ওয়ার্ল্ড কাপ ২০১০ অ্যানালাইসিস -১ (বিগ ম্যাচে জায়ান্টরা কেমন?)
গ্রেটেস্ট শো অন আর্থে অনেক কিছুই ঘটে যায় , টগবগিয়ে লালে লাল হয়ে দেশ ছাড়িয়ে বিশ্বকে ছেয়ে যায় দক্ষিণ কোরিয়া , পূর্বের আসরের চ্যাম্পিয়ন জার্মানি আর রানার আপ আর্জেন্টিনাকে তুমুল বীরত্বে পরাভূত করে বলকানের দেশ বুলগেরিয়া সবার নজর কাড়ে । কখনও বা প্রথমবার বিশ্বকাপে এসেই বিশ্ব কাঁপায় ক্রোয়েশিয়া , বা ন্যাড়া মাথার হাসান সাসের দল তুরস্ক পৌছে যায় ফাইনালের দোড়গোড়ায় । কিন্তু একটা জায়গায় ব্যাতিক্রম হয়ে ওঠেনা । গ্রেটেস্ট শো এর শেষ হাসিটা সবসময় গ্রেট কোন টিমই হাসে । বিশ্বকাপ শেষ পর্যন্ত হঠাৎ চমকের জায়গা নয় , টেম্পারামেন্ট আর স্ট্যামিনা বিশ্বকাপ জয়ের মূল নিয়ামক । তাই ঘুরে ফিরে গ্রেট টিমগুলো নিয়েই আলোচনা ফিরে আসে।
বিশ্ব ফুটবলের ইতিহাস বলে গ্রেটেস্ট টিম অন আর্থ হল ব্রাজিল । পরের তিনটি স্থান ইতালি, জার্মানি আর আর্জেন্টিনার কাছে । এ ৪ দলের পুলকে বলব , সুপার পাওয়ারস । এর পরের দু'টি স্থান বরাদ্দ ইংল্যান্ড আর ফ্রান্সের । সবসময়ই শক্তিশালী দল নিয়ে গতিময় ফুটবল খেলে শেষমেশ পা হড়কে যাওয়া দল দু'টির নাম হল্যান্ড আর স্পেন । আর বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে পর্তুগাল কিছুতে সমীহের দাবী রাখে । পতিত শক্তিগুলির মাঝে হাঙ্গেরি এখন বিশ্বকাপেই উন্নীত হতে পারেনা । আর উরুগুয়ের অংশগ্রহন নিছকই অংশগ্রহন।
সব মিলিয়ে বিশ্ব ফুটবলের শক্তিগুলোর ক্যাটেগরিটা নিচের মত হতে পারে:
পুল-১ : ব্রাজিল
পুল-২ : ইতালি , জার্মানি , আর্জেন্টিনা
পুল-৩: ইংল্যান্ড , ফ্রান্স
পুল-৪ : স্পেন , হল্যান্ড
পুল-৫: পর্তুগাল
পতিত শক্তি : উরুগুয়ে
একটা ব্যাপার খুবই লক্ষণীয় , বিশ্বকাপে শেষ পর্যন্ত ভাল করতে হলে বিগ ম্যাচ টিম হওয়াটা জরুরি । ছোট দলগুলির খারাপ খেলেও বড় ম্যাচে এসে
নিজেদের খোলস বদলে ফেলতে কে কতটা পটু , সেসব নিয়েই এই বিশ্লেষণ । চলুন পরখ করে নিই , নকআউট রাউন্ডে যখন এ দলগুলো পরস্পরের মুখোমুখি হবে তখন সমীকরণটা কেমন দাঁড়াবে ?
