পর্দার আড়ালে
আমার বন্ধু লতিফুল কবির লিটন আর এক বন্ধু ইকবালুর রহমান রোকন যাদের আপনারা প্রতিদিন একাধিক পোষ্টে ফেবু দেখতে পাবেন।প্রথমজন কানাডা প্রবাসী আর দ্বিতীয়জন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।তারা দুইজন বর্তমান দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের সমর্থক/নেতা।দলে তাদের অবস্থান বা নেতৃত্বের উচ্চতা মাপা আমার উদ্দেশ্য নয়।তবে আমার বন্ধুদের মধ্যে অনেকে এবার সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হবেন এটা নিশ্চিত। সবাইকে বাদ দিয়ে আমি এই দুইজনকে কেন আমার লেখার প্রথমেই নিয়ে এলাম।আশা করি লেখনির পরিসমাপ্তি তে তার উত্তর পাব।
ফেবুতে মাঝে মাঝে ওদের কি বোর্ড যুদ্ধ দেখলে আমার হিন্দী সিনেমা হাংগামার নায়িকা রিমি সেনকে নিয়ে দুই নায়ক আফতাব সিবাদাশন ও অক্ষয় খান্নার লড়াই এর কথা মনে পড়ে যায়।দুজনের বাকযুদ্ধ আকাশ ছোয়া হলেও কেউ একবারও কাওকে আক্রমণ করার হিম্মত দেখাতে পারেন নি।তাই নিয়ে নায়িকা রিমির অভিব্যক্তিটাও যারা ছবিটা দেখেছেন তাদের নিশ্চয়ই মনে আছে।আমার বন্ধু দুজনের অবস্থাও ঠিক তেম্নই।কি বোর্ড যুদ্ধে মনে হয় সামনা সামনি থাকলে একজন হয়ত আর একজন কে কাচাই খেয়ে ফেলতো। কিন্তু আসলে ঘোড়ার আন্ডা। লতিফ কেন? আমাদের যে কো্ন বন্ধু দেশে এলে প্রত্যেকের জন্যই আমরা বিশেষ পার্টির আয়োজন করে থাকি।আর তাতে ইকবালের ভুমিকা সর্বদাই অগ্রগন্য।এবার লতিফ দেশে এলে আমরা ওর সৌজন্যেও বিশেষ পার্টির আয়োজন করেছিলাম।
তবে যাই হউক না কেন ওই ছবিটা দেখে আমি অনেক মজা পেয়েছিলাম।
আর ছবির সেই গানটা,
আজ তুজছে যো কেহেনা হে
কেহেনে দে,
তেরা দিল মেরে পাস রেহেনে দে-২
আজ তুজছে যো কেহেনা হে
কেহেনে দে,
মেরা দিল মেরে পাস রেহেনে দে-২
মেরে আখে তেরে চেহেরা,
চেহেরেপে দিল ঠেহেরা
মেরে ধরকান পে হারদম
তেরে আদোকা পেহেরা,
আ………।
বেতাপে তরপায়ে
দিল মেরা ঘাবড়ায়ে
তেরে বাতকা জাদু
মোছপে না চলপায়ে
এ দরদে মোহাব্বত ছেহেনে দে
তেরা দিল মেরে পাস রেহেনে দে।
আজ তুজছে যো কেহেনা হে
কেহেনে দে,
মেরা দিল মেরে পাস রেহেনে দে-২।।
তেরে হোটোসে খেলো
তেরে জুলফো সুলযায়ো
তোজে বাহুমে লেকে
তেরে তনমন মিটায়ো
আ………………।
মাস্তানা আনমহে
মওসুম হে সিন্দুরী
ডর লাগতাহে মুজকো
রেহেনে দো কুছ আধুরী।
মোজে রগ রগ মে তেরী- বেহেনে দে।
তেরা দিল মেরে পাস রেহেনে দে।
আজ তুছছে যো কেহেনা হে
কেহেনে দে,
মেরা দিল তেরে পাস রেহেনে দে-২
আজও মাঝে মাঝে যখন শুনি খুব ভাল লাগে।
