আসুন পিকনিকে গিয়ে নিকনিক করি
পিকনিকে গিয়ে নিকনিক করা - কথাটা প্রথম শুনেছিলাম কোন একটা নাটকে, অনেক ছোট বেলায়। নায়ক ছিল আসাদুজ্জামান নূর আর নায়িকা লুৎফন্নাহার লতা। সেই থেকে মাথায় গেঁথে আছে এই নিকনিক করা কথা টা।
কিন্তু এই নিক নিক করা মানে কি বুঝায় ?
স্কুল থেকে কোন পিকনিকে অংশগ্রহন করিনাই কিছু কারনে, ফলে সেই সময়ের কথা বলতে পারবো না তাই। কিন্তু এস এস সি পরীক্ষার কয়েকদিন পর বন্ধুরা মিলে বর্ষাকালে মিরপুরের বোটানিক্যাল গার্ডেনে গেছিলাম পিকনিক করতে, সেটাই ছিল প্রথম পিকনিক এবং বন্ধুরা মিলে প্রথম ঘরের বাইরে পা রাখা - একসাথে।
সেই পিকনিকে আমরা ফ্লাইং ডিশ/ফ্রিজবি খেলেছিলাম , কাঠাবিড়ালী ধরেছিলাম , গার্ডেনের পুকুরে সবাই নেমে গোছল করেছিলাম।
তারপর আবার কলেজ থেকে কোন পিকনিকে আর যাওয়া হয়নাই। অফিসের পিকনিকে যেতে হয়েছে কয়েকবার। সেই পিকনিকের নিকনিক অভিজ্ঞতা এমনই ছিল যে পিকনিকে যাবার ইচ্ছাই মরে গেছে একবারে।
পিকনিক মানে এখন ঢাকার বাইরে কোন স্থানে বাউন্ডারীর ভিতর (সেখানে গাছ পালা না থাকে , থাকুক) রিসোর্ট সুযোগ সুবিধাসম্মত স্থানে ধরে বেঁধে ইভেন্ট করানো , গৎবাঁধা কিছু জিনিস - হাউজি, পিলো পাসিং বা মিউজিক্যাল পিলো , মিউজিক্যাল চেয়ার লটারী ধরে নাচ গান করানো , গানের প্রোগ্রামে কোন আনকোরা শিল্পীর গলা ফাটানো গান - আর দুপুরের তেল মশলাদার খাওয়া দাওয়া এইসব। তবে একটা সুবিধা আমি নিছি সেই স্থানের যে গিয়েই একটু পরেই ঘুম , ঘুম থেকে উঠে দুপুরের খাবার খাওয়া , খেয়ে দেয়ে আবার ঘুম। এই ছিল আমার পিকনিক।
আমরা বন্ধুর পিকনিকে আগামী ৫ই ফেব্রুয়ারী , এ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি "নিরলস পরিশ্রম" করে যাচ্ছে সফল করতে। কিন্তু পিকনিকে সেই একই ঐরকম গৎবাঁধা টাইপ ইভেন্ট হইলে বা দেখলে এইবারও ঘুম দিব, সেটা মনে হয় আর বলতে হবে না।
আবার যদি একদিম কিছুই না করি দেখা যাবে তখন সবাই মিলেই ঘুমাইতেছে পিকনিকে গিয়ে।
তাই পিকনিকে আড্ডা চলবে , পরিচিত হবো সবাই সবার সাথে তবে অনুরোধ যেন ফর্মালি ভাবে এটা না করা হয় , আড্ডা-গল্পের ছলেই সবার সাথে সবাই পরিচিত হয়ে যাবো।
আমাদের সহ ব্লগার নাহীদ আবার লালনের গান জানে। কিন্তু ও এখন প্র্যাক্টিস করতেছে না। কারো সাথে আলাপ না করেই ওরে কইছি লালনের কিছু গান গেয়ে শোনাতে। এখন আপনারা যদি শুনতে চান তো নাহীদ কে নিজের লোক মনে করে ধরেন গান শোনানোর জন্য। আমি আর কিছু বলবো না ওরে।
আর কি কি করা যায় ? আমাদের সাথে যেসব বাচ্চারা যাবে তাদের একটা আর্ট কম্পিটিশন এর ব্যবস্থা করা যায় ? বেশ ভালো রোদ হয় এখন , বাচ্চাদের এর মধ্যে দৌড় ঝাপ না করানোই ভালো মনে হয়। আর আমাদের রিমঝিম মামনির ক্যাটোয়াক তো আছেই । আচ্ছা , বড়দের একটা ফানি ক্যাটওয়াক/ফ্যাশন শো ও করলে কেমন হয় ?
আপনাদের মাথায় কিছু থাকলে শেয়ার করবেন ?
আসুন সবাই মিলে পিকনিকে গিয়ে নিকনিক করি।
ম্যালা মাথা ঘামাইছেন ভাই, এইবার রেস্ট নেন। নৈলে পিকনিকে গিয়া ঘুমাইবেন কেমনে... ঘুম পিকনিক সফল হোক
আইচ্ছা । ঘুমের বন্দোবস্ত কইরেন ।
ছবি আঁকা ভালো আইডিয়া কিন্তু জিনিসপত্র নেয়ার ঝামেলা আছে। অকুস্থলে কাড়াকাড়ির আশঙ্কাও উড়িয়ে দেয়া যায় না। তাদের ছড়া-গান (বাংলায় হলে ভালো) ইত্যাদি পরিবেশনার জন্য বাবামায়েরা উৎসাহ দিতে পারেন।
বিবাহিত যুগলদের বলনাচের ব্যবস্থা থাকা আবশ্যক (আবিয়াত্যারা শর্তসাপেক্ষে যোগ দিতে পারিবেক; যেমন মুকুল কাউরে সঙ্গে নিতে পারলে...)
পিকনিকে যেতে অসমর্থ অভাগাদের জন্য এক মিনিট নীরবতা পালন করতে পারেন।
আমিও কঠিন ভাবে একমত ।
বিবাহিত যুগলদের বলনাচের ব্যবস্থা থাকা আবশ্যক (আবিয়াত্যারা শর্তসাপেক্ষে যোগ দিতে পারিবেক; যেমন মুকুল কাউরে সঙ্গে নিতে পারলে...) পিকনিকে যেতে অসমর্থ অভাগাদের জন্য এক মিনিট নীরবতা পালন করতে পারেন।
কঠিনভাবে একমত...