ব্রাজিল:
ব্রাজিলের প্রতিদ্বন্দী বড় দলটির কথা বলতে গেলেই অবধারিতভাবে সবার আগে চলে আসে আর্জেন্টিনার নাম । আর্জেন্টিনার সাথে ব্রাজিলের রেকর্ডটাও তুমুল প্রতিদ্বন্দীতাপূর্ণ :
ব্রাজিল ৩৭- ২৩ - ৩৪ আর্জেন্টিনা
বিশ্বকাপে ব্রাজিল আর্জেন্টিনার সবশেষ লড়াই হয়েছিল ৯০ এ , সে ম্যাচে ক্লদিও ক্যানিজিয়ার একমাত্র গোলে জয়ী হয় আর্জেন্টিনা । তবে ফলাফল দেখে ম্যাচের অবস্থা অনুমান করার অবকাশ নেই । পুরো ম্যাচ জুড়ে ছিল ব্রাজিলের আক্রমণের বন্যা , ৩ টি শট বারে লেগে ফিরে আসে । শুধু তাই নয় , আর্জেন্টিনার কর্মকর্তারা খেলার মাঝে ব্রাজিলের খেলোয়াড়দের পানির বোতলে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দিয়েছিলেন , দু'টি দেশ মুখোমুখি হলে সে বিষয়গুলো আবার জ্বলে উঠবে সন্দেহ নেই । সাম্প্রতিক সময়ের ব্রাজিল আর্জেন্টিনা লড়াইয়ে আর্জেন্টিনার টিকিটির সন্ধানও মেলেনি । সর্বশেষ ৫ টি ম্যাচের ফলাফল দেখুন:
ব্রাজিল ৪-১ আর্জেন্টিনা
ব্রাজিল ৩-০ আর্জেন্টিনা
ব্রাজিল ৩-০ আর্জেন্টিনা
ব্রাজিল ০-০ আর্জেন্টিনা
ব্রাজিল ৩-১ আর্জেন্টিনা
দুই জার্মানী এক হয়ে যাবার আগে বিশ্বকাপের সবচেয়ে সফল দু'টি দেশের একটি ব্রাজিল অন্যটি পশ্চিম জার্মানী ।ফুটবল আমোদী দর্শকদের বড় আক্ষেপের নাম এই দু'টি দেশের বিশ্বকাপে কখনও মুখোমুখি না হওয়া । সে সুযোগও এখন অবশিষ্ট নেই । ব্রাজিল জার্মানীর ম্যাচে একচেটিয়া সাফল্যও ব্রাজিলের ঝুলিতে ।
ব্রাজিল ১২- ০৫ - ০৩ জার্মানী
শুধু তাই নয় , পরিসংখ্যান বলে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ব্রাজিলের একচ্ছত্র আধিপত্যের কথা । বড় দলগুলোর বিরুদ্ধে ব্রাজিলের সাফল্যের ছবি অন্য সব জায়গাতেও । নিচের ফলাফলগুলো তাই প্রমাণ করে ।
ব্রাজিল ৭ - ২ - ৫ ইটালি
ব্রাজিল ৫ - ৪ - ৪ ফ্রান্স
ব্রাজিল ১১-৯-৩ ইংল্যান্ড
ব্রাজিল ৩-৪-২ হল্যান্ড
ব্রাজিল ১২-২-৪ পর্তুগাল
ব্রাজিল ৪-২-২ স্পেন
ইতালি :
বিগম্যাচ টিম হিসেবে ব্রাজিলের পরেই সবচেয়ে সফল দলটির নাম ইটালি । বিশ্বকাপে ইটালি যথার্থভাবেই সে পরিচয় দিয়ে আসছে । প্রথম রাউন্ডে ছোট দলগুলোর সাথে খোঁড়ালেও নক আউট পর্বের ইতালি তাই সবসময়ই ভয়ঙ্কর । একমাত্র ব্রাজিল ছাড়া বাকি সব বড় দলের সাথে মুখোমুখি লড়াইয়ে বেশ ভাল ব্যবধানেই এগিয়ে ইটালি। ইতালির সাথে মনস্তাত্বিক দ্বন্দ্ব সবচেয়ে বেশি চলে ফ্রান্সের । সেই ফ্রান্সের বিরুদ্ধে রেকর্ডও ইতালির পক্ষেই কথা বলে । এক নজরে বিগম্যাচে ইতালির রেকর্ড :
ইতালি ৫-২-৭ ব্রাজিল
ইতালি ৬-৫-২ আর্জেন্টিনা
ইতালি ১৪-৮-৭ জার্মানী
ইতালি ১৭-১০-৭ ফ্রান্স
ইতালি ৯-৬-৭ ইংল্যান্ড
ইতালি ১৮-২-৪ পর্তুগাল
ইতালি ৭-৭-৩ হল্যান্ড
ইতালি ৭-১০-৭ স্পেন
জার্মানি:
বড় পাঁচ দলের বিরুদ্ধে মুখোমুখি লড়াইয়ে পিছিয়ে আছে জার্মানি । তাদের সাফল্য বলতে গেলে পরের সারির দল পর্তুগাল হল্যান্ড আর স্পেনের বিরুদ্ধে । জার্মানদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দু'টি দল যথাক্রমে ইংল্যান্ড আর হল্যান্ডে । তাদের বিরুদ্ধে ফলাফলে কি সেরকম আভাসই মিলছে না ?
জার্মানি ৩-৫-১২ ব্রাজিল
জার্মানি ৫-৫-৮ আর্জেন্টিনা
জার্মানি ৭-৬-১০ ফ্রান্স
জার্মানি ১০-৫-১২ ইংল্যান্ড
জার্মানি ৮-৫-৩ পর্তুগাল
জার্মানি ৮-৬-৬ স্পেন
জার্মানি ৭-৮-১৪ ইতালি
জার্মানি ১৩-১৪-১০ হল্যান্ড
আর্জেন্টিনা
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আর্জেন্টিনার রেকর্ডটাকে মোটের উপর বেশ খারাপই বলা চলে । তবে , বিশ্বকাপ মঞ্চে দু'দলের হিসেব নিকেশটা আরও বেশি কঠিন । হল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালে শেষ মিনিটের গোলে বিদায় এখনও আর্জেন্টাইনদের বুকে শেল হয়ে বিঁধে আছে । বাস্তবে ডাচদের বিরুদ্ধে তাদের রেকর্ডটা বেশ খারাপই বলা চলে । ইতালি , ব্রাজিলের সাথে মুখোমুখি লড়াইয়েও পিছিয়ে আর্জেন্টিনা । স্পেনের বিরুদ্ধে সমানে সমান , তবে এগিয়ে আছে ফ্রান্স এবং জার্মানির বিপক্ষে ।
আর্জেন্টিনা ৩৪-২৩-৩৭ ব্রাজিল
আর্জেন্টিনা ২-৫-৬ ইতালি
আর্জেন্টিনা ৮-৫-৫জার্মানি
আর্জেন্টিনা ৫-২-৫ স্পেন
আর্জেন্টিনা ২-৬-৬ ইংল্যান্ড
আর্জেন্টিনা ৬-৩-২ ফ্রান্স
আর্জেন্টিনা ১-৩-৪ হল্যান্ড
আর্জেন্টিনা ৪-১-১ পর্তুগাল
ইংল্যান্ড
ব্রাজিলের সাথে যাচ্ছে তাই রেকর্ড হলেও বাকি শক্তিশালী দলগুলির প্রায় প্রতিটির সাথে এগিয়ে আছে ইংল্যান্ড , ব্যাতিক্রম ইতালি । বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড অবশ্য ইদানিং আটকে যাচ্ছে অন্য জায়গায় , সেটা টাইব্রেকার ।
ইংল্যান্ড ৩-৯-১১ ব্রাজিল
ইংল্যান্ড ৭-৬-৯ ইতালি
ইংল্যান্ড ১২-৫-১০ জার্মানি
ইংল্যান্ড ৬-৬-২ আর্জেন্টিনা
ইংল্যান্ড ১৬-৪-৭ ফ্রান্স
ইংল্যান্ড ৫-৯-৪ হল্যান্ড
ইংল্যান্ড ১১-৩-৮ স্পেন
ইংল্যান্ড ৯-১০-৩ পর্তুগাল
ফ্রান্স
বড় দলগুলির বিরুদ্ধে ফ্রান্সের রেকর্ডটা সেভাবে বলার মত নয় । একমাত্র জার্মানি ছাড়া হেড টু হেডে প্রায় সবার সাথেই পিছিয়ে আছে তারা । তবে , বিশ্বকাপে ব্রাজিলের যথার্থ যমদূতের নাম ফ্রান্স । গত ২০ বছরে ৩ বার তারা ব্রাজিলকে কাঁদিয়েছে ।
ফ্রান্স ৭-৪-১৬ ইংল্যান্ড
ফ্রান্স ৮-৪-১০ হল্যান্ড
ফ্রান্স ১১-৬-১৩ স্পেন
ফ্রান্স ১৬-১-৫ পর্তুগাল
স্পেন/হল্যান্ড/পর্তুগাল:
