ব্যাংকক যাত্রা নিয়া কথাবার্তা
..........................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................
১.
আমাদের সবার বন্ধু প্রতুলের খুব সখ ব্যাংকক যাবে। সেই ছোটবেলা থেকে ব্যাংককের কত কত গল্প শুনে আসছে। এখন বড় হয়েছে, কিন্তু সখটা রয়েই গেছে। বিশেষ করে, শরীরটা একটু ম্যাজ ম্যাজ করলেই মনটা ব্যাংকক ব্যাংকক করতে থাকে।
একদিন হাতে কিছু টাকা পয়সা আসলো। প্রতুল ব্যাংকক যাওয়ার ইচ্ছা আর লুকিয়ে রাখতে পারলো না। বউকে যেয়ে একটু ভয়ে ভয়ে বলেই ফেললো ব্যাংকক যাওয়ার কথা। বউ শুনে খুশী। কাপড় গোছগাছ করতে শুরু করলো। প্রতুল এবার বললো, সে একাই যাবে, বউকে নেবে না।
প্রতুলের বই আগুনমাখা দৃষ্টিতে প্রশ্ন করলো কেন বউকে নেবে না?
প্রতুল নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে বললো, 'ইয়ে মানে, টিফিন নিয়ে কেউ কি রেস্তোরায় যায়?'
এরপর কী হলো আমি বলতে পারবো না। টুটুলও বলতে পারবে না। কারণ, টুটুল সদ্য ব্যাংকক থেকে ঘুরে এসেছে, সঙ্গে বউ ছিল, ঋহানও ছিল।
২.
প্রতুলও কিন্তু শেষ পর্যন্ত বউকে নিয়েই ব্যাংকক গেলো। আমাদের প্রতুল আবার বক্সিং পছন্দ করে। মাইক টাইসন তখন হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন। খেতাবের লড়াই। প্রতুল খুব আয়োজন করে টিভির সামনে বসলো। বউকে বললো ব্যাপক খাবার-দাবারের আয়োজন করতে। সব কিছু রেডি করে বক্সিং দেখতে বসলো আমাদের প্রতুল।
কিন্তু খেলা শেষ হয়ে গেল তিন মিনিটেই। টাইসনের এক ঘুষি খেয়েই নকআউট, মাত্র তিন মিনিটে।
খুব মন খারাপ করে প্রতুল বউকে বললো, 'এটা কোনো কথা হল? আমি খুবই হতাশ, মাত্র তিন মিনিটে সব শেষ? তাহলে এতো আয়োজন কেন?'
এবার প্রতুলের বউ বললো, 'তাহলে বোঝো আমার কেমন লাগে!'
এই অংশের সঙ্গে রায়হান ভাই, মেজবাহ ভাই বা টুটুলেরও কোনো সম্পর্ক নাই। আমার জানামতে তারা কেউ বক্সিং পছন্দ করে না।
৩.
ব্যাংক থেকে চিঠি পেলো প্রতুল। লোন নিয়ে গাড়ি কিনেছিল সে। ঋণ শোধ দিতে পারে নাই। এখন ব্যাংক গাড়ি ফেরত নিয়ে যাবে। এটাই নিয়ম।
প্রতুল রাগে দু:খে চুল ছিড়তে লাগলো। আর ভাবতে লাগলো, 'ইসসস, কেন যে
ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে বিয়েটা করলো না। তাহলে তো..........!
রাসেল, মীর, শান্ত এখনও বিয়ে করেনি। এই লাইনে ভাবতে পারে
পাদটিকা: ভাল কথা, এইটাই আমার আপাতত শেষ চেষ্টা
ভাগ্যিস রায়হান ভাই, মেজবাহ ভাই বা টুটুলে ভাই টেস্ট ক্রিকেট পছন্দ করে না । ৫ দিন টেস্ট খেলে শেষ মেশ ড্র
এক ইনিংস-এ ১০ বার আউট করা? এতো উইকেট কি ফালাইতে পারবো?
বহুদিন পর এমন ব্লগ পড়লাম। হাসতেই আছি। ব্যপক ধইন্যা আপনাকে। যদিও জানি না, টুটুল, রায়হান ভাই, মেজবাহ ভাই মাইর দিবে কিনা আপনাকে।
মীর, রাসেলরে কুবুদ্ধি দেন কেন?
কুবুদ্ধি কই দিলাম? আমি তো নতুন একটা পথ দেখাইলাম।
মাসুম ভাই নিজের পছন্দের গলফ্ খেলার ব্যাপারে কিছু বললো না... আফসুস
~
গলফ তো একা একা খেলি। দর্শকের দরকার নাই
টু বুজজি অর নট টু বুজজি দ্যাটিজডা কুয়েচচেন
কী বুঝেন নাই?
ইয়েস্ ব্যাংক লোন চাই। নাইলে খেলবো না।
২ আর ১ একেবারে যা তা। এই পোস্ট পড়লে তিনদিন রোজা হবে না। গড়াগড়ি, খাইতেই আছি।
এর উপ্রে সুমন ভাই আবার ১ নম্বরে যেই একটা কমেন্ট দিয়ে রাখসে, ওফ ভগবান উঠায় নাও।
কী খেলবেন না?
কি যে না খেলার কথা ভাবসিলাম ভুলে গেসি
ব্যাপক!
পোস্ট নিয়া কোনো কথা নাই, হাসতেই আছি কন্টিনিউ
পাপিষ্ঠ ডেভুর কাছে কমেন্ট লাইক্করন বাটনের জোর দাবী পুনঃ উপস্থাপন করতেছি
দাবির সঙ্গে সহমত। কত ভাল ভাল কমেন্ট করি, কিন্তু লাইক পাই না, এইটা কোনো কথা হইল?
আমি প্রথম দুই প্যারা প্রতুলের জায়গাতে টুটুল পড়েছি
ব্যাঙ্ক লোনের ব্যবস্থা থাকলে মন্দ হতো না।
আমিও টুটুল পড়ছিলাম, পরে দেখি প্রতু থুক্কু প্রতুল লেখা
ব্যাংকক নিয়া এত কথা শুনছি... এত আলোচনা / সমালোচনা ... কিন্তু হতাশ হইলাম... বাড়তি কিছুতো দেখলাম না ... সব কিছুই সুনসান ... স্বাভাবিকই তো ঠেকলো ...
সাথে টিফিন থাকলে রেস্টুরেন্টের খাবার চাখার কোনো তরিকা আছে?
খাবার থাকলেই বা কি ... হোটেল থেকে কি বাড়তি কিছু নেয়া যায় না?
আপ্নে কুশ্চেঙ করেন কেন? টিফিন রেস্টুরেন্ট ব্যাংকক সবই তো আপনার হাতে
আহারে আফসুস
বউরে এতো ভয় পাইলে কি চলে?
অন্তরালের ঘটনা জানা না থাকলেও ব্যাপক মজা পাইলাম।
অন্তরালে কিছু নাই, সবাই ফকফকা
এইটা ভালো জিনিষ ...
রিয়াদ ভাইও এরম ধরা খাইছিলেন?
তুই তো মুনে হইতাছে
রোজা সংযমের মাস, বেশি কিছু না বলি
ইফতারের পরে কন
বিউটি পার্লার, আইস্ক্রিম পার্লার আরো নানান পার্লারের লগে সুবিখ্যাত কিসের জানি পার্লারে কথা সুঞ্ছিলাম, আমি আর ভাবি ব্যাংককে যেই যায় ওমন জায়গায় তসরিফ ফরমায়! কিন্তু টুটুলভাই কি কয়, যে কিসসু নাই সেইখানে!!
আমার কাছেতো মনে হইলো বায়তুল মোকাররম গেছি
সাথে টিফিন নিয়া গেলে এরমই মনে হবে প্রতুল থুক্কু টুটুল
আরেকজনের কথায় শুঞ্ছিলাম, বউ নিয়া গিয়াও, বৌরে শপিঙ্গের টাকা দিয়ে কইছে ফিল ফ্রি, আমি ঘুইরা আসি, এই বলে কই কই জানি ঘুরছে!! টুটুল্ভাই ট্যাকা পয়সাও নেয় নাই সাথে নাকি?
আর মডুরে আবারো কমেন্টে লাইক দেওনের ব্যাবস্তাহ্র আর্জি জানাইলাম! মাসুম্ভাইর কমেন্টে লাইক!
আর মডুরে আবারো কমেন্টে লাইক দেওনের ব্যাবস্তাহ্র আর্জি জানাইলাম! মাসুম্ভাইর কমেন্টে লাইক!
তোমারও দেখি ব্যাপক জানাশোনা
আমরা রোজা রাখছিলাম তো, তাই আল্লাহ ব্যাংকক'রেও মক্কা শরীফ বানায়া দিছিলেন।
তবে, আসলেই ব্যাংককে কিছু দেখি নাই। তার চেয়ে বরং ফুকেটে রাস্তার পাশের ক্লাবে দেখছিলাম কিছু, কিন্তু টুটুল দেখলাম ভদ্রলোকের মত মাথা নিচু করে হেঁটে চলে গেলো
তবে সবাই এত চিন্তা নিয়েন না, টুটুল এর আবারো ব্যাংকক যাওয়ার ইচ্ছা আছে। সো, নো চিন্তা ডু পার্টি
দুইন্যার সব উল্টা পালটা, টিফিন লইয়া টুটুল গেলো ব্যাংকক. কিন্তু সেইখানে গিয়া রাখলো রোজা। আজব কাজ কারবার।
নাজ, খেয়াল কইরো, টুটুল্ভাইরে কিন্তু ভদ্রলোক খেতাব দিছো তুমি!
tutul vodrolok?bah!
টুটুল এর আবারো ব্যাংকক যাওয়ার ইচ্ছা আছে। সো, নো চিন্তা ডু পার্টি
কি সব্বনাষ !!!
কথাটার মধ্যে কেমন অশ্লীষ অশ্লীষ ব্যপার আছে
এই ব্যাটা, টেস্ট ক্রিকেট অশ্লীল?
চরম!!
খাইছেরে! এ যে দেখি সেয়ানে সেয়ানে লড়াই।
কি সব নাফরমানি কথাবার্তা! ননাউজুবিল্লাহ্।
ঝাক্কাস্্
এই পোস্ট পড়লে তিনদিন রোজা হবে না।
মন্তব্য করুন