ইউজার লগইন
ব্লগ
খেয়াঘাটে হারানো ডিঙি
১.
জীবনে যে কাজগুলো করা হয় নি এখনো, তার অন্যতম হচ্ছে উত্তরে গিয়ে রাতের আকাশে অরোরা দেখা। উত্তরে বলতে নরওয়ে কিংবা সুইডেনের দিকে। ওখানে গিয়ে পাহাড়ের ঢালে কোন একটা নির্জন কুটিরে বসে, বিটলবণ মেশানো দুই কাপ লেবু চা হাতে গভীর রাতে আকাশে রং-বেরংয়ের আলোর নাচন দেখতে পারলে ভাল লাগতো।
বুনো ব্ল্যাকবেরী পেড়ে খাবো পাহাড়ে ওঠার পথের পাশে বেড়ে ওঠা জঙ্গল থেকে
ঠান্ডা হয়ে আছে চারিদিক। ভীষণ ঠান্ডা। বৃষ্টির তীক্ষ্ণ ছাঁট ঠান্ডাটা বাড়িয়ে দেয় আরো বেশি। যেন ডীপ আর নরমাল ফ্রীজের মাঝামাঝি কোন একটা লেভেলে বানানো আইসক্রীম। সর্বোচ্চ ঠান্ডায় ট্যাপের পানি হাতের ওপর ছেড়ে রাখলে একটু পর থেকেই হাত অসাড় ও রক্তশূন্য হয়ে আসতে শুরু করে। তাড়াতাড়ি নবটা গরম পানির দিকে ঘুরিয়ে দিয়ে হাত যে সচল আছে তা নিশ্চিত হতে হয়।
আইসক্রীম খাই না অনেক দিন। ইলমিনাউ স্কুলে পড়াশুনা করার সময় মাঝে মাঝে স্থানীয় আইসক্রীম কোম্পানি, যেগুলো প্রায় পারিবারিক ক্ষুদ্র কিংবা মাঝারি ব্যবসাই আসলে, নিজেদের আইসক্রীম ভ্যান নিয়ে হাজির হতো। বাচ্চাদেরকে ঠান্ডার ভেতর আইসক্রীমের লোভ দেখানোর জন্য। আমি ছিলাম সেই বাচ্চাদেরকে তালিকায় প্রথম। আইসক্রীমের ভ্যান হাজির হলেই আমি গিয়ে সামনে দাঁড়িয়ে পড়তাম। ভ্যানওয়ালা হেসে বলতো, আরে, ভ্যানটা সেট করার সময় তো দেবে!
লীনা আপুর বার্থডেতে!
লীনা আপুকে নিয়ে লিখতে আমার সব সময় ভালো লাগে। জানি এখন তিনি এসব পড়ার মুডে নাই। তাও আমার তো লেখাই কাজ। লীনা আপুকে নিয়ে না লিখলে ১৪ ই ডিসেম্বরটা মনে হয় ব্যর্থ গেল।
আমার সাথে লীনাপুর দেখা নাই মেলাদিন। শেষ যেদিন দেখা হয়েছিল তখন তানবীরা আপু ছিল। খুবই মজার এক সন্ধ্যা কেটেছিল আমাদের। আপু আর আমি হোটেল জিন্জিরায় গিয়েছিলাম রিকশায়। আপুর বাইরের খাবারের বিষয় আসয়ই ভালো লাগে না। তবুও আমাদের পাল্লায় পড়ে খেলো। খুব আনন্দ করেছিলাম আমরা। সেদিন চারটা বইও এনেছিলাম। তাও পড়া শেষ। দেয়া হয়নি। বই গুলো এখনও টেবিলে, আবু সয়ীদ আইয়ুব, অমিয়ভূষণ মজুমদার এসব আর কি। কবে যে দেখা হবে আবার কে জানে? আবার কিছু নতুন বই আনা যাবে।
ডিসেম্বরের শহরে..
