বোকা গল্প
টমেটোর পাশেই ঢেড়স ক্ষেত। আলসে ঢেড়স সকালে একটু দেরি করেই ঘুম থেকে উঠে। একদিন ঘুম থেকে উঠেই সে দেখে, এক লাল টুকটুকে টমেটো তার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে মুচকি হাসছে। ঢেড়স মেজাজ খারাপ করে রাগী সুরে বলে, "এই মেয়ে, হাসো কেন? সমস্যা কি?"
টমেটোর লাল টুকটুকে চেহারা আরও লাল হয়ে যায়।
"না মানে ইয়ে ভাইয়া, আপনি না অনেক হ্যান্ডসাম।"
ঢেড়স চোখ কপাল তুলে বলে, "এই মেয়ে তুমি কি বলো? বয়স কত তোমার?"
"ভাইয়া, ৪৫ দিন ৭ ঘন্টা।"
"আমার বয়স কত জানো? ৬৯ দিন ৯ ঘন্টা। তোমার চেয়ে কত বড় আমি? এসব কি বলো আমাকে?"
"সরি ভাইয়া, আর বলব না।"
"মনে থাকে যেন।"
"আচ্ছা ভাইয়া, মনে থাকবে!"
কিন্তু টমেটোর কিছুই মনে থাকে না। সে সারাক্ষণ ঢেড়সের দিকে ড্যাবড্যাব করে চেয়ে থাকে।
দিন কেটে যায়, মাস কেটে যায়। একদিন ক্ষেতের মালিক এসে ঢেড়সকে নিয়ে হাটে যায়। টমেটোর মন খারাপ হয় ভীষণ। টমেটোরও পালা আসে। তাকেও হাটে নিয়ে যাওয়া হয়।
একদিন চিন্তক এসে দুই কেজি ঢেড়স আর আধাকেজি টমেটো কিনে আনে বাজার থেকে। টমেটো তখন সেই ঢেড়সকে দেখেই চিৎকার করে বলে, "ঢেড়স ভাই, ঢেড়স ভাই, আমি এখানে।"
ঢেড় চোখ পাকিয়ে বলে, "তুই এখানেও চলে এসেছিস?"
"অমন করো কেন? আমি কি করেছি?"
"কি চাস তুই?"
"ঢেড়স ভাই, আই লাভ ইউ।"
"তো?"
"একটা হাগ দেও না প্লীজ!"
"পারব না!"
চিন্তক রেগে গিয়ে বলে, "ঐ এতো চিল্লাচিল্লি কিসের? অফ যা!"
" চিন্তক ভাই, আমরা বিয়ে করব। প্লীজ বিয়ে করিয়ে দাও আমাদের।"
"আচ্ছা ঠিকাছে, এখন অফ যা!"
বাসায় এসে ওদের বিয়ে দিয়ে দিলাম। রাতে ডিপ ফ্রীজে ওদের বাসর হবে। এই গরমে ডিপ ফ্রীজ, আহ শান্তি!
হাঃ হাঃ
মজারু পেমকাহিনী!
মজা লাগলো ঢেঁরস-টমেটোর প্রেম কাহিনী
টমেটো-সসের শুভেচ্ছা!
মন্তব্যে লাইকের অভাব অনুভব করতেছি!!!
মন্তব্যে লাইকের অভাব? কোন মন্তব্যে? বুঝিনি।
অনেক অনেক মজা পাইছি। বহুত আচ্ছা মাইরি।
মাইরি? বাংলা ব্লগে প্রথম শুনলাম শব্দটা!
মন্তব্য করুন