ইউজার লগইন
ব্লগ
জীবনটা আনন্দময়, তাই না?
সেদিন একটা আমলকি গাছের নিচে বসে ভাবছিলাম তোমার কথা! জীবনের যে সময়টায় গাছের নিচে, পার্কের বেঞ্চিতে কিংবা রিকশায় চড়ে তোমায় নিয়ে ঘুরে ঘুরে আনন্দ করার কথা ছিল, সে সময়টায় কৈলাশ খেরের গান কানের হেডফোনে, আর অচেনা-অজানা-অগোছালো চিন্তাদেরকে মাথার নিউরণে নিউরণে নিয়ে; অলিতে-গলিতে ঘুরেছি আমি, আর সূর্য্য ঘুরেছে নিজের অক্ষ আর কক্ষপথের ওপর, আহ্নিক ও বার্ষিক গতিতে।
নেপাল ভ্রমণের গল্প: শেষ পর্ব
নেপাল ভ্রমণের পর্ব দুই মূলত পোখরা শহরের অলিতে-গলিতে ঘুরঘুর করে বেড়ানো কেন্দ্রিক। দারুণ সব জায়গা দেখা, প্রকৃতির ভেতর হারিয়ে যাওয়া, আসল নেপালি খাবার উপভোগ করা- এই নিয়ে সাজানো।
যার কেন্দ্রে থাকা কিছু উপাদানের একটি ছিল খাবার। বিশেষভাবে নেপালিদের হাতে সাজানো থালি, যাতে ভাত আর পাঁপড়ের সঙ্গে থাকে পছন্দসই যেকোন রকমের উপাদান। যারা নিরামিশাষী তাদের জন্য ছয়-সাত রকমের নিরামিষের আয়োজন। যার ভেতর ডাল, পুঁইশাক, পালংশাক, উচ্ছেভাজা, ঝিঙ্গেভাজি, আলুর দম, লাউপাতার পাতুরি- ভেতরে ঝুরি করে ভাজা আলুর পুর ছিল প্রায় সবখানেই। মাংষাশীদের জন্য মুরগি কিংবা মহিষ এর কষা, কোথাও কোথাও মুরগীভাজাও ছিল। খাওয়ার পাশাপাশি চলেছে চর্মচক্ষু স্বার্থকায়নের কর্মযজ্ঞ। সুস্বাদু খাবার যেমন পেট ভরিয়েছে, নয়নাভিরাম দৃশ্য তেমন ভরিয়েছে মন। সর্বত্র হয় না দেহ-মনের অমন বিরল মিলন।
আহমদ ছফার দুনিয়া
মরার জন্য ছফা কেন শ্রাবণকেই বেছে নিলেন? এই প্রশ্নের জবাব আমি খুঁজেছি অনেকদিন। নুরুল আনোয়ার লিখিত 'ছফামৃত' বইতে আছে, শরীর যখন খারাপ লাগছিলো, সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়লো হাসপাতালে নিতে, তিনি নাকি না যাওয়ার পক্ষে ছিলেন। বারবার একটাই কথা বলছিলেন, 'অযথা পেরেশানী করে লাভ নাই, আমি যাবোগা আজকেই।' এর মাস দুই আগে থেকেই তিনি বলছিলেন, আমার হাতে সময় বেশি নাই। এইজন্য তিনি আত্মজীবনী লেখারও চিন্তা করছিলেন, কিন্তু লিখতে পারছিলেন না, শেষে নুরুল আনোয়ার টেপ রেকর্ডার নিয়ে বসে থাকে। তাতেও উনার সুবিধা লাগে না। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে তিনি বলে রেখেছেন, তার শরীরের সবখানেই রোগ, এত কষ্ট নিয়ে বেঁচে থাকতে মন সায় দেয় না। সুতরাং ৫৯ বছরের জীবনে পার করে তিনি মোটামুটি প্রস্তুতই ছিলেন ওপারে যাওয়ার জন্য।
নেপাল ভ্রমণের গল্প: পর্ব ১
ত্রিভুবন বিমানবন্দরটি নেহায়েত ছোট্ট একটি বিমানবন্দর হলেও মানুষের আনাগোনা কম ছিল না। এক রোববার ভরদুপুরে ময়ুরপঙ্খী নামের উড়োজাহাজে করে বিমানবন্দরটিতে নামতেই আশপাশে প্রচুর মানুষের কোলাহল দেখে থমকে গিয়েছিলাম খানিকক্ষণের জন্য। ঠিক জায়গায় পৌছেঁছি তো? এতো দেশের মতোই অবস্থা চারিদিকে। মানুষের মাথা আর মানুষের মাথা চারিদিকে। ভুল ভাঙতে অবশ্য খুব বেশি সময় লাগে নি। বিমানবন্দরের ছিমছাম, গোছানো বন্দোবস্তের কারণে খুব অল্প সময়ের ভেতরেই আমাদের সব নিয়মতান্ত্রিক কর্মকাণ্ড সম্পন্ন হয়ে গেল। এক মাসের পর্যটক-ভিসা হাতে নিয়ে পথে নামলাম প্রতিবেশ দেশ নেপাল খানিকটা ঘুরে-ফিরে দেখার উদ্দেশ্যে।
গ্লোরিয়াস বার্থডে অফ তানবীরা আপু!
