ইউজার লগইন

চল্লিশে ঢাকা

বাংলাদেশ নিয়ে আমাদের অভিযোগের শেষ নাই। দলবাজি, দুর্নীতি, দখলবাজি, কালো টাকা, জনসংখ্যা, ট্র্যাফিক সমস্যা, চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি, গুপ্তহত্যা, সড়ক দুর্ঘটনা, বন্যা, পাহাড়ি ধস, ভুমিকম্প, আরো যা যা মনে করতে পারেন সবই আছে কমপ্লেইনের তালিকায়। গত ১৫ বছর যাবত যুক্ত হইসে রাস্তা-ঘাটে, মাঠে-ময়দানে, রেডিও, টেলিভিশনে জাতির জনক/ স্বাধীনতার ঘোষকদের নিয়া ২৪/৭ গুনকীর্তন, মিলাদ মাহফিল, হামদ ও নাত করে মানুষের জীবনটা ফানাফানা করে দেয়ার এক নতুন সংস্কৃতি। আমার মনে ঘুরছে, তবে আমাদের জীবনের আনন্দের জায়গাটা কোথায়?

গতকাল বন্ধুর সাথে ছবির হাটে গেসি, শুনলাম দূরে স্টেজে কি একটা অনুষ্ঠান হচ্ছে। রবীন্দ্রসংগীত শোনা যাচ্ছে। রওনা দিলাম দুইজন। যাইতে যাইতে বন্ধু বলে, আচ্ছা তুই কি একটা জিনিষ খেয়াল করসিশ? আমি বললাম "কি জিনিষ? অনেক জিনিষই তো খেয়ালে আসতেসে।" সে বললো, “দ্যাখ, বাংলাদেশে রবীন্দ্রসংগীত গাইতে হইলেই গায়ক-গায়িকারা কেমুন একটা ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যে চইলা যায়। মুখে জলপাই নিয়া আসন করে বইসা গান গাইতে হয় যেন’” আমি বললাম “কয়দিন ধইর্য ধর দেখবি এরপরে ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’ গাইতে হইলে অজু করতে হইবো। হা হা হি হি।” এইসব প্যাচাল পাড়তে পাড়তে স্টেজের কাছে এসে দেখি সুন্দর নৃত্যনাট্য ধরনরে কিছু একটা হচ্ছে। বাঁশের বেড়া টপকায়ে, ভীড় ঠেলে সামনে যেয়ে দাঁড়াই্তেই শুরু হইলো জাতির জনক বিষয়ক নাচ গান। আমরা পত্রপাঠ ফেরত।

হাঁটতে হাঁটতে এসে বসলাম লালন চর্চা কেন্দ্রের মাদুরের পাশে। এখানেও বন্দনা আছে, চর্চা আছে, কিন্তু সেটাতে মেজাজ তিরিক্ষি হয়না। কারন বন্দনা হলো “সহজ মানুষ”-টার, যাকে দিব্যজ্ঞানে ভজলে অমূল্যনিধি বর্তমানে পাওয়া অসম্ভব না। বাংলার সহজিয়া এই মূল্যবোধ কেন যে রাজনৈতিক প্রচার যন্ত্রগুলোর মাথায় আসেনা, বুঝিনা। জনক/ ঘোষক’কে কি অবতারের মূর্তিতে নেওয়া খুবই দরকার। তাদেরকে আমাদের থেকে অনেক অনেক বেশী বড় করে দেখানোর খেলায় সাধারন মানুষের থেকে ওদের দুরত্ব যে বেড়ে যায় বহুগুন। লালনের সহজ মানুষ হয়ে উঠতে পারেন না তারা-- হয়ে যান রাস্তার মোড়ে কান ঝালাপালা মাইকের বাজনা, টিভি চ্যানেলের অর্ধসত্য ইতিহাসের বিরক্তিকর বিজ্ঞাপন। হয়ে যান অনেক দুরের একজন মানুষ, অনেক দুরের।

