কে এল মোর ঘরে
কে এল মোর ঘরে
কে এল মোর ঘরে
কে এল মোর ঘরে
রাত নিশিতে যখন ছিলেম
ঘুম ঘোরে ঘুম ঘোরে।
ক্ষতি কি ছিল খানিক হলে দেরী
এলেই যখন নিয়ে ভাল লাগার হাতে খড়ি
ক্ষতি কি ছিল খানিক হলে দেরী
ডাগর ডাগর নয়নে রেখে নয়ন
কি ইশারা করেছ বুঝিনি তখন
পিছন ফিরে যখন গেলে চলে
হেরিনু দীঘল কালো কেশ রেখেছ ছেড়ে।
কে এল মোর ঘরে
কে এল মোর ঘরে
রাত নিশিতে যখন ছিলেম
ঘুম ঘোরে, ঘুম ঘোরে।
তপ্ত নিঃশ্বাস দিলে এলোমেল চুলে
না না ঝড় তুলে নি হেথা
ঝড় তুলেছে বুকে।
বারান্দা ছোয়া নারকেল পল্লবও
মুগ্ধ হৃদয়ে বলল চুপিসারে।
কে এল মোর ঘরে
কে এল মোর ঘরে।।
রাত নিশিতে যখন ছিলেম
ঘুম ঘোরে, ঘুম ঘোরে।
এই সে নিশি ভোর হবে কি
বল না সবাই বল।
নিশি কেটে গেলে হাড়িয়ে যাবে সে
কি হবে আমার ভাল লাগার মানষে,
হ্যাঁ হ্যাঁ টিকটিকি ঠিক ঠিক বলেছে
কি হবে আমার ভাল লাগার মানষে,
হে নিশি
আমার সাথে থাক না জেগে
সে আসবে,
সে আসবে নিশ্চয়ই শ্বশরীরে।
কে এল মোর ঘরে
কে এল মোর ঘরে
রাত নিশিতে যখন ছিলেম
ঘুম ঘোরে, ঘুম ঘোরে।
০৭/০৮/২০১৩ খ্রীঃ
আমরা বন্ধুতে যে ক'জন সচল লিখিয়ে আছেন তার মধ্যে আপনি একজন, কাজেই আপনার লেখা পড়া হয় নিয়মিতই। কয়েকবার হয়ত মতমতও দেয়ার চেষ্টাও করেছি।
আপনার কবিতাও পড়েছি। গদ্য-ও। সমালোচক হিসাবে আমার মান একেবারেই সুবিধার না, তবে আপনার লেখা পড়ছি- তার মানে আপনার 'পাঠক'- সে দাবী থেকেই ক'টা মতামত দিচ্ছি- মেনে নেন আর না নেন, 'মনে নেবেন না', সে আশাই করি-
১। আপনার লেখায় অনেক বানান ভুল পাই, অস্বস্তি লাগে খুব পড়তে- কেবল মনে হয় একটু সচেতন থাকলে ওগুলো এড়িয়ে যেতে পারতেন
২। আপনি অনেক লেখেন, কেন জানি মনে হয় এত পড়েন না, আর সবার লেখা-
৩। কবিতাগুলো, মনে হয় কেমন লেখার জন্য লেখা, ছোঁয়াতে চাইলেও ছুঁতে চায় না
৪। শব্দের ব্যবহার, ছন্দ মাত্রা তাল এগুলি নিয়ে অত ভাবেন বলে মনে হয় না। এ লেখাটাতেই যেমন অন্তরা'য় বার বার ফিরে আসছে 'রাত নিশি' শব্দ দুটো, পাশাপাশি- অথচ দুটো একই শব্দ- কেন ব্যবহার হচ্ছে তা ধরতেই পারছি না!
৫। আপনার মুক্তগদ্যগুলোতে অনেক ইংরেজি শব্দের ব্যবহার দেখি। অনেক শব্দের ভুল উচ্চারণ দেখি।
আমরা বন্ধু'তে ভুল ধরে দেওয়ার চল কতটুকু আছে আমি জানি না, কিন্তু আপনাকে ধরে দিতে ইচ্ছে হল।
আপনার লেখা আমরা নিয়মিত পড়ছি। আপনি ভুল লিখছেন মানে আমরা ভুল পড়ছি, ভুল শিখছি। আজকে আমি চুপ থেকে যাই যদি, কালকে আমি ভুল করব- আমার ভুলটা দেখিয়ে দেবে না কেউ, তাই। কালকে আমি ভুল করি যদি, পরশু 'জুনাঈদ' ভুল করবে- আমার কাছে ভুলটা শিখবে তাই!