হল্যান্ড আর স্পেন বড় দলগুলির কারও চেয়ে সেভাবে এগিয়ে না থাকলেও পিছিয়েও নেই , সমান পাল্লা দিয়েই তারা লড়ে চলে , পরিসংখ্যান তাই বলে । আর পর্তুগালে অদম্য হয়ে ওঠা সবচেয়ে বেশি ঘটে ডাচদের বিরুদ্ধে । গত বিশ্বকাপে ডাচ-পর্তুগিজদের ম্যাচে তুমুল মারামারি আর কার্ড প্রদর্শনীর কথাও নিশ্চয়ই দর্শকরা ভুলে যাননি ।
হল্যান্ড ৪-৩-১ স্পেন
হল্যান্ড ১-৩-৬ পর্তুগাল
পর্তুগাল ৫-১২-১৫ স্পেন
তাহলে কি পরিসংখ্যানই শেষ কথা বলে দেবে ? সম্ভবত না । ১১ জুলাই পর্যন্ত অপেক্ষাটা তাহলে করতেই হচ্ছে
এই পোস্টের আইডিয়াটা মাথায় আসার পর , তথ্য যোগাড় করে লিখতে গিয়ে ধৈর্য হারিয়ে ফেললাম । তাই শেষটা বেশ দায়সারা । একাধিক পর্বে দিতে পারলে হয়ত ভাল হত , সেজন্য সবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী
এই তথ্যে বেশ মজা পেলাম!
The end of the match was controversial with Brazilian player Branco accusing the Argentina training staff of giving him a bottle of water laced with tranquillizers while they were tending to an injured player. This came years after Maradona revealed the news on an Argentine television show
বিয়ে মোবারক ভাই
শতকরা একশতভাগ ব্রাজির বিদ্বেষী(আমার মতো)রাও সাউথ আফ্রিকার জন্য ব্রাজিলের পক্ষে বাজি ধরবে। এই ব্রাজিল চেরাচরিত স্কিল নির্ভর ব্রাজিল দর নয়, বরঞ্চ কাকা রবিনহোদের স্কিলের সাথে এবার যুক্ত হয়েছে ফ্যাবিয়ানো, এলানো, মাইকনদের মতো কার্যকরী আর নির্ভরশীল খেলোয়াড়েরা। এবং সম্ভবত এই প্রথমবারের মতো ব্রাজিল দলের রক্ষণভাগ ইতালিকেও টেক্কা দিতে পারবে - সিজার, লুসিও, মাইকনদের দুর্দান্ত ফর্ম বিশ্বকাপেও অনুদিত হবে তাতে খুব একটা সন্দেহের অবকাশ নেই। দুঙ্গার মতো ট্যাকটিকাল কোচ আশা করা যায় ভুল করে হাতছাড়া করবেন না আরো একবার বিশ্বকাপ হাতে নেবার সুযোগকে।
ব্রাজিলের পরপরই রাখতে হবে আমার নিজের দল আর্জেন্টিনা এবং আমার সেকেন্ড ফেভারিট স্পেনকে। বড় ম্যাচে এখন পর্যন্ত সফলতার ইতিহাসটা হিসেব না করলে নিসন্দেহে এইবার সাউথ আফ্রিকায় স্পেনই সবচেয়ে শক্তিশালী দল নিয়ে এসেছে। প্রতিটা পজিশনে বর্তমানের সবচেয়ে সেরা ফর্ম এবং সেরা খেলোয়াড়গুলোর সুযোগ যদি এবার তারা উঠাতে না পারে তবে তাদের কাপ খরা আর কোনদিন ঘুচবে কিনা সন্দেহ। ম্যাচ জয়ের যে মোমেন্টাম তারা তৈরী করতে পেরেছে সেটা আশা করি মাঝপথেই মুখ থুবড়ে পড়বে না।
