ইউজার লগইন
ছবি ব্লগ
আমার মেয়েরা, আমার মায়েরা-৩
সম্মানীত সূধীবৃন্দ,
পূর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আবারও আপনাদের সামনে এসে হাজির হয়েছে মাসিক শিশুবার্তা। আমাদের এই পর্বে থাকছে ছোট্ট এষা এবং আয়লার ছয় মাসে পদার্পণের সুখবরের পাশাপাশি বাছাই করা কিছু ছবি।
যথাযোগ্য রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে হল্যান্ডে বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইন্যাল অনুষ্ঠিত
কাল থেকেই সারা হল্যান্ডে সাজ সাজ রব ছিলো আজ একটি “বিশেষ” দিন। আমাদের মাসের শেষ। একাউন্টিং মানেই বড় ব্যস্ততা এ কয়দিন। তাই বস বললেন ছুটি নেয়া তোমাদের পক্ষে সম্ভব না, এক কাজ করো সকালে শুরু করে যার যার ডেড লাইন শেষ করে চলে যাও, ফুটবলের আগে। আমি বলেছি সকাল সাতটায় অফিসে আসা আমার পক্ষে সম্ভব না। এছাড়াও এ নিয়মের আওতায় আমি পরি না। আমি পরের দুমাস যেহেতু মান্থলি ক্লোজিং এ থাকবো না, আমার রিপ্লেসমেন্ট আনা হয়েছ
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবীতে উত্তাল সেই গণআদালত: পলাশ ভাইয়ের তোলা ছবি এবং রায়ের বিস্তারিত
কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী গোলাম আজম গংদের বিরুদ্ধে গোটা জাতি ফুঁসে উঠেছিলো শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে। সরকার যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবীকে অগ্রাহ্য করছিলো তখন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ডাকে ২৬ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হয়েছিলো গণআদালত। সমস্ত দেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকেরা জড়ো হয়েছিলো ঢাকায়। জামায়াত শিবিরও জড়ো করেছিলো তাদের ক্যাডার বাহিনী। আগের রাতেই সরকার ১৪৪ ধারা জারী করেছিলো। গোলাম আজমকে নিরাপত্তা হেফাজতে নিয়ে রক্ষা করেছিলো তৎকালীন সরকার! আর জাহানারা ইমামসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে গণআদালত গঠনের অপরাধে রাষ্ট্রদ্রোহীতার মামলা করা হয়!
কিন্তু তবু থামেনি জনতা। ৫ লক্ষাধিক মানুষের উপস্থিতিতে সেদিন বিচারে গোলাম আযমের অপরাধকে মৃত্যুদণ্ডাদেশযোগ্য ঘোষণা করে সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয় তা কার্যকরের।
সেই দিনের সেই আন্দোলন আর গণআদালতের ছবি তুলেছিলেন তৎকালীন রাজনৈতিক কর্মী এবং সাংবাদিক মনজুরুল আজিম পলাশ। এখন তিনি আছেন ইউকেতে। কিন্তু এখনো দেশ আর মানুষের জন্য কাজ করে চলছেন নিরলস।
চুয়েটের ছবি ও বন্ধুদের ছবি..
আমার প্রজেক্টের কাজ আরেকটু বাকি।কাজ আসলে একরকম শেষ বাট আমার বানানো স্টার্লিং ইন্জিনটা পর্যাপ্ত Air Pressure পাচ্ছেনা।তাই পিস্টন মুভ করতেছেনা।মনটা তাই একটু খারাপ।আপাতত স্যারের পিছে পিছে দৌড়াইতেছি। আজকে আমার ক্যাম্পাসের কিছু ছবি শেয়ার করব।চুয়েটের ছবি ও বন্ধুদের ছবি..
এ সব ছবিতে আমি আছি, বন্ধুরা আছে..আছে এক মুঠো স্মৃতি...
আজ থেকে অনেক বছর পর যখন এব্লগ পোষ্ট দেখব আশা করি খারাপ লাগবেনা.।
আমার মেয়েরা, আমার মায়েরা-২
আপনেরা যে যাই কন, আমি প্রতিমাসে আমার মামণিদের একটা করে ছবি ব্লগ দিয়ে আপ্নাগোরে জ্বালামুই। আমরা বন্ধুর সাথে আমার মেয়েরাও চাঁদের মতো করে বাড়তে থাকুক। হৃষ্টপুষ্ট হোক একঝাঁক হৃদয়বাণ মানুষের আন্তরিক শুভকামনা আর ভালোবাসায়। আমি দিনরাত একজোড়া ছোট্টপরী নিয়ে যে স্বপ্নের মতো দিন কাটিয়ে যাচ্ছি তা ভাগ করে নিচ্ছি প্রিয় বন্ধুদের সাথেও। ছবি দিয়ে আপনাদের জ্বালাতন করলেও বাচ্চাপালার বিষয়ে কোনো টিপস লাগলে আমারে জিগান
তাইওয়ানের নৌকাবাইচ
বরিশালে জন্ম আর শৈশবের অনেকটা কাটানোর কারণে নৌকা বাইচ নিয়ে গ্রামাঞ্চলে যে উন্মত্ততা তার অনেকটা কাছে থেকে দেখেছি। বয়স কম থাকায় মাঝি হবার সৌভাগ্য কোনোদিন হয়নি, কিন্তু চাচা-মামাদের হেল্পার হিসেবে বিস্তর খাটাখাটনির পাশাপাশি অসাধারণ সব আনন্দময় মুহূর্তের ভাগীদার হয়েছি। কে জানত যে একদিন মাঝি হিসেবে আন্তর্জাতিক এক নৌকা বাইচে অংশগ্রহণ করার দুর্লভ সৌভাগ্য এই অভাগার ললাটেও লেখা আছে!
অরানিয়া ভেইকা
ফুটবল টুটবল আমার আবার পোষায় না। বয়স হচ্ছে দৈনন্দিন জীবনের বাইরে কোন উটকো ঝামেলাই আজকাল আর পোষায় না। ফুটবল মানে মেয়ের বাবা খেলা দেখবে, ঘরের - বাগানের কাজ পরে থাকবে মাঝখান থেকে সাপ্তাহিক শিডিউলড ঝগড়ার বাইরে আরো দু’চারটা এক্সট্রা ঝগড়া হবে। ফুটবলে কে জিতলো সেটা ফাইনাল খেলার পর জেনে নিলেই হলো, আমার জন্য এটাই কাফি। এরমধ্যেই আমার তিন ক্লাশ পড়ুয়া টুকটুকি এসে বললো,
লন্ডন রাজকীয় মোমের যাদুঘরে একদিন
ভাইবা দেখলাম ভালো লেখক হওনের যোগ্যতা আমার নাই, তবে ভালো দেখক হওনের আছে। পায়ের নিচে সরিষা নিয়া জন্মানোর কারণে কয়দিন পর পরেই একেকদিকে ছুটতে মন চায়। কপাল গুণে কায়কারবারও এমন জুটছে আমার ভাগ্যে যে বছরে অন্তত আধা ডজন বিদেশ ভ্রমণ বান্ধা। বিয়ার আগে হাফ চান্সরে ফুল চান্স বানাইয়া একেক সময়ে একেক দিকে উইড়া যাইতাম। ইদানীং ঘর সংসার নিয়া এতই ব্যস্ত যে সহসা কোনোদিকে যাবার সময় পাইনা, যদিও মন পাখি খালি উড়াল দিতে চ
যদি তোর ডাক শুনে কেউ নাআআ আসে তবে একলা বালিয়াটি জমিদার বাড়ি চল রে ফটুক ব্লগ
কুনু কথা নাইক্যা, হুদা ফটুক
আমার মেয়েরা, আমার মায়েরা
অনেকদিন যাবতই ভাবছিলাম আমরা বন্ধুর বন্ধুদের সাথে আমার মেয়েদের পরিচয় করিয়ে দেব। নানা ঝামেলায় সেটা হয়ে ওঠেনি। আজকে অফিসে কাজ কম, দেখি একটা টেরাই মেরে
খোমাখাতার বদৌলতে অনেকেই হয়তো জানেন যে ওরা যমজ, এষা আর আয়লা। আমার জন্মদিনের ঠিক একদিন আগে ফেব্রুয়ারীর ৫ তারিখে আমাদের ঘর আলো করে ওর পিথিমীতে নাজিল হয়।
ব্যাঘ্র মামার আস্তানায়ঃ এবার সবিস্তারে
১.
সে রাতটা ঘুটঘুটে রাত হতে পারতো, কালি-গোলা অন্ধকার বলা যেত। কিন্তু নাহ... সে রাত ছিল চাঁদনী রাত, চাঁদটাও বেশ বড়। একদিন পরই পূর্ণিমা। তবু বনের সরু খালটার উপর গাছের ডালপালা এসে এক আধো আলো-ছায়ার আবরণ তৈরি করেছিল। গাছের সে সবুজ তোরণের নিচে আমরা কজনা ভাসছি। ট্রলারের ইঞ্জিন অনেক আগেই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। খালের মাঝে নোংর ফেলেছে মাঝি। নোঙরের দড়ির ঢিলটুকুর সুযোগ নিয়ে ঢেউয়ের তালে নৌকা মাঝে মাঝে তীরের কাছে চলে যাচ্ছে। আর শিউরে উঠছে নৌকার অভিযাত্রীরা। এই কিছুক্ষণ আগেও বনে অনেকরকম নিশাচর পশু-পাখির আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছিল। হঠাৎ সে আওয়াজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে।