অনুভুতির ব্যবচ্ছেদ
অনুভবের সামষ্টিকতা কি আছে? সামষ্টিক অনুভবের বিভিন্ন প্রকাশ দেখি হরহামেশাই, কিন্তু প্রতিবারই একই রকম সংশয় রয়ে যায়, ব্যক্তিগত অনুভবের জায়গা থেকে ব্যক্তি যতটুকু অনুভব করে একই রকম প্রতিক্রিয়াব্যক্ত করা সবাই কি ঠিক একই অনুভবে উদ্দীপ্ত কিংবা আক্রান্ত বোধ করে? সামষ্টিক অনুভব অনেকাংশেই সম্ভবত সামাজিক-রাজনৈতিক অনুভব, সেখানে ব্যক্তির ব্যক্তিসত্ত্বা, ব্যক্তিগত অনুভব সামষ্টিকতায় বিলীন হয়ে যায় এবং গণের স্বর ধারণ করতে উন্মুখ ব্যক্তি নিজের একান্ত অনুভবকে বিন্দুমাত্র পাত্তা না দিয়ে সামাজিক -রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়াকে নিজের অনুভব হিসেবে অনুভুত করতে শিখে। এই ব্যক্তিসত্ত্বার বিলীয়মান অবস্থা কিংবা স্বকীয় ভাবনাকে বিসর্জন দেওয়ার অভ্যাসটুকুই রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
ব্যক্তিগত সংস্কৃতিচর্চা নিজের দৈনন্দিনতা, আমার খাদ্যাভ্যাস, আমার পাঠ্যরুচি, আমার গৃহসজ্জ্বা এবং আমার নিজস্ব অভ্যস্ত পরিমন্ডলে আমার স্বাচ্ছন্দ্য ঘোরাফেরার পোশাক-পরিচ্ছদ, আমার ভাবনা ধারণ করা বাক্য, আমার আক্ষেপ ধারণ করা দ্বীর্ঘশ্বাস, আমার নৈ:শব্দ এবং আমার শব্দময়তার সবটুকুই আমার ব্যক্তিগত সংস্কৃতি, আমার উৎসবমুখীনতা, আমার আড়ম্বর আমার কৃষ্টি। আশৈশব অভ্যাস কিংবা অভ্যস্ততায় হয়তো একটা নির্দিষ্ট অঞ্চলে একই রকম ব্যক্তিগত সাংস্কৃতিক ধারা খুঁজে পাওয়া যাবে, কিন্তু ব্যক্তিগত পর্যায়ে ব্যক্তিরুচি এবং অভিরুচির বাইরে কোনো সংস্কৃতি নেই।
আমরা আমাদের বাঙালীয়ানার গৌরবের কোন অংশটুকুকে বাঙালিয়ানা ভাবি? আমাদের স্বদেশ সংস্কৃতি সচেতনতার কোন অংশটুকু নিছক বাঙালীয়ানা? একটা মোজাইক সমাজে প্রতিটা ভিন্ন রুচির ভিন্ন সংস্কৃতির মানুষ নিজস্ব সংস্কৃতি নিয়ে বিদ্যমান, সেখানে নিজের মাপের-ছাটের পোশাক সংস্কৃতি জন্মাচ্ছে, স্টাইল তৈরি হচ্ছে, ফ্যাশন বদলাচ্ছে, কেতাদুরস্ত হয়ে থাকবার তাগিদ ও প্রেষণা আসছে, গণমাধ্যম বাণিজ্যিক প্রয়োজনে বিভিন্ন বিষয়ের প্রচার করছে এবং আমরা ভোক্তা হিসেবে নিজেদের সংবেদনশীলতার হ্যাংলামিতে সেটাকেই সংস্কৃতি বলে আঁকড়ে ধরছি।
হালখাতার বাইরে বাৎসরিক ওরস, আর বিভিন্ন ধর্মীয় পুরুষদের জন্ম-মৃত্যু এবং কল্পিত অর্জনের দিনগুলোতে সামষ্টিক কেনাবেচার বাইরে আমাদের যৌথ সংস্কৃতি কোথায়? আবহমান কালের যে সকল সাংস্কৃতিক চিহ্নকে আমরা ইদানিং বাঙালিয়ানা বলছি সেসবের জন্মসন খতিয়ে দেখলে সেটা ৫ দশকের বেশী দুর পৌঁছাবে না। অবশ্য অর্ধশতাব্দীর চর্চার জড়তা নিশ্চিত আছে। মাঝের দুই প্রজন্মের ব্যবধানে যা হঠাৎ কতিপয় সংস্কৃতিসেবীদের নিজস্ব প্রতিবাদের স্বর ছিলো তাই উৎসচ্যুত হয়ে সামষ্টিক উদযাপনের উৎস হয়ে উঠে।