সেরা ফর্মের কথা বললে আর্জেন্টিনার স্ট্রাইকারদের কথা আপনা আপনিই চলে আসে। গোলস্কোরার, প্লেমেকার, উইঙ্গার, টার্গেট ম্যান সবধরনের স্ট্রাইকারই আর্জেন্টিনার দলে আছে এবং মিরিতো,মেসি,হিগুআইন আর তেবেজরা প্রত্যেকেই নিজ নিজ লিগের শীর্ষ গোলদাতাদের মাঝে অবস্থান করছেন। আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগও অন্যান্য যেকোন দলের তুলনায় ভালো ফর্মে আছে সেটা স্যামুয়েল, দেমিকেলিসদের চ্যাম্পিওন্স লিগের ফাইনালের পারফর্মেন্সই প্রমাণ করে। তবে প্রধান সমস্যা হল মিলিতো, মেসি আর হিগুআইনদের লিগের গোলের উৎসরা - স্নাইডার, জাভি আর রোনালদোর কাছাকাছি মানেরও কোন সেন্ট্রাল মিড বা ডিফেন্সিভ মিডের খেলোয়াড় আর্জেন্টিনার স্কোয়াডে নেই। ম্যারাডোনা যদি কোন জাদু খেলাতে পারেন এবার তবে হয়তো ভার্সিটিতে আমার প্রথম এবং একমাত্র বিশ্বকাপটা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
ইতালি আর জার্মানি নিয়ে বলার তেমন কিছু নেই। দুদলের কোনটিই বিশ্বকাপ জেতার মতো ফর্ম প্রদর্শন করছে না, তবে জানা কথা বিশ্বকাপে তারা সবসময়ই কিছু করে দেখানোর দাবী রাখে। ইংল্যান্ড আর ফ্রান্সের টিম ভালো হলেও মনে হয় না তাদের উপর কেউ বাজি ধরতে রাজি হবে। একই কথা বলা যায় নেদারল্যান্ড এবং পর্তুগালের বেলায়। ব্যক্তিগতভাবে আমি চাই এবার ঘানা বা আইভরি কোস্ট কোন একটা চমক দেকাক। হাজার হলেও হোম টিম কিছু না করে দেখাতে পারলে সেমি হোম-রাই ভরসা!
(এই যা বেশি বড় হয়ে গেল মনে হচ্ছে!!)
শতকরা নব্বুই ভাগ ব্রাজিল সাপোর্টাররা শুনছি দুঙ্গারে দেখতে পারে না, তাই হারুক এইটাই চায়
ফুটবলের স্পেন হইলো ক্রিকেটের সাউথ আফ্রিকা, ট্যালেন্টের অভাব নাই, কিন্তু চোকার।
এইটা কি কইলা আবির?!!! ধুর! দুঙ্গারে মাইর দেওন দরকার ! আমি ব্রাজিলের ব্যাপারে খুব বেশি আশাবাদি না, নিজেদের খেলাটা ওরা খেলবে না এইবার এই জন্যই পারবে না বলে আমার ধারণা । তবুও ব্রাজিল জিতুক চাইব ।
আর্জেণ্টিনা বহুদূর যাবে , যাক চাই । তবে কাপ না জিতুক
@মেহরাব ভাই বিশ্বকাপের সময় ও পোস্ট চাই ।
@আবির তোমার আর অদ্রোহ এর ও পোস্ট চাই । জমে উঠুক ব্লগের পাতা!
