ইউজার লগইন

গাঞ্জা কাহিনী ]]] ১ [[[

গত মাসের ২০ তারিখে স্কুল ফ্রেন্ডদের সবাই কে দাওয়াত করেছিলাম বাসায়। দাওয়াত পাইয়া একদল বন্ধু অগ্রগামী অতিথি হিসাবে আগের দিন রাতেই আইসা হাজির, বাসায় বউ-বাচ্চা ফেইলা

সারা রাত ধরে আড্ডা , কার্ড খেলা আর ধোয়া আর তরলে গলধঃকরন। সেই আড্ডায় হাসতে হাসতে গড়া গড়ি খাওয়ার মত অবস্থা একেক জনের কাহিনী শুইন্যা।

আমাদের স্কুল বন্ধু - মিন্টু। ১৮ বছর পর দেখা আমার বাসায় আয়োজন করা স্কুল ফ্রেন্ড দের রিইউনিয়নে। রাশিয়ায় থাকে , দেশে বাড়াইতে আইছে। প্রথমেই তারে দিয়ে শুরু করি। সেই আড্ডায় আমরা ঠিক করলাম যে খোমাকিতাবে আমরা বাংলা স্কুল - ৯১ ব্যাচ হসাবে একটা গ্রুপ খুলুম , বন্ধু গো লগে যোগাযোগ থাকবো। তা , মিন্টু রে জিগাইলাম দোস্ত তোর কি ফেসবুকে একাউন্ট আছে ? ও প্রথমে বুঝে নাই। তারপর আবার জিগানোর পর কইলো - না রে , স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে আছে। এক দফা গড়াগড়ি খাইলাম শুইনা। মিন্টুর আরেকটা পরিচয় আছে , ও আমাদের স্কুলের এক টিচার এর ছেলে। ওর নাম তাই আছিল - স্যারের পোলা। মিন্টু নাম না জানলেও স্যারের পোলা কইলে সবাই চিনবো আমাগো ব্যাচের।

তারপর আড্ডা চলতাছে , এক সময় শুরু হইলো গাঞ্জা কাহিনী। মিন্টু শুরু করলো প্রথম।

মিন্টু আর তার এলাকার বন্ধুরা মিলে একবার ঢাকার বাইরে ঘুরতে যাইবো। তো যাওয়া উপলক্ষ্যে গাঙ্গার স্টিক বানাইছে অনেক গুলা। বানাইয়া সিগারেটের প্যাকেটে রাখছে। রাতে ঘুমাইতে যাওয়নের আগে টিভি দেখতেছিল সে, পরে ভুল করে টিভির ঘরেই এই স্টিক ভর্তি প্যাকেট রাইখা চলে আসে ঘুমাইতে।

মিন্টুর বাবা অর্থাৎ আমাদের স্যার ও সিগারেট খাইতেন। তিনি আগেই শুয়ে পড়ছিলেন। তা ফজরের আযান দিলে স্যার ঘুম থেইকা উঠেন নামাজ পড়বেন বলে। উইঠা নিজের সিগারেট খুজেন। না পাইয়া টিভির ঘরে যান , খুজতে । যথারীতি সিগারেটের প্যাকেট পাইয়া সাথে করে নিয়া আসেন। আইনা একটা ধরান।

তারপর ওযু কইরা নামাজ পড়েন । স্যারের অভ্যাস নামাজ পইড়া একটু মিষ্টি খাওনের। সেদিন ও ফ্রীজ খুইলা মিষ্টি খাইলেন। মিষ্টি খাইতেই তার কেমন যেন লাগে , বিছানায় শুইয়া পড়েন।

ঐদিকে সকাল হইলে মিন্টুর ঘুম ভাঙে , খেয়াল হয় সেই প্যাকেটের কথা। টিভির ঘরে গিয়া দেখে প্যাকেট নাই। বাবার ঘরে যায় খুজতে। দেখে বাবা শুয়ে আছে আর মাথার কাছেই তার প্যাকেট।
"মিন্টু আমার কেমন জানি লাগতাছে, সিগারেটের গন্ধ কেমন জানি লাগলো , নামাযে সূরাও ভুল করলাম আইজ " - মিন্টুরে দেইখাই স্যার বলেন। মিন্টু বুঝে সর্বনাশ হয়ে গেছে, বাপ নিশ্চয়ই স্টিক টানছে। কইতে কইতে স্যার আরেকটা স্টিক ধরান, মিন্টু কিছু বুঝে উঠার আগেই। গন্ধ পাইয়া সিওর হয় মিন্টু , এইটা তার সেই প্যাকেটই। কিছু কইতে পারে না । শুধু বলে - আজ স্কুলে যাওয়ার দরকার নাই বাবা, রেস্ট নেন।"। বাবারে শোয়ায় রাইখা কোন মতে প্যাকেট নিয়া ভাগে মিন্টু।