নিছক কৌতুহলে একজনকে প্রশ্ন করেছিলাম আমরা আমাদের সংস্কৃতি রক্ষায় উদগ্রীব, সংস্কৃতি উচ্ছন্নে যাচ্ছে ভেবে উদ্বিগ্ন কিন্তু আমাদের এই পরিবর্তনশীল সময়ে আমাদের সংস্কৃতির শেকড়টা স্পষ্ট জানা প্রয়োজন। আমাদের বাঙালী সংস্কৃতি আদতে কি? আমাদের লোকগীতি আমাদের লোকজ সংস্কৃতি এবং আমাদের গ্রাম্য অসংস্কৃত মানুষের নিত্যদিনের চর্চিত জীবনযাপনই কি আমাদের সংস্কৃতি?
আমাদের লোকজ সংস্কৃতির চর্চার ক্ষেত্রেও আমরা প্রাইভেসী, সচেতনতা, ব্যক্তিগত আড়ালের জায়গা খুঁজে নিয়েছি, এখন ভোর হলে হাতে বদনা নিয়ে নদী তীরে প্রাত:কৃতে যাওয়া মানুষের লোকজ সংস্কৃতি অনুসরণে আমাদের শহুরে মানুষদের স্পষ্ট আপত্তি থাকবে। আমাদের শহুরে জীবনের মার্জিত আচরণগুলো পরিশুদ্ধ হয়েছে, অন্যান্য মানুষের রুচিবোধ এবং অসস্তিবোধ বিবেচনা করে আমরা সকলের জন্য গ্রহনযোগ্য একটি শহুরে সংস্কৃতি প্রচলন করেছি এবং সেটাকে পারিবারিক সংস্কৃতির আবহ দিয়েছি।
একই ভাবে আমাদের উচ্চারিত শব্দগুলোও পরিবেশের প্রভাবে সংস্কৃত হয়েছে, এভাবেই প্রতিনিয়ত আমাদের জীবনযাপন সংস্কার হয়, কিছু যুক্ত হয় কিছু বর্জিত হয়, সংস্কৃতির ধর্মই এমন, সংস্কৃতি পরিবর্তনশীল। সেখানে চিরন্তনতা নেই, একটা ধারাবাহিক স্রোতের কোনো একটি মুহূর্তে আমি আছি, আমার ব্যক্তিগত অভ্যস্ততাসমেত আমার অস্তিত্ব যেটুকু সামাজিক প্রভাব গ্রহন করতে পারছে সে মুহূর্তে সেটুকুই আমার সামষ্টিক সংস্কৃতি, এর বাইরে আমি আবহমান কালের সংস্কৃতির নদীতে নেই।
সীমারেখা ও স্পষ্টতাবিহীন একটি কল্পিত ঐতিহ্যকে কোথাও স্থাপন করে সেটাতে পবিত্রতা আরোপ করলে সেটা এক ধরণের কাল্ট তৈরি করতে সক্ষম, সেই পবিত্রতা আরোপ কিংবা প্রশ্নবিহীন আনুগত্যের বাধ্যবাধকতা আরোপের জায়গাটা একেবারেই রাজনৈতিক। প্রথাকে প্রশ্নাতীত রাখতেই হবে কারণ প্রথা মূলত: সামষ্টিক নির্বোধ আচরণের অনুশীলন। সবাই কোনো প্রশ্ন না করেই অনুসরণ করছে, সেই গণের স্রোতে ভাসতে হবে, গণের একজন হয়ে থাকতে হবে সেই প্রেষণার বাইরে প্রথার আলাদা কোনো গুরুত্ব নেই।
