কেউ কারো নয় - love that's cry
আশির দশকে বিটিভিতে অন্যতম মজার ধারাবাহিক নাটক ছিল হুমায়ুন আহমেদের বহুব্রীহি। সেই নাটকেই বোধহয় কাদেরের একটা সংলাপ ছিল- "প্রেম ভালোবাসা হলো শরমের কথা"।
সেই কথা ভেবে প্রেম ভালোবাসার পথ মাড়ায়নি এক তরুণ। কিন্তু অনুভুতিরে কে ঠেকায়? অবোধ তারুণ্য সেই অনুভুতি থেকে বঞ্চিত ছিল না মোটেও। সে তখন তার এক 'তুমি'কে নিয়ে লিখতে শুরু করে এইসব না পাঠানো চিরকুট (সতর্কতাঃ কবিতা বলে কেউ ভুল বুইঝেন না আবার। )
১.
তোমাকে নিয়ে আমার অনুচিত বোধ আর
বেদনাগুলির দায়ভার একান্তই আমার।
২.
তুমি কখনো আমার ছিলে না,
কখনো আমার হবে না জেনেই
আমি ডুব দিয়েছিলাম তোমাতে।
৩.
তোমার প্রতিটি বিদায়ের সাথে চিরবিচ্ছেদের সম্ভাবনা,
যেমন প্রতিটা ঘুমের সাথে মৃত্যুর।
তবু আবারো জেগে ওঠা হয়,
আবারো তুমি আসো ফিরে।
৪.
আমি না থাকলেও তোমার কিছু এসে যায় না,
ব্যাপারটা আমাকে অযৌক্তিকভাবে আহত করে।
৫.
খুব করে তোমাকে ভালোবাসি, সে তুমিও চাও।
কেবল মুখফুটে বলা হয় না, ভালোবাসো আমাকে।
৬.
যে কথা কখনোই বলা হবে না তোমাকে প্রবল সংকোচে।
আবার কোথাও ভালোবাসা লুকোতে হবে কখনো ভাবিনি।
এখন আমি তাকে অতি গোপনীয়তার সাথে ভালোবাসি।
যেন আমার ভালোবাসার পদশব্দে তাহার নিদ্রাভঙ্গ না হয়।
৭.
তোমাকে হারাতে আমার ভয় নেই,
ভয় কেবল দুরত্বে!
৮- কেউ কারো নয় - love that's cry
শেষেরটা একটা প্রখ্যাত বাংলা সিনেমার নাম। ওটা ইংরেজী অর্থটা পোষ্টারে লেখা ছিল এরকমই। তরুণের প্রেমানুভুতিও ছিল এই ইংরেজানুবাদের সমকক্ষ।
ভাল হয়েছে
(
ভাল হইলে চেহারা কালো ক্যান
ভাল হয়েছে
আপনের চেহারাও তো কালা দেখা যায়, ঘটনা কি
কবিতাগুলা তো জট্টিল! নীড়দা পাথ্থর
হ বুকে পাত্থর বাইন্ধা দুই যুগ কাটায় দিলাম
যারে নিয়ে লেখা, সেই মহিলা এইগুলা দেখলে তার পেমে পড়া কেউ ঠেকাতি পারতো না ।

ছোট ছোট কবিতা গুলা কিন্তু জোশ হইছে
সেই মহিলা দেখলে তো খপরই আছিল।
আপনার বাবুইয়াটা তো খুব ইশমাট দেখতে
বাহ! সবগুলো খন্ড-ই সুন্দর!
তবে এটা একটু বেশি ভালো লাগলো!
এইটা অন্যগুলার চাইতে একটু বেশীই সত্য
নাম দেইখা প্রথমে বুঝতে পারি নাই কাহিনী কি
পরে বুঝে আইলো
আপনার চিকুট নামক কবতে ভালা লাগছে
নাম তো পুরাই বাংলা সিনামা
তুমিটা কেডায়, আপনার কত কাছে?
এইডা আমারো প্রশ্ন
তুমিটা খুব বেশী দূরে না, মাত্র দুই যুগের ব্যবধান
৪,৫,৬,৭ অসাম!
ধন্যাপাতা বাউন্ডুলে। আপনার প্রোপিকটা কি সাম্প্রতিক তোলা, ওটাও অসাম লাগতেছে
হ..ফেব্রুয়ারির শেষে সেন্টমারটিন্সে।
হ!
হাত বাড়াই না, ছুতেঁও চাই না!
কিন্তু জানি ভালোবাসি,
আছি মনের কাছাকাছি দু'জনা।
কন কি? দুই জনে মিলে মাত্র এক মন?
গাতক গাইয়াছেন,
ভালোবাসার বিষাক্রান্ত হয়েই তো ২০এ ২০এ মাখামাখি হয়ে একমন হয়ে আছে!
কবিরা অবশ্য সারা জনম ২০শে ২০শেই পড়ে থাকে। এর উপ্রে যাইতে গেলেই হোচট খায়।
নীড় দা রক্স
হ বুকটা জইমা রক হয়া আছে এখনো
টু লাইনার গুলা ফেসবুকের জন্য উপকারী!
হ, তবে মুশকিল হলো আমি একেবারেই ফেসবুকবান্ধব না
দারুন... তবে পড়ে ভালো লাগল না। খারাপ লাগার তীব্রতা বাড়িয়ে দেয়।
ধুরো এদ্দিন পর আমার একটা পোষ্ট পড়লেন, তাও খারাপ লাগলো
(
এইখানেই তো আপনার স্বার্থকতা
সুন্দর লেখা দিয়ে মন খারাপ করে দিলেন
এখন মন ভালো করার পোষ্ট দ্যান 
হিদয় ভাঙ্গা ডেউ heart breaking blow
ইখানে ডেউটা উয়েভ না হইয়া ব্লো কেন হইলো!
হিদয় কি কলিজা দিয়া গঠিত?
নীড়দা' কেমন আছেন? পিচ্চি দু'টো কেমন আছে?
এখনো পর্যন্ত ভালোই আছি। পিচ্চিপাচ্চিরাও ভালো আছে।
আপনি না চিটাগাং এসে আমারে ফোন দেবার কথা ছিল? আসেন একটা আড্ডা লাগাই।
ওক্কেদ্যান! চিটাগাং গেলে অবশ্যই ফোন করবো।
আপনার ছেলের সঙ্গে বসে বসে বাদাম খাওয়ার লেখাটা এত সুইট হইসে, এত্ত বেশি সুইট হইসে যে আমার আর কিছু বলার নাই। এরপর থেকেই ওয়েট করতেসিলাম- কবে আপনার সঙ্গে কথা হবে আর পিচ্চিদের খবর জিজ্ঞেস করবো। ওদেরকে নিয়ে একটা নতুন পোস্ট দেন না দাদা।
সব চিরকুট ফাস করে দিলেন দেখি। বাবী কি ব্লগ পড়ে??
ইয়ে মানে দাদার কি হয়েছে?
মন্তব্য করুন