আশাবাদী লোকেরা মনে করেন, একদিন নিশ্চয় এই দুরত্ব কমে যাবে। সহজিয়া ভাবের মধ্যে দিয়া নিপাত যাবে এইসব প্রপাগান্ডিস্টিক ননসেন্স। নিরাশাবাদীরা বলেন, “আরে ভাই, বাংগালীর ***র মধ্যে গুলি না মারা পর্যন্ত এরা এমনেই থাকবো। এই যে দ্যাখেন, ২৫ মার্চে ম্যাসাকার না হইলে কি আপনে ভাবেন মুক্তিযুদ্ধ শুরু হইতো? কক্ষনোইনা। আমরা আচি গনতন্ত্রে, এইখানে আপা/ ভাবী গুলি চালাইবোনা, আস্তে আস্তে মারবে। ফলে কুন চেঞ্জ আসবে না।”

যাইহোক, স্বাধীনতার ৪০ উপলক্ষে আশেপাশে সবার মন থৈ থৈ দেশপ্রেমে টইটুম্বর। আমিও ভাবলাম একটা লিস্ট বানাই- কেন বাংলাদেশ পছন্দ করি। আচ্ছা দেশ’টা অনেক বড় টপিক, তাইনা? (আর ওটাতো বাংলালিঙ্ক ইজারা নিয়েছেন), তাইলে চলেন ঢাকা নিয়েই মাথা ঘামাই।আমি-ঢাকা-শহর-কেন-পছন্দ-করি। এই তালিকায় ব্যক্তিগত বিষয় দেয়া যাবে, (এই যেমন এখানে আমার মায়ের বাড়ি, এই শহরে আমার জন্ম, ইত্যাদি) স্বাধীনতার ৪০ উপলক্ষে ৪০ টা পয়েন্ট লিখতে হবে। আমার বোন আর মাকে জিজ্ঞেস করলাম, ওরা বললো হেল্প করবে। আমি আমারগুলো দিব। তারপর বাকিটা বন্ধুদের উপরে। ভাল ভাল পয়েন্ট আসলে মাসের শেষে স্বনির্ধারিত সম্পাদকমন্ডলী দ্বারা নিরীক্ষনপূর্বক একটি এডিটেড তালিকাও প্রকাশ করা যেতে পারে। আপনাদের কোন পয়েন্ট থাকলে কমেন্টে দিয়ে দিবেন আশা করি। তাহলে বিসমিল্লাহ বইলে শুরু করি---

৪০) ঢাকায় হাঁটতে হয়না। সবখানেই রিকশা করে যাওয়া যায়।

৩৯) বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার আশেপাশে রিকশায় চড়ে প্রেম করা যায়।

৩৮) শহরের যেকোন জায়গায়, যেকোন চিপা-চাপায় অল্পখরচে চা এবং সিগারেট পাওয়া যায়।

৩৭) চায়ের সাথে একটু বেশী টাকা দিলে বিস্কুট, কেক ও কলা পাওয়া যাবে।

৩৬) আরেকটু খুজলেই পাবেন গাঁজা।

৩৫) ঢাকা শহরে মোটামুটি যেকোন জায়গায় আমার ভাইয়েরা মুত্র বিসর্জন দিতে সক্ষম।

৩৪) এই শহরে সবার তিনটা হাত—: ডানহাত, বামহাত, আর অজুহাত।

৩৩) এখানে চাঁদনী চক মার্কেট আছে।

৩২) আরো আছে শ’খানেক অন্যান্য শপিং মল যেখানে মোটামুটি শুধু ভারতীয় পন্য পাওয়া যায়।

৩১) এই শহরে ফুচকা পাওয়া যায়।

৩০) হাজির বিরিয়ানী, নান্না মিয়ার বিরিয়ানী ও স্টারের কাচ্চি পাওয়া যায়।

২৯) টাকা থাকলে সবধরনের মাছ তরকারী পাওয়া যায়।

২৮) আমাদের স্বাধীন দেশে দুইবছর পরপর বাড়ির ছাদে মৌসুম বুঝে ভারত, পাকিস্তান, ব্রাজিল, বা আর্জেন্টিনার পতাকা টাঙ্গানো যাইতে পারে। সাথে গাড়ি বা সিএনজির উপ্রেও টাঙ্গানো যাইতে পারে।