সে কারণেই হঠাৎ করেই দুই যুগ আগে কতিপয় সংস্কৃতিসেবী ভ্যালেন্টাইনের আগমনে উৎফুল্ল কিংবা বিমর্ষ হয়ে শুরু করলেন বসন্তবরণ উৎসব, মানুষ উৎসবের উপলক্ষ্য খুঁজে, সেই উৎসবের অন্য সবার ভেতরে নিজেকে স্থাপন করে নিজের ব্যক্তিগত সত্ত্বাকে লুকিয়ে রাখতে চায় কিংবা নাগরিক জীবনযাপনের বিচ্ছিন্নতাবোধে যেটুকু একাকীত্ববোধ সেটুকু ভুলতেই মানুষ এইসব নাগরিক উৎসবে ব্যপক অংশগ্রহন করে।
উৎসব নির্মাণ করা যায়, প্রথা নির্মাণ করা যায়, পৌষ সংক্রান্তির উৎসবটুকু বাংলাদেশের অন্যান্য স্থানে যেমনই হোক না কেনো পুরানো ঢাকায় এটা ঘুড়ি ওড়ানোর উৎসব, পুরোনো ঢাকার সাকরাইন যে সংক্রান্তির অপভ্রংশ সেটা পুরোনো ঢাকার অনেকেই জানে না, কিন্তু তারা সবাই পৌস সংক্রান্তির এই ঘুড়ি উৎসবে ব্যপক অংশগ্রহন করে।
পৌষের সূচনায় ইদানিংনবান্ন উৎসব শুরু হয়েছে, সেই বাঙালীর অতীত ঐতিহ্য, সমৃদ্ধ সচ্ছল অতীতের স্মৃতিচারণ, সেখানে পিঠা-পুলি আর নতুন সব্জির স্বাদ নিতে সবাই আত্মীয় স্বজনদের বাসায় যাবে এই ঐতিহ্যকে অনুসরণ করতে চাওয়ার একটা প্রবনতা এখন নবান্ন উৎসবের অংশ হচ্ছে।
চৈত্র সংক্রান্তিতে চড়ক পূজা কেনো হতো এটা এখন সম্ভবত যারা চড়ক পূজা করেন নিয়মিত তারাও বলতে পারবেন না। একটা উৎসবকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন পূরাণকথা উপকথা জন্মায়, রূপকথা এবং রূপকে আচ্ছাদিত হয়ে ভবিষ্যতে যেটুকু পৌঁছায় সেখানে তেমন আলাদা কোনো সারবস্তু থাকে না।
সুদুর অতীতে হয়তো কোনো প্রয়োজন ছিলো, যে সময় ঋতুর পরিবর্তন অনুভবে আলাদা করে ক্যালেন্ডার ছিলো না , সুর্যের উদিত হওয়ার দিক, বাতাসের গতির পরিবর্তন, নদীর স্রোতের রং আর ঢং এর পরিবর্তন দেখে যেসব মানুষ ঋতুর পরিবর্তনটুকু উপলব্ধি করতে পারতো তারাই বিভিন্ন ঋতুর আগমনে কিংবা সমাপ্তিতে অন্য সকল গোত্রবাসীকে অবহিত করতো। আকাশে তারাদের অবস্থান পরিবর্তন কিংবা গাছের পাতার রং আর রসের পরিবর্তন দীর্ঘ দিন পর্যবেক্ষণ করে এমন দক্ষতা অর্জন করেছিলো তারা বাতাসের গন্ধ শুঁকেও তারা বলে দিতে পারতো কোথায় বৃষ্টি হচ্ছে সে বৃষ্টি কবে আসবে । সেসব সামাজিক প্রয়োজন এখন আর নেই, ক্যালেন্ডারের পাতা দাগিয়ে উৎসবে সামিল হওয়া এবং কেতাদুরস্ত সাজবার দিন এখন।
ইদানিং ঢাকায় জানুয়ারীতে বাণিজ্যমেলা আমাদের নাগরিক সংস্কৃতির অংশ হয়েছে , হয়তো আমাদের বাণিজ্যের প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলেও জানুয়ারীতে বাণিজ্য মেলা হবে, যেমন ভাবে সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে আছে ফেব্রুয়ারীর বাংলা একাডেমী বই মেলা। সেই সামষ্টিকতার অনুভব পেতে চাওয়া মানুষের আনন্দ এটাই।
