লালাখাল : হেভেন অন আর্থ!
গত দুই তিনদিনে যখনই ব্লগে ঢুকতেছি মন ভালো হয়ে যাইতেছে।
এত্ত এত্ত প্রিয় চেনামুখের হঠাৎ করে এভাবে ফিরে আসা,
মন ভালো না হয়ে কোন উপায় আছে নাকি!
সবাই লেখা দিতাছে, আমার মাথা ব্ল্যঙ্ক হয়ে আছে। কিছু লিখতে পারতেছি না, ব্যাপারটা ভাল্লাগতাছে না। তাই মনে হল, একটা ছবিব্লগ দিয়া দেই।
আমি গরিব সরিব মানুষ, ডিএসএলআর নাই তাই আর ফডোগফুর হইতে পারলাম না। কি আর করার, তাই দুধের স্বাদ গুড়াদুধে মিটাই! আমার মোবাইল ক্যামরাই ভরসা।
এখন লেখায় ঢুকি -
এখনো পর্যন্ত আমি বোধহয় সবচেয়ে বেশি বার ঘুরতে গিয়েছি সিলেটেই। এই সিলেট শহর থেকে জাফলঙের পথে বাসে ঘন্টা দেড়েক গেলেই সারিঘাট। সেখানে নেমে কাকচক্ষু স্বচ্ছ বরফ শীতল জলের সারি নদীতে নৌকায় ঘন্টাখানেক গেলেই..
সোনারং বালুকাবেলা,দু’ধারে সবুজ পাহাড় আর ছিমছাম চা বাগানের কোল ঘেঁষে..আকাশের সাথে সন্ধি করে অপরূপ নীল পানির লালাখাল। পৃথিবী-তে আমার দেখা দ্বিতীয় প্রিয় সুন্দরতম জায়গা। এক কথায় বললে, হেভেন অন আর্থ!
আমি দুইবার গিয়েছি এখনও পর্যন্ত। আজ প্রথম দেখার মুগ্ধতাটুকু শেয়ার করবো বলেই লিখতে বসা। দিনটা ছিল - ২০১০ সালের ১২ই ডিসেম্বর।
আর কথা না বাড়িয়ে ছবি দেখি -
# এই সেই সারিঘাট
# মাঝিরা তখনও বিশ্রামে ব্যাস্ত!
# পানির ছবি তুলে রাখলাম।
# নৌকা ঠিক হল - যাত্রা শুরু।
# দেখি, নীল নদে একলা নৌকা বয়ে যাচ্ছে একজন।
# পথের প্রায় পুরোটাই অনেকটা এরকম।
# পৌছলুম!
# নীল পানির লালাখাল!
# কাছেই একটা পায়ে হাটা পথ ধরে এগুলেই,
বনফুল..বুনোফুল..
# পাশেই মাঠে,
রোদ্দুরে গরুর ছানা!
ওই পথ ধরে এগুলে মোটামুটি সুন্দর একটা চা বাগান ঘুরে আসা যায়। যাই হোক, ওদিকে বেশিক্ষণ ছিলাম না, নৌকা আমাদের ফেলে চলে গেলে খপর আছে! তাই!
# সত্যি মিথ্যা জানি না ডানপাশের টিলামতন পাহাড়টা নাকি পানিতে বলতে গেলে ভেসে আছে। পাহাড়ি ঢলে ক্ষয়ে নাকি নিচের অংশটুকু নাই হয়ে গেছে। নৌকা পর্যন্ত ডুবে যায়, এতটাই গভীর! ভাগ্য ভালো নদীতে লাফিয়ে সাঁতরে উঠে আসার পর জেনেছিলাম, আর নয়তো মজাটাই মাটি!
# এই পাথুরে টিলার উপর উঠলে দেখা যায় -
# আরেকটা ছবি।
# আরও একটা!
এই ছবিটা দেখলেই আমার কাছে ক্যারিবিয়্যান ক্যারিবিয়্যান লাগে!
