাচ্চাদের ধারাবাহিকভাবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বলার এর থেকে সুন্দর উপায় আর হয় না। মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারকে আমি অনেক কারণেই অসম্ভব শ্রদ্ধা করি, তারমধ্যে এটিও একটি কারণ।
শোনা কথায় বইমেলা: ফেব্রুয়ারি ৫
কখনও কখনও অনিবার্য কারণে থেমে যায় বাধ্যতামূলক কোনো সিরিজ;
অনিবার্য-কারণটুকুরও নাম দিয়ে গিয়েছিলেন জহির রায়হানেরা- 'সময়ের প্রয়োজনে'।
বইমেলার দিন শুরু হয়েছিল আজ প্রবল হতাশায়-
শেষ হচ্ছে প্রবল ক্ষোভ নিয়ে- বইমেলা আজ চলে গেছে বাংলা একাডেমী থেকে শাহবাগে।
রক্তঋণ শোধ করতে গিয়ে নিজেদের আমরা প্রমাণ করে চলেছি অথর্বতার সংজ্ঞায়
একফালি প্রতিবাদ তাই আজ বড় শক্তি-
প্রতিবাদী মানুষ মানেই একেকটি প্রতিবাদী বই
প্রতিবাদী মানুষ মানেই একেকটি প্রতিবাদী বইমেলা
'শোনা কথায় বইমেলা' সিরিজে আজ পড়ছি অসংখ্য ব্লগ- যারা গিয়েছে শাহবাগে
'শোনা কথায় বইমেলা' সিরিজে আজ দেখছি অসংখ্য ছবি- যারা তুলেছে শাহবাগে
'শোনা কথায় বইমেলা' সিরিজ আজ অনিবার্য প্রতিবাদের সমর্থনে বিরত।
'শোনা কথায় বইমেলা' সিরিজ আজ চলে গেছে শাহবাগ মোড়ে, সেখান সে বসে আছে প্রতিটি প্রতিবাদী মানুষের পাশে- হাতের মুঠোয় হাত রেখে।
সুতরাং আপনার আজ এই সিরিজ পড়ার দরকার নেই
এই বইমেলার সবগুলো গুরুত্বপূর্ণ বই আপনি পাবেন এখন শাহবাগে- বইমেলায় যাওয়ার চেয়ে আপনার এখন শাহবাগে যাওয়াটা জরুরি।
প্রতিবাদে উত্তাল শাহবাগ ০৫/০২/২০১৩
সকালে অফিসে যাইনাই, ভাবছিলাম মিরপুরের কসাই রাজাকার কাদের মোল্লার ফাঁসির রায়টা টিভিতে শুনেই একবারে বের হবো। কিন্তু কি থেকে কি হয়ে গেলো... কিচ্ছু বুঝতে পারলাম না... সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে আম্মুর সাথে খানিক্ষণ তর্কও করলাম, ফাঁসি ছাড়া অন্য কোনো রায় কেন হবে না সেইটা নিয়া... কিন্তু যখন রায় শুনলাম, তখন হতাশা-ক্ষোভ-রাগ সবগুলা একবারে ঝাঁপায়া পড়ল...
ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ দেখতেছিলাম ফেসবুকে, এর ভিতরেই হঠাত দেখলাম আজকেই এই হঠকারী রায়ের প্রতিবাদে শাহবাগে সমাবেশ। কিছু না ভাইবাই রওনা দিলাম।
জমায়েত দেখে শুধু একটা শব্দই মুখে আসছে
অভূতপূর্ব
সবাই যতটা স্বতস্ফুর্ত ভাবে যোগ দিছে এই সমাবেশে...
আর বেশী কিছু না বইলা কিছু ছবি শেয়ার করি...