শহরে বন্দরে গ্রামে যেখানেই যাই আমার ঘুম আসে না। এই যে আমি শুয়ে আছি ও ঢাকায় আসলাম, তিনটা প্রায় বাজলো। ঘুম নেই। শুধু ঢাকাতেও না, এই মফস্বলে কত রাত কেটে গেল নির্ঘুম। কুমার বিশ্বজিতের একটা গান আছে, ঘুম নেই চোখে/ একা জেগে আছি/ স্মৃতি এসে বলে গেল নেই যে তুমি। স্মৃতি ছিল আমার ক্লাসের এক মেয়ের নাম। বাপ মা দুইজনই তাবলীগ করতো। আমার এক বন্ধু তাকে পছন্দও করতো। মেয়েদের তখন একটা ভালো ব্যাপার ছিল, সব জেনে বুঝে খালি চেয়ে চেয়ে থাকতো। ছেলেদের কিশোর বয়স থেকেই ভালোবাসা প্রকাশের যে উদগ্রীবতা, মেয়েদের তা ছিল না। তবুও ক্লাসে আরেকটা মেয়েকে স্কুল থেকে টিসি দেয়া হয়েছিল। কারন সে প্রেগন্যান্ট বলে। আমাদের স্কুল কলেজ গুলো এত বেশী নৈতিকতা কপচাতো যে এখন বুঝি এ জন্য আমাদের এত সংকট। জোর করে মূল্যবোধ শেখানো যায় না। এমন একটা ভাব ছিল যেন আমরা হবো সব হাজী মহসিন। হাজী মহসিনের মত সম্পত্তি পেলেও হতো। মহসিন ফান্ডের বৃত্তি দেয়া হতো
একই হুড়োহুড়িতে লিপ্ত পিপঁড়ে
সেদিন হঠাত করে কথাটা মনে পড়লো। লেখালেখির অপচেষ্টা করা হয় না অনেকদিন। আদ্যিকালে এই নামেই অভ্যাসটাকে নির্ণয় করেছিলাম। সেই কালে কখনো এমনও হয়েছে যে টানা প্রতিদিন লিখেছি। দিনে একাধিকবার লিখেছি। ব্লগে যদি কখনো দিনে একাধিকবার লেখা প্রকাশের দরকার পড়তো তাহলে পূর্বে খানিকক্ষণ নিজের সঙ্গে যুদ্ধ হতো। কেন একাধিকবার প্রকাশের দরকার পড়লো সেই প্রশ্নের উত্তরের খোঁজে। কেননা নিজের প্রতি নিজের এক ধরনের মায়া মানুষের কাজ করেই। যার ঊর্ধ্বে ওঠাটা মোটেই সহজ নয়। তাই নিজের কাছে ভাল লাগলেও, আদতেই দু'টো লেখা একদিনে প্রকাশের মতো ভাল কি না- সেই প্রশ্নের উত্তর জানা জরুরি ছিল। জেনেও অবশ্য কিছু যেতো বা আসতো না। লেখা খারাপ হলেও প্রকাশ করে দেওয়া হতো। আদ্যিকালে শিশুতোষ আচরণেই জীবনযাপন করতাম।
স্মরণের প্রান্তরে আহমদ ছফা!