মানুষের সামষ্টিকতাবোধটুকুকে উস্কে দিতেই ধর্মীয় সংস্কৃতি, ধর্মীয় সম্প্রদায় এবং ধর্মীয় অনুভুতিগুলোর রাজনৈতিক ব্যবহার হয়েছে। ব্যক্তিগত বিশ্বাসের মাত্রাভেদ আছে কিন্তু সামষ্টিক ধর্মীয় অনুভুতি মাত্রাপরিমিতিবোধহীন। শুঁয়োপোকার মতো ধর্মীয় অনুভুতির শুঁয়োগুলো সব দিকেই ছড়ানো এবং প্রতিটি শুঁয়োই সমান রকম বিষাক্ত এবং সংহারি।
একটা চোর যখন গনপিটুনিতে রক্তাক্ত হয়ে আল্লাহ আল্লাহ ডাকে তখন মানুষের ভেতরে ধর্মীয় ভাতৃত্ববোধ জন্মায় না, তার এই উচ্চারণ সকল ধর্মবিশ্বাসী মানুষকে তার প্রতি সহানুভুতিশীল করে তোলে না। কিন্তু সেই মানুষটাই নিছক কৌতুকে আক্রান্ত বোধ করে, একজন মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করার নৃশংসতা তার ধর্মবোধ কিংবা মানসিক কোমলতাকে আক্রান্ত করে না, কিন্তু নিছক মোহাম্মদ কদু তার অনুভুতিতে এতটাই প্রবল আঘাত করে সে সামষ্টিক অন্ধত্ব বরণ করে।
এই গণের ভেতরে নিজেকে প্রবিষ্ট রাখবার প্রবল বাসনার রাজনৈতিক প্রয়োগ উন্মুক্ত অন্তর্জালে ভীষণ ক্রকমের পীড়াদায়ক হয়ে উঠেছে। জাতীয়তাবোধের উন্মাদনা, ধর্মীয় বোধের উন্মাদনা, নিজেকে সার্বক্ষণিক আক্রান্তবোধ করবার মানসিক ব্যধি, সব মিলিয়ে জীবন যাপনে স্বাচ্ছন্দ্যের জায়গাটুকু কমে যাচ্ছে। আমার সংস্কৃতি চর্চার যে জায়গাটাতে আমি নিজের ভেতরের আড়াল খুলে নিজের ভাবনা প্রকাশ করছি সেই একান্ত জায়গাটাতে অনেকেরই আনাগোনা এবং তাদের হাজার দিকে ছড়িয়ে থাকা ধর্মীয় অনুভুতি, স্বদেশপ্রেমাণুভুতি এতসব আমলে এনে নিজের ভাবনা প্রকাশ করা প্রতিদিনই আরও বেশী কঠিন, কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে।
সাহসী কথাবার্তা ভালো পাইলাম।
বাহ্ ভালই তো।
কিন্তু অনেক প্রশ্ন থেকে যায়।
পড়েছি আগেই,কিন্তু আমি আসলে বেশি কিছু লিখতে পারিনা,তাই কি বলবো বুঝতে পারছিলাম না ,ভালো লেগেছে
ভালো লেগেছে।
চমৎকার লেখা।
মিডিয়া/কর্পোরেটগুলি তাদের স্বার্থে যেভাবে সাজায় আমাদের সংস্কৃতি সেভাবেই গিয়ে দাড়াবে একসময়। বাঙালিয়ানা/বাঙালী সংস্কৃতিটার বর্তমান পর্যায় নির্ধারণের জন্য প্রথম আলো প্রদত্ত একটা সর্বজনস্বীকৃত ঘোষণার দরকার হয়ে গিয়েছে মনে হয়।
এবার ১৫ ডিসেম্বর রাত বারোটা বাজার আগে এক চ্যানেলে (বৈশাখী বা বাংলাভিশন) দেখলাম কাউন্ট ডাউন করছে ১০,৯,৮..... করে!!! আমার মাথায় ঢুকলো না বিজয় দিবস পালনের জন্য কাউন্ট ডাউনের দরকারটা কী!