শোনা কথায় বইমেলা: ফেব্রুয়ারি ৪
ব্লগে লেখালেখির একটা বড় সুবিধা হচ্ছে যে, মানুষজন ব্লগের লেখা এবং লেখকের ব্যাপারে কী ভাবছে- তা সহজেই জানা যায়। এখানে ভুংভাং করে পার পাওয়ার কোনো উপায় নেই। পত্রিকায় একটি কলাম লিখলে সেই পত্রিকার তালিকাভুক্ত কোনো কলামিস্ট যদি ভুলত্রুটি ধরিয়ে দেয় বা প্রশংসা করেন, তাহলে হয়তো কলাম লেখকের একটি নির্দিষ্ট লেখার পক্ষে বা বিপক্ষে দুএকটা ছত্র থাকতে পারে। না হলে কলামিস্ট যা লিখবেন, তা-ই সই। আজকাল অবশ্য পত্রিকাগুলোর ইন্টারনেট সংস্করণে মন্তব্য করা যায়- কিন্তু তাও মডারেটেড। পত্রিকা কর্তৃপক্ষের পছন্দ না হলে অনেক মন্তব্য প্রকাশ হয় না। আমি নিজে একটি বড় পত্রিকার কয়েকটি খবর ও কলামে একসময় কিছু মন্তব্য করেছিলাম- কিন্তু অধিকাংশই প্রকাশ হয় নি। কলামিস্টের ভুল ধরিয়ে দেয়া মহাপাপ! পত্রিকার আদর্শের বাইরে মন্তব্য করা গর্হিত কাজ!
শোনা কথায় বইমেলা: ফেব্রুয়ারি ৩
বইমেলা নিয়ে ফেসবুকে মানুষের উচ্ছ্বাস ভালোলাগে। কারও নতুন বই বেরুচ্ছে, কেউ বইমেলা থেকে কিনে এনেছেন গাদাগাদা বই, কেউবা শুধুই বেড়াতে গিয়েছেন- দেখা হয়ে গেছে নানান জনের সাথে। বছর দশ-পনের আগেও মানুষ কি বইমেলায় নিছক আড্ডা দিতে যেত? আমার অভিজ্ঞতা তেমনটি বলে না। তখন মানুষজন যেতেন একটু ঘুরতে, দুয়েকটা বই কিনতে, এই ফাঁকে হয়তো পরিচিত কয়েকজনের সাথে দেখা হয়ে যেত। লেখকদের কথা অবশ্য আলাদা, তারা অপর লেখকদের সাথে আড্ডা দিতে যান, অটোগ্রাফ দেবার জন্য যান; কিন্তু সাধারণ মানুষদের জন্য বইমেলা একটা আড্ডার স্থান, সামাজিকতার স্থান হিসেবে দিন দিন বইমেলাটা একটা দারুণ জায়গা হয়ে যাচ্ছে। বিষয়টা দারুণ লাগে, কারণ এই ধরনের আড্ডাতে বই-ই শেষ পর্যন্ত মুখ্য বিষয় হয়ে দাড়ায়। অনেকের প্রতিদিন বই কেনার সামর্থ্য থাকে না, কিন্তু বইমেলায় না গেলে কেমন যেন ফাঁকা ফাঁকা লাগে, সন্ধ্যেটা কাটতে চায় না- বইমেলা যে এই আকুতিটা তরুণপ্রাণে সৃষ্টি করে দিয়েছে- এ কি কম গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার!
