ইউজার লগইন

একরামুল হক শামীম'এর ব্লগ

সাঈদীর মামলার রায় ও বীরঙ্গনাদের প্রতি ইতিহাসের দায়

ব্লগারদের অনেকেই হয়তো ২০০৯ সালে ব্লগে প্রকাশিত 'একাত্তরে নারীর বিরুদ্ধে অপরাধ' শীর্ষক আমার লেখাটি পড়েছেন। সেই সময় থেকেই আমি একাত্তরের কিছুটা অনালোচিত এই অধ্যায়টি নিয়ে গবেষণা করে যাচ্ছি। এ সম্পর্কিত কোন বই, জার্নাল, গবেষণাপত্র, নিবন্ধ যখনই কোথাও পেয়েছি তা সংগ্রহ করার চেষ্টা করেছি। সাঈদীর মামলার বিচার প্রক্রিয়ার দিকে বেশ কয়েকটি কারণে আমার আলাদা মনোযোগ ছিল। সাঈদীর মামলা এমন একটি মামলা, যেখানে ধর্ষণের অভিযোগ ছিল, ধর্ষণের জন্য অপহরণ করে আটক রাখার অভিযোগ ছিল, জোরপূর্বক গর্ভধারণে (forced pregnancy) বাধ্য করার অভিযোগ ছিল, এমনকি জেনোসাইডাল রেপ অর্থাৎ গণহত্যাসম্পর্কিত ধর্ষণের অভিযোগও ছিল। এই অভিযোগগুলোতে সাঈদীর কী দণ্ড হয় তাই দেখার অপেক্ষায় ছিলাম। ২৮ ফেব্রুয়ারির ১২০ পৃষ্ঠার রায়ে ৮ ও ১০ নম্বর অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ ফাঁসির মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ প্রদান করেছে। দুইটি অভিযোগই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কিত। ৮ নম্বর অভিযোগে ইব্রাহিম কুট্টিকে হত্যার অভিযোগ আনা হয় সাঈদীর বিরুদ্ধে। ১০ নম্বর অভিযোগে বিসাবালি হত্যার অভিযোগ আনা হয় সাঈদীর বিরুদ্ধে। দুটি অভিযোগেই রাষ্ট্রপক্ষ প্রত্যক্ষ স্

যুদ্ধকালীন অপরাধে সংগঠনের বিচার যেভাবে সম্ভব

গত রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) (সংশোধন) বিল-২০১৩ পাস হয়েছে। সোমবার এই বিলে রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করেছেন। এর কার্যকারিতা ২০০৯ সালের ১৪ জুলাই থেকে প্রযোজ্য হবে। শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরের আন্দোলনকারীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেয় সরকার। মূলত সরকার ও বাদীপক্ষের আপিলের সমান সুযোগ রাখার জন্যই আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। যুদ্ধকালীন অপরাধের (যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ, শান্তিবিরোধী অপরাধ, গণহত্যা ইত্যাদি) মামলায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ কতদিনের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তি করবেন তাও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। সংশোধিত আইনে উল্লেখ করা হয়েছে, আপিল দায়েরের ৪৫ দিনের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তি করতে হবে। প্রয়োজনে আরও ১৫ দিন সময় বেশি নেওয়া যাবে। তবে অবশ্যই ৬০ দিনের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তি করতে হবে। সংশোধিত ট্রাইব্যুনাল আইনের যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছে তা হলো, যুদ্ধকালীন অপরাধের দায়ে সংগঠনগুলোর বিচার। এখানে উল্লেখ্য, সংগঠনগুলোর বিচার কেবল মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্যই হবে না। চিহ্নিত রাজনৈতিক ও সামরিক সংগঠনগুলো আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্

জলছবি (প্রথম পর্ব)

প্রচন্ড বিরক্তি নিয়ে ডেস্কের সামনে বসে আছে শায়লা। একটু আগে কম্পিউটারে রিজাইন লেটার লেখা শেষ করেছে। এখন বানান ভুলগুলো দেখছে। প্রিন্ট দিয়েই এমডির রুমে জমা দিয়ে আসবে। শায়লা মনে মনে অবশ্য একবার ভাবলো কিছু বানান ভুল রেখে দিতে। তাতে এমডিকে কিছুটা বিরক্ত করা যাবে। সাধারণ শব্দের ভুল বানান দেখলে এমডি খুব বিরক্ত হয়। তবে রাগের মাথায় চাকরি ছেড়ে দেওয়া উচিত হচ্ছে কি না বুঝতে পারছে না শায়লা। সে কাজ করে একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানীতে। রাজধানীর অদূরে পানির ওপর ওদের রিয়েল এস্টেট কোম্পানীটির বেশ কিছু প্রজেক্ট রয়েছে। কোম্পানীর এমডির পিএস হিসেবে কাজ করছে সে।এমডি বিবাহিত, আট নয় বছরের কন্যাসন্তানও রয়েছে। এজন্যই কিছুটা ভরসা করে চাকরিতে ঢুকেছিল। চাকরির প্রথম দুয়েক মাস খুব ভালো চলে। অফিসের সবাই মোটামুটি তাকে সহযোগিতা করে। হয়তো কোম্পানীর সর্বোচ্চ কর্মকর্তার পিএস বলেই কেউ কেউ বাড়তি সমীহও করে।সমস্যার শুরু হয় চাকরিতে জয়