আজ আহমদ ছফার জন্মদিন। বড় করে সুন্দর করে একটা লেখার দরকার। শরীরও ভালো লাগছে না, তাই জোশ পাচ্ছি না। যদিও কাল থেকে ভালো মন্দ খাচ্ছি। ছফা নিয়ে আমার কম লেখা নাই। ব্লগে ফেসবুকে বিভিন্ন দৈনিকে। নতুন করে আর কোন কথাটা বলার আছে। বান্ধবীকে ছফার একটা উপন্যাস পড়তে বলেছিলাম, সে পড়ে আনন্দিত। এত বিজি জীবনে যে পড়েছে বাংলা তাই অনেক। এটা আমি সব সময় দেখেছি। কাউকে ছফা পড়তে দিলে যদি পড়ে হতাশ হয় না। এটাই হয়তো আহমদ ছফার চার্ম। ছফা যে মানুষের মুখে মুখে সত্য অসত্য গল্পে কাল্ট হয়েছে এসবই হয়তো ছফাকে প্রাসঙ্গিক রাখবে। আপনি বাংলাদেশের যেকোনো পাবলিক ভার্সিটির দিকে তাকান, খবরগুলো দেখান, ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের কাজ কারবার, ভিসি ও প্রভাবশালী শিক্ষকদের দৌরাত্ম এসব নিয়ে ভাবলেই তো বারবার প্রাসঙ্গিক হয়, গাভী বৃত্তান্ত। এটা এখন এত বেশী সেলিব্রেটেড উপন্যাস, মাঝেমধ্যে মনে হয় এ উপন্যাসকে ফলো করাই ভিসিদের ডিউটি। তারা খালি গাভীর জায়
'জলজ লকার' এক মায়াময় আখ্যান
স্টিফেন কিং এর একটা কথাকে আমি ভীষণ সত্য মানি। তিনি বলেছিলেন, 'সঠিক বইটা সঠিক মানুষের হাতে পড়লে একটা আলোর জন্ম হয়। যে আলো একজন থেকে আরেকজনের হাতে ছড়িয়ে পড়ে।' এবারের বইমেলায় মাহরীন ফেরদৌস- এর একটা উপন্যাস এসেছিল, যা কথা প্রকাশের অন্যতম বেস্ট সেলার, নামটাও অদ্ভুত, 'জলজ লকার'। বইটা পড়ে অনেকদিন আগে শোনা স্টিফেন কিংয়ের কথাটা মনে পড়লো। উপন্যাসটা পড়েই সেটা নিয়ে লেখা দরকার ছিল। কিন্তু উপন্যাসটা এমন এক ঘোরে ফেলে দেয় কিছুই আর ইচ্ছে করে না নতুন করে বলতে। তাই অনেকদিন পড়ে 'জলজ লকার' নিয়ে কিছু কথা প্রকাশের সাধ জাগলো!
Ek Akela Is Shaher Mein!
ধরেন বছর অনেক আগে রাতে ঘুমাতে পারছিলাম না, সোডা হোস্টেলের ছেলের দলেরা গাচ্ছে, তুমি যে ক্ষতি করলা আমার আল্লাহয় করবে তোমার বিচার। মনটা চাইছিলো শালা তোরা আমার ঘুমের বারোটা বাজালি তোদেরও বিচার করবে আল্লাহ। আবার আমাদের কৈশোরে আসিফের গান ছিল, ও পাষানী বলে যাও কেন ভালোবাসোনি। এত জোরে বাজতো সিডির দোকানে মন চাইতো, তুই আর কোথা থেকে ভালো, এত জোরে গান বাজাস? কার ঠেকা পড়েছে ভালোবাসার। তখনই আমার মাথায় এসেছিল, পুরুষ সুরকার গীতিকার ও শিল্পীদের দুটো প্রবণতা, নারীকে গানে গানে আসমানে তুলবে ভক্তিরসে, বলবে পরী, অপরুপা, বিধাতা গড়েছে নিজের হাতে, তুমি না এলে সব কিছুই থাকতো আধারে নয়তো গান হবে বকাঝকা আর ব্লেইম গেমের খেলা। কেন তুমি অচেনা হলে, পাষানী, আল্লাহয় করবে বিচার, অপরাধী, কেন তুমি ভুলে গেল, কেন তুমি চলে গেলে, কেন তুমি আসো না, কেন কথা রাখো না, কেন বাসো না ভালো, কেন তুমি বদলে গেছ এসবে ভরা সব গান!