ব্রাজিলের যে কারণে ব্রাজিলের ভক্ত, "দুটা গোল খেল, তারপরের দশ মিনিটেই চারটা গোল শোধ করে দেওয়ার ক্ষমতা", সেটাই তো এখনকার ব্রাজিলে নাই। এখনকার খেলার স্টাইলটা হল, ইন্টারমিলানের মত। ধরে ধরে খেলবে, হঠাৎ গোল দিয়ে দেবে। পেইন অবস্থা।

আমার মত ঘোর ব্রাজিল সমর্থকের এই অবস্থা, বাকিদের কি অবস্থা চিন্তা কর!!
এখনকার ব্রাজিল হয়ে গেছে, সাফল্য নির্ভর দল। দল জিতবে, কিন্তু, খেলা দেখে মজা পাবো না।
তবু ব্রাজিল ব্রাজিলই।
আর, দলগুলার মাঝে স্পেনকেই বেশি পছন্দ।
হল্যান্ড আর ইউরোপের ব্রাজিল পর্তুগালের প্রতিও পক্ষপাত।
আর্জেন্টিনার জমাট ডিফেন্স আর আক্রমণাত্মক স্ট্রাইকারদের মাঝে সংযোগ দিতে বুড়ো ভেরন কতটা কার্যক্ষম সেটা প্রশ্নবোধক।
গত পাঁচ বছরের জয়-বিজয়ের হিসেবটা পেলে আরো ভালো হতো
আমার সবসময় কষ্ট লাগে হল্যান্ডকে নিয়ে ... এমন ফাটাফাটি সব প্লেয়ার নিয়া আসে, কিন্তু বেশীদূর যাইতে পারেনা
এবারের বিশ্বকাপে সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থায় আছে ফ্রান্স-ইংল্যান্ড ... প্রিকোয়ার্টারে এদের ব্লকে থাকবে নাইজেরিয়া/ঘানা/অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে যে কোন দুটা ...চামে দঃ কোরিয়াও ঢুকতে পারে, তবে এই চারটা দলই এই রাউন্ডে চাট্টিবাট্টি গোল করে ...
...
আরেকটা সুবিধাজনক অবস্থা হতে পারে ব্রাজিল-হল্যান্ডের জন্য ... এদের সাথে প্রি-কোয়ার্টারে জুটবে আরেক চাট্টিবাট্টি গোল গ্রুপ প্যারাগুয়ে/চিলি ...সুইজারল্যান্ড চামে ঢুকতে পারে বাট এই রাউন্ডেই পিরিয়ড ..
সেই তুলনায় প্রিকোয়ার্টারে টাফেস্ট চ্যালেঞ্জে পড়বে স্পেন/ইতালী ... এরা মুখোমুখি হবে আইভরিকোস্ট/ডেনমার্ক/পর্তুগাল ... ডেনমার্ক প্রায়ই গ্রুপ লিগে খুব ভালো খেলে, ফিজিকালি স্টাউট হবার কারণে বড়দলরা গ্রুপ পর্বে এদের সমঝে খেলে -- এই ইকুয়েশনে হল্যান্ড ধরা খেলে এই ব্লকে ইতালী/স্পেন/হল্যান্ড/পর্তুগালের মতো জমজমাট কম্বিনেশন আমরা প্রিকোয়ার্টারেই দেখতে পারি ... আর ব্রাজিল গ্রুপ রানার আপ হইলে তো কথাই নাই
... মোদ্দা কথা ইতালী/স্পেনের কোয়ার্টার পার হয়ে সেমিতে যেতে যেতে দম বের হয়ে যাবে
আর্লেন্টিনা-জার্মানীর সাথে সবচেয়ে প্রোবাবল কম্বিনেশন মেক্সিকো/যুক্তরাস্ট্র ... এইটা উপরের ব্লকের মতোপ ডেথব্লক না হইলেও, দলদুইটা প্রিকোয়ার্টার লেভেলে অঘটন ঘটানোর ক্ষমতা রাখে ... আর্জেন্টিনা বা জার্মানী যেই টসকায়া যাবে সেই বাকীজনের পথ সুগম কইরা দিবে ... তবে ওয়ার্ল্ড কাপে প্রতিবারই একটা ডার্ক হর্স সেমিতে চলে যায় ... এবার সেইরকম সম্ভাবনার জন্য আমি যুক্তরাস্ট্র/মেক্সিকোর পক্ষে বাজী ধরবো
ইংল্যান্ড-ফ্রান্স কোয়ার্টার পার হইলে সেমিতে পড়বে ব্রাজিল-হল্যান্ডের মুখে ... এইখানে মোস্ট প্রবাবল ক্যান্ডিডেট ব্রাজিল হওয়ার কথা হল্যান্ডেরও ভালো সম্ভাবনা আছে... ফ্রান্স ইংল্যান্ড দু'টার অবস্থাই করুণ