ঘুরে এলাম বগালেক-কেওকাড়াডং-তাজিংডং-নাফাকুম
শোনা কথায় বইমেলা: ফেব্রুয়ারি ২
স্মৃতি শুধু সাদামাটা প্রতারণাই করে না; মারাত্মকভাবেও প্রতারণা করে।
গতকালের শোনা কথায় বইমেলায় কার কার সাথে দেখা হলো, কী আলোচনা হলো তার একটি বিতং বর্ণনা দিয়েছি। কিন্তু বইমেলা থেকে চলে আসার আগে রাসেল ভাইয়ের সাথে যে দেখা হলো, তা কী করে যেন বেমালুম ভুলে গিয়েছিলাম। রাসেল ভাইয়ের সাথে আলাপ হলো টুকটাক, সাথে ভাবী ছিলেন। কিন্তু পুরো ঘটনাটা কী করে যেন মনেই আসেনি লেখাটি তৈরি করার সময়। মনে পড়লো আজ দুপুরে- ঘুম থেকে উঠা পর। এ সময়ে হঠাৎ করে মনে পড়ার কোনোই কারণ নেই, কিন্তু যে রহস্যজনক কারণে ভুলে গিয়েছিলাম, ঠিক সেই রহস্যজনকভাবেই আবার এটি মনে পড়ে গেল।
আজকে বইমেলা যাওয়ার ইচ্ছে ছিল। রাতের ট্রেনে যাচ্ছি রাজশাহী- ভাবলাম বিকেলবেলা ঢু মারা যাবে। কিন্তু বিকেলেই চলে এলেন কয়েকজন অতিথি। ফলে যাওয়া আর হলো না। গতকাল অবশ্য শান্ত ভাইয়ের সাথে কথা হচ্ছিল এ নিয়ে- তিনি বললেন, রাতের ভ্রমণ- ধুলাবালি খেয়ে সারারাত ভ্রমণ করার চেয়ে কিছুটা বিশ্রাম নেয়া ভালো। তাঁর কথা একদিক দিয়ে ঠিক- কিন্তু বইমেলার জন্য আকুলিবিকুলিটা তার চেয়েও বড় হয়ে দেখা দেয়।
শোনা কথায় বইমেলা: ফেব্রুয়ারি ১
থাকি ঢাকার বাইরে। আগে মতো আর প্রতিদিন বইমেলায় যাওয়া হবে না। এ এক বড় দুঃখ!
১৯৯৩ সাল, নবম শ্রেণীতে উঠেছি। পিসিরা খ্যাপায়- নাইনে নাকি ‘লাইন’ করে। শুনে কিছুটা লাজরাঙা হই; কৈশোর বয়স। দাড়িগোফ উঠতে শুরু করেছে। আভাস দিচ্ছে বড় হওয়ার কিংবা বড়ত্বের। পিসিদের কথার প্রবল প্রতিবাদ করি- না, না, লাইন-টাইন করবো না। তাহলে কী করবি?- পিসিদের প্রশ্নের উত্তরে বলি, কবিতা লিখবো। ইতোমধ্যে বেশ কিছু ছড়া লিখেছি, আস্তে আস্তে ভাবছিলাম কবিতার দিকে যাবো কিনা। কবিতা আমার কাছে তখনো বড়দের ব্যাপার। ভেবেছিলাম লাইনের বদলে পিসিদের কবিতার দিকে ডাইভার্ট করা যাবে; কিন্তু শুনে তারা বললো- মানুষ নাকি প্রেমে পড়লে কবিতা লিখে!
তাই কি?
ম্যুরাল রিভিউঃ অদিতি কবির
"ম্যুরাল", আমরাবন্ধু ব্লগ সংকলন ১ নিয়ে ব্লগার অদিতি কবিরের একটি রিভিউ প্রকাশিত হয়েছে অনন্যা ম্যাগাজিনে! এবি ব্লগারদের সুবিধার্থে পুরো লেখা টুকু তুলে দিলাম এই পোস্টেঃ
মূল লেখাটি পাওয়া যাবে এইখানে অথবা এইখানে।
মূল লেখার স্ক্রিনশট আপনার পিসিতে নামিয়ে পড়ার জন্য এইখানে ক্লিক করুন।
শিরোনাম হীন-১
১.
