কিম কি-দুকের সিনেমা এবং আমার সাময়িক মনোবৈকল্য
সেদিন বন্ধুমহলে কিম কি-দুকের সিনেমা নিয়ে আলাপ হচ্ছিলো। চুপচাপ বসে ছিলাম। দেখি নাই একটাও সিনেমা কি-দুকের। আলাপে আর কিভাবে অংশ নিই।
পর পর ৪টা দেখা হলো বেশ ঘটা করেই। শুরুও আবার স্প্রিং, সামার, ফল, উইন্টার... অ্যান্ড স্প্রিং দিয়ে। দেখার সময় বারবার মনে হচ্ছিলো এত সাইকেডেলিক সিনেমা আমার মতো দুর্বল চিত্তের লোকের জন্য না। ভয় পাচ্ছিলাম সিনেমাটা শেষ করে নিশ্চিত একটা ২-৩ দিনের সাইকোলজিক্যাল লুপে পড়ে যাবো।
ওই সুন্দর কোরিয়ান কিশোরীকে যখন তার মা বৌদ্ধ মন্দিরে নিয়ে যায় এবং মেয়েটির রোগমুক্তির প্রাথর্না করে, তখনই আমার কেন যেন মনে হচ্ছিলো শিক্ষানবিশ ভিক্ষুর বডি ফ্লুইডই হতে পারে মেয়েটির যথাযথ ঔষধ। যখন সেটাই দেখানো হলো, তখন চমকে উঠেছিলাম বেশ।
মুভিটা দেখতে দেখতে ভাবছিলাম, এটা শেষ করার পর কিছুদিন খুব অস্থির সময় কাটবে। তবে জীবনের পড়ন্ত বেলায় যে মানুষের মধ্যে অস্থিরতা কমে আসে, সে উপলব্ধিটা অর্জন করে একটু ভয় কেটেছে আমার। যে কারণে সিনেমা শেষের পর অস্থিরতা ভর করে নি মাথায়। কিন্তু সিনেমাটা রেশ রেখে গেছে বেশ ভালোভাবেই।
একই রকম গাঢ় একটা দাগ মনে কেটে রেখেছে দি আইল। সিনেমার ওই মাঝিটার মতো একটা জীবনের লোভও ইদানীং পেয়ে বসেছে বেশ। টাঙ্গুয়ার হাওড়ের কোনো গহীন এলাকায় কিছু রঙ-বেরঙের কুঁড়েঘর থাকলো। সেই সঙ্গে থাকলো একটা ইঞ্জিন চালিত নৌকা। কুঁড়েঘরে ফূর্তি করতে আসা লোকদের পার করে করে, পার হলো নাহয় একটা অপ্রয়োজনীয় বাড়তি মহাজাগতিক জীবন।
অসুবিধা নাই আমার কোনো। এমনকি বোবা হি-জিনের মতো করে কাউকে ভালবেসে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কষ্টটা সহ্য করে নিতেও খারাপ লাগতো না আমার। হি-জিন যাকে ভালোবাসতো, সেই ছেলেটি এক সকালে ওকে না জানিয়ে পালিয়ে যাবার সময় সে নিজের যৌনাঙ্গে বর্শির ফলা বিঁধিয়ে দেয়। সেই ভুবনচেড়া চিৎকার আজ পাঁচ দিন পরও আমার মাঝে মাঝেই মনে পড়ছে।
বাকী দুইটার কথা আর আজ বলবো না। অন্য কোনো একদিন বলবো। অন্য কোথাও অন্য কোনো খানে। তারচেয়ে বরং প্রিয় হি-জিনের কথা ভাবতে ভাবতে আর মহীনের ঘোড়াগুলির গান শুনতে শুনতে আজকের দিনটা পার করে দেয়া যাক। সবাইকে শুভেচ্ছা।
যখন ধোঁয়া মেঘে, ঢাকা আমার মন
যখন ক্লান্ত ভেবে ভেবে সারাক্ষণ
তখন ধোঁয়া জাল ছিঁড়ে, চেনা সুখের ভিড়ে
নিয়ে আমায় যাবে বলো সে কোন্।
