প্রেম সাতবারই এসেছিল জীবনে- ১
রাজ্জাকের জীবনটাকে বর্ণাঢ্য বলাই যায়। এ পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ প্রেম হয়েছে ৭টা। অর্ধাঙ্গ, সিকি-অঙ্গ অনেক। সেগুলো গণনার বাইরে। বেঁচে থাকলে ১৪টা পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম হবে আশা করা যায়। রাজ্জাক নিঃসন্দেহে একদিন হোমো এরশাদকে ছাড়িয়ে যেতে পারবে।
তো আসুন, ৭ পর্বের প্রথম পর্বটা দেখে নিই।
ববিতা রাজ্জাকদের বাড়িতে আসত আত্মীয়তার সূত্রে। রাজের চোখ পড়ল ববির ওপর। যদিও ববি বছর দুয়েকের বড়ই হবে রাজের চেয়ে। তার ওপর মেয়েটা মারাত্মক দেমাগি। রাজ ঘুরঘুর করে। ববি পাত্তা দেয় না। এভাবে প্রতিবারই রাজের বুক খান খান করে দিয়ে ববি চলে যায়। মেওয়া ফলানোর জন্য রাজ সবুর করে। সবুর করে করে ফন্দি আঁটে।
একদিন মেয়েটা চলে যাবার পর রাজ সোজা গিয়ে হাজির হয় মেয়েটার বাড়ি। বাড়িতে শত্রু এলেও ভদ্রতা করা লাগে। ববি তাই রাজকে বসতে বলে। কথা বলতে চায়। কিন্তু আজ ঘটনা উল্টো। রাজ কথা বলে না। ববি অনুরোধ করে- কী হলো বসুন না, কী খবর বলুন?
রাজের চোখ ছলছল করে। সে বলে, আপনি আমার সাথে কথা বলেন না ঠিক আছে। কিন্তু আমার নামে অপবাদটা দিলেন কেন?
ববি বলে, মানে? কী অপবাদ দিলাম? কখন দিলাম?
রাজ বলে, দিয়েছেন। আমি নাকি আপনাকে উত্ত্যক্ত করি।
ববি আকাশ থেকে পড়ে- বিশ্বাস করুন। আমি এসব বলিনি।
রাজ কাঁদো কাঁদো গলায় বলে, আমি নিজের ভেতরে নিজে খুব খারাপ হতে পারি। কিন্তু আপনাকে ডিস্টার্ব করার কথা ভাবতেও পারি না।
ববির গলায়ও যেন এবার কান্নার সুর- প্লিজ, এমন কথা আমি সত্যিই বলিনি।
রাজের ছলনা এবার অন্য দিকে যায়- ওকথা বলেননি ঠিক আছে, আপনিতো কোনো কথাই বলেন না আমার সাথে।
এবার ববি লজ্জা পায়। লজ্জা থেকে প্রেম হয়।
প্রেম চলতে থাকে। েমওয়া ফলে। কিন্তু রাজ-ববি একসঙ্গে তা খেতে পারে না।
আরো অনেক ঘাটের জল খেয়ে দুজন এখন বিবাহিত। কিন্তু তারা স্বামী-স্ত্রী নয়।
( এই কাহিনির সঙ্গে লেখকের কোনো সম্পর্ক নাই)
ঠাকির ঘরে কে রে ।
ঠাকির = ঠাকুর
যোগাযোগ আছে তো!
ভুলে যাবেন না এখন যোগাযোগের যুগ
আমার তো সবার সাথেই যোগাযোগ থাকে।
রাজ্জাকের কৌশলটাতো ভালোই।
দেখি পরের পর্বগুলোতে কি আসে।
রাজ্জাক বারবার কৌশল পাল্টায়। একে ছাড়ে তো ওকে ধরে
হুমমম রাজ্জাক ববিতা....
একটা ছড়িতা নাকি কছিড়া ছিলো না?--
আমি রাজ্জাক তুমি ববিতা
আমি ক্লিপ তুমি ফিতা....
আমি নাটাই তুমি ঘুড়ি
আমি মালা তুমি চুড়ি
============================
আত্মজীবনীর সূচনায় অভিনন্দন
এটা কি কইলেন ভাই!
কোনটা হজম করতে পারেন নাই?
গল্পের শেষে ব্রাকেটবন্দী বাক্যটিই যত গন্ডগোলের মূল । গল্প পড়ে হাসিনি, গল্প উপভোগ করেছি; গল্পের সাথে সাথে মন্তব্য পড়ে হা হা চো পা (@হাসান রায়হান)।
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
নাজমুল ভাই, আপনাকে ধন্যবাদ। একমাত্র আপনিই বুঝলেন এটা গল্প।
এইটা আত্মকাহিনী হইলে তীব্র প্রতিবাদ। আপনার আত্মকাহিনীতে ববিতা কেমনে আসে?

ইয়ে মানে রাজ্জাক নামটা পালটাইয়া আরেকটা নাম দিয়া শেষে মিলাইয়া দিলে হয় না
রাজ্জাকের বদলে মাসুম নামটা দেওয়া যাইতো তবে সেই নামের মাঝে একটা "মাসুম-মাসুম" ভাব (মানে নিশ্পাপ) থাকে বিধায় রাজ্জাকের ছলনাটা ঠিকমত খাপ খাইতো না!!!
প্রেম ও যুদ্ধে....থুক্কু ববিতা থাকলে সব জায়েজ
আত্মকাহিনি? মাথা খারাপ! আমার ঘাড়ে একটাই মাথা। জায়গা মতো খবর পৌঁছলে শীতের রাতে লেপ ছাড়া ঘুমাতে হবে
রাজ্জাক ববিতা মানে অনেক পুরান কালের প্রেম কাহিনী মনে হয়
সাত বারের এক বার জানলাম মাত্র । তারপরেরটা কবে ? ১০-১২ দিন চলে গেল - ধৈর্য কিন্তু অসীম নয় ।
মন্তব্য করুন