কামাল ভাইয়ের ইফতার পার্টি এবং আরাফাত শান্তর মন কষ্ট
REOSA এর ইফতার পার্টিতে যোগদান করেছিলাম ২০ জুলাই ২০১৩ তারিখে পাবলিক হেলথ অডিটরিয়ামে। পাবলিক হেলথ অডিটোরিয়াম থেকে উত্তরায় ফেরার পথের ট্রাফিক জ্যামের কথা মনে করে সিদ্ধান্ত নিলাম না আর এতদুরে কোন ইফতার পার্টিতে আসা যাবে না। তারই প্রতিফলন ঘটলো ২৪ তারিখের আই ই বির (IEB) ইফতার পার্টিতে যোগদান না করা। সত্যি কথা হল IEB তে যেতে আসতে যে সময় লাগে সে সময়ে আমি দিনাজপুর চলে যেতে পারি। এ নিয়ে আমার দেশী ও RUET এর বন্ধু প্রিন্সের সাথে কয়েক দিন আগে অনেক হাসা হাসি হল। ওর মেয়ের দল জাতীয় স্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রথম হল অথচ তাকে ইউস করতে যাওয়া হল না। কারন একটাই ওর বাসা আজিমপুর আর আমার উত্তরা। কি আর করা ফোনেই ইউস করলাম। অথচ এমন একটা সময় ছিল RUET ছুটি থাকলে একদিনও আমাদের দেখা হয়নি মনে করতে পারি না। এ ছাড়াও বেশ কয়েকটা ইফতার পার্টিতে যোগদান করা হয়নি শুধু জ্যামের কষ্টের জন্য।
আরাফাত শান্তর মন্তব্য নিস্প্রয়োজন পোস্টটি পড়লাম, লেখায় ও অনেক হতাশা প্রকাশ করল, কারন এত কষ্ট করে ও লেখে মন্তব্য আসে খুব কম। তবে বীরের মত কথা বলেছে কেউ মন্তব্য করুক বা না করুক ও লিখেই যাবে। এটাই হল আসল কথা। শান্ত তোমাকে আমি তুমি করে অনেক আগেই বলেছি, কারন আমার মেয়েও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে, সে হিসেবে তুমি আমার সন্তানের বয়সী। তুমি হতাশ হবার আগে একবার দেখ তোমার লেখাটা পড়েছে কতজন। আমিও তোমার, তোমার কেন প্রায় সবার লেখাই পড়ি।কিন্তু সব লেখায় মন্তব্য করি না। বলতে পার সময়। তা ছাড়া আমার দৃষ্টিতে একটা লেখা পড়ে সঠিক মন্তব্য করাটা একটু কঠিন কাজ নয় কি? লাইক মারা আর ভাল হয়েছে এটা আমার মতে কোন মন্তব্য নয়।
যাক, তুমি আশ্বস্থ করেছে তুমি লেখবে। হ্যাঁ তুমি লেখবে এবং অবশ্যই লেখবে। তুমি না লেখলে আমরা ব্লগের অবস্থান ও সমকালে ঢাকার অলিগলির খবর তা ছাড়া বড় বড় লেখক লেখিকাদের খবর জানবো কেমনে। তুমি না লিখলে তো টোকাই আমার মনে হয় ব্লগে লেখা বা পড়াই ছেড়ে দিবে। সেদিন টোকাই যেভাবে তোমার প্রশংসা করছিল তাতে জীবনে এত অর্জনের পরও তোমার জীবনে ফিরে যেতে মন চাছিল। তাই কোন হতাশা নয়, দিব্যি লিখে যাও।
মন্তব্য নিস্প্রয়োজনের দ্বিতীয় ধাপে, আচ্ছা আগে তোমার লেখা থেকে কোড করছি,
“যাই হোক দুঃখের কথা অনেক লিখছি এবার অফলাইনের আনন্দের কথা বলি।
অফলাইনে এবির লোকজনের আজ দারুন দিন কাটলো। কামাল ভাইয়ের নিমন্ত্রনে আমরা সবাই হাজির হয়ে ছিলাম রমনা চাইনিজে। ছোটোবেলায় জাফর ইকবালের ছবি দেখতাম সেখানে নায়িকাকে নিয়ে সে রমনা চাইনিজে খেতো। আমি আগে কখনো আসি নি। শত সহস্রবার বাসে করে সেই রাস্তা পার হলেও আমার কখনো যাওয়া হয় নি সেখানে। এমন কি চিনিও না এর গেইট কোথায়? ভাগ্যিস তাতাপুর গাড়ী ছিলো নয়তো আমার খুজতে হতো অভাগার মতো। তাতাপু যেই সময়েই আসতে বলছিলো তখনি হাজির হয়ে যাই। এসেই জানতে পারি জেবীন আপুর দেরী হবে। মেজাজটা গেলো খারাপ হয়ে।
“
আমার মেজাজ নয় মনটা খারাপ হয়ে গেল, আহা দাওয়াত পেলে যত কষ্টই হউক এত এত মহারথিকে দেখতে অবশ্যই যেতাম। কিন্তু আমি চাইলেই তো আর হবে না, এ ব্লগে আমার বয়স মাত্র ১৪ সপ্তাহ ৩ দিন কয়েক ঘণ্টা। আমাকে চেনেই বা কজনে। তবে সময় করে একদিন শুদ্ধস্বরেগিয়ে টুটুল ভাই এর সাথে দেখা করে আসব। টুটুল ভাই আমাকে চিনতে পারবে না কারন আমার যে কোন ছবি দেয়া নেই, কিন্তু আমি তো টুটুল ভাইকে ঠিকই চিনতে পারব। জানিনা আল্লাহ্ কবে সে সুযোগ করে দেবেন।
২৬/০৭/২০১৩ খ্রীঃ
আহা ! আফসুসিত হলুম
সহমর্মিতার জন্য আমি আনন্দিত হলাম। আসলে নতুন রাই নতুনদের কষ্ট বুঝে। তয় লেখা খুব কম দেখছি কেন?
আমাদের চৌধুরী সাহেব আর শুদ্ধস্বরের টুটুল ভাই কিন্তু ভিন্ন ব্যক্তিত্ব
আচ্ছা একটা কথা কি চিন্তা করে দেখছেন?
আরাফাত শান্ত'র মনোঃকষ্টের পরোক্ষ কারণটা হয়ত আমরাও।
উনার পোস্ট পড়ে আপনার মনে কিছু কথা এলো, সেটা বলার জন্য আপনি একটা পোস্ট লিখছেন, তার প্রেক্ষিতে আমরা এসে আলাপ করছি।
অথচ আপনি হয়ত উনার পোস্টেই বলতে পারতেন কথাটা বা কথার কিছু অংশ, আলাপটা ওখানে হলে কমেন্ট করতেই হত! আর কমেন্ট করলে উনার মন খারাপ করা কিছু লিখতে হত না!
ভুল বললাম!?
একমত
মন্তব্য করুন