'আরকেন' এর নতুন সিজন আসছে কয়েক দিন আগে, আগের পর্ব গুলি আবার দেখে নিলাম। এনিমে সম্পর্কে আমার চিন্তা ভাবনা বদলে দেওয়া 'আরকেন', প্রথম সিজনের মত মন্ত্রমুগ্ধ করে দিবে সেই আশাও করি নাই। এখন মনে হইতাছে এই বছরে এর চাইতে দারুন কিছুই দেখা হয় নাই! নিজেকে ভুল প্রমানিত হইতে দেখলেও মাঝে মাঝে বেশ আনন্দ লাগে। এই সিজনেই একটা গান শুনলাম, আশিনিকোর 'পেইন্ট দ্য টাউন ব্লু' ।
শুনতে শুনতে মনে হলো, নীল থেকে নীলে যেতে যেতে মানুষের আসলে কি হয়? অন্ধকার কালোয় হারিয়ে যায় নাকি আবছা হতে হতে হাওয়ায় মিলিয়ে যায়?
মন চলে আগে আগে, আমি পড়ে রই
দুনিয়ার মানুষের যেসব বিষয় নিয়ে বিরাট বিরাট আয়োজন, সেগুলো নিয়ে আমি কেন যেন কোনদিন আগ্রহ বোধ করিনাই তেমন একটা। কিন্তু ক্ষুদ্র, তুচ্ছ সব বিষয় নিয়ে ব্যাপক ভাবনা চিন্তা আর সময় খরচ করায় আমার কোন আলস্য নাই।
কবিতা: অনেক ভাল রেখেছো তুমি আমায়
আমার প্রিয় উপন্যাস কি ছিল জানতে?
লা মিজারেবল।
প্রিয় কবিতা?
হায় চিল।
প্রিয় গান?
চন্দ্রবিন্দুর 'আমার ভিনদেশি তারা'।
হালের ভিনদেশি তারা-টা না কিন্তু।
ওই ভার্সনটা আমার ভাল্লাগে না একটুও।
আমার ভাল লাগে কোনটা জানো?
আমার ভাল লাগে পুরোনো ঢিমেতালের
সেই আসল ভার্সনটা।
খুব একটা হাহাকার আছে ওই ভার্সনটায় জানো? নতুনটায় নেই।
আর আমার সর্বকালের সবচেয়ে প্রিয় মানুষটা
কে ছিল জানতে?
যার কাছে নিজেকে কষে বিলিয়ে দিয়েছিলাম?
যার জন্য সকাল দুপুর সন্ধ্যা এক করেছিলাম?
যাকে ভালবেসে অন্ধ হয়ে গিয়েছিলাম?
সারা পৃথিবীকে একঘরে করে দিয়েছিলাম যার জন্য?
থাক্ সেসব শুনে কাজ নেই।
তুমি বরং বানানো কথা শোনো,
অনেক ভাল রেখেছো তুমি আমায়,
অনেক ভাল।
---
(০৮:০০ অপরাহ্ন, ০৫.০৯ ২০২৪ ইং)
কাক ও দুঃখ
কাক
পৃথিবীর অন্য পাখিদের চেয়ে অন্যরকম।
আমরা কালো, কুৎসিত কতো কথাই না বলি।
কাক
কি সেটা জানে?