যাদের বলনাচের পার্টনার নাই তারা কী করবে? তারা কাগজে টালি বসাবে। বিষয় হবে অচিন্দা কয়বার ভাবীর দিকে তাকালেন, মাসুমভাইকে কতোবার তরুণীরা আংকেল সম্বোধন করলো... ...
তারা এমনি এমনিই নাচবো। একেলা একেলা ।
নীরবতার সময় বাড়ায়া দেয়া হোক। যেমন ৫ ঘন্টা। কালো ব্যও পরতে পারেন। বিবাহ পাগলদেরকে ডায়াপার বদলানো, থালাবাডি ধোয়া প্রতিযোগীতায় অংশ নিটে উততসাহ দিন।
নিক নিক হলো কার কি নিক সেটা নিয়া গবেষণা করা।
রোবোটের সাথে কঠিন ভাবে সহমত
নাহিদ ভাইয়ের গান তো অবশ্যই শোনাতে হবে ... দর্কার পর্লে রওনা দেয়া থেকে রিকুশ শুরু কর্মু
আর বন্ধুরা... এখনো যারা পিকনিকে যাবেন কি যাবেন্না বৈলা ভাবতাছেন... তাদের জন্য হুশিয়ারী

আগামী বৃহষ্পতিবার শেষ দিন চাঁদা জমা দেয়ার
কেউ একজন ফি আমানিল্লাহ কইরা আমার টেকা টা দিয়া দেন ... আখেরাতে ৭০ টা হুর পাইবেন
মুকুল্রে জিগাও
মুক্লা কি এখন থিকাই হুর পরী স্বপ্ন দেখে আর হাতের রেখা ঝাপসা করে !!
হাতের রেখা আছে এখনো?
সেইটা লাখ টাকা দামের প্রশ্ন
আবারো লিপজেল মখানো স্মাইল দিয়া গেলাম

তয় আপ্নেগো কপাল খারাপ, আমার কিন্নর কন্ঠের (একচুলী ফাটাবাঁশের) লালন গীতি মিস্কর্লেন
তুমি আইলে আবার গানের আসর হৈপে , @কাজী ।
ঘুমের আইডিয়া পছন্দ হইছে। পিকনিকে গিয়া সবাই ঘুমদিলাম। ঘুম থিকা উইঠা সন্ধায় ফিরা আসলাম। দারুন হইব।
তাইলে অতদূর যাবার কি দরকার ?
ভাইয়া ফিরে এসে পোস্টায়েন। যাতে যেতে না পারার দুঃখ টা ভুলে যাই।
তুমি যাইতে পারবা না শুনে আমার দুঃখ লাগতাছে।
পিকনিক নিয়া ম্যালা স্মৃতি, সব কওন যাইবো না।
সিরিজ আকারে বলেন।
মাসুম ভাই আমরা স্মৃতি নিয়ে একটি অনুসন্ধানী রিপোর্ট আশা করছি
বস্তা দৌড় বাদ গেছে। মেয়েদের জন্য ফুলটুকি ঃ)
পিকনিক মোবারক
নাহিদ ভাই কি গান প্রাক্টিচ কর্তাছে?
গুড জব
তাইলে কী সাউন্ড সিস্টেম নিতে হৈবো ? এসপি - থ্রি নাকী ফোর...??
মোবাইল থেইক্যা গান বাজামু , এম্পি থ্রী লাগতো না।
মন্তব্য করুন