শিরোনাম পাই নাই গল্পের...কেউ একজন একটা নাম দিবেন প্লিজ ।
রাস্তায় বের হয়ে হন্তদন্ত করে হাটছি।হল থেকে বেরোনোর পর সামনে অন্যদিনের চেয়ে বেশি বন্ধুদের দেখা পাচ্ছি।আজ যেনো সব শালা একসাথে বাইরে বেড়িয়েছে।তড়িঘড়ি করে হাটার কারণ জিজ্ঞেস করছে সবাই আর উত্তর দিতে দিতে আমার অবস্থা খারাপ।সবাইকে, "দোস্ত পরে কথা বলতাছি।একটু দৌড়ের উপর আছি"এই কথা বলতে বলতে ছুট লাগাচ্ছি।সামনে কোন খালি রিকশাও পাচ্ছি না।ধুরর!!!
এতো হন্তদন্ত হয়ে ছোটার কারণ আর কিছু না,একটা ফোনকল।তানির ফোন!!!এই ফোনকল প্রধানমন্ত্রীর ফোনের থেকেও বেশী জরুরি আমার কাছে।ফোন রিসিভ করতেই ও বললো তাড়াতাড়ি চলে আয়?আমি বললাম কৈ আসমু?ওপাশ থেকে উত্তর আরে গাধা ক্যাম্পাসে আয়।
সামনে একটা খালি রিকশা!লাফ দিয়ে রিকশায় চড়েই বললাম,মামু চলেন!রিকশাওয়ালাও বেশ উৎসাহের সাথে সাথে পেডেল মারতে লাগলেন।ক্যাম্পাসের মেইন গেটের কাছে আসতেই তানিও ঐ রিকশায় চড়ে বসলো।রিকশাওয়ালার প্রতি নির্দেশ ,ঐ রিকশা কাজী অফিস চলো।
আরে একটু আগে এই লোকটারে মামু ডাকছি।একটু সম্মান দেখা লোকটার প্রতি।
তোর মামু,সম্মান তুই দেখা গাধা।
তা কাজী অফিসে যামু কেন?
বিয়ের জন্য।
কি কস।এতো তাড়াতাড়ি বিয়া করার দরকার কী?আমার তো এখনো চাকরি হয় নাই।
তোর বিয়ের কথা কে বলছে?আমার এক বান্ধবী পালিয়ে বিয়ে করছে।ওর বিয়েতে দুইজন সাক্ষী দরকার।
না,না।আমি এইসবে নাই।পরে কোন ঝামেলা হইলে দেখা যায় জামাই বৌ ঠিক,সাক্ষীর দফারফা।
আরে কোন সমস্যা নাই।আর ঝামেলায় পড়লে কি তুই একলা পড়বি?আমিও তো পড়বো।
টেনশন তো এই জন্যেই।
আমার না হয় জেলের ভাত খাইয়া অভ্যাস আছে।তুই থাকবি কেমনে?
চুপ থাক।আর একটাও কথা না।
আমিও ঝিম মেরে গেলাম।শত হোক তানির হুকুম বলে কথা।
কাজী অফিসের সামনে নেমে রিকশা ভাড়া দিতে গিয়েই বিপত্তি।মামুর কাছে ভাঙতি নাই।আমার দিকে তাকাতেই আমি বলে ওঠলাম,পকেটে টাকাই নাই,ভাঙতি পামু কৈ?
অগত্যা টাকা ভাঙতির জন্য ছুটলাম।দোকানদার ভাঙতি দিলো চারটা সিগারেট কেনার বিনিময়ে।
আমার পকেটে টাকা নাই,তাই অবশ্যম্ভাবীভাবে সিগারেটের বিল তানির টাকা থেকেই দিতে হলো।
সিগারেট ফুকতে ফুকতে মামুরে নরমাল ভাড়া থেকে ৫টাকা বেশি দিয়া দিলাম।সিগারেটে টান দেয়ার পর মনটা কেন জানি খুশি খুলি লাগছিলো।
তানির দিকে ঘুরতেই দেখি আমার দিকে অগ্নিদ্ ষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
তুই সিগারেট খাচ্ছিস আবার?
আরে আমি কি খাইতে চাইছি নাকি।দোকানদারে কয় সিগারেট না কিনলে ভাঙতি নাই।
ও তাই।দোকানদার এইটা বলছে।
আমি আর কিছু না বলে কাজি অফিসে গিয়ে ঢুকলাম।তানিও ঢুকলো পেছন পেছন।ঢুকতেই দেখি ওর বান্ধবী আর তার হবু বর বসে আছে।মিয়াবিবি রাজি, তো ক্যায়া কারেগা কাজি।কাজীর কিছু করার নাই।সাক্ষী ছাড়া কিছুই করার নাই।বুঝতে পারলাম বিয়েতে ভাইটাল রোল টা প্লে করে সাক্ষীরাই।নিজেকে খুব হামবড়া টাইপের মনে হতে লাগলো।
বিয়ে পড়ানো হয়ে গেলে বর কনেকে মিস্টিমুখ করিয়ে রিকশায় ওঠলাম।বিয়ে দেখার পর তানির প্রতি ভালোবাসা বেড়ে গেলো।ইচ্ছা করছিলো ভালবাসার কথাটা বলে এখনই বিয়ের জন্য রাজি করিয়ে ফেলি পাগলিটাকে।
ওর বাসার সামনে রিকশা এসে থামতেই রিকশার ভাড়া মিটিয়ে দিয়ে বললো,মামা ওকে যেখানে নামিয়ে দিতে বলবে সেখানে নামিয়ে দিয়েন।এই বলে রিকশাওয়ালাকে অতিরিক্ত ৫০ টাকা দিয়ে দিলো।আমার দিকে তাকাতেই আমি হাসি হাসিমুখ করে তাকিয়ে রইলাম।
যা গাধা,হলে যা।আর দাড়িগোফ শেভ করিস।জংলী জংলী লাগে।
আমি এইবারো হাসি হাসি মুখ করে তাকিয়ে রইলাম।
বাসায় ঢুকে গেইট থেকে হাত নাড়িয়ে বিদায় জানালো তানি।প্রতি উত্তরে আমিও হাত নাড়লাম।
রিকশা চলতে শুরু করেছে।পায়ের উপর পা তুলে সিগারেট ফুঁকছি আর আকাশ দেখছি।পকেট থেকে মোবাইল বের করে তানিকে একটা ফোন দিলাম।রিসিভ করার সাথে সাথেই শুধু তিনটা শব্দের বিস্ফোরণ ঘটালাম,আই লাভ ইউ।ওপাশটা নিরুত্তর।
সময় পেরিয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি সেকেন্ড যাচ্ছে আর বুকের ভিতর ড্রামের বাড়ি পড়ছে।কি হবে তানির উত্তর?জানা যাবে একটু পরেই..
ভাল লাগল।
ধন্যবাদ
তানি উত্তরের অপেক্ষায় রইলাম।
uttor to dey na taniiii
একটু অপেক্ষা
হুম । এইটা দেয়া যায়
উক্ত কারনে আপনার লেখাটি ব্লগের প্রথম পাতা থেকে সরিয়ে নেয়া হইলো! ব্লগ নীতিমালা মেনে এবি ব্লগে লেখালেখি করার অনুরোধ থাকলো!
তানির উত্তরের অপেক্ষায় রইলাম।
মন্তব্য করুন