আমাদের বাসায় একবার কুকি নামে একটা কাক এসেছিল।
ওকে দেখে মনে হয় নি সেটা জানে।
দুঃখ
পৃথিবীর অন্য অনুভূতিগুলোর চেয়ে অন্যরকম।
আমরা কষ্ট, বেদনা কতো নামেই না ডাকি।
দুঃখ
কি জানে সেটা? আমার কাছে হারানোর নামে একবার দুঃখ এসেছিল।
দুঃখ কেমন বা কতটা সর্বনাশী আগে বুঝি নি।
---
তুমি দয়াময়ী হইও রে বন্ধু, ছাড়িয়া না যাইও
আসমানে যাইও না বন্ধু
ছুঁ'তে পারবো না
পাতালে যাইও না বন্ধু
ধরতে পারবো না
বন্ধু যখন একবার চলেই যায়, তখন সে কোথায় গেল সেটার কি আর কোন গুরুত্ব থাকে? হয়তো ভাল আছে কিনা ইত্যাদি জানার একটা তাগিদ থেকে খানিকটা গুরুত্ব থাকে। সেটাও মানুষ ও অবস্থাভেদে। কিছু কিছু সময় বন্ধু এমনভাবে চলে যায় বা যেতে বাধ্য হয় যখন আর সেই তাগিদ মেটানোরও কোন উপায় থাকে না।
জীবনটা যে শরীরের ভেতর বন্দি, সে শরীরের ভেতর বিশাল একটা ব্যাথার দলা জমে থাকে শুধু। ব্যাথাটা যে ঠিক কোথায় থাকে কেউ বলতে পারে না। বুকে, না মাথায়, না শরীরের অন্য কোনখানে- তা বোঝা যায় না। বিজ্ঞানীরা বলেন, সবই মস্তিষ্কের খেল! তাই হবে। বিজ্ঞানীরা তো না জেনে শুনে, কিংবা গবেষণা না করে কিছু বলেন না।
ভালবাসার চিরকুট
ওয়েল শো মি দ্য ওয়ে টু দ্য নেক্সট হুইস্কি বার
ওহ্ ডোন্ট আস্ক হোয়াই
ওহ্ ডোন্ট আস্ক হোয়াই,
ফর ইফ উই ডোন্ট ফাইন্ড দ্য নেক্সট হুইস্কি বার
আই টেল ইউ উই মাস্ট ডাই
আই টেল ইউ উই মাস্ট ডাই
আই টেল ইউ
আই টেল ইউ
আই টেল ইউ উই মাস্ট ডাই...
পরিচিত পছন্দের গানের কলিটি শুনতে পেয়ে একটু সচকিত হলাম। উদ্যানের ভেতর একটি মেয়ে গানটি গুনগুনিয়ে অন্ধকারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলো। আমি উবায়েদ ভাইয়ের দোকানে দাঁড়িয়ে একটি শলাকায় অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করছিলাম। বাতাসের কারণে তাতে বারবার বিঘ্ন ঘটছিলো। তখন মনে মনে একটা ডোরস্-এর লিরিক আমিও ভাঁজছিলাম। কাম’ন বেইবী লাইট মাই ফায়ার...। আর ঠিক সেই সময়ে আমার পেছন দিয়ে খুব ধীরে ধীরে, অনেকটা যেন স্লো মোশনে, একজন ডোরস্-এর একটা গানই শুনিয়ে দিয়ে গেলো!
বব ডিলানের লিরিকে চেপে কাটিয়ে দেয়া সেই সন্ধ্যায়
বাপ্পী'দার দোকানটা আড্ডার জায়গা হিসেবে বেশ। দোকানের পাকা অংশের ভেতরে বসেন বাপ্পী'দা। তার সামনে রয়েছে দু'টো গ্যাস স্টোভ। যেগুলোর একটাতে অনবরত গরম পানি ফুটতে থাকে, আরেকটাতে ফুটতে থাকে চা পাতা মেশানো পানি। তার একপাশে সিঁড়ি আকৃতির সিগারেটের আলনা। সেখানে থরে থরে সাজানো রকমারি সিগারেটের প্যাকেট। সেটার নিচে রয়েছে একটা ক্ষুদ্রাকৃতি ড্রয়ার। ওটাই বাপ্পী'দার ক্যাশবাক্স। এছাড়া দোকানের