আমাদের ভুলগুলো নিয়ে আমরা সচেতন হই চলুন, আমাদের সচেতনতাও বাড়বে, লেখার মানও বাড়বে।
এ লেখাটা থেকে আমি নিজে কতদূর শিখেছি তা বলতে পারি না, কিন্তু এইটুক জানি যে শেখার আছে অনেক, কেউ চায় যদি, ইচ্ছে হলে পরে দেখতে পারেন।
আমি আশা করব এ মন্তব্যটুক আপনাকে আঘাত দেবে না। কষ্ট পেয়েই যান যদি, এটুক মনে করতে বলি, আর সবার মত চুপ করেই থাকতে পারতাম চাইলে, আর এক একটা লেখায় কেবল আপনার নিজের মন্তব্যটাই থাকতে দেখতে পারতাম- তা করিনি কিন্তু, অনেকটা সময় নিয়ে 'কী-করলে-ভাল-হতে-পারে' ভেবে নিয়ে তবে লিখছি কিছু কথা।
ভাল'র জন্য কখনো কখনো কাউকে 'মন্দ' হতে হয়। আপনার ভালটুক যদি হয় এটুক পড়ে, আমি নয় মন্দই হলাম- আমার আপত্তি থাকবে না।
ভাল থাকুন। আমরা বন্ধু-কে ঋদ্ধ করুন, এই কামনা।
আপনি এত কষ্ট করে পড়েছেন, তারপর এত বড় মন্তব্য লিখেছেন, তা কজন করে। খোচাইতে হলে এক দু কথা লিখলেই হয়।
যাক লেখাটার থিমটাই গুছিয়ে লিখলে অনেক উপাদেয় হতো। আমি প্রথম গান, পরে ভাবলাম না, কবিতা হিসেবে লিখি, তারপর কোনটাই মিলাতে পারিনি। তাই ব্লগর ব্লগর নাম দিয়ে পোষ্টটা লিখলাম।
অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা বন্ধুকে ঋদ্ধ করতে পারব কি না জানি না, তবে লিখব। আপনিও ভাল থাকুন।
স্বস্তি পেলাম বটে, আশ্বস্ত হতে পারলাম না!
আমি আপনার এ পোস্টটা নিয়ে বলছি না কিন্তু, প্রায় দেড়শো দিনে প্রায় নব্বইটা পোস্টের বেশ অনেকগুলো পড়ে যে ধারণা পেয়েছি আপনার লেখার- তার পাঁচটা অ-পছন্দের দিক দেখিয়েছি। সব ক'টাই চাইলে শুধরে নেয়া সম্ভব। সেটা যে আপনি চান বা আদৌ চান কি না সেটা বুঝতে পারিনি। আপনাকে বিব্রত করে বসলাম কি না তাও বুঝতে পারলাম না। এমনকি পরের পোস্টগুলোতে এ ভুলগুলো আবারো ধরিয়ে দিলে আপনার কেমন লাগবে তা-ও না!
আপনি প্রকৌশলী মানুষ- 'কীভাবে'টা নিয়েই আপনার কাজ- কোন একটা কাজ কেমন করে করলে সবচাইতে ভাল আর দীর্ঘস্থায়ী হয় তা জানাতেই আপনার বিশেষত্ব। কোন একটা কাঠামোয় 'এরর' ধরা পড়লে তা শুধরে নেয়ার ধাপগুলো কী তা জানার জন্য মানুষজন বোধ করি আপনার কাছেই আসে। সেই আপনার কাছে যদি আপনার পাঠক হিসেবে আশা করি আপনার ভুলগুলো নিয়ে আপনি সচেতন থাকবেন এবং ধীরে ধীরে সেগুলো কমিয়ে আনবেন তা কি অন্যায় হয়!?
আর কিছু না, পোস্ট করার আগে আপনার বাড়িতে যারা আছেন, তাদের দিয়ে একবার 'প্রুফ-রিড' করিয়ে নেন যদি, তাহলে বানান ভুল বা টাইপো কমে আসবে অনেক।
আর শব্দ-ভাষারীতির কথা বলেন যদি, সেটা আপনাকেই ঠিক করে নিতে হবে কেমন করে আরো ভাল করবেন, আমরা বন্ধুতে অনেক ভাল লিখিয়ে আছেন, ওদের লেখা পড়ে দেখাটা একটা উপায় হয়ত!
আশা করি আমায় বলেননি। ইয়ে, 'খোচানো'>'খোঁচানো' হবে। আর হ্যাঁ, আসলেই। খোঁচানোই যদি উদ্দেশ্য হয়, এক দুই কথাই যথেষ্ট।
আমরা বন্ধুর সবচেয়ে নিয়মিত লেখকদের একজন আপনি- আসার পর থেকে প্রথম পাতায় আপনার লেখা নেই এমন দিন কম গেছে- একজন নবাগত পাঠক কিন্তু আপনার একটা লেখা পড়েই আমরা বন্ধুর মান বিচার করে বসতে পারেন- কাজেই সে 'মানরক্ষা'র দায় শুধু আপনার নয়, যাঁরা লেখেন এখানে তাঁদের প্রত্যেকেরই। এ দায়টুকু নিয়ে আর সবার মত আপনিও সচেতন থাকুন, সেটাই কাম্য।
মন্তব্য করুন