ইউজার লগইন

চিন্তক'এর ব্লগ

দা পারফেক্ট ক্রাইম

রাত দু'টো বাজে। আমি আর সামান্থা পা টিপে টিপে রান্নাঘরের দিকে এগোলাম। রান্নাঘরে এত রাতে কেউ থাকবে না। এই তো সুযোগ। যা করার করতে হবে এখনই। কিন্তু এ কি? রান্না ঘরে একটা নারীমূর্তি ফিসফাস করে কার সাথে যেন কথা বলছে ফোনে! সামান্থা গুঙিয়ে উঠে বলল,

"ওহ, নট এগেইন! এই মেয়ে কথা শুরু করলে দু'ঘন্টার আগে থামে না।"

আমি রেগে গিয়ে বললাম, "না থামুক আমাদের কি? শী ইজ আ আগলি উইচ! ওর বয়ফ্রেন্ডের টাকার গচ্চা যাচ্ছে। হু গিভস আ শিট?"

"তুমি আসলেই একটা বোকা। ও দুই ঘন্টা কথা বললে আমরা কিভাবে যাব ওখানে?"

"ওপস! ইট'জ আ প্রবলেম বেইব!"

"এক কাজ করতে হবে, এডামস! পারবে?"

"কি কাজ?"

"মেয়েটা লুকিয়ে লুকিয়ে কথা বলে প্রতিদিন, ওর মা জানে না। ওর মাকে জানিয়ে দিতে হবে। তাহলে কাল থেকে রান্নাঘরটা ফ্রি! সারারাত আমাদের।"

"কিন্তু আমরা কিভাবে বলব? আমাদের দেখলেই তো মারার জন্য তেরে আসে মুটকিটা! দা ফ্যাট বিচ!!"
"শোনো, আমার প্ল্যানটা বলি।"

সামান্থা বলল ওর প্ল্যানটা।

"বুঝলে এডামস?"

"হুম!"

"দ্যান রেডি, স্টেডি, গো!"

বোকা গল্প

টমেটোর পাশেই ঢেড়স ক্ষেত। আলসে ঢেড়স সকালে একটু দেরি করেই ঘুম থেকে উঠে। একদিন ঘুম থেকে উঠেই সে দেখে, এক লাল টুকটুকে টমেটো তার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে মুচকি হাসছে। ঢেড়স মেজাজ খারাপ করে রাগী সুরে বলে, "এই মেয়ে, হাসো কেন? সমস্যা কি?"
টমেটোর লাল টুকটুকে চেহারা আরও লাল হয়ে যায়।
"না মানে ইয়ে ভাইয়া, আপনি না অনেক হ্যান্ডসাম।"
ঢেড়স চোখ কপাল তুলে বলে, "এই মেয়ে তুমি কি বলো? বয়স কত তোমার?"
"ভাইয়া, ৪৫ দিন ৭ ঘন্টা।"
"আমার বয়স কত জানো? ৬৯ দিন ৯ ঘন্টা। তোমার চেয়ে কত বড় আমি? এসব কি বলো আমাকে?"
"সরি ভাইয়া, আর বলব না।"
"মনে থাকে যেন।"
"আচ্ছা ভাইয়া, মনে থাকবে!"

কিন্তু টমেটোর কিছুই মনে থাকে না। সে সারাক্ষণ ঢেড়সের দিকে ড্যাবড্যাব করে চেয়ে থাকে।

দিন কেটে যায়, মাস কেটে যায়। একদিন ক্ষেতের মালিক এসে ঢেড়সকে নিয়ে হাটে যায়। টমেটোর মন খারাপ হয় ভীষণ। টমেটোরও পালা আসে। তাকেও হাটে নিয়ে যাওয়া হয়।

একদিন চিন্তক এসে দুই কেজি ঢেড়স আর আধাকেজি টমেটো কিনে আনে বাজার থেকে। টমেটো তখন সেই ঢেড়সকে দেখেই চিৎকার করে বলে, "ঢেড়স ভাই, ঢেড়স ভাই, আমি এখানে।"

ঢেড় চোখ পাকিয়ে বলে, "তুই এখানেও চলে এসেছিস?"

আধ্যাত্মিক মন

বছর চারেক আগে মেজচাচা ফোন করে জানালেন যে চাচী সন্তানসম্ভবা। শুনে পরিবারে এক ধরণের খুশী আর উত্তেজনার ঢেউ বয়ে গেল! কারণ বাবা ছিলেন পরিবারের বড ছেলে এবং আমাদের দু'ভাইয়ের জন্মের অনেক বছর পর প্রথমবারের মতো কোন সন্তান আসতে যাচ্ছিল চাচাদের পরিবারে।
সবাই তখন চাচীর ছেলে হবে না মেয়ে হবে সেটা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা করতে লাগল। আমি এসব থেকে একটু দূরেই ছিলাম। একদিন খাবার টেবিলে বসে মা ফস করে আমাকে জিজ্ঞেস করল, "আচ্ছা তোমার কি মনে হয়, তোমার চাচার ছেলে হবে না মেয়ে?"
আমি এক সেকেন্ডও দ্বিধা না করে বললাম, "মেয়ে ।" বলে আমি নিজেই অবাক! এতটা আত্মবিশ্বাস নিয়ে কিভাবে বললাম? মা-ও কিছুটা অবাক হল।
যাই হোক, দেখতে দেখতে পেরিয়ে গেল কয়েকটা মাস। চাচীর সন্তান পৃথিবীর আলো দেখতে পেল। সৌভাগ্যবশত সন্তানটা ছিল মেয়ে। আমার ভবিষ্যদ্বাণী ফলে গেল। তবে এটা নেহায়েতই কাকতালীয় ঘটনা। একজন বলল ছেলে হবে, আরেকজন বলল মেয়ে হবে, দু'জনের একজন তো সঠিক না হয়ে যায় না। এতে অস্বাভাবিক কিছু নেই।