কিছু দিন আগে আমার এক ছোট বোন হঠাৎ মজার একটি বিষয় জানায়। গুগল চাচাকে আমার নাম দিয়ে সার্চ দিলে নাকী আমার লেখার লিংক-টিংক চলে আসে। স্বাভাবিকভাবেই আনন্দিত এবং চিন্তিত হলাম। কারণ ইন্টারনেট জিনিষটা এদেশের অর্ধ শিক্ষিত ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের পাল্লায় পড়ে চরিত্রহীণ অবস্থায় আছে! কে কি ছেড়ে দিবে ইন্টারনেটে পরে আমাকেই বিব্রত হতে হবে। ফলে নিজে সতর্কভাবে সার্চ করা শুরু করলাম আমার অপ্রিয় বন্ধুরা কোন মশকরা করেছে কিনা তা দেখার জন্য। সার্চ দিয়ে দেখছি, কোনই ঝামেলা নেই। কিন্তু একটি খবর পেয়ে মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে গেল। ২০১০ সালে আমারই জন্মদিনে আমারই নামের একটি মেয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্ছণার শিকার হয়েছে পাবনা এলাকায়। কি অদ্ভুদ একটা খারাপ লাগা। কি যে বাজে অনুভূতি! সেদিন সারাদিন কারো সাথে কথা বলতে পারিনি। যেদিন আনন্দে আমার দিনটি কেটেছে সেদিনই প্রকাশ্যে আমার নামের অন্য একটি মেয়ে কত কষ্ট পেল... হয়তো সারাজীবন মুখোমুখি থাকা কষ্টটা পেল!
২.
জয় মহাপ্রভু ধুম্রশলাকার জয়
মহাপ্রভুর প্রিয় অবলম্বনদ্বয় তথা তর্জনি এবং মধ্যমার সহাবস্থান নিশ্চিত হওয়ায় , জ্বলন্ত মহাযোগী ধুম্রশলাকা মহাপ্রভুর নির্দেশিত পথানুরাগী একান্ত ভক্ত , অনুসারী , হন্টক কিংবা পলাতক বশ্যতা স্বীকারপূর্বক প্রভু কর্তৃক দীক্ষিত উপায়ে প্রভু ধুম্রশলাকার নশ্বর দেহের ক্রমাগত জ্বলন বলপূর্বক ত্বরান্বিত করিয়া তাঁহার অন্তেঃষ্টিক্রিয়া সম্পাদন করিয়া চলিয়াছে নিরন্তর । তথাপি মহাপ্রভু ধুম্রশলাকার অস্তিত্ব যেমন চির অক্ষয় , তেমনি তাঁর প্রতি অনুসারীদের পরম ভক্তিও চির অম্লান । সাকার এই মহাপ্রভুর দৃশ্যত জ্বলনে প্রাপ্ত ধুম্রজালের অদৃশ্য অন্তর্নিহিত বস্তুগত এবং ভাবগত অপার কৃপায় গুনগ্রাহীগণ অমৃতসুধা পাইলেও পাইতে পারেন , যদি তাহা তিনি হৃদয়গত বিশ্বাসে গ্রহণ করিয়া থাকেন ।
কৃতজ্ঞতায় - মহাপ্রভুর একনিষ্ঠ এক শিষ্য ।
জয় , মহাপ্রভু ধুম্রশলাকার জয় ।
আমি পশু হতে চাই
যখন দেখি একজন ধর্ষককে মানুষের আইনে বিচার করা হচ্ছে, তখন আমার পশু হতে ইচ্ছে করে। যখন দেখি সেই ধর্ষকদের পক্ষে কথা বলতে গিয়ে কিছু সুশীল, মেয়েদেরকে দোষারোপ করছে , তখন আমার পশু হতে ইচ্ছে করে। যখন দেখি ধর্ষনের কারন হিসেবে নারীর পোষাককে দ্বায়ী করা হচ্ছে, তখন আমার পশু হতে ইচ্ছে করে। যখন শুনি নারীরা উত্তেজনাকর পোষাক পরে বলে তারা ধর্ষিত হয় তখন আমার পশু হতে ইচ্ছে করে।
পশু হওয়াই ভালো, পশুর বিবেক বলে কিছু থাকেনা। নিজের অপারগতার জন্য নিজেকে নগন্য মনেহয় না ।
আমি চাইনা সেই মানুষের জীবন যারা দশ বছরের এক ফুলের মত শিশুকে ধর্ষন করে। আমি চাইনা সেই মানুষ হতে যে তার নিজ বান্ধবীকে ধর্ষিতা করে। আমি চাইনা সেই মানুষ হতে, যে এইসব দেখেও স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে আর বলে আমরা অন্তত ওদের চেয়ে ভালো আছি। আমি চাইনা সেই মানুষ হতে যে বলে ওই মেয়েরই তো দোষ , ও কেন গেলো?