২৬) এখানে ঘরে বসে ৭৭টি চ্যানেল দেখা যায়, যার ৫০টির বেশী ভারতীয়। ফলশ্রুতিতে শিশুরা এখন বাংলার পাশাপাশি অনর্গল হিন্দীতে কথা বলতে পারে ও বিয়ে বাড়িতে বলিউডি গানবাজনা করে অন্যদের মনোরঞ্জন করতে পারে।

২৫) আমাদের স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট দেখা যায়, যদিও তাতে বেশীরভাগ সময় বাংলাদেশ লজ্জাজনকভাবে হারে।

২৬) সকল ক্ষেত্রের মত এখানেও আপনি নিজেকে এই বলে সান্তনা দিতে পারেন যে হারজিত বড় কথা না, পার্টিসিপেশনই বড়।

২৫) এখানে বাচ্চারা রাস্তার উপরে ক্রিকেট ও ফুটবল খেলতে পারে।

২৪) বড়রা বাড়ির সীমানা দুই ইট করে বাড়িয়ে রাস্তা দখল দখল খেলতে পারে।

২৩) এখানে মোটামুটি অল্প বেতন দিয়ে বুয়া, ড্রাইভার, দারোয়ান পাওয়া যায়।

২২) নেটওয়ার্ক ঠিক থাকলে বুয়া মারফত পাশের বাড়ির ভাই, ভাবী, চাকরীজিবী ছেলে, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মেয়ে সকলের হাঁড়ির খবরটি পাওয়া যায়।

২১) এই শহরে প্রায় ৫৫ টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় আছে।

২০) ওগুলোতে যে কেউ চাকরি পাইতে পারে, এবং টাকা থাকলে যে কেউ ভর্তি হইতে পারে।

১৯) এ শহরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটের মত বিশ্বমানের শিক্ষা ও গবেষনা প্রতিষ্ঠান আছে।

১৮) ঠিকমত দলবাজি করলে ওগুলোতেও চাকরিপ্রাপ্তি অসম্ভব না।

১৭) অন্তর শোবিজের কল্যানে ২৫ হাজার টাকা খরচ করে এখানে শাহরুখ খানের লাইভ শো দেখা যায়।

১৬) শহরের সংখ্যালঘু একদল শিশু ভালো স্কুলে যায়, ভালো খাবার খায়, ভালো জামা কাপড় পড়ে, দামী খেলনা নিয়ে খেলে। সংখ্যাগুরু শিশুদের দলটি তাদের ঘরে কাজ করে, বা অন্য পরিশ্রমের কাজ করে জীবিকার খাতিরে।

১৫) আমরা সবাই আশাকরি আমার শিশুটি যেন প্রথম দলে থাকে। যদিও আমরা জানি যে পরিবর্তন ও প্রকৃত বিপ্লবের বীজ লুকিয়ে আছে বঞ্চিত শিশুটির মনে।

১৪) শহরে সস্তায় বিশ্বমানের রূপচর্চা সেবা পাওয়া যায়।

১৩) রূপচর্চা প্রতিষ্ঠানে এখন আর ক্লোজসার্কিট ক্যামেরা থাকেনা।

১২) বংগবাজার, ও জাহান ম্যানশনে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ব্র্যান্ডের জামাকাপড় একশ’ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়।

১১) খুবই কমমূল্যে পাইরেটেড ডিভিডিতে সারা পৃথিবীর চলচিত্র পাওয়া যায়।

১০) এই শহরের ঈর্ষনীয় ইতিহাস আছে।

০৯) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা শিক্ষা, সংস্কৃতি,প্রতিবাদ ও প্রগতির জন্য পৃথিবী বিখ্যাত।

০৮) পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বাংলা নববর্ষের উৎসবটি রমনা কেন্দ্রিক।