অন্যব্লকটা ডেথ ব্লক আর্জেন্টিনা/জার্মানী/যুক্তরাস্ট্র/ইতালী/স্পেন/পর্তুগাল/হল্যান্ড -- এরকম সাতটা দলের মধ্যে একটা আসবে ফাইনালে ... আমার মতে আর্জেন্টিনা আর স্পেন সেমিফাইনাল খেলবে ... আর এবারও ডার্ক হর্স সেমিতে আসলে সেটা সম্ভবতঃ ইউএস
অজ্ঞাতকারণে স্পেন গ্রুপ লীগে ১০০% দিয়া খেলে, তারপর নকআউট ফেজে এসে ধরা খায় ... এবার সেটা কতটুকু সামাল দিবে তার ওপর নির্ভর করবে তাদের সেমির ফলাফল, তাও তাদেরই জেতা উচিত
সব বিচারে উইদাউট স্ট্রেস ফাইনালে যাবার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশী ব্রাজিলের ... ফিক্সচার থেকে এই বাড়তি সুবিধাটা তারা পাচ্ছে
সেলেকাও, সেলেকাও ... হিপ হিপ হুররে
(তবে ব্রাজিল গ্রুপে পিছলা খাইয়া সেকেন্ড হইলে পুরা খাইস্টা ব্লকে গিয়া ঢুকবে!)
চলুক সিরিজ , দারুন জমবে আশা করি। খেলা চলাকালীন সময়ে এরকম এনালাইসিস আরো মজা লাগবে ।
ওয়ার্ল্ড কাপের সময় প্রতিদিন অন্তত একটা পোস্ট আসা উচিৎ কারও না কারও কাছ থেকে । আপনার কাছেও দাবী থাকল।
অনেক ধন্যবাদ
ইটালি আর ইতালির মিক্স আপ ভালো না। পরিসংখ্যান ভালো হইসে। চলুক
ব্যাপারটা আসলেই দৃষ্টিকটু লাগছে । এডিটিং এর প্রয়োজন ছিল ।
ভাবি ঝাড়ি দিছে নি??

শেষটায় হুড়োহুড়ি??
পরিসংখ্যানে তো দেখি ব্রাজিল ছাড়া আর কেউ সুবিধায় নাই। কিন্তু, তাও জার্মানি, ইতালি হুট-হাট অবস্থা বদলায়ে দেয়। এবার স্পেনেরও ভালো সম্ভাবনা।
আর, অল-টাইম ব্রাজিল তো আছেই।
আরো পোস্ট চাই এইরকম।
আরে না না ,
।
সে সেইরকম ভাল মানুষ । তবে হতাশাজনক ব্যাপার হল , সে ব্রাজিল । পচানোর সুযোগ মিস
শেষটায় তাড়াহুড়ো মানে , আমি পোস্টটায় আরও অনেক কিছু লিখতে চেয়েছিলাম + ছবি + ভিডিও + এক্সটারনাল লিংক ।
একসময় ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে গেল । আমার কনসেনট্রেশন জিনিসটার অনেক অভাব । এই কারণে তো কোন সিরিজই শেষ করতে পারি না ।
বাহ... ভালৈ তো। আমাদের দল আরো ভারি হইল।
আরে না না , সে সেইরকম ভাল মানুষ
লতুন শাদী মনে লয়
আমার কনসেনট্রেশন জিনিসটার অনেক অভাব । এই কারণে তো কোন সিরিজই শেষ করতে পারি না ।
বুঝবেন এখন ঠ্যালা, হাউ মেনি প্যাডি মেক্স হাউ মেনি কলা
সময়োপযোগী আর ভাল পোষ্ট। তয় এই সব হিসাব নিকাশ দিয়া কিছু হয় না এই আর কি।

কথাটা সত্যিই । হিসেব নিকেশ দিয়ে সব হয় না । তবে , হেড টু হেড লড়াইগুলো কেন যেন একটা প্যাটার্ন মানে , আমার তাই অবজারভেশন
আপনার সাথ কিছু হিসেব-নিকেশ আছে,ওগুলা আগে চুকাই,তারপর পোস্ট নিয়ে কথা
।
ভয় লাগছে
যাবার আগে সবার সাথে একটা সাক্ষাতের ব্যবস্থা কর । ওয়ার্ল্ড কাপের মাঝে করতে পারলে মনে হয় আরও ভাল
যাবেন কবে?
