জাহিদ সাহেবের একদিন
সকালে অফিসে এসে যে কাজটা জাহিদ করেন , সেটা হল এক কাপ কড়া লিকারের চা পান করেন। এটা ধীরে ধীরে জাহিদ সাহেবের প্রাত্যহিক জীবনের অভ্যাসে পরিনত হয়ে গেছে । সেই যে কবে দেশ থেকে এসেছেন সেটা ভালমতো রোমন্থন না করলে মনে পড়তে চায় না । তখন তার বয়স ২৪ কি পঁচিশ ছিল। ইদানিংকার যোগে বয়সের হিসাব মেলানো কত সহজ । অথচ তাদের সময় তো এতশত সিস্টেম ছিল না ।কে কোথায় কখন জন্ম গ্রহন করেছে তার হিসাব রাখাটা তার বাবা মা যেমন জরুরী মনে করেনি । অন্য সবাই ও তেমন জরুরী মনে করত না ।
ইদানিং অপিস বয় ছেলেটা পাজির একশেষ হয়েছে গেছে। বিশ মিনিটের অধিক সময় পার হয়ে গেছে তার এখন চা দেওয়ার নাম নাই । অফিস বয়টা বাংলাদেশি হলে কি হবে । একেবারে চাটুকার । আরব দেশের বসদের একটু বেশী রকমের সমাদর করে। তা দেখে জাহিদ সাহেব মাঝে মাঝে লজ্জিত বোধ করেন। কেননা তিনি নিজে ও একজন বাংলাদেশী । তাই যখন কেউ নিজের দেশ এবং দেশের মানুষ কে নিয়ে কটূক্তি করে সেটা হজম করতে তার বহু কষ্ট হয়। বুকের মাঝে কেমন যেন একটা চাপা কস্ট অনুভব করেন । তা কাউকে তিনি বুঝাতে পারবেন না ।
সেদিন জীপে করে শহরের রাস্তা ছেড়ে একটু লং ড্রাইভে বেরিয়েছিলেন সাথে ছিল মিশরীয় এক বন্ধু । শহরের কোলাহল ছেড়ে মরুর বুক চিড়ে গাড়ি চলছিল দেড়শ কিলমিটার বেগে । আচমকা মানুষের জটলা দেখে গাড়ীর গতি কