শাফায়েত'এর ব্লগ
বিচ্ছিন্ন শতদল, বিক্ষিপ্ত জলরাশি
ক্রিং ক্রিং
-ইপি আপু?
কই তুমি?
-গ্যারেজে। গানজা খাই।
ওয়াক! সারাদিন যখনই ফোন করি তখনই কেন তুমি গ্যারেজে গানজা খাও?
-কারণ আপনি ফোন করে এটা শুনলে একটু ধমকান তাই।
কেন? ধমকানোর লোক কই গেছে?
-ওর কি আর ধমকানোর টাইম আছে? উন্নতির ট্রেন ছুটে যাবে তো।
তো তোমার কি উন্নতি করতে ইচ্ছা করে না?
-করে। সেই জন্যই তো ক্ষুধার্ত আর বোকা থাকি।
কিন্তু সেইটা তো শুধু এক্সট্রা অর্ডিনারী মেরিটওলা'দের জন্য। তোর মতো বলদ কি খালি কি ক্ষুধার্ত আর বোকা থাকলে চলে?
-কিন্তু আমার ইনটিউশন যে আমাকে সেরকমই থাকতে বলে।
ইনটিউশন না রে গাধা। অলস মন। ও সবসময়ই মানুষকে আলসেমী করার বুদ্ধি দেয়। ওর কথা শুনলে জীবনে উন্নতি করতে পারবি না।
-আচ্ছা না পারলে অসুবিধা নাই। আপনের কি অবস্থা? এত সকালে ফোন দিলেন যে?
এমনি ফোন করলাম। তোকে ফোন করতে আবার কারণ লাগবে নাকি রে পাগলা?
-তা অবশ্য লাগবে না। চলেন আজকের কড়কড়ে রোদে সারাদিন বেড়াই।
কিম কি-দুকের সিনেমা এবং আমার সাময়িক মনোবৈকল্য
সেদিন বন্ধুমহলে কিম কি-দুকের সিনেমা নিয়ে আলাপ হচ্ছিলো। চুপচাপ বসে ছিলাম। দেখি নাই একটাও সিনেমা কি-দুকের। আলাপে আর কিভাবে অংশ নিই।
পর পর ৪টা দেখা হলো বেশ ঘটা করেই। শুরুও আবার স্প্রিং, সামার, ফল, উইন্টার... অ্যান্ড স্প্রিং দিয়ে। দেখার সময় বারবার মনে হচ্ছিলো এত সাইকেডেলিক সিনেমা আমার মতো দুর্বল চিত্তের লোকের জন্য না। ভয় পাচ্ছিলাম সিনেমাটা শেষ করে নিশ্চিত একটা ২-৩ দিনের সাইকোলজিক্যাল লুপে পড়ে যাবো।
ওই সুন্দর কোরিয়ান কিশোরীকে যখন তার মা বৌদ্ধ মন্দিরে নিয়ে যায় এবং মেয়েটির রোগমুক্তির প্রাথর্না করে, তখনই আমার কেন যেন মনে হচ্ছিলো শিক্ষানবিশ ভিক্ষুর বডি ফ্লুইডই হতে পারে মেয়েটির যথাযথ ঔষধ। যখন সেটাই দেখানো হলো, তখন চমকে উঠেছিলাম বেশ।
বাবা
আমি অনেক আগে শিশুতোষ কবিতা লিখতাম এবং সেই লেখাগুলো আমার কাছে বেশ যত্ন সহই সংরক্ষিত আছে। মাঝে মাঝে লেখাগুলো পড়ি এবং নিজের মনে হাসি। তবে হাসাটা মনে হয় ঠিক হচ্ছে না। কারণ একসময় আর কিছু না হলেও এসব লেখার 'চেষ্টা' করতাম। এখন তো তাও করি না। সুতরাং হাসলে হাসা উচিত আমার এখনকার অবস্থা দেখে। যাই হোক একবার বাবাকে নিয়ে লিখেছিলাম। কবিতাটা এখানে তুলে দিচ্ছি। আমার বাবা বেঁচে আছেন। যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। সময় সময় আমার আসলেই তার কথা ভীষণ মনে পড়ে। এটা নিতান্তই ছোট একটা ছেলের শিশুমনের আবেগ। কিন্তু ওই যে বললাম না, এখন তো আর লিখি না। লিখলে হয়তো এই কবিতাটা দেয়া লাগতো না। আরো ভালো কিছু দিতে পারতাম।
------------------------------
মনের স্মৃতির জানালা খুলে
তোমায় মনে পড়ে,
কোথায় তুমি লুকিয়ে আছো
আমায় একা ফেলে।
তোমার মতো প্রতিদিন কেউ
করে না আমায় শাসন,
মনে পড়ে তোমার বকানি-
তোমারই কথা ভীষণ।
আমার প্রথম পোস্ট
এবি'তে এটা আমার প্রথম পোস্ট। যেকোন ধরনের ব্লগেই এটা আমার প্রথম লেখা। অনেক আগে কবিতা লিখতাম। সেসব নিতান্তই শিশুতোষ কবিতা ছিলো। সেই খাতাটা আমার কাছে আছে। ইচ্ছা ছিলো সেই কবিতাগুলো এবি'র পাতায় লিখে রাখার। কিন্তু প্রথম পাতার মৃত্যূ এবং তারপর... পোস্টটা পড়ে আজ অনেকদিন পর একটা কবিতা'ই লিখতে ইচ্ছা হলো। আমি মৃত্যূ নিয়ে খুব বেশি ভাবাভাবি করি না। এটা নিয়ে ভেবে অভ্যস্তও নই। তবু ভাবতে বসে খুব অবাক হয়ে খেয়াল করলাম, কিভাবে মারা যেতে চাই সেটা আমি মনে মনে ঠিক করে রেখেছি।
---------------------------------------------------------
মৃত্যূ নিয়ে ভাবতে ভালো লাগে না।
হয়তো আরো অনেক দিন বাঁচার ইচ্ছা আছে আমার।
সবশেষে স্বাভাবিক মৃত্যূ বরণের সুযোগ
পেলেই আমি নিজেকে ধন্য ভাববো।
চাকার তলে পিষ্ট মাথা
উত্তপ্ত পিচের উপর ইতস্তত লেপ্টে থাকা মগজ