০৭) এখা্নে ছিনতাই থেকে বাঁচার জন্য খাঁচাওয়ালা সিএঞ্জি আছে।

০৬) এই শহরে যত্রতত্র ময়লা ফেলা, গাড়ি পার্কিং করা, ও মাইক বাজানোর সুব্যবস্থা আছে।

০৫) সংসদ ভবন ও বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বছরে একবার কৃষ্ণচূড়া ও রাধাচূড়া গাছে অদ্ভুত সুন্দর ফুলগুলো শহরে অপার্থিব এক অসহ্য সৌন্দর্য সৃষ্টি করে।

০৪) বুড়িগঙ্গা নদীতে যে কেউ নৌকায় করে ঘুরতে পারে, ও কেরানীগঞ্জে গিয়ে চা বিস্কুট খেয়ে আসতে পারে।

০৩) এই শহরে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যে মহররমের তাজিয়া বের হয়, হয় দূর্গাপূজা, শবেবরাত, ঈদ, বৌদ্ধপূর্নিমা ও ক্রিসমাস।

০২) ফেব্রুয়ারী মাসে এই শহরে পৃথিবীর একমাত্র বাংলা বইমেলা হয়।

০১) শহরের ভিড়ভাট্টা হট্টগোলের মধ্যে একটু খুঁজলেই দেখা মেলে হারিয়ে যাওয়া ‘সহজ মানুষ’-টির।

সকলকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।

পোস্টটি ৭ জন ব্লগার পছন্দ করেছেন

এ টি এম কাদের's picture


কিন্তু আপনার পয়েন্ট গুলোইত পড়া যাচ্ছেনা । আমরা দেবো কি ! একটু যত্ন নিয়ে পোষ্ট করলে ভাল হয়না !

এ টি এম কাদের's picture


কিন্তু আপনার পয়েন্ট গুলোইত পড়া যাচ্ছেনা । আমরা দেবো কি ! একটু যত্ন নিয়ে পোষ্ট করলে ভাল হয়না !

শর্মি's picture


কোথায় অযত্ন হয়েছে বুঝলাম না।
কেন পড়া যাচ্ছেনা, বলবেন কি? ঠিক করে দেওয়ার চেষ্টা করবো।
ধন্যবাদ।

রাসেল আশরাফ's picture


কাদের ভাই বোধ হয় ক্রোম বাউজার ব্যবহার করেন আর এই কারনে আপনার পয়েন্টের নাম্বারে পরে দাড়ির কারনে লেখা গুলো বাক্স হয়ে গেছে। যা উনি দেখতে পারছে না।।। Smile Smile যেমন আমিও ক্রোমে দেখতে পারছিলাম না। ই এক্সপ্লোরারে দেয়ার পর সব ঝকঝকে। Big smile

শর্মি's picture


সহজ সমাধান তাহলে। ধন্যবাদ।

এ টি এম কাদের's picture


ধন্যবাদ রাসেল ভাই ।

স্বপ্নের ফেরীওয়ালা's picture


চল্লিশে চালশে নয় তো?

~

শর্মি's picture


সেই প্রশ্নতো তবে জাতির বিবেকের কাছে রাখতে হয়।

এ টি এম কাদের's picture


জাতির বিবেক বলে কিছু আছে ? আমিতো দেখিনা ।

১০

শর্মি's picture


কাগজে কলমে আছে বলেই তো শুনি। কারা যে রটাইলো।
কেন যেন ভারতীয় ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। Waiting

১১

কিছু বলার নাই's picture


বিড়ির দাম কম, এইটা মিস করছিস।

১২

শর্মি's picture


অতি উত্তম পয়েন্ট। এডিট করা হইলো।

১৩

আশরাফুল আলম's picture


শর্মি আপার লেখার ভক্ত হয়ে গেছি। এবিতে যতদূর পেয়েছি তার সবগুলো পোস্ট পড়েছি।আপনার সব লেখা পড়তে চাই, কি করা যায়?

