নত শিরে
আমার ভালবাসার মাত্রা
আর কটটুকু হলে
তোমার ভালবাসাকে ছুতে পারব।
আর কত নদীর জল সমুদ্রে প্রবাহিত হলে
তোমায় ভালবাসায় সিক্ত করতে পারব।
আর কত ফুল বাগানে ফুটলে
তোমার ভালবাসার মালা গাথা হবে।
আর কতটি বিনিদ্র রজনী অপেক্ষার পর
ভোরের সূর্যের উদয় হবে।
সে ভোর শরত হেমন্ত, শীত, বসন্ত
বর্ষা, গ্রীষ্ম যাই হউক না কেন?
তাতে কি আসে যায়?
যদি শুনি তোমার ভালবাসা
আমার দ্বারপ্রান্তে,
তখন, তখন যে
সব কিছু ফিকে হয়ে
তা যে হবে ঐশ্বরীয়।
কি বললে! তোমার ভালবাসায়
কি এমন লাভ?
হা!হা! হা!......
কি পাগল হয়ে গেলে নাকি?
এমন কথা শুনলে কে না পাগল হয়?
ভালবাসা কি কেউ কখনো লাভ ক্ষতি
ভেবে করে।
আমি তোমাকে ভালবাসি
তোমাকে ভাল লাগে এটাই শুধু জানি।
বিশ্বাস কর এটাই শুধু জানি।
তাতে
আমার নিজের উপর আমার কোন
নিয়ন্ত্রন নেই। আমি কে? আমি কি?
আমার.........।
বিশ্বাস হয় না?
তোমার অনুমতিতে,
রক্ত হয়ে
যখন তোমার শিরা উপশিরায়
বয়ে বেড়াব, তুমি বুঝবে?
অক্সিজেন হয়ে
তোমার নিশ্বাসের সাথে মিশে
তনু তনু সঞ্চালিত হব, তুমি বুঝবে।
বাতাস হয়ে তোমার শরীর নামক
অবয়ব খানির শাখা প্রশাখা
পত্র পল্বব
এমণ কি পত্র পল্ববের রগে রগে
বিচরণ করব-তুমি বুঝবে!
তুমি বুঝবে
আমিও বুঝব।
তবে আমি বুঝব ও ভাবব
সে কত মহান বা কত সৌন্দর্য প্রিয়
যে তোমাকে সৃষ্টি করছে।
তাই সে মহান শ্রষ্টার কাছে
নত শিরে নিজেকে সমর্পন করলাম।
সদাই করব।
সিরাজগঞ্জ,
অক্টোব্র,১১,২০১৩ খ্রীঃ
ধন্যবাদ আপু
(আমার ভালবাসার মাত্রা
আর কটটুকু হলে
তোমার ভালবাসাকে ছুতে পারব।
আর কত নদীর জল সমুদ্রে প্রবাহিত হলে
তোমায় ভালবাসায় সিক্ত করতে পারব।
আর কত ফুল বাগানে ফুটলে
তোমার ভালবাসার মালা গাথা হবে।
আর কতটি বিনিদ্র রজনী অপেক্ষার পর
ভোরের সূর্যের উদয় হবে। ...)
তোমাকে ভালোবাসার জন্য/কোন এক নদীকে
- শাশ্বত স্বপন -
ছোট্র এক নদীর কাছে
আমি ভালবাসা চেয়েছিলাম।
নদীকে বলেছিলাম,
জীবনের না পাওয়া সীমাহীন গল্প।
নদী, আমাকে একটু ভালবাসা দেবে?
এক টুকরো লাল ফিতের মত ভালবাসা
অতি-দূর নক্ষত্র থেকে ছিটকে আসা
আমি এক উত্তপ্ত মরুভূমি।
যার ঠিকানা--চিরজ্বলন্ত মহাশ্মশান
যার অন্তর আর বাহির বড় জ্বালাময়
যার অন্তরাত্মা ছিন্ন করেও
একটু সুখ, একটু শান্তি পাওয়া যাবে না।
শতাব্দির পর শতাব্দি ধরে
আমি ক্লান্ত, নীড় হারা পাখির মত
ক্রমাগত ছুটছি, ক্রমাগত ছুটছি
কোন এক নিদ্রাহরণীর ছোঁয়া পেতে
একটু ভালবাসার জন্য।
মেঘের কাছে, পাহাড়ের কাছে
শিলার কাছে, অরন্যের কাছে, ঝরণার কাছে
এমনকি ভোরের শিশিরের কাছে
আমি ভালবাসা চেয়েছি।
কেউ কথা দিলেও
শেষ কথা, কেউ রাখেনি।
তবে হ্যাঁ, শিশির ভালবাসা দিয়েছিল
সকালের এক চিলতে কিরণ
সে ভালবাসা কেড়ে নিয়ে গেছে।
আজ থেকে সাড়ে চারশ কোটি বছর আগে
আমার জন্ম; এতটা বছর
শুধু ভালোবাসার কাঙাল হয়েই
সৌরজগতের আনাচে-কানাচে ঘুরেছি
পাইনি কারো সামান্য বিশ্বাস।
সমুদ্রের ডাকে ছুটে গিয়েছি
স্রোতের আঘাত পাথরের মত সয়েছি।
আজো, মরুভূমি হয়েই আছি।
আমি জানি, আমি কারো স্পর্শ পাব
কবে পাব, জানি না ।
শতাব্দির সিঁড়ি বেয়ে বারবার জন্ম নিয়েছি আমি
এ জন্ম, নদী, আমি তোমার কাছে এসেছি।
নদী আমার সমস্ত দুঃখ-যন্ত্রণা
নিরব ভাষায় বুঝেছিল
এক ফোঁটা বিশ্বাসও দিয়েছিল
নদীর চুলের সিঁথিতে সিঁদুর দিতেই
হঠাৎ করে বলল,
‘তুমি দাঁড়াও, অপেক্ষা কর...।’
আমি দাঁড়িয়েছিলাম, অপেক্ষা করেছিলাম
পুরো এক হাজার বছর;
নদী আর ফিরেনি।
সিঁদুরে হাত, আজ রক্তের প্রবাহ বয়ে চলে...
আমার জানা ছিল না
সব নদীর একাধিক মুখ থাকে।
- See more at: http://community.skynetjp.com/id526.htm#sthash.XEUeoJn6.dpuf
কি লিখব স্বপন ভাই, আমি চেষ্টা করব আপনার এত সুন্দর কবিতাটা সংগ্রহে রাখতে।
ভাই আপনি আমার লেখায় আপনার কবিতা সংযুক্ত করে আমাকে যে সন্মান দেখালেন তা কখনও ভুলার নয়।
আমি ও দেই
ধন্যবাদ, তবে টিপসই ভাল লাগলে দিতে হয় না, অপছন্দ হলে দিতে হয়। আজ জানিনা। তাই জানালে খুশি হতাম। ঈদে কি নীলফামারী যাবেন।
মন্তব্য করুন