শেষ প্যারার ব্যাপারে- আপনি কি ইদানীং অন্যদের মতামত/প্রতিক্রিয়া নিয়ে ভাবেন নিজের মত প্রকাশের আগে!! ব্লগসূ্ত্রে যতটুকু চিনি আপনাকে তাতে ঠিক আপনার সাথে গেলো না বিষয়টা!! অবশ্য আপনার বক্তব্য আত্মস্থ করায় আমার দুর্বলতাও হতে পারে বিষয়টা।
কিছুটা অসস্তি তো কাজ করেই। মতামত প্রকাশ করে কোনো বক্তব্য দিলে এখন সে বক্তব্যের উৎস সন্ধান করতে হয়ে, সে বক্তব্যের পেছনের যৌক্তিকতা নির্মাণ করতে হয়। যেসব ক্ষেত্রে আগে বিরক্ত হয়ে গালি দিতাম এখন গালি দেওয়ার স্পষ্ট অনাগ্রহে এড়িয়ে যেতে হয় কিংবা তেতো মুখে শোভন ভাষায় প্রতিক্রিয়া লিখতে হয়।
সংস্কৃতি সংস্কার করতে গিয়ে কিঞ্চিৎ ঝামেলা হচ্ছে, বিরুদ্ধ মত প্রকাশ কিংবা সমর্থন প্রকাশের ক্ষেত্রে ভাষা নির্বাচনের এই ঝামেলা , ঐতিহাসিক বিষয়ে মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে বক্তব্যের সমর্থনের তথ্য অনুসন্ধান এবং কিঞ্চিৎ পলিটিক্যালি কারেক্ট থাকবার প্রচেষ্টা স্বাধীন মত প্রকাশের ক্ষেত্রে বাধার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
এইসব প্রচেষ্টার ভেতর দিয়ে নিরাবেগী মত প্রকাশ করায় পারদর্শীতার বাইরে তেমন কোন অর্জন হচ্ছে না।
তেতোমুখে শোভন ভাষায় প্রতিক্রিয়া লেখাটা ব্লগ নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবনার পরোক্ষ প্রভাব কিনা ভেবে দেখার আহবান জানাই।
আর ভাষা নির্বাচনে শোভন থাকাটা মেনে নিতে পারি (হয়ত প্রয়োজনীয়ও বটে), কিন্তু বক্তব্য প্রদানে পলিটিক্যালি কারেক্ট থাকাটা মনে হয় সবসময় জরুরী না। ব্লগার যদি সেলফ সেন্সরশিপের দিকে যায় সেক্ষেত্রে ক্ষতিটা পাঠক-ব্লগার দু'তরফেরই।
'পলিটিক্যালী কারেক্ট' থাকার প্রয়োজন নেই, পলিটিক্যালি ইনকারেক্ট থাকাটাই প্রয়োজন কিন্তু ' পলিটিক্যালী কারেক্ট' থাকতে হয় সময়ের প্রয়োজনে। কারো প্রতি ব্যক্তিবিদ্বিষ্ট হয়ে কোনো সম্প্রদায়ের প্রতি হীন মন্তব্য না করাটা পলিটিক্যালি কারেক্ট থাকা।
সহমত।
এ পর্বে সমস্যাগুলো পড়লাম, পরের পর্বে কি করলে সমস্যা থেকে উত্তরন হতে পারে তা নিশ্চয়ই জানবো
ভাল লাগছে
মন্তব্য করুন