একটু পর সকালের খাবারের ডাক। মিন্টু যাইয়া দেখে তার মা গামলায় ভাত আইনা সবার প্লেটে বাড়তেছে। স্যার হঠাৎ কইরাই ভাতের গামলা কাইড়া নিয়া গামলাতে ভাত খাওয়া শুরু করেন !!!! মিন্টু বুঝে অবস্থা খুবই খারাপ। বাবাকে আবার স্কুলে যাইতে নিষেধ করে। কিন্তু পেনশনের সময় কাছে আসাতে স্যার স্কুলে যাবেন বলেই ঠিক করছেন। অগত্যা মিন্টু বলে - আজ আমি তোমার সাথে গিয়ে স্কুলে আগায়ে দিয়ে আসবো, তোমার শরীর খারাপ না ?" স্যার ও রাজী হন।

মিন্টু স্যার কে নিয়ে রিকশায় উঠে। এমন সময় উলটা পাশ দিয়া আরেকটা খালী রিকশা আসতে দেখে স্যার হঠাত করেই বলে - এই রিকশা থাম। রিকশাওয়ালা ও রিকশা থামায়।
থামানো পর স্যার বলেন - কিছু না, এমনি কইলাম যা।

মিন্টু কোন মতে বাবাকে স্কুলের গেটে দিয়ে আসে।

পোস্টটি ৭ জন ব্লগার পছন্দ করেছেন

সোহেল কাজী's picture


একটা মিটিং আছে, সাইরা আইসা খুস মিজাজে পড়মু Laughing

সাঈদ's picture


ঊখে <বুকাবুকির ইমো হইবে>

সোহেল কাজী's picture


হাঃহাঃহাঃ হাসতে হাসতে পেন্টে কফি ফালাইয়া দিছি। তার পরো হাস্তেই আছি।
 শেষ পর্যন্ত পোলার গাঞ্জা বাবায় খাইয়া টালামি ddddd

আমারো এরাম একটা করুন কাহিনী আছে b তয় সেইটা আব্বা নয়।
এক বেবী চালক দুস্তরে একচিমটি সুনামগইঞ্জা মোহীনী দিছিলাম। সে এক বিশাল হৃদয় বিদারক কাহীনি। সময়মত পোষ্টামুনে Wink

সাঈদ's picture


হৃদয় বিদারক কাহিনী শুনতে চাই না।

শওকত মাসুম's picture


হাহাহাহাহাহ। জীবনে বহু গাজা খাওয়ার কাহিনী শুনছি। কিন্তু এইরকম শুনি নাই।

সাঈদ's picture


আসলেই স্পেশাল। শুইনা আমরা গড়াগড়ি খাইলাম।

আপন_আধার's picture


মজা পাইছি ।

সাঈদ's picture


ধন্যবাদ ভাই।

টুটুল's picture


গঞ্জিকা সেবনের কাহিনী অনেক আছে ... অনেক রকমের আছে ...

বাবা'র জন্য খারাপ লাগল... :(

১০

সোহেল কাজী's picture


@ টুটুল ভাই, পোষ্টাইয়া লান। গঞ্জিকা ভালা পাই Cool

১১

সাঈদ's picture


আমাগো স্কুলের বুক কিপিং টিচার ছিলেন :(

১২

রায়েহাত শুভ's picture


গান্জা খাউয়া কুব খ্রাপ... :)

১৩

সাঈদ's picture


হঃ

১৪

রায়েহাত শুভ's picture


হের্পরো গান্জা খাইতে ভাল্লাগে ;)

১৫

সাঈদ's picture


কি করুম কন , খাওয়ার সময় বুঝিনা যে খ্রাপ , খাওনের পরে বুঝি।

১৬

হাসান রায়হান's picture


হা হা হা। হা হা প গে অবস্থা।

দুনিয়ার  সবথিকা মজার গাঞ্জা কাহিনী।

১৭

সাঈদ's picture


Laughing আরেকটা দিমুনে ।

১৮

বিহঙ্গ's picture


হে হে হে হে হে হা হা হাহাহাহাহাহাহা.................(গড়াগড়ির ইমো হইবো)

মডুরা কি করে ইমোর ব্যবস্থা করে না কেখ??????????

১৯

সাঈদ's picture


ইমো দেবার ঝোর দাবী ঝানাই ।

২০

হাসান রায়হান's picture


দিতে থাকো। আমিও গঞ্জিকা সেবনের কাহানী বর্ণনা করুমনে , বেড়ায়া আসি তারপর।

২১

সাঈদ's picture


অপেক্ষায় থাকলাম ভাইয়া।

২২

অতিথি পাখি's picture


অফলাইনে পড়ে লগ ইন না করে পারলাম না !!
চরম মজার হৈচে !!
আপনাদের আড্ডার পিকচার দেখেছিলাম , মজার হৈচে !!

২৩

সাঈদ's picture


তুমারে ইদানিং কুথাও পাইনা ক্যান ???

২৪

অতিথি পাখি's picture


হাওয়া ম্যা উড়তা যায়ে মেরা .....................