ভেতরে আর কিছু নেই। বাইরে দু'টো বেঞ্চি আছে। ছিমছাম চায়ের দোকান বলতে যা বোঝায়, বাপ্পী'দার দোকানটা তাই। চা আর সিগারেটের কাঁচামাল ছাড়া তিনি এক ছড়া কলাও কখনো দোকানে রাখেন না। কলা, বিস্কিট, ড্যানিশ ইত্যাদি রাখলে নাকি দোকানে রিকশাওয়ালাদের ভিড় লেগে থাকে সবসময়। বাপ্পী'দা তার দোকানে নন-এলিট শ্রেণীর কাস্টমার দেখতে খুব একটা পছন্দ করেন না। আমি সৌভাগ্যবান কারণ হতদরিদ্র হওয়া সত্বেও তিনি আমাকে নন-এলিট মনে করেন না।
টক-ঝাল-মিষ্টি ছেলেবেলা - ঝাল পর্ব
ছেলেবেলার জীবনটা আমাদের বড় অন্যরকম ছিল। যা আজকালকার শিশুদের যাপন করতে হয় না। যদিও শিশুদের ঠিক কি জীবন আজকাল আমাদের দেশে যাপন করতে হয়, তা নিয়েও আমার তেমন সুনির্দিষ্ট ধারণা নেই। তারপরও বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন আর ইন্টারনেটে পাওয়া তথ্য থেকে মনে হয়েছে, আমাদের সময়ের সেই টক-ঝাল-মিষ্টি শিশুকাল আজকালকার বাচ্চাদের নসিবে কমই জোটে।
আন্ধার রাইতে চান্দের আলো দেখলাম না নজরে
আজ বহুদিন লেখালেখি করা হয় না। এককালে দিনলিপি লিখতাম; গল্প, কবিতা, মুক্তগদ্য লিখতাম। অথচ এখন সেসবের কোনকিছুতে মন বসানোর ইচ্ছেটাকেই পাই না। মাঝে মাঝে ভাবি আবারও সেই আগের মতো একটা জীবন শুরু করা গেলে খারাপ হয় না। কিন্তু চাইলেই কি সব মেলে জীবনে? মেলে না। না মেলে সময়, না মেলে প্রেরণা। মেলে শুধু অজুহাত। আজ গরম, কাল লিখবো। কাল আসলে মনে হয় আজ শরীরটা ভাল না। নাহয় পরদিনই লিখবো। এসবই শুধু অজুহাত তাই নয়। আরও যে কতশত অজুহাত আমার মস্তিষ্কের নিউরণেরা খুঁজে খুঁজে বের করে আনে তার ইয়ত্তা নেই। তাই লিখবো বলে প্রায় প্রতিদিনই একবার ভাবলেও, সে ভাবনাকে বাস্তবে আর রূপ দেয়া হয় না।
শুধু কি লেখালেখিতেই এই আলস্য? তাতো নয়। সর্বশেষ কত বছর আগে যে একটি বই আমি পুরোপুরি পড়েছি, তা মনে করতে কষ্ট হয় ইদানীং। আট বা নয় বছর তো হবেই। এমন আরও আছে। তালিকা তৈরি করতে ইচ্ছে হয় না। শুধু বসে ভাবতে ইচ্ছে করে।
শুধু আপনার, আর কারো না?
মহাদেব এখন আর আগের মতো ঘন ঘন দেখা দেন না
শূন্য বাসার এক কোনাটায় তিনি আসন গেড়েঁছেন
মাঝে মাঝে দেখি সেদিকটায় তাকিয়ে অনেকক্ষণ
মহাদেব ছিলেন। যখন জীবনটা সহজ সরলরেখার মতো
একটা প্রাথমিক শ্রেণীর সরলাংকই ছিল,
তখন মহাদেব ছিলেন।
কাদামাটি কিংবা খালি স্লেটের মতো একটা মস্তিস্ককে
তার সব নিউরণসহ নিজের কব্জাতে পেয়েছিলেন,
মহাদেব আজকাল আর আসেন না।
আমি মাঝে মাঝে মহাদেবকে খুঁজেছি
তিনি ধরা দিতে চান না অথচ
একটা সময় ছিল যখন
না চাইতেই চৌপরদিন
ঘরময় কুরুক্ষেত্র
করতেন।
আহা মহাদেব
কেন করতেন সেসব?