আপনি ফ্রি কবে বলেন,সেইমতে একটা ম্যাচ একসাথে সবাই দেখি।
পর্যবেক্ষণের সাথে প্রায় পুরোটাই সহমত....
৯০ এর সেই ম্যাচের পরে সংবাদ সম্মেলনে ম্যারাডোনা বলেছিলেন- "ব্রাজিল খেলেছে ৮৯ মিনিট- আমরা এক মিনি্ট.... ঈশ্বরের কৃপায় ঐ এক মিনিটই যথেষ্ট ছিলো....."
ব্রাজিল যতই বিচ্ছিরি খেলুক, ব্রাজিল তো ব্রাজিল-ই !!!
ব্রাজিলই ব্রাজিলই । দ্বিতীয় স্থান নিয়ে যত কাড়াকাড়ি । ব্রাজিলকে নিয়ে শঙ্কা সেটারও সমাধান আছে । ব্রাজিল এখন খোলসে ঢুকে গেছে ঠিকই , তবে প্রবল আক্রমণ শানানোর পুরো ক্ষমতা তাদের আছে । আশা করছি , ভাল খেলে , ছন্দময় খেলেই ব্রাজিল সবার জবাব দেবে ।
সো ব্রাজিল ইস ব্রাজিল ............দে বর্ণ ফর ফুটবল
ভাল লিখেছেন
ব্রাজিলের ধর্মের নাম ফুটবল , যেমন তেমন কথা না কিন্তু
শেষ পর্যন্ত তো আর্জেন্টিনাই চ্যাম্পিয়ন হইবো।
শেষ পর্যন্ত ? বস , জুলাইয়ের আগে আপনাদের লোড ফ্রি করে দেয়া হবে । নিশ্চিন্তে টেনশন ছাড়াই ম্যাচ দেকতে পারবেন
এতো এনালাইসিস করে লাভ নাই। ব্রাজিল জিতবে
প্রার্থনা শুধু একটাই , ব্রাজিল তাদের ট্যাকটিকসের পাশাপাশি ভাল খেলাটাও খেলুক । আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলার পুরো সামর্থ ব্রাজিলের আছে
ব্রা জিল না হয় থাকুক ফাইণাল পর্যন্ত। ওদের গ্যালারিটা ভাল হয়।
"স্পেস" ঠিকমত না বসানোর তীব্র প্রতিবাদ জানালাম ।

আর আপনার কথাই সই । গ্যালারিটা ভাল থাক
সেজন্য ফাইনাল হোক ব্রাজিল-ইটালি
গ্যালারী ভালো রাখতে হইলে কিন্তু, ইংল্যান্ডও কম না!!


ব্রাজিল-ইংল্যান্ড হইলেও চলবে।
ভাল রিভিউ। শেষ হাসি মনে স্পেনই হাসবে।
কি খবর? অনেকদিন পরে লেখা পড়লাম। বিয়ে শাদি করা হয়েছে মনে হচ্ছে। শুভেচ্ছা রইল।
মন্তব্য করুন