একটু বিজি আছিগো ভাইডি !! দোয়া ফরমাইয়েন !!

২৫

সাঈদ's picture


দোয়া ফরমাইলাম।

২৬

জ্যোতি's picture


অস্তাগফিরুল্লাহ্।নাউজুবিল্লাহ মিন .....।তবে কাহিনী মজার হৈছে।হাসতেই অাছি।

২৭

সাঈদ's picture


Laughing আলহামদুলিল্লাহ (হাসির জন্য)

২৮

নীড় সন্ধানী's picture


আমি তিনবার হেডিং দেখছি আর লেখকের নাম পড়ছি। প্রতিবার মনে হয়েছে ভুল দেখতেছি। গাঞ্জা নিয়া লেখা, কিন্তু নাম সাঈদ ভাইয়ের কেন, এখানে অতিথি পাখির নাম হওয়ার কথা না? পুরা লেখা পড়ে ঘটনা বুঝলাম এবং ..........(গড়াগড়ির ইমো হইপে)

২৯

সাঈদ's picture


দাদা , জ্বি মানে আমিও ...

৩০

মাসরুর's picture


হাহাহাহা..... শেষ করেন তাড়াতাড়ি!!!!!!

৩১

সাঈদ's picture


দোয়া কইরেন ।

৩২

আত্তদ্বিপ's picture


আমুর সেই গাঞ্জিকার আসরের কথা মনে পড়ে গেল।

৩৩

সাঈদ's picture


হঃ ভাই। ঐতিহাসিক সেই আসর।

৩৪

তানবীরা's picture


সন্তান বাবা মায়ের কি দশা কইরা ছাড়েরে

৩৫

সাঈদ's picture


হঃ বইন।

৩৬

মলিকিউল's picture


খেক খেক খেক...।। গঞ্জিকা টানা কিন্তুক ভালু না...।। আমি আর টানি না...।

৩৭

সাঈদ's picture


ভালো ভালো। আমিও টানুমনা ...

৩৮

নুশেরা's picture


Laughing

আসরের বাকী গপসপগুলাও আসুক। 
জীবনে প্রথমবার গাঞ্জা হাতে নিছিলাম ভার্সিটিতে পড়ার সময়। ঘটনা বড়ই করুণ। কলেজপড়ুয়া ছোটভাই কাগজের দলায় কইরা এই বদগন্ধী বস্তু আমারে দিয়া কয়, আপা এইটা দিয়া দাঁত মাইজো, ফকফকা হইবো... (টেট্রাসাইক্লিন ওষুধটার লংকোর্স কেউ কইরা থাকলে তার জন্য সমবেদনা)। ছোডভাইরে দৌড়ানি দিছিলাম, প্রোপার চ্যানেলে নালিশ সহকারে... ... সে আমারে অভিশাপ দিছিলো আমার জামাই, পুলাপান, এমনকি নাতিনাতনীরও দাঁত খারাপ হইবো...

৩৯

সাঈদ's picture


হা হা । তো সবার দাতের কি অবস্থা এখন ????

৪০

সুবর্ণা's picture


গঞ্জিকা সেবনের গপ্পো পড়লাম দুই পর্ব, পরের পর্ব কবে আসবে? 

৪১

সাঈদ's picture


অতি শিঘ্রই। অপেক্ষায় থাকুন।

৪২

বিষাক্ত মানুষ's picture


ব্যাপক !

মন্তব্য করুন

(আপনার প্রদান কৃত তথ্য কখনোই প্রকাশ করা হবেনা অথবা অন্য কোন মাধ্যমে শেয়ার করা হবেনা।)
ইমোটিকন
:):D:bigsmile:;):p:O:|:(:~:((8):steve:J):glasses::party::love:
  • Web page addresses and e-mail addresses turn into links automatically.
  • Allowed HTML tags: <a> <em> <strong> <cite> <code> <ul> <ol> <li> <dl> <dt> <dd> <img> <b> <u> <i> <br /> <p> <blockquote>
  • Lines and paragraphs break automatically.
  • Textual smileys will be replaced with graphical ones.

পোস্ট সাজাতে বাড়তি সুবিধাদি - ফর্মেটিং অপশন।

CAPTCHA
This question is for testing whether you are a human visitor and to prevent automated spam submissions.

বন্ধুর কথা

সাঈদ's picture

নিজের সম্পর্কে

আমি হয়তো মানুষ নই, মানুষগুলো অন্যরকম,
হাঁটতে পারে, বসতে পারে, এ-ঘর থেকে ও-ঘরে যায়,
মানুষগুলো অন্যরকম, সাপে কাটলে দৌড়ে পালায়।

আমি হয়তো মানুষ নই, সারাটা দিন দাঁড়িয়ে থাকি,
গাছের মত দাঁড়িয়ে থাকি।
সাপে কাটলে টের পাই না, সিনেমা দেখে গান গাই না,
অনেকদিন বরফমাখা জল খাই না।
কী করে তাও বেঁচে আছি আমার মতো। অবাক লাগে।