জাতীয় পতাকার অবমাননা
আমি যদি ভুল বলি তাই প্রথমে জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।কারন এটা জাতীয় ইস্যু। গতকাল জাতিয় প্যারেড গ্রাউন্ডে সরাসরি উপস্থিত থাকতে না পারলেও টিভির সামনে দাঁড়িয়ে সমস্ত সহকর্মীদের নিয়ে গলা ছেড়ে গাইলাম প্রানের চেয়ে প্রিয় জাতীয় সঙ্গীত।
ওহুদের যুদ্ধে মুসলিম বাহিনীর পতাকা ছিল হযরত মোসাব বিন ওমায়রের হাতে। যেহেতু পতাকা উনার হাতে ছিল তাই শত্রু বাহিনীর লক্ষ্যও ছিলেন তিনি। শত্রু বাহিনীর তীর ও তরবারির আঘাতে উনার সারা শরীর জর্জরিত। এমতাসস্থায় ইবনে কোমাইয়া নামক এক দুর্ধর্ষ কোরাইশ হয়রত মোসাআব (রাঃ) এর ডান বাহুতে আঘাত করলে তা কেটে যায়। এবার তিনি বাম হস্তে পতাকা ধারণ করেন কিন্তু ইবনে কোমাইয়ার তরবারির আঘাতে তাঁর বাম বাহুও দেহচ্যুত হয়ে পড়ে যায়। সাথে সাথে শত্রু পক্ষের একটি তীর তাঁর বক্ষ ভেদ করে চলে যায়। সে সময় তিনি পতাকাটি কামড় দিয়ে চিত হয়ে থাকেন যাতে পতাকাটি উর্ধাকাশে উড্ডীন থাকে। এ অবস্থায় উনি শহীদের কাতারে সামিল হন। পতাকাটি ভুলুন্ঠিত হবার পূর্বেই হয়রত আলী (রাঃ) এসে স্বহস্তে মুসলিম বাহিনীর পতাকা ধারন করেন।
গতকাল জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার আগে যখন ঘোষণা করা হল, এবার আমরা জাতীয় সঙ্গীত গাইব, তাই জাতীয় পতাকা নীচে রাখুন, কেউ নড়াচড়া করবেন না। আমার মনে খটকা লেগেছিল। আজ দেখলাম কিভাবে জাতীয় পতাকাকে পদ দলিত করা হয়েছে।
আমরা কি পারতাম না আমাদের গর্বের জাতীয় পতাকাকে উর্ধমুখী রেখে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে। যে জাতীয় পতাকা লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে, লাখ মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত তাকে ভূলুণ্ঠিত করার আগে আমরা কি একবার ভেবে দেখব না আমরা মানুষকে দেখানোর জন্য নিজের সাথে, জাতীর সাথে কত বড় বেইমানী করছি।
মার্চ,২৭,২০১৪ খ্রীঃ
সিরাজগঞ্জ।
মন্তব্য করুন