কি দেখছি, কি পড়ছি, কি শুনছি
শরীর অসুস্থ থাকার কারণে আমার গত এক দেড় মাস ধরে কিছুই দেখা হয় না। ইদানিং কিছু দেখার চেষ্টা করছি। যেহেতু সারাদিন জামালপুরে বসেই থাকে। আইপিএল দেখতে ভালো লাগে না। নাটক দেখার চেষ্টা করি টিভিতে, কিন্তু এখন আগের মতোই সে পেশেন্সটা নেই। তাও চ্যানেল পাল্টানোর ফাঁকে কিছু দৃশ্য ধরা পড়ে। চ্যানেল গুলোরও এখন নাটক নিয়ে বিশেষ চিন্তা নাই। অনেকেই পুরানো ভান্ডু থেকে তাদের নাটক দেখায়, নায়িকা দেখলেই মনে হয় এই অভিনেত্রী আজ প্রায় অর্ধ যুগ ধরে আমেরিকায় থাকে। আর দেখা হয় সংবাদ। মানে সংবাদ টিভিতে চলতে থাকে আমি হয়তো মোবাইল টিপতে থাকি। লীগের চ্যানেল গুলো এখন এমন পল্টি মারছে ভাবতেই অবাক লাগে, বিটিভিতে হয়- ফ্যাসিবাদের দিনলিপি, টকশো গুলোতে সব রাজত্ব করছে আরকে রনি, জাহেদস টেক, সারোয়ার তুষার, মাসুদ কামালরা। তার ভেতরেও সিনেমা দেখা হলো কিছু। খুবই ভালো লেগেছে, সুপার বয়েস অফ মালেগাও, পনম্যান, এই রাত তোমার আমার। যেহেতু অসুস্থ তা
শঙ্খচূড়া তখন আপনমনে কি ভাবছিল
রাতের আঁধারে পদ্মার ঘন কালো জলরাশির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উড়ছিল শঙ্খচূড়ার সেই চুলগুলি। যার মায়ায় আক্ষরিক অর্থেই সাত সমুদ্দুর পাড়ি দিয়ে ছুটে এসেছিল আনন্দধারা। কার কোথায় জন্ম, কোথায় বেড়ে ওঠা জানা ছিল না তাদের কারোই। শুধু এক মহাজাগতিক মাহেন্দ্রক্ষণে একটি দশমিকের-পর-অযুতসংখ্যক-শূন্য-বসিয়ে-লেখা-এক-শতাংশ-সম্ভাবনা সমুদ্রের গভীর তলদেশ থেকে বুদবুদের মতো উঠে এসে ফেটে পড়েছিল তাহিতি দ্বীপমালার ক্ষুদ্র একটি অংশ, যাকে দ্বীপও বলা যায় আবার সমুদ্রের বুকে ভেসে থাকা চরও বলা যায়; তার জনমানবশূন্য সৈকতে।
গল্প: চাঁদের আলোয় গ্রাফিতির নিচে দেখা রক্তলাল চুলের ওই গথিক মেয়েটি
১.
সেদিন ভোরে হাঁটতে বের হয়েছিলাম। ভোরে ঘুম থেকে হাঁটতে বের হবো- এমন একটা কথা কয়েক বছর ভাবার পর, সেদিনই প্রথম সেটিকে কাজে রূপান্তর করা সম্ভব হয়েছিল। অন্ধকার ভোরে পথে নামার আগে একটু দ্বিধা কাজ করছিল কিন্তু বাসা থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এক ঝাপটা মুক্ত হাওয়া সব দ্বিধা-দ্বন্দ উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছিল। শীতের শুরুতে যেভাবে বার্চের সব পাতা ঝড়ে যায়।
প্রত্যেকবার শীতের শেষে যখন নতুন পাতা গজায় আশপাশের সব গাছগুলায়- তখন আমার কেন যেন চোখটা ফেটে জল বের হয়ে আসতে চায়। চোখের পাতা টান টান করে রেখে আর বারবার ঝাপটিয়ে সামাল দেয়ার চেষ্টা করি। তাতে করে শেষ রক্ষা যে হয় না, তা না। তবে এক ফোঁটা জলের একটা ধারা ঠিকই চোখ থেকে গাল বেয়ে নেমে যায়, আমি টের পাই।
খেয়াঘাটে হারানো ডিঙি
১.
