ইউজার লগইন

হালচাল ২

জাপান সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা কোনো একটি পত্রিকায় মন্তব্য কলাম লিখেছেন- সেখানে তিনি বলেছেন জাতি-বর্ণ বিভাজন করে বিদেশী শ্রমিকদের অভিবাসন এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বন্টন করা উচিৎ। বিদেশী ভিন্ন সংস্কৃতির মানুষেরা জাপানের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বুঝবে না- জাপানী নাগরিকেরাও বিদেশী সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত হতে পারবে না- তাই এই দুই সংস্কৃতির মানুষের ভেতরে স্পষ্ট ব্যবধান থাকা উচিৎ। প্রধানমন্ত্রীর প্রিয়ভাজন উপদেষ্টা হলেও- আনুষ্ঠানিক ভাবে এমন বর্ণবাদী বক্তব্য কিংবা সরকারী সিদ্ধান্ত ঘোষণা আধুনিক যেকোনো রাষ্ট্রের জন্যেই অসস্তিকর। আমরা " বর্ণবাদ, শ্রেণী সংস্কৃতি ভাষাভিত্তিক" বৈষম্য নির্মূলে আগ্রহী যদিও প্রতিটি উন্নত রাষ্ট্র পরিস্থিতি বিবেচনা করে কিছুটা সংরক্ষণশীল অবস্থান গ্রহন করছে এবং ধর্মীয় সন্ত্রাসের প্রকোপ বৃদ্ধির সাথে সাথে এমন সংরক্ষণশীল অভিবাসন নীতি গ্রহনের প্রবনতা বাড়ছে।

জাপানে দীর্ঘদিন বসবাসকারী যারা এমন একটি ঘোষণায় বিস্মিত হয়েছে তাদের বিস্ময় দেখে আমি বিস্মিত। জাপান বদ্ধ সংস্কৃতির দেশ, কিংবা নিজেদের ঐতিহ্যের প্রতি এদের এক ধরণের অকারণ মোহ- স্নেহ এবং সংরক্ষণশীল মনোভাব আছে, এরা নতুন যেকোনো সংস্কৃতি সংশয় সন্দেহে দেখে- যাচাই করে- ক্ষেত্র বিশেষে মেনে নেয় কিন্তু গ্রহন করে না। তাদের বেড়ে ওঠার ধরণের ভেতরে এক ধরণের নিয়মতান্ত্রিকতা আছে, নিয়মানুবর্তীতা- নম্রতা এবং মানসিক বিযুক্তি এদের সংস্কৃতির দৃশ্যমান বৈশিষ্ঠ্য। গত ১৪০ বছরের প্রচেষ্টার পরও এরা ভাষা থেকে শ্রেণীবৈষম্য মুছে ফেলতে পারে নি, এদের পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা লুকাতে শিখে নি, তবে স্পষ্ট বৈরীতার প্রকাশে এরা কিছুটা লজ্জিত হয়। এই শালীনতাবোধটুকু না থাকলে এরা হয়তো ভিন্ন সংস্কৃতির মানুষদের মুখের উপরেই অসহনশীল মন্তব্য করে ফেলতো।

বিদেশী ভাষাগত শব্দ লেখার জন্যে এরা ভিন্ন একটি লিপি ব্যবহার করে এবং এই দেশে সকল বিদেশী নাম এবং শব্দ সে লিপিতেই লিখতে হয়- ভাষা শিক্ষা ক্লাশে গিয়ে এই তথ্য জেনে অবাক হয়েছি । উচ্চারণ ভিন্ন হলেও এদের ঐতিহ্যবাহী চিত্রলিপি সংস্কৃত চীনা লিপি। তাদের অধিকাংশ কৃষ্টির উৎস চীন কিন্তু তারা ভিন্ন সংস্কৃতির প্রতি বৈরী। বিষয়টা হাস্যকর হলেও নিজের সংস্কৃতির প্রতি পবিত্রতা আরোপ এবং ভিন্ন সংস্কৃতিকে বিচ্ছিন্ন রাখার সচেতন প্রয়াসের স্পষ্ট প্রকাশ শিক্ষা উপদেষ্টার মন্তব্য।

আমি ভাষা শিক্ষা ক্লাশের শিক্ষককে জিজ্ঞাসা করলাম একই ধরণের উচ্চারণ হলেও শুধুমাত্র বিদেশী শব্দের জন্যে ভিন্ন একটা লিপি ব্যবহার করাটা আমার কাছে আশ্চর্যজনক মনে হয়, তুমি একটা বই খুলে এক নজর দেখেই বলে দিতে পারবে এখানে কোন শব্দগুলো বিদেশী- সেটা সাংস্কৃতিক উদারতার নিদর্শন না মোটেও। আমাদের ভাষায় ৪০ ভাগের মতো বিদেশী শব্দ কিন্তু আমরা আমাদের নিজস্ব বর্ণ ব্যবহার করে সেসব শব্দ লিখি। আমি যে কয়টি ভাষা দেখিছি- তারা কেউই ভিন্ন দেশের শব্দের জন্যে একটা নির্দিষ্ট লিপি নির্দিষ্ট করে রাখে নি, নিজেদের বর্ণমালায় সেসব লিখেছে - তোমাদের এই বিচ্ছিন্নতার রীতিটা তোমার কাছে অবাক লাগে না?

এটা আমাদের সংস্কৃতি, আমরা এভাবেই বেড়ে উঠেছি। এবং যেহেতু আশৈশব এই রীতিতেই অভ্যস্ত তাই এই বিচ্ছিন্নতা তাদের ভাবায় না। এটাই সহজ-স্বাভাবিক। সহকর্মীদের একই প্রশ্ন করলাম- তারাও বললো এটাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই- বিদেশী শব্দের জন্যে একটা নির্দিষ্ট লিপি আছে সেটা নিয়ে তারা কখনও ভাবেও নি। সাম্প্রতিক সময়ে এক বৃদ্ধ ভদ্রমহিলা আমাকে ভাষা শেখানোর চেষ্টা করছে- তাকেও সুযোগ পেয়ে প্রশ্ন করলাম- বিদেশী ভাষার জন্যে লিপি বৈষম্য নির্দিষ্ট করে দেওয়াটা আমাকে আশ্চর্য করছে এখানে আসার পর থেকে- এমনিতেই আমার যে বয়েস- সে বয়েসে নতুন একটা ভাষার চিহ্ন মনে রাখা এবং চর্চা করা দুরহ- এটার সাথে তিনটা ভিন্ন লিপি চর্চা করে যদি ভাষা শিখতে হয় সেটা আমার জন্যে নিতান্তই অসম্ভব- আমি ভাষাগত যোগাযোগের জন্যে বাক্য গঠন শিখতে আগ্রহী, দৈনন্দিন জীবনে ভাত- তরকারী কিনে- অফিসে গিয়ে কোনো মতে নিজের প্রয়োজনটা বুঝিয়ে ফেলার মতো যোগাযোগের দক্ষতা - আমি কোনো দরখাস্ত লিখতে কিংবা কোনো নোট লিখতে চাই না।

খুব মনোযোগ দিয়ে আমার কথা শুনে ভদ্রমহিলা বললেন- বিদেশী ভাষার জন্যে আলাদা লিপি ব্যবহার করার বিষয়টা আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ- এটা কেনো এ রকম আমি কখনও এভাবে ভাবি নি। আর তোমাকে এখানে থাকতে হলে তিনটা লিপি পড়তে জানতে হবে- তুমি না জানলে চলাফেরা করতে পারবে না এখানে। তোমার জীবনের জন্যে এটা প্রয়োজন। আচ্ছা তুমি আমাকে বলো তুমি কিভাবে বাজার করো?

বললাম দোকান ঘুরে ঘুরে প্যাকেটের চেহারা দেখি- পরিচিত মনে হলে কিনে ফেলি, একটাই সমস্যা চিনি আর লবন আলাদা করা, দুটোই মিহিদানার- দুটোই সাদা- সেসব ব্যাগে নিয়ে কাউন্টারে যাই, স্ক্রীনে লেখা উঠে- দাম দিয়ে চলে আসি। কথা বার্তা বলার প্রয়োজন পরে না।

কথা বলার প্রয়োজন না পরলেও যেহেতু দুই সন্তানকে নিয়ে নতুন একটা সংস্কৃতির ভেতরে খাবি খাচ্ছি- মেয়ের ডে কেয়ারের ফোনালাপের অনুবাদ করে ল্যাবমেট- আর কিছুটা বিলম্বে হলেও প্রফেসর এসে ফোনালাপের বিস্তারিত জানিয়ে যায়। দাপ্তরিক কাজের জন্যে কাউকে না কাউকে ডেকে আনতে হয়- তারা জাপানী ভাষা পড়ে কিছুটা অনুবাদ করে- সুতরাং মোটামুটি আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের মতো স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে পরিচালিত অনুবাদ শাখার সহযোগিতায় টিকে আছি। ছেলের নিজস্ব মাণ-মর্যাদা আছে- সাহসের কমতি নেই, তার ১০ বাক্যের জাপানী যোগাযোগ দক্ষতা নিয়ে সে নির্দ্বিধায় রাস্তার মানুষকে ডেকে ওহাইও গোজাইমাস, কন্নিচিউয়া, আরিগাতো গোজাইমাশিতা বলছে , মেয়ে ডে কেয়ারে শিখে এসেছে খাওয়ার আগে বলতে হবে ওকাডাকিমাস আর খাওয়ার শেষে বলতে হবে ওশোসামাদেশতা। নিয়মিত শুনতে শুনতে একটা গানও মুখস্ত করেছে যদিও সেই গানের অর্ধেকের বেশী শব্দ বাংলা ইংরেজী এবং আমার ধারণা গানটার মূল জাপানী শব্দগুলো এমন না-

হ্যাক্কুহা হ্যাক্কুহা ইন এ প্যান দুই
হ্যাক্কুহা হ্যাক্কুহা ইন এ প্যান দুই
নাক্কে ন্যাটা নাককে ন্যাটা নাক্কে ন্যাটা না

এই গানের সাথে একটা নাচ আছে- ইন এ পান দুই আসলে সেই নাচের ভঙ্গির আক্ষরিক অনুবাদ, এই সময়ে মাথার উপরে দুই হাতে দিয়ে দুটো আঙ্গুল দেখাতে হয়। নাক্কে ন্যাটাও আসলে নাচের ভঙ্গির অনুবাদ- সে সময়ে নাকের উপরে হাত দিয়ে আবার হাত সরাতে হয়। স্কুল থেকে বের হওয়ার আগে মিসকে আরিগাতোগোজাইমাস বলে আসতে শিখেছে এই দক্ষতায় আমি মুগ্ধ।

ছেলে মেয়ে আসার আগে ইউনিভার্সিটি কোয়ার্টারে থাকতাম- সেখানে বাচ্চা রাখার নিয়ম নেই। তাই বাসা বদল করতে বাধ্য হলাম। ইউনিভার্সিটি ডর্মের জীবনে কিছুটা আধুনিকতা ছিলো, আনুসাঙ্গিক হিসেবে ফ্রিজ আর ল্যান্ড ফোন পেয়েছিলাম। প্রতি ফ্লোরে তিনটা ড্রাইয়ার তিনটা পোশাক পরিস্কারের যন্ত্র ছিলো, তবে নতুন বাসায় আসার পর ইন্টারনেটটূকুই আধুনিকতার সাথে সংশ্রব বজায় রেখেছে। ঘরে ফ্রীজ নেই, ফোন নেই, ওয়াশিং ম্যাশিন নেই। গ্রামের মানুষের মতো প্রতিদিন বাজার করি- রান্ধি-বারি-খাই।

ভেবেছিলাম এসে অবসরে না লেখা গল্প উপন্যাসগুলো নামিয়ে ফেলবো মাথা থেকে। দীর্ঘ ৮ বছর বিরতির পর পুরোনো লেখা শুরু করা খুব সহজ না। গত ৬ বছরে চরিত্রগুলোর সাথে যোগাযোগ নেই, তারা ধীরে ধীরে বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে গিয়েছে। গত ৮ বছরে আমার নিজেরও শাররীক-মানসিক পরিবর্তন হয়েছে, দেখতে দেখতে বিবাহিত জীবনের এক দশকও শেষ হয়ে গেলো। পরিবার জীবন, নিজস্ব জীবনের উত্থান-পতন-পরিবর্তনের ধাক্কাগুলো অভিজ্ঞতাকে যেভাবে বদলে দিয়েছে, ৮ বছর আগের চরিত্র নির্মাণের সময় সেসব ভাবনা ছিলো না। সুতরাং কার্যত পুরোনো লেখার ধারাবাহিকতা রেখে নতুন লেখা সম্ভব হবে না। পুরোনো বাসার বিস্তৃতি বাড়ানোর সময় অনেকে কলাম টেনে কলাম মিলিয়ে নতুন ঘর তৈরী করে কিন্তু পুরোনো আর নতুনের সংযোগস্থলে কিছু ফাটা দাগ থেকে যায়- না লেখা উপন্যাসগুলোর ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটবে। শব্দ চয়ন- বাক্য গঠন এবং সংলাপে সেই নতুন- পুরোনোর দ্বন্দ্ব এড়ানো যাবে না।