দীঘির জলের মতো শান্ত সবুজ
শৈলাধার হিসেবে আমার
দীর্ঘদিনের সুনাম ছিল
মহাদেব।
আপনার ছোট্ট খেয়ালে জন্মানো ঝড়ে
সেই দীঘির জলে পাখা লেগে
সাগরে মিশেছে গিয়ে
জানেন?
মহাদেব
আপনি জানেন না একবার
শুধু যদি আপনি আসেন
আমার প্রতিদিনের সূর্য উঠে যায়
আকাশে, আমার মনটা ভাল হয়ে যায়
অনায়াসে, আমি পাখির মতো উড়ে বেড়াই
মতিন সাহেবের সাধারণ গল্প
মূল্যস্ফীতি ইদানীং এত বেশি হয়ে গিয়েছে যে সাধারণ মানুষের ত্রাহি মধূসুদন অবস্থা। সরকারের ভুলভাল ও ঢিলেঢালা অর্থনীতি, ব্যাবসায়ীদের অযাচিত মুনাফার লোভ সবকিছুতে পিষ্ট দেশের বেশিরভাগ মানুষ। মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের হাতে দেশের সিংহভাগ সম্পদ কুক্ষিগত। বাসাভাড়া বাড়তে বাড়তে ঘরের ছাদ ছুঁয়েছে। কাঁচাবাজারে এমন কিছু নেই যার দরদাম করতে গেলে গরম আগুনের ছ্যাঁকা না খেয়ে বের হয়ে আসার উপায় আছে। গ্যাস-পানি-বিদ্যুত সবকিছুর দাম চওড়া। কোথাও যাওয়া-আসারও উপায় সীমিত হয়ে এসেছে উচ্চভাড়া ও যানজটের কারণে। সেই সঙ্গে রাস্তাঘাটের দুরাবস্থা আর অনিরাপত্তা যেন সব সমস্যাকে এক সুতায় বেঁধে পরিণত করছে একটা মহাসংকটে। নগরবাসী প্রতিনিয়ত এ মহাসংকটের আবর্তে নিজেকে সঁপে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। কোনকিছুর কোন নিরাপত্তা নেই জেনেও করুণাময়ের কাছে দু'হাত তুলে শান্তি চাইছেন। এমন এক শনিগ্রস্থ সময়ের গল্প এটা।
জানালা থেকে এক ভিনদেশি পাখির বাসা দেখা যেত
আমার জানালা থেকে এক
ভিনদেশি পাখির বাসা দেখা যেত
শীতের শেষে সেবার যখন খুব বরফ পড়েছিল
সে পাখিটির বাসাটাও বরফে ঢেকে যায়।
পাখিটা আমাদের ঘুলঘুলিতে এসে ঠাঁই নিয়েছিল।
ছোট্ট সে পাখিটা ধীরে ধীরে বন্ধু
তারপরে বন্ধু থেকে আপনজনে পরিণত হয়।
যদিও আমাদের ভেতর কথা হতো না কোনই
কিংবা ছোট্ট দু'টো চোখের ভেতর ওর
কোন আকুলতাও দেখি নি আমি কখনো।
শুধু একবার সেই ছোট্ট পাখিটা
আমাকে কি যেন বলতে চেয়েছিল।
বেচারী! কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে
আমার হাতেই নেতিয়ে পড়ে।
আমি তাকে সারিয়ে তোলার
চেষ্টা করতে গিয়ে দেখি
বুকের ঠিক মাঝখানটায়
নরম পালক দিয়ে উষ্ণ
মাংস ঢেকে রাখার জায়গাটায়
খুব যত্ন করে লুকিয়ে রেখেছিল
গোলাপের কাঁটা একটা।
পাখিটা একটা গোলাপকে ভালবেসেছিল
আহা রূপকথার বোকা পাখিদের দল
আর কতকাল বোকার মতো ভালবেসে যাবি তোরা?
ভাবতে ভাবতে হু হু করে কেঁদে দিয়েছিলাম আমিই।
নি:সঙ্গ জীবনটায় ওই পাখিটাই