#পরতি বিকেল - দুপুর রোদের লালাখাল,
এবং ফেরার ডাক।
# আকাশটাও খুব সুন্দর ছিল ওইদিন।
# এবং ফেরা,
তখন গোধূলির ছায়া পরেছে চারিধার।
আর কি, দিন শেষ কথাও শেষ।
আজ এটুকুই,
ভালো থাকুন সবাই। অনেক ভালো, সবসময়।
এমনটাই জমজমাট থাকুক এবি,
ভালো থাকুক সুপ্রিয় ভালোবাসা ব্লগ। হ্যাপি ব্লগিং!
জাইনা রাখো হে বালক, ডিএসেলার থাকলেই ফটোগফুর হওয়া যায় না। দেখার চোখ লাগে... ছবিগুলার ভিতর কয়েকটা অনেক সুন্দর হইছে...
সেইটা জানি আর মানি বইলাই তো
গুড়াদুধেই বেশ দিন কাটাইয়া দিতেছি!
দারুন ছবিব্লগ! বেশি দারুন কেন হইছে জানো, এই যে এট্টু করে সাথে নিজের কিছু কথা লিখছো তার জন্যে!
এই লালাখালের পানির রঙ কি অদ্ভুত সুন্দর লাগে, মাঝে মাঝে মনে হয় আসলেই কি এত্তো সুন্দর নাকি ছবি কারসাজি! কিন্তু সবার ছবিতেই এমনি চোখ জুড়ানো রঙ দেখা যায়! জানি না কবে, তবে দেখা হবে কোন একসময়েই লালাখালের সাথে।
ইশ! কতদিন পর জেবিনাপুর কমেন্ট পাইলাম! আহ!
চোখে যা আসে,
কোন ক্যামেরাতে তা পুরাপুরি আসে না!
ওইখানে গেলেই বুঝবা ব্যাপারটা!
সুন্দর সব ছবি!
থ্যাঙ্কুস, সুপ্রিয় শান্ত ভাই।
চমতকার সব ছবি। ছবি দেখলেই বোঝা যায় আপনার মন কত সুন্দর। শুধু ডিএসেলার দিয়ে তুল্লেই যে ছবি ভাল হবে এমন কথা নাই। ছবি তোলার জন্য সুন্দর একটা মনের দরকার। আর সেটাই আপ্নি দেখালেন আপনার মোবাইল দিয়ে্ তোলা দারুন সব ছবি দিয়ে।
থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ।
একটু বেশিই বলে দিলেন।
তবুও, অনেক অনেক ধন্যবাদ
আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
ভালো থাকুন, অনেক ভালো।
প্রতিটি দিন , প্রতিটি ক্ষণ।
গুঁড়াদুধ যেমন আগে হাতের তালুতে নিয়ে চেটে চেটে খেতাম তোমার পোস্টের ছবিগুলো ঠিক তেমনি ভাবে দেখে মজা পাইলাম।
হিঃ হিঃ
কমেন্ট টা
বাটিতে গুড়াদুধ চিনির সাথে
মালটোভা মিশিয়ে থাওয়ার মতন
মজা হইছে! থ্যাঙ্কুস।
কি মনে করায় দিলা
কমন পড়ছে?
দূর্দান্তিস হইছেরে
তোমার মোবাইল ফোনে তোলা ছবিগুলা দারুণ হইছে অনেক । সিলেট আমারও অনেক পছন্দের জায়গা । কোথাও ঘুরতে যাওয়ার কথা মনে হলেই সিলেট যেতে ইচ্ছা করে ।
হ! লালাখাল, বিছনাকান্দি আর জাফলং গেছি! নেক্সট টার্গেট বাঁশখালি আর রাতারগুল। সিলেট একটা জায়গাই বটে!
আমার অবশ্য আজকাল কেবল
সেন্টমার্টিনসের ছেঁড়াদ্বীপ যাইতে
মন আনচান করে! আর নীলগিড়ি!
