রেশমি চুড়ি
পতিতালয়ে বেড়ে ওঠা ইয়াসমিন কাল ১৩বছরে পা দেবে।সে এখনো বুঝতে পারে নি খুব শীগ্রই তাকে পৃথিবীর নিকৃষ্টতম কাজের সাথে জড়িয়ে পরতে হবে।হয়তো সে বোঝে,না বোঝার ভান করে যতদিন পর্যন্ত পারা যায়।
খুব সকালেই তার মায়ের কাছে আবদার একগোছা রেশমী কাচের চুড়ি কাল তার জন্মদিনে যেনো কিনে দেয়।মা তার অসুস্থ,দেহ বিক্রির খেলায় ইতি টানতে সে চায়।পারে না।হয়তো কাজের প্রতি অসম্ভব ভক্তি আর স্রদ্ধাবোধ থেকেই। অসুস্থ শরীর নিয়ে সে বের হয় খদ্দেরের আশায়,রাজার পথে সে একলা পথিক।মাঝ রাস্তায় দাড়িয়ে ভদ্র মানুষের অপেক্ষায়।কোনো একসময় হয়তো রাস্তায় একটা গাড়ি থেমে যায়,খুলে যায় তার দরজা।সেই মা তাতে চেপে বসে আর কিছু সময় পরই হয়তো স্তন যুগলে অনুভব করে ভদ্র হাতের ছোয়া।কোনো এক অজানা টানে অথবা নাড়ির টানেই হয়তো ১২ বছর ১১মাস ৩৬৪দিনের সেই মেয়ে অনুভব করে খাদ্যনালীতে তার টান পরেছে।রেষমী চুড়ি পেয়ে হয়তো তার সেই কথা মনে থাকে না।
তবে ততক্ষনে যে হিসেব নিকেসের খাতায় হিসেবটা উঠে যায় "মায়ের স্তন যুগল সমানুপাতিক মেয়ের রেশমী চুড়ি"...
লেখার চেষ্টাটা ভাল লেগেছে
ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।
চলুক, চালিয়ে যান...
অবশ্যই।
মন্তব্য করুন