১৪

শর্মি's picture


অনেক ধন্যবাদ। অত্যন্ত উৎসাহিত হলাম।
আমি আপাতত এখানেই লিখি, তাও বেশ অনিয়মিত। অন্যকোথাও লেখা শুরু করলে জানাবো।

১৫

রায়েহাত শুভ's picture


জ্যামে বসে একই সাথে জ্যামকে গালি দেয়া যায়, আর দেরী করে অফিসে যাওয়ার বিমলানন্দও পাওয়া যায়...

সময় পাইলে আরো কিছু ইনপুট দিয়া যামুনে Smile

১৬

শর্মি's picture


হ্যা, দ্যানতো নতুন পয়েন্ট প্লিজ! আর দেরী করে অফিসে যাওয়াটা সব সময় ভালো, না গেলে আরো ভাল।

১৭

তানবীরা's picture


শহরের ভিড়ভাট্টা হট্টগোলের মধ্যে একটু খুঁজলেই দেখা মেলে হারিয়ে যাওয়া ‘সহজ মানুষ’-টির।

Big smile

১৮

শর্মি's picture


Innocent

১৯

মীর's picture


কবে দেশে আসছেন? কিছু জানান নাই ক্যান? আছেন-টাছেন কেমন? খবরাখবর কি?

২০

শর্মি's picture


আপনারে তো বলসিলাম! কি বলেন!
এক সপ্তাহ হয়ে গেসে, আর কিছু দিনের মধ্যে যাওয়ার টাইম হয়ে যাবে।
ভাল আছি। বন্ধুর সাথে অনেক সময় কাটে। বাকী সময় মা নানারকম রান্না করে খাওয়ায়। খুবই সুখে আছি।

২১

মীর's picture


সুখে আছেন যেহেতু, খুবই সুখের কথা। আমি কুমিল্লা শহরে ট্রান্সফার হয়ে গেছি, নাহলে আন্টি ছাড়াও আরো একজন আপনাকে খাওয়াতো। আপনে কবে আসছেন আমাকে জানান নাই। শুধু আসবেন জানাইছিলেন। ক্যাম্পাসে একটু সাবধানে ঘোরাফেরা করাটা মনে হয় ভালো হবে। কারণ ঐখানে কিন্তু প্রচুর মেয়েধরা থাকে Big smile Big smile

২২

শর্মি's picture


কুমিল্লা গিয়া কি আজাইরা কথা বলার ট্রেনিং পাইসেন নাকি?? আপনাকে দিন তারিখ ও বলা হইসে। আগের ব্লগটা দ্যাখেন। যাইহোক, মাছ খাওয়ানোর ভয়ে কুমিল্লা চইলা গেসেন শুনে দুখ লাগল। খাওয়ানোর দরকার নাই, ভাই। আপনে খাওয়াইতে চাইসেন এটাতেও আমি খুশি। আর, আমার দোস্ত পালোয়ান টাইপের লোক, ওকে দেখলে মেয়েধরারা দৌড়াইয়া কূল পায়না।

ফলে টেনশন নাই।

২৩

কিছু বলার নাই's picture


৫ নম্বরটাও একটু এডিট কর। শুধু কৃষ্ণচূড়া আর রাধাচূড়া না, জারুল-ও আছে। আইইআর থেকে রেজিস্টার্স বিল্ডিং পর্যন্ত রাস্তাটা পুরাটা বেগুনি কার্পেট হয়ে থাকে জুন মাসে। আর ছড়ানো ছিটানো আছে একগাদা সোনালু গাছ, একটা আছে কলাভবনের সামনে...আমার হলুদ রং অতো প্রিয় না, কিন্তু চোখ ফিরাইতে পারিনা আমি এই গাছের ফুল থেকে। আইএমএলের সামনের কৃষ্ণচূড়া গাছে থেকে একবার একটা ফুলসহ ডাল আমার মাথায় পড়লো ঠাস করে, ফুল দেইখা খুশিতে আর ব্যাথাত্যাথার কথা মনেই ছিলনা। আমি ক্যাম্পাসে থাকতে চাই Sad

২৪

শর্মি's picture


এটাও ভালো পয়েন্ট মাসশেষে এডিট হইবে।

২৫

মীর's picture


আপনার্ওে ক্রিস্মাসের শুভেচ্ছা। গানটা আমি আট-দশ বছর ধরে খুঁজতেসিলাম। আমার মাথায় শুধু একটা লাইন মাঝে মাঝে ঘুরতো- আম গাছে আম নাই, খুটা কেন লাড়ো রে...

সো, ধনিয়াজ দিয়ে কভার হয় না এমন একটা কাম আপ্নে কৈরাল্চেন। অনস্বীকার্য।

২৬

শর্মি's picture


Party

২৭

আমি's picture


মাস তো শেষ হয় নাই, দিলাম কিছু পয়েন্ট:

- এই শহরে পটেটো ক্র্যাকার্স পাওয়া যায় যেইটার প্যাকেট ছিড়তে নিলে মাঝখান থেকে দুই ভাগ না হয়ে পাশ দিয়া খুলে এবং দুই-চারটা চিপস বাই ডিফল্ট পইড়া যায়।আরো আছে মিস্টার কুকিজ যেইটার প্যাকেটে দুই-তিনটা 'কুকিজ' প্রায় গুড়া গুড়া।
- পাইরেটেড ডিভিডি শুধু কম মূল্যই না, সুন্দরভাবে ক্যাটাগরি অনুসারে ব্রাউজ-ও করা যায়: অ্যাকশন, কমেডি ইত্যাদির পাশাপাশি ইয়োরোপিয়ান ছবি খুজলে দোকানদার 'অফবিট' সিনেমার লিস্টি ধরায় দেয়, সেই ক্যাটালগের বই দোকান থেইকা নিয়া মাস ব্যাপী নিজের কাছে রাইখা ফেরত দিলেও অসুবিধা হয় না।
- প্রেসক্রিপশন ছাড়া ঔষধ কেনা যায়

ভালো থাকবেন ভাবি Smile

২৮

শর্মি's picture


পটেটো ক্র্যাকার্স আর মিস্টার কুকিজ সারা দেশেই পাওয়া যায়, বিধায় পয়েন্ট গ্রহন করা হইলো না। পাইরেটেড ডিভিডি'র কথা লিখসি আমি। শুধু আপনার তৃতীয় পয়েন্টটা এডিটেড ভার্সনের দিমু ভাবতেসি।

২৯

গ্রিফিন's picture


বৈদ্যাশে থাকা দেশীরা বেড়াইতে আইসা রিক্সা আর সিএঞ্জির ভাড়া বাড়ায়া দিবার্পারে, কারন তারা ভাড়ার এমাউন্ট ডলার/ইউরো তে চিন্তা কঐরা লয় Wink

৩০

অতিথি's picture


হ কইসে আপ্নারে!!! বিদ্যাশীরা আমগ থাইক্যা আরু গরীব।

মন্তব্য করুন

(আপনার প্রদান কৃত তথ্য কখনোই প্রকাশ করা হবেনা অথবা অন্য কোন মাধ্যমে শেয়ার করা হবেনা।)
ইমোটিকন
:):D:bigsmile:;):p:O:|:(:~:((8):steve:J):glasses::party::love:
  • Web page addresses and e-mail addresses turn into links automatically.
  • Allowed HTML tags: <a> <em> <strong> <cite> <code> <ul> <ol> <li> <dl> <dt> <dd> <img> <b> <u> <i> <br /> <p> <blockquote>
  • Lines and paragraphs break automatically.
  • Textual smileys will be replaced with graphical ones.

পোস্ট সাজাতে বাড়তি সুবিধাদি - ফর্মেটিং অপশন।

CAPTCHA
This question is for testing whether you are a human visitor and to prevent automated spam submissions.

বন্ধুর কথা

শর্মি's picture

নিজের সম্পর্কে

কিছুনাই।