আসাধারন সব ছবি.....যাওয়ার ইচ্ছা পোষন করি
পড়া ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
খুব খুব ভালো থাকুন।
অসাধারণ সব ছবি,
---------
যাওইয়ার ইচ্ছা পোষন করি
এবি তে সুস্বাগত।
একাউন্ট খুলে লেখালেখি শুরু করে দেন।
আরি মারাত্মক !!!!
যাওয়ার বাসনা রাখি
হয়ো। সিরাম সন্দৌর্য্য জায়গা!
জাইনা রাখো হে বালক, ডিএসেলার থাকলেই ফটোগফুর হওয়া যায় না। দেখার চোখ লাগে... ছবিগুলার ভিতর কয়েকটা অনেক সুন্দর হইছে...
ধইন্যা!
জাইনা রাখো হে বালক, ডিএসেলার থাকলেই ফটোগফুর হওয়া যায় না। দেখার চোখ লাগে... ছবিগুলার ভিতর কয়েকটা অনেক সুন্দর হইছে...
সকলে শুভ ভাইয়ের শিষ্য হৈয়া গেল নাকি!
চমৎকার ছবি ব্লগ!
ধন্যবাদ, স্বপ্নচারী ভাই।
চমতকার ছবি ও বর্ননা নীল নদ অপূর্ব। নাম দেয়া সার্থক ।
অনেক অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ, রুনাপা।
এবির সবার জন্য ঈদ উপহার হিসেবে নতুন একটা লেখা দেন এইবার,
আবদার থাকলো আপনার কাছে।
জায়গাটা ব্যাপক পরিচিত লাগতেছে
মনে হয় আমি এই জায়গায় গেসিলাম
ছবি সৌন্দর্য হৈছে, লেথা সুস্বাদু
আসলেই গেছলেন?কবে?প্রমানস্বরুপ ব্লগ দেন!
খুব সুন্দর ছবি সবগুলা।
পাশ করাইয়া দিলেন!
গুড়োদুধ ই যদি এত সুন্দর হয় , আসল গরুর খাঁটি দুধ কেমন হবে , কে জানে ?
আপনাকে কেউ একজন একটা ডি,এস,এল,আর গিফট করুক , এই দোয়া থাকল।
সারি ঘাট আমি অনেক বার গিয়েছি , পানিটা আমার কাছে কখনো সবুজ ও মনে হয়েছিল।
দারুন পোস্ট ।
ইশ! কি চমত্কার মন ভালো করে দেওয়া মন্তব্য। অনেক অনেক ধন্যবাদ, আপু।
যতদুর জানি শীতকালেই কেবল এতটা স্বচ্ছ ও নীল থাকে সারীর পানি।
আপু না ,
ভাই..
লুল।
পুরাই দূষণমুক্ত পানি
আগে ছিল,
এখন ময়লা হইয়া যাইতাছে।
আমরা ট্যুরিস্ট হিসেবে তেমন সুবিধার না..
আমারও ডিএসএলআর নাই। তবু ছবি তুলতে মন চায়। সুইডেন সুন্দর কিন্তু কেন যেন মেকী মনে হয়।
ছবিগুলো খুব সুন্দর লাগলো
হালকা কথাবার্তার ভেতর মাঝে মাঝেই আপনি অনেক গভীর কথা বলে দেন, ভাল লাগে শুনতে।
নিয়মিত আমার ব্লগ ঘুরে যাওয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন, অনেক ভালো। প্রতিটি দিন, প্রতিটি ক্ষন।
ছবিব্লগের বিষয়টা ভালো লেগে গেল। ক্যারাবিয়ান ছবিটা দারুন হইসে। মাথা ব্লাঙ্ক হয়ে গেলে আমিও একটা ছবিব্লগ লিখে ফেলবো!
ঠিকাছে, অপেক্ষায় থাকলাম।
মন্তব্য করুন