হারিয়ে গিয়েছি এইতো জরুরী খবর
ইদানীং আমার একটা সমস্যা হয়েছে। কোন কিছুই এখন আর বিশ্বাস করতে পারিনা। চোখের সামনে যা দেখি সব কিছুকেই ভন্ডামি মনে হয়। আরেকদিন এক প্রোগ্রামে গেলাম বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট ভদ্রলোক নারী নির্যাতনের উপর একটা রিপোর্ট এর কথা বলছিলেন যে রিপোর্টে বলা আছে, বাংলাদেশের নারীরা সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয় তার গৃহে, তার স্বামীর দ্বারা।রিপোর্টটি শুনছিলাম আর মনে হচ্ছিলো যে এই লোক আজকে সকালে তার স্ত্রীকে পিটিয়ে বাসা থেকে বের হয়েছেন। জানিনা এটা কেন মনে হলো। হয়তো আমার এই মনে হওয়াটা অমূলক হয়তো বা না। কেননা আমার আশেপাশে এমন অনেক মানুষ আছে যারা ঘরে স্ত্রীকে এমনভাবে পিটায় যে মারের চোটে স্ত্রীর দাঁত নড়ে যায়, ঠোঁট খুব বাজে ভাবে কাটে। এবং সেই কাটা ঠোঁটে আবার হয়তো সেলাইও পড়ে। অথচ এই মানুষগুলো বাইরের দুনিয়ায় এসে প্রগতিশীল সেজে বড় বড় নীতিবাক্যের ধুয়া তুলে, নারী অধিকার বিষয়ে তারা সবসময় সোচ্চার, বিভিন্ন সামাজিক সাইটগুলোতে তাদের প্রেরণা সবাইকে খুব অনুপ্রানিত করে। কি আশ্চর্য এই পৃথিবী, এই মানুষগুলোর হয়তো দিন শুরু হয় স্ত্রীকে পিটানোর মধ্য দিয়ে। স্ত্রীকে পিটিয়ে পরিবারের সবার কাছে নিজের পৌরষত্ব জাহির করে এরা আরামসে ব্রেকফাস্ট করতে বসে। কারন এতোক্ষন যে সত্যিই অনেক পরিশ্রম গেছে!
ডেভেলপমেন্ট সেক্টরে কাজ করার জন্য প্রতিনিয়ত আমাকে মানুষের সমস্যা দেখতে হয়। আরেকদিন আমাদের এক মেয়েকে তার স্বামী খুব মারে। এই খবর আমাদের কানে এলে আমার এক সিনিয়র আমাকে সেখানে পাঠায়। আমি যেয়ে দেখি মারের চোটে ওর অবস্থা খুব খারাপ। মেয়েটাকে সেখান থেকে কোন ভাবে সরিয়ে নিয়ে আসার পর আমি জিজ্ঞেস করলাম, কেন এভাবে মেরেছে তোমাকে? উত্তরে সে আমাকে জানায় যে, মেয়েটি তার শাশুড়ীর সাথে ঝগড়া করেছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, কেন ঝগড়া করেছো? সে আমাকে বললো, “আপা আমার শাশুড়ী সারাদিন খালি আমার নামে মানুষের কাছে বদনাম করে।সবার কাছে বলে, আমার মতো শয়তানের পাল্লায় পইড়া উনার ছেলে খারাপ হইয়া গেসে। উনার ছেলে আগে খুব ভালো ছিলো। সেগুলো আমার কানে আসে। শুনতে আমার একটুও ভালো লাগেনা। আমি আজকে উনারে এটা জিজ্ঞেস করাতে উনার আর আমার মধ্যে ঝগড়া হইসে আর আমার স্বামী আমাকে মারসে”। শুনে আমার মনে হলো, সেই মা কি আসলে তার ছেলেকে ভালোবাসেন যে কিনা তারই ছেলের বৌকে কখনো আপন করে নিতে পারেনা। তাছাড়া বাবা- মায়েদের ভালোবাসার ক্ষেত্রেও আমি একটা স্বার্থপরতার গন্ধ পাই। বুড়ো বয়সে ছেলে দেখবে এই ধারনা থেকেই তো আমাদের বাবা- মায়েরা মেয়েদের চেয়ে ছেলেদের অনেক বেশি ভালোবাসেন।
নাচ আমার অনেক প্রিয় একটা জিনিস। তাই আমি “নাচ বালিয়ে”র মহা ভক্ত। মাস্টার শেফ থেকেই আমি রিপু দামানেরও খুব ভক্ত। সেই রিপু দামান এবারে নাচ বালিয়েতে এসেছে তার বালিয়ে শিভাংগীকে সাথে নিয়ে। রিপু দামান মাস্টার শেফের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এটা সত্যি কিন্তু দেখা গেছে ওর গার্লফ্রেন্ড কোন রান্নাই পারেনা। রিপু আবার খুব খুশী হয়ে বলছিলো যে, ওকে কিছু করতে হবেনা আমিই সব রান্না করবো।আমার কেন মনে হচ্ছিলো যে ব্যাপারটা এরকম থাকবেনা। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুর বাড়িতে শুরু হয়ে যাবে কানাঘুষা যে বৌ কোন কাজ পারেনা। বৌ কোন রান্না করলে আর সেটা মজা না হলে শ্বশুর বাড়িতে শুরু হয়ে যাবে বিস্তর সমালোচনা। মেয়েটা খুশী হয়ে স্বামীর পাতে খাবার তুলে দিতে গিয়ে শুনবে, “তুমিতো এক প্লেট ভাতও ঠিকমতো বাড়তে পারোনা। এক প্লেট ভাত বাড়তে গিয়েও তোমার দশটা ভাত পড়ে”।
কেন আমার সারাক্ষন শুধু ভয় হয়? আমি জানি না। সব মানুষকে যে ভালো হতে হবে এমনতো না।ভালো যেমন থাকবে তেমনি খারাপও থাকবে এটাই জগতের রীতি। কিন্তু যারা খারাপ তাদের ভালো সেজে থাকার কি দরকার? তারা মিথ্যে ভালো সাজার ভান না করে সত্যিকার অর্থে তারা যেরকম সেটা সবার সামনে প্রকাশ করলেতো আর ভালো মানুষদেরকে এতো সহজেই ঠকতে হয়না।
সত্যি এই সমাজটায় নারীরা প্রচন্ডভাবে র্নিযাতিত !
so rise your voice.
Yes, I will raise my voice for each and every dominated girl in the world.
অনেক দিন পর আপনার লেখা পড়লাম, অনেক অনেক শুভকামনা, অনেক ভালো থাকেন, হারিয়ে যান আর যেখানেই যান লিখতে ভুইলেন না!
সহমত।
শান্তকে যেই কমেন্ট টা দিতে চাচ্ছি সেটা ঠিক জায়গায় কেন যাচ্ছেনা বুঝতে পারছি না।
কি খবর বিবা দিনকাল ক্যামন যাচ্ছে? 
আমি খুব বেশি পরিমান অলস তো তাই আমার লগ ইন হতেও আলসেমি লাগে।
কিন্তু আমি আপনার সব লেখাই পড়ি। বাই দ্যা ওয়ে, কংগ্র্যাচুলেশনস ফর বিসিএস। 
আমি খুব বেশি পরিমান অলস তো তাই আমার লগ ইন হতেও আলসেমি লাগে। Tongue কিন্তু আমি আপনার সব লেখাই পড়ি। বাই দ্যা ওয়ে, কংগ্র্যাচুলেশনস ফর বিসিএস। Smile
আলসেমী ভাঙ্গেন, সময় সুযোগ পেলে লিখে ফেলান, আপনি তো লিখতেন আগে, এমন তো না যে প্রথম প্রথম লিখতে বসছেন।
এখনো চুড়ান্ত না, নিয়োগ পাওয়ার পরেই শান্তি, দোয়া কইরেন, কথা দিচ্ছি খাওয়াবো! ভালো থাকেন ও শুভকামনা!
আইসক্রীম খাওয়াইলে দোয়া করবো
শিবাংগিকে আমার ভালো লাগে। কেমন সরলভাবে কথা বলে। আর রান্না নিয়ে যা বলে তা শুনতেও মজাই লাগে। আসলেই শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি এমন থাকবে বলে মনে হয় না।
হুম জ্যোতি আপু, U r right
অনেক দিন পর আপনার লেখা পড়লাম, অনেক অনেক শুভকামনা, অনেক ভালো থাকেন, হারিয়ে যান আর যেখানেই যান লিখতে ভুইলেন না!
মন্তব্য করুন