হারিয়ে ফেলা
ব্যস্ত শহরে ঠাস বুনটের ভীড়ে , আজো কিছু মানুষ স্বপ্ন দেখে ফিরে..............মোবাইলের রিং টোনে ঘুম ভেঙে যায় রিফাতের । ম্যানেজারের কল, বিরক্ত হয়ে কেটে দেয়। সময় দেখে দূপুর ২টা , মাথাটা ভারী লাগে হ্যাংওভারের ধকল এখনো আছে। কাল রাতে ওর প্রিয় হুইস্কি জ্যাক ডেনিয়েলের বোতল প্রায় শেষ করেছে । জ্যাক ডেনিয়েলের সংক্ষিপ্ত নাম ' জে ডি ' মনে পরতেইচোখ ভিজে উঠে। জে ডি ওর অনেক প্রিয় একজন মানুষের নাম.......ছিল। জেনিফার দিপ্তি সংক্ষেপে জে ডি।
বিছানায় শুয়ে শুয়েই সিগারেট ধরায় আর ভাবে , ভালোই চলছিল সব । একই শহরে থাকতো ওরা । পরিচয় ফেসবুকে , তারপর কথা বলা , ডিনার করা , ঘুরে বেড়ানো , সিনেমা দেখা .,,,,,,অবশেষে ভালো লাগা।
রিফাতের ফ্যামিলি তথাকথিত মিডলক্লাস। তবুও অনেক কষ্ট করে লন্ডন এসে পড়াশোনা করছে। আর জেডির ফ্যামিলি অনেক বছর ধরেই লন্ডনে। পয়সারও মালিক।আর্থিক এই বৈষম্যের ব্যাপারটা জেডি কখনোই রিফাতকে বুঝতে দেয়নি।রিফাতও সবসময়ই চাইতো সবাই ওকে নিজের যোগ্যতায় চিনুক।
ভালোবাসায় বিভোর ছিল সবসময়। কাজ , ক্লাশের পর ছুটির দিন গুলাতে একসাথে কাটানো সময়গুলো ছিল অসাধারন।
জীবনের সবকিছুই শেয়ার করতো ওরা তবুও কিছুদিন ধরে কি যেন একটা লুকানোর চেষ্টা করতো জেডি। সেই নির্মম সত্যটা গতকাল জানতে পারে রিফাত। এতোটা ধাক্কা খায় ব্যাপারটা জেনে যে ও ওর ভাষা হারায় ফেলছিলো । কিভাবে পারলো জেডি ?????
কষ্টের নির্মম আঘাত লাগে বুকে যখন জেডির বোন ওকে ফোন করে খবরটা দেয় ...........জেডি সুইসাইড করেছে.............দৌড়ে যায় ।
একটুকরা চিরকূট রেখে গেছে জেডি ওর জন্য।
'' রিফাত আমি কখনোই তোমাকে কষ্ট দিতে চাইনি , তোমার সাথে রিলেশনের অনেক পড়ে জানতে পারি আমি থাইরেড ক্যান্সারে আক্রান্ত। কেমো নিয়ে বাঁচতাম কিনা জানি না তবে কেমোর পরের যে ধকল তা আমি সইতে পারতাম না। আমি জানি তুমি আমাকে অনেক ভালোভাসো এমনকি কেমোর পরবর্তী রিয়াকশনের কারনে আমার শরীর কখনোই সম্পূর্ন ঠিক হতো না তখনো তুমি ভালোবাসতে। কিন্তু আমার কোনো অধিকার নাই তোমার জীবন নস্ট করার। তাই জীবনটাকে ছোট করে ফেললাম।
ভালো থেকো .................অনেক ভালোবাসা।''
এইটা কি কোনো সত্য ঘটনা? কোনো চরিত্রের সাথে তোর মিল খুঁজবো? নাকি মিলে গেলে কাকতালীয়???
সত্য ঘটনা অবলম্বনে লেখা , কোনো চরিত্রের সাথে মিলে গেলে সেইটা সম্পূর্নই কাকতালীয় ব্যাপার এই জন্য লেখক দায়ী না।
আমারটা জ্যাক ডেনিয়েল পর্যন্ত মিলে

ঘটনা আপনার না জেনে ভালো লাগলো।কয় দিন ধরে ভাবছিলাম পার্মানেন্টলি মেঘের দেশে হারায় গেলেন নাকি?
হারিয়ে যান নাই তাই ভালো লাগলো।
নতুন মুচমুচে একটা রেসেপি দেন।সামনে শনিবার রাইন্ধা খামু।
হা হা হা ....নারে ভাই হারাই নাই ......।কাজে একটু বেশি ব্যস্ত হইয়া পরছি। যান রেসিপি পাইবেন বুধবারে ।
আমি কিন্তু কথা দেই নাই বুঝ দিছি

এত তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেল

ছোট হলেও দাগটা অনেক বিশাল......।
প্রেম কাহিনী তবে টিপিক্যাল না....................
আহা....
আহারে!

আশির দশকের হিন্দী ফ্লিম। যেকোন কিছুতেই ক্যান্সার আর মৃত্যু
আশির দশকে আমি ছিলাম না আপু

বলো কি? তুমি কি আন্ডা গেন্ডা ???? একটু বেশি কমাইলনা বয়স? কাশি দিব?
তখনতো ফিডার খাই

মন্তব্য করুন