যখন হাসির আলো, খেলে আমার গানে
যখন শব্দ সবই বদলাতে চায় মানে
তখন তুমি ফিরে আসো, জানি আমায় ভালোবাসো
অন্য কোথাও অন্য কোনোখানে।
যখন ভাবি আমি, তোমায় নিয়ে কত যে সুখী
যখন ভুলে প্রায় গেছি তোমার মুখ
তখন তুমি ফিরে আসো, জানি আমায় ভালোবাসো
অন্য কোথাও অন্য কোনোখানে।
=======================***=======================
ভালো লিখেছেন,
পরের কিস্তির অপেক্ষায় থাকলাম।
ধন্যবাদ বাউন্ডুলে। উৎসাহ পেতে বোধহয় সবারই ভালো লাগে।
দি আইল দেখাটা কষ্টকর, চাপ ফেলে মাথায়। কিন্তু থ্রি আয়রন বা দি বো একদমই অন্যরকম। পিয়েতা আবার চাপ ফেলে। কিম কি দুক দেখবেন আর চুপচাপ ঘুমাবেন, তা হবে না
আসলেই মাথায় খুব চাপ ফেলে সিনেমাটা। সঠিক উচ্চারণটা কি আইলই হবে মাসুম ভাই? আমার কাছে তো আইজেল মনে হলো। পিয়েতাটাই দেখবো আগে তাহলে।
দ্বীপ বা আইল্যান্ড অর্থে এখানে নামকরণ করা হয়েছে।
ধন্যবাদ বস্। নামটা শুদ্ধ করে দিচ্ছি এখনই
সেদিন বন্ধুমহলে কিম কি-দুকের সিনেমা নিয়ে আলাপ হচ্ছিলো। চুপচাপ বসে ছিলাম। দেখি নাই একটাও সিনেমা কি-দুকের। আলাপে আর কিভাবে অংশ নিই@ আমি ও দেখি নাই।তাও অনেক ভাল লেগেছে। কবিতাটা অসম।
কবিতা নয় ভাই, ওটা গান
দেখবো সামনে!
ওকি ডকিজ ব্রো। দেখে জানায়েন কেমন লাগলো।
স্প্রিং, সামার, ফল, উইন্টার অ্যান্ড স্প্রিং দেখে স্তব্ধ হয়ে বসেছিলাম। বেশ সময় লেগেছিলো সেটা কাটতে। আমার খুব প্রিয় একটা ছবি।
সে তুলনায় দি আইল রীতিমত নিশংস একটা ছবি। কয়েকটা দৃশ্য সহ্য করা কঠিন।
ছবি দেখা আর লেখা চলুক...
~
আমারও স্প্রিং দেখে একই অনুভূতি...
ছবি দেখা আর লেখা চলুক। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভালো লিখেছেন,
পরের কিস্তির অপেক্ষায় থাকলাম।
ওকে ম্যাডাম। পরের কিস্তি লিখলেই জানানো হবে আপনাকে। যেহেতু আপনি অপেক্ষায় আছেন।
ছবি বরাবরই আমাকে টানে। কিন্তু বিদেশী ছবি খুব একটা দেখা হয়নাই। ঘটনাটা পুরো বুঝতে না পারলেও কিছুটা বুঝেছি। তবে কবিতাটা ভালো লেগেছে।
ছবি বরাবরই আমাকে টানে। কিন্তু বিদেশী ছবি খুব একটা দেখা হয়নাই। ঘটনাটা পুরো বুঝতে না পারলেও কিছুটা বুঝেছি। তবে কবিতাটা ভালো লেগেছে।
দেশি-বিদেশি সব ধরনের সিনেমাই আমাকে টানে। তবে সমসাময়িক এফডিসি'র সিনেমাগুলো একটুও টানে না। পোস্টে সিনেমা দু'টি সম্পর্কে খুব সামান্যই বলা হয়েছে। পুরো সিনেমাগুলো আরো বিশাল, বিস্তৃত ও ভয়ংকর সুন্দর। সময়-সুযোগ হলে দেখে নিয়েন।
মন্তব্য করুন