ভেতর -বাহির (ত্রয়োদশ পর্ব) [ আঁতকে উঠি প্রতিদিন প্রতিকাল....]+
[ আঁতকে উঠি প্রতিদিন প্রতিকাল....]
একদা আঁতকে ওঠাটা ছিল বকেয়া , তারপর সেটা হলো নিত্য , আর পরে সেটা বর্তমানে এসে হয়ে গেলো অগ্রীম।
এই যে আমার আঁতকে ওঠার ক্রম বিবর্তন ধারা , তার কার্যকারন দৈনিক পত্রিকার সাদা কালো এবং রঙিন হরফে লেখা খবর বিষয়ক।
বকেয়া আঁতকে ওঠা মানে সেই সময়ের কথা যখন পত্রিকাটা টাটকা থাকত না আমার কাছে। হয়তো সকালের খবর জানলাম বিকেল, কিংবা রাতের শেষ সীমানায় বিছানায যাবার কালে, কিংবা একদিন পরেও। পত্রিকার প্রতি তখন ওমনই রোজকের অভ্যাস ...তাই বিভৎসষ খবরগুলো বকেযা পাওনাই যেন ছিল।
সে তো বহু পুরনো কথা, ছাত্রকালীন।
তারপর পত্রিকা ছাড়া চলেইনা। সাত সকালে প্রাতঃরাশের সাথে সমার্থক যেন পত্রিকার হেডলাইন গুলো।
শুরু হলো নিত্য আঁতকে ওঠার কাল। আঁতকে উঠতে উঠতে এক সময় যেন আবিষ্কার করলাম আমাদের দেশে খবর কাগজ যেমন ক্রমশ: বেড়েই চলেছে, আঁতকে ওঠার খবর প্রকাশে গতি আরও অনেক বেশী। অথবা আঁতকে ওঠার মত খবর এর সংঘটন বেড়ে চলে জ্যামিতিক গতিতে (ক্রমে) ।
পাষাণ হতে হতেও হতে পারে না ( এক কথায প্রকাশ)= মানুষ।
আর তাই আজকাল অগ্রীম আঁতকে উঠি।
এই বুঝি আগুন এ সব পুড়ে ছাই, এই বুঝি, জেমএমবির ক'টা মুর্খ একক স্বর্গপ্রেমী কোমরে সুইসাইড বেল্ট বেঁধে জনারণ্যে ঝাঁপ দিল, এই বুঝি ভেঙে পড়ে গেলো দু একটা স্কাই স্ক্রেপার, কিংবা মুখোমুখি সংঘর্ষ বাস ট্রাক, ট্রেন, কার। কোথাও সাত বছরেরর শিশুর অপরিপক্ক যোনীতে কামনাপুরনের অভিলাষে ধর্ষন নামক অনাচার, আবার মলম পার্টির খপ্পরে কারও চোখ অন্ধ, কিংবা আইন শৃংখলা রক্ষার কোন বাহিনি কর্তৃক ন্যাক্কারজনক অপরাধ। আবার কখনো মনে হয় হাস্যকর সিদ্ধান্তে কখন না জানি বন্ধ হয ফেসবুক, ইযাহু। আর খুন খারাবী ছাড়া তো পত্রিকার পাতা যেন ফিতে ছাড়া পায়জামা। সামান্য কারনে জবাই এর এই যে লিংকের ঘটনাই আজকের পড়ুন।খণ্ডিত মস্তক দেখিয়ে চাঁদা দাবি!
আগুন , বিল্ডিং ধ্বস, ফাটল. এই সব খুন খারাবি , রাজৈনিতিক অরাজকতা এসব কিন্তু কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়।
সামন্য তম ভাবনা দিযেই উপলব্ধি করা যায। এসবই আমাদের দীর্ঘ দিনের অনাচার, দূর্ণীতি আর আন সিস্টেমেটিক পলিসির বিচ্ছিন্ন বিচ্ছিন্ন ফল।
কাল না জানি কি আতংকে পত্রিকার পাতটা খুলতে হয় তীব্র আতংকে আঁতকে উঠি, আঁতকে ওঠাটা এখন অগ্রীম
অথবা অগ্রীম আঁতকে ওঠার মানসিক রোগ হয়েছে , শুধুই কি আমার ?
[ বিশ্বকাঁপ উন্মাদনা.........]
এই তো সকালে আজ মুন্সীগঞ্জ আসা কালে নারাযনগঞ্জ শহরেরর সনবেধন নীল মণি বঙ্গবন্ধু সড়কে জ্যাম দেখে ভ্যাবাচ্যাকা। হাতে সশয় কম। এমনেতেই দেরী করে ফেলেছি। কি ব্যাপার , আবার কোন আঁতকে ওঠার খবর নাকি?
আরে না , একটু পরেই গান এর সুর এর কানে।
ব্রাজিল ব্রাজিল .... সেই সে ভেন্গা বয়েজ ব্যান্ডের গান।
তারপরই চোখে পড়ল , বেশ দীর্ঘ র্যালিটি।
ব্রাজিল এর সাপোর্টার তো....একটু খুশী লাগতেই পারে আমার ।
তারপরই আবার নিন্দা করার বাসনাও জাগে, লেখা লেখির জগতে হাতড়ানোর অভ্যেস থাকলে এই এক সমস্যা হয়, খালি নিন্দার সুত্র মনে আসে। আসতেই পারে, এত মাতামাতি কেনো রে ভাই, আমরা পারি না ফুটবলের সাফ গেমস এর গন্ডির বাইরেই বেরোতে, জীবন কালেও কি বাংলাদেশ চান্স পাবে? অথচ এই তীব্র মাতামাতি, কখন যেন মাতামাতি হতে মারামারি না আবার হয়ে যায় (গতমাসে এমন একটা খবরও এসেছিল পত্রিকায়, দুই গ্রামের মারামরি আর্জেন্টিনা আর ব্রাজিল সমর্থক দের মাঝে) ) ।
ভাব দেখে তো মনে হয আর্জেন্টিনা আর ব্রাজিল ছাড়া আর কোন দলই নেই।
আমি নিজেও তো আবার ব্রাজিল এর দলে মন দিযেছি সেই ছোট বেলাতেই । সে তো ওদের জাগো বণিতার জন্যই।
আসলে বাংগালী র বিনোদন এর সুযোগ কই, খালি তো আতংক ,
এই সামান্য সুযোগ গুলোকে আর তাই নিন্দার সুত্র করে লাভ নেই।
.........................
এমনেতেই বসবাস আমাদের মৃত্যুপুরীতে, সদা আতঙক মনে। কখন যেন কোন অজানা অদেখা, অশোনা বিপদ এলো বলে, অথবা নিজেই খোদা না করুক বিপদের হয়ে গেলাম হতভাগা অংশীদার..
আমি তো মৃত্যপুরীতে ....মৃত্যু র সাথে লুকোচুরি খেলছি
আমি কবিতা লিখতে না পারছি
না পারছি পেতে ভয়.....শুধু মনে হয় এমন কেনো হয়
এমন কেনো হয়। (পথিক)
৮/৬/২০১০
মুন্সীগঞ্জ, অফিস (সময় ১ঃ৫০)
ভালো লিখছেন। অবশ্য ব্রাজিলের সমর্থক মানেই ভালো
কেনো ব্রাজিল সমর্থক না হলে আমি কি খারাপ হযে যেতাম।
তবে মাইরি...সকল ব্রাজিলর সাপোর্টারই বোদ্ধা
আর আর্জেন্টিনার সাপোর্টার রা কেউ কেউ বোদ্ধা
লেখাটা ভালো হইসে।
আঁতকে ওঠার মতোই অবস্থা চারিদিকে
আমরা আছি বিরাট বিপাকে।
তবে এর একটা সুবিধা আছে
জীবনের মায়া কমে যায়।
যা পাই হাতের কাছে
তাই দিয়ে দিন চলে যায়।
কাব্য করে ফেললুম মনে হচ্ছে।
অদ্ভূত, এত প্রতিভা আগে টের পাই নাই।
প্রতিভা অন্বেষন এর কোন অনুষ্ঠানে লম্ফ দিন
ব্রাজিল গানটা কিন্তু হেভভী লাগে, শুনলেই নাচতে ইচ্ছে করে।
ঠিক
ভাল লাগছে।
মন্তব্য করুন