যদি রোবোটের মতো কাজ করে যাই আগামী ৪ মাস পরিশ্রম করলে গবেষণার অর্ধেকের বেশী শেষ করে ফেলা যাবে- একেবারে অভিনব কিছু করা সম্ভব হবে না, যে ভাবনা নিয়ে এসেছিলাম সে ভাবনাগুলো কাজে পরিণত করা সম্ভব হবে না, কিন্তু যে দায়িত্ব নিয়েছি সেটা সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। আগ্রহের কাজ, প্রয়োজনের কাজ আর দায়িত্বের ভেতরে মিলমিশ হচ্ছে না। তবে কোনো মতে ঘাড়ের উপর থেকে বোঝা নামিয়ে ফেলতে পারলে আগ্রহের কাজের জন্যে পর্যাপ্ত অবসর পাওয়া যাবে।

বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করার সময় রেকমেন্ডেশন লেটারের জন্যে বিভিন্ন অধ্যাপকের দরজায় দাঁড়িয়ে থাকত হয়েছে, অনেকেই রেকমেন্ডেশন লিখতে চায় নি, ক্লাশে উপস্থিতি কিংবা ফলাফলে এমন বাড়তি কিছু ছিলো না যা দেখে কোনো অধ্যাপকের মনে হয় এই ছেলেটা উচ্চতর গবেষণা না করলে জ্ঞান-বিজ্ঞানের জগতে খুব বেশী ক্ষতি হয়ে যাবে। বাড়তি কিছু লেখার না পেয়ে একজন অধ্যাপক লিখেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার তীব্র প্রতিযোগিতা শেষে যারা ভর্তি হতে পারে তাদের যোগ্যতা আছে, এখানে ৫০ জনে একজন ভর্তি হতে পারে।

সেদিন প্রফেসরের সাথে কথা হচ্ছিলো- জানতে চাইলো তোমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সেপ্টেন্স রেশিও কি রকম, বললাম আমাদের সময়ে ৬০ হাজার পরীক্ষা দিলে ১৩০০ ভর্তি হতে পারতো-এখন প্রতিযোগিতা আরও বেড়েছে এখন ১০০ হাজার পরীক্ষা দেয় ভর্তি হয় ১২০০ জন। তোমাদের এখানে পরিস্থিতি কি রকম?
খুব ভালো বিশ্ববিদ্যালয় হলে ৪ জনে একজন নইলে মোটামুটি প্রতি দুইজনে একজন সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে। জনসংখ্যা কমছে- ছেলে মেয়ের সংখ্যাও কমছে।
বললাম যেদিকে পরিস্থিতি যাচ্ছে তাতে ১০ বছর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন পুরণের জন্যে তোমাদের বাইরে থেকে লোকজন নিয়ে আসতে হবে। মাঝের সময়টাতে যেই আবেদন করবে তাকেই তোমাদের ভর্তি করতে হবে- যোগ্য দক্ষ শিক্ষার্থী বাছাই করে নেওয়ার সুযোগ তোমাদের এখন নেই।

সন্তান জন্মদানের পারস্পরিক প্রতিযোগিতায় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট দেশগুলো যেমন কচি-কাঁচার আসর- উন্নত বিশ্বের দেশগুলো দাম্পতির সন্তানবিমুখতায় অনেকটাই বৃদ্ধাশ্রমে পরিণত হচ্ছে। উন্নত বিশ্বে দপ্তর আর কল-কারখানা চালানোর মতো মানুষ পাওয়া যাচ্ছে না। তারা যান্ত্রিক দক্ষতা বাড়িয়ে- অটোমেশন প্রক্রিয়ায় বাড়তি শ্রমিকের চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করলেও অবশেষে উপলব্ধি করতে পেরেছে যন্ত্র দিয়ে সব কিছু করা সম্ভব না। সস্তা দক্ষ শ্রমিকের সন্ধান করছে তারা। আমাদের মতো জনবহুল দেশগুলো নিজেদের শিক্ষা বিনিয়োগ বাড়ালে এবং শিক্ষার সার্বিক মাণ বাড়াতে পারলেই দক্ষ শ্রমিক সরবরাহকারী দেশে পরিণত হতে পারে কিন্তু সরকার এমন দক্ষ গ্রাজুয়েট রপ্তানী করতে চায় না। তারা শিক্ষার সার্বিক মাণ নীচে নামাচ্ছে আর মধ্যপ্রাচ্যে সস্তায় গেরোস্তালী শ্রমিক সরবরাহের চুক্তি করছে। শ্রীলংকা, নেপাল গেরোস্থালী শ্রমিক নির্যাতনের প্রতিবাদে মধ্যপ্রাচ্যে শ্রমিক সরবরাহ কমিয়ে দিলেও বাংলাদেশ এখনও তেমন নাগরিকবান্ধব সিদ্ধান্ত নেওয়ার সাহস পায় নি, ভারত পাকিস্তান ন্যুনতম বেতন কাঠামো ৪০০ থেকে ৫০০ ডলারে স্থির রাখয়ার পর প্রতিযোগিতামূলক বাজারে নেমে বাংলাদেশে ভারত পাকিস্তানের অর্ধেক দামে শ্রমিক পাঠাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে। সেটা সরকারের কুটন্নৈতিক সাফল্য হিসেবে প্রচার করাটা খুব বেশী গৌরবজনক কিছু না।

পোস্টটি ১৭ জন ব্লগার পছন্দ করেছেন

আরাফাত শান্ত's picture


হালচাল খুব ভালো হচ্ছে!

বিষাক্ত মানুষ's picture


জাপানী মানুষজন-সংস্কৃতি কেমন সেইটার ধারনা হইছে আসলে জাপানী সিনেমা দেখে দেখে। জাপানী কারও সাথে কখনো ঘনিষ্ট ভাবে মেশা হয় নাই তাই এদের মানসিকতা সম্পর্কে ধারনা আসলেই কম।

আপনে লেখা চালাইয়া যান। ঋক আর ঋতের জন্য আদর।

টোকাই's picture


খুব ভাল লেখা Smile

তানবীরা's picture


পড়ছি

সারাহ্‌'s picture


রিকমেন্ডেশান লেটারের অংশটুকু পড়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথা মনে পড়ে গেলো। আমিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স এবং মাস্টার্স করা।

টুটুল's picture


"পুরোনো বাসার বিস্তৃতি বাড়ানোর সময় অনেকে কলাম টেনে কলাম মিলিয়ে নতুন ঘর তৈরী করে কিন্তু পুরোনো আর নতুনের সংযোগস্থলে কিছু ফাটা দাগ থেকে যায়"

একদমই

বিষণ্ণ বাউন্ডুলে's picture


নতুন নতুন সব জিনিস জানতে ভাল লাগতাছে। হালচাল চলতে থাকুক। ভালো থাকেন।

মন্তব্য করুন

(আপনার প্রদান কৃত তথ্য কখনোই প্রকাশ করা হবেনা অথবা অন্য কোন মাধ্যমে শেয়ার করা হবেনা।)
ইমোটিকন
:):D:bigsmile:;):p:O:|:(:~:((8):steve:J):glasses::party::love:
  • Web page addresses and e-mail addresses turn into links automatically.
  • Allowed HTML tags: <a> <em> <strong> <cite> <code> <ul> <ol> <li> <dl> <dt> <dd> <img> <b> <u> <i> <br /> <p> <blockquote>
  • Lines and paragraphs break automatically.
  • Textual smileys will be replaced with graphical ones.

পোস্ট সাজাতে বাড়তি সুবিধাদি - ফর্মেটিং অপশন।

CAPTCHA
This question is for testing whether you are a human visitor and to prevent automated spam submissions.