জীবনে যে কাজগুলো করা হয় নি এখনো, তার অন্যতম হচ্ছে উত্তরে গিয়ে রাতের আকাশে অরোরা দেখা। উত্তরে বলতে নরওয়ে কিংবা সুইডেনের দিকে। ওখানে গিয়ে পাহাড়ের ঢালে কোন একটা নির্জন কুটিরে বসে, বিটলবণ মেশানো দুই কাপ লেবু চা হাতে গভীর রাতে আকাশে রং-বেরংয়ের আলোর নাচন দেখতে পারলে ভাল লাগতো।
বুনো ব্ল্যাকবেরী পেড়ে খাবো পাহাড়ে ওঠার পথের পাশে বেড়ে ওঠা জঙ্গল থেকে
ঠান্ডা হয়ে আছে চারিদিক। ভীষণ ঠান্ডা। বৃষ্টির তীক্ষ্ণ ছাঁট ঠান্ডাটা বাড়িয়ে দেয় আরো বেশি। যেন ডীপ আর নরমাল ফ্রীজের মাঝামাঝি কোন একটা লেভেলে বানানো আইসক্রীম। সর্বোচ্চ ঠান্ডায় ট্যাপের পানি হাতের ওপর ছেড়ে রাখলে একটু পর থেকেই হাত অসাড় ও রক্তশূন্য হয়ে আসতে শুরু করে। তাড়াতাড়ি নবটা গরম পানির দিকে ঘুরিয়ে দিয়ে হাত যে সচল আছে তা নিশ্চিত হতে হয়।
আইসক্রীম খাই না অনেক দিন। ইলমিনাউ স্কুলে পড়াশুনা করার সময় মাঝে মাঝে স্থানীয় আইসক্রীম কোম্পানি, যেগুলো প্রায় পারিবারিক ক্ষুদ্র কিংবা মাঝারি ব্যবসাই আসলে, নিজেদের আইসক্রীম ভ্যান নিয়ে হাজির হতো। বাচ্চাদেরকে ঠান্ডার ভেতর আইসক্রীমের লোভ দেখানোর জন্য। আমি ছিলাম সেই বাচ্চাদেরকে তালিকায় প্রথম। আইসক্রীমের ভ্যান হাজির হলেই আমি গিয়ে সামনে দাঁড়িয়ে পড়তাম। ভ্যানওয়ালা হেসে বলতো, আরে, ভ্যানটা সেট করার সময় তো দেবে!
লীনা আপুর বার্থডেতে!
লীনা আপুকে নিয়ে লিখতে আমার সব সময় ভালো লাগে। জানি এখন তিনি এসব পড়ার মুডে নাই। তাও আমার তো লেখাই কাজ। লীনা আপুকে নিয়ে না লিখলে ১৪ ই ডিসেম্বরটা মনে হয় ব্যর্থ গেল।
আমার সাথে লীনাপুর দেখা নাই মেলাদিন। শেষ যেদিন দেখা হয়েছিল তখন তানবীরা আপু ছিল। খুবই মজার এক সন্ধ্যা কেটেছিল আমাদের। আপু আর আমি হোটেল জিন্জিরায় গিয়েছিলাম রিকশায়। আপুর বাইরের খাবারের বিষয় আসয়ই ভালো লাগে না। তবুও আমাদের পাল্লায় পড়ে খেলো। খুব আনন্দ করেছিলাম আমরা। সেদিন চারটা বইও এনেছিলাম। তাও পড়া শেষ। দেয়া হয়নি। বই গুলো এখনও টেবিলে, আবু সয়ীদ আইয়ুব, অমিয়ভূষণ মজুমদার এসব আর কি। কবে যে দেখা হবে আবার কে জানে? আবার কিছু নতুন বই আনা যাবে।