গত ২৬ সে আগষ্ট ২০১৩ খ্রীঃ হরিপুর ৪১২ মেঘা ওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুত কেন্দ্র মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সেখ হাসিনার উদ্বোধন আগে লতিফুল কবির লিটন তার ফেবু স্টেটাসে লিখেছিল REOSA র কোন ইঞ্জিনিয়ার কোন ভাবে কি এখন পর্যন্ত এই সর্ববৃহৎ বিদ্যুত কেন্দ্রের সাথে জড়িত। আমি সরাসরি এ প্রকল্পের সাথে যুক্ত না থাকায় এবং সময়ের অভাবে আমি সে সময় কিছু লিখতে পারিনি।এ প্র্কল্পটি কোরীয়ান কোম্পানি হোন্দাই ও দেশীয় সহযোগী কোম্পানি বেক্সিমকো ও বাংলাদেশ ফাউন্ড্রি এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্ক্স মিলে সম্পন্ন করে। আমি বাংলাদেশ ফাউন্ড্রি এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্ক্স কোম্পানির হয়ে কাজটি পাওয়ার জন্য কোটেশন করি। তার জন্য আমাকে আমার কম্পানির পক্ষ হয়ে বেশ কয়েকবার(কোম্পানির এম ডি সহ) হোন্দাই কোম্পানির সাথে আলোচনায় বসতে হয়। তবে হোন্দাই কোম্পানির সিদ্ধান্ত ছিল এত বড় কাজ কোন এক কোম্পানিকে দিবে না। তাই শেষ পর্যন্ত ১ম ও তৃত্বীয় অংশ বেক্সিমকো এবং দ্বিতীয় অংশ বাংলাদেশ ফাউন্ড্রি এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্ক্সকে করার জন্য কার্যাদেশ প্রদান করে।কার্যাদেশ পাবার সপ্তাহ খানেক পর আমি বাংলাদেশ ফাউন্ড্রি এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্ক্স থেকে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ইরেক্ট্ররস লিঃ এ যোগদান করি। এই বাংলাদেশ ইরেক্ট্ররস লিঃ ই এ পর্যন্ত বাংলাদেশের সব চাইতে বড় ৫০০ মে ওয়াট সাব ষ্টেশন ( ভেড়ামারা, কুষ্টিয়া) এবং ৪০০ কে ভি ট্রান্সমিশন লাইনের কাজ জার্মান কোম্পানি সিমেন্স এর সাথে দেশীয় সহযোগী কোম্পানি হিসেবে সুসম্পন্ন করে।
আজ প্রধান মন্ত্রী এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
একখানা গানে রূপালী পর্দায় একজন অভিনেতা যখন ঠোট মিলান, পর্দার দর্শকরা জানেন না কে এর গীতিকার কে এর সুরকার ও গায়ক। তেমনি একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে কত শত হাজারও মানুষের শ্রম ও মেধা তার পিছনে কাজ করে তার খোজ রাখা বা রাখার অবকাশ আছে কি? জীবিকার তাগিদে বা দায়ীত্ব বোধের জন্য কতজন নির্ঘুম রজনী শেষে
ফজরের আজানের ধ্বনি বা মন্দিরে কাসার ঘন্টা শুনে কর্মস্থলের পাশেই কোথাও সৃষ্টিকর্তাকে তার অসীম নেয়ামত প্রদান করায় শুকরিয়া জানানোর জন্য দাড়ায় নামাজ পড়তে বা মনে মনে হরিনাম জপতে।
(চলবে)
খুব ভাল একটি বিষয় এনেছে। ভাল লাগল।
ধন্যবাদ আপু। দোয়া চাই যেন লেখাটা শেষ করতে পারি।
ভাল লাগল
পড়ছি
মন্তব্য করুন