মাইনষের সাথে কথাবার্তা - ৬
এই সিরিজটা যখন শুরু করছিলাম তখন মনে হইছিল টপিকের অভাব হবেনা কোন। পরে টের পাইলাম ঘরকুনা অমিশুক মানুষদের কখনো এই ধরনের কিছু শুরু করা উচিৎ না। কারো সাথে কথাও হয়না, লেখারো কোন টপিক পাইনা। আজকেও কিছু মাথায় আসতেছিলোনা তাই হাবিজাবি দিয়ে পোস্ট বানাইলাম একটা, কারন সবাই জেহাদী জোশে পোস্ট দিতেছে আমি না দিলে ক্যামন ক্যামন জানি লাগে!
----------------------
সৌদিতে ইংলিশ মাস্টারিরত এক ক্লাসমেটের ফেইসবুক স্টেটাস: নিম্নের বাক্যটার ব্যাখ্যা কি হইতে পারে ''i was installed in the bus'! (বেচারা বন্ধুর কোন এক ছাত্র পরীক্ষার খাতায় উক্ত উক্তিটি ব্যক্ত করেছেন)!
----------------------
স্কাইপে -
বন্ধু: বাসার আবহাওয়া খারাপ।
আমি : ক্যান কি হইছে?
বন্ধু : বড়খালা যাওয়ার সময় একটা বাল দিয়া গেছে, ঐটা নানুজির, খুব ডায়লগ মাইরা, যে এইটা তার ছেলের বৌরে দেয়নাই, আমার জন্য রাখছে।
আমি : তো তুমি বলে দিতা যে তাইলে তো এইটার কোনো গতি হবেনা আর।
বন্ধু : হাহাহাহা!
আমি : যাই হোক, তুমি লিখছ বড়খালা যাওয়ার সময় একটা 'বাল' দিয়া গেছে। ওয়েল, আমি ভদ্র মানুষ, পইড়া নিছি 'বালা'।
বন্ধু:
--------------------------
আরেকদিন স্কাইপে -
আমি : জানো সাউথ আফ্রিকার একটা নিউজ সাইটের নাম বুয়ানিউজ (buanews)।
বন্ধু : হাহাহাহাহ
আমি : হ, ধর কোনো আন্টি গুগলে বুয়া খুঁজতে গেল, আর এইটা আইসা পড়ল!
বন্ধু : হাহাহাহাহা, আচ্ছা গুগলে ছুটা বুয়া সার্চ দিলে কি আসে?
আমি : (সার্চ রেজাল্ট দেইখা) খুবই গম্ভীর জিনিসপত্র.
বন্ধু : হুমম তাই দেখতেছি.
আমি : তবে কাজের বুয়া দিয়া যদি সার্চ দাও তাইলে সব চটি! তাও আবার সব রোমানে বাংলা লেখা!
বন্ধু : হাহাহাহা, ইয়াল্লা!
আমি : কপাল ভালো আম্মারা ইন্টারনেটে নাই!
বন্ধু : হ সেইটাই!
-------------------
অনেক আগে একটা কৌতুক পড়ছিলাম কই যেন, আজকে হঠাৎ মনে পড়ল -
এক আমেরিকান, এক জাপানী আর এক বাংলাদেশী আড্ডা দিতেছিল। আড্ডা একসময় কার জাতী কত উন্নত সেই প্রসংগে গ্যালো।
আমেরিকান বলল, আমার দেশে একবার একটা ছেলে জন্মাইলো যার কোন হাত নাই। আমাদের ডাক্তাররা দুইটা হাত বানায়ে জোড়া দিয়ে দিলো ঐ ছেলের শরীরে। জানো, ঐ ছেলে এখন পৃথিবী বিখ্যাত একজন পিয়ানোবাদক!
জাপানী বলল, এ আর এ্যামন কি! আমার দেশে একবার জন্মালো এক পা-হীন মেয়ে। আমাদের ডাক্তাররা দুইটা পা বানায়ে জোড়া দিলো ওর শরীরে। জানো ঐ মেয়ে বড় হয়ে অলিম্পিকে ১০০ মিটার দৌড়ে সোনার মেডেল জিতছে!
বাংলাদেশী হাই তুলে বললো, ধুরো! আমাদের দেশের এক গ্রামে একবার দুইটা মাথাহীন মেয়ে জন্মাইলো, গেরামদেশে কি আর ডাক্তার আছে কোনো? গ্রামের মানুষ নিজেরাই বুদ্ধি কইরা দুইটা নারকেল আইনা মেয়ে দুইটার ধড়ে বসায়ে দিল। জানো, সেই দুইটা মেয়েই বড় হয়ে আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী হইছিল?
সকালে উঠেই এইরকম মজার আর হাসির লেখা পড়তে পারবো ভাবি নাই । যাক দিনটা ভালো যাবে মনে হয়
বড় খালার গিফট আমি তো মনে করছিলাম আপনি বানান ভুল করছেন।
আর আপনার কথা মতো সার্চ দিতে গিয়ে তো নাউজিবিল্লাহ
কারো সাথে কথা বলেন না কেন আপু? বেশী না বলেন কমই বইলেন আর এরকম পোস্ট দিয়েন।
নারকেল ! তাওতো ভাল ! ভেতরের তিনটা জিনিষই খাওন যায় । এই দুইটার মাথায়তো নিরেট গোবর আর পচা গু-- মুখ দিয়ে বেরোয় আহরহ বদবু !
আমিও ভাবতেছিলাম কমেন্টে লিখমু ভানম্বুল কর্ছেন, বাট পইড়া পুরাই হা হা প গে...
সিরিয়াস সেন্স অভ হিউমার ছাড়া এইরকম লেখা বাইর হওয়া সম্ভব না। অস্থির পুরা..
পাখি বানানোর পোস্ট পড়ে আমি বড়ই কৌতুহলি হয়ে পড়েছি লেখকের প্রতি কিংবা লেখার প্রতি। তাই এখন আপনার ব্লগে ঘুরে বেড়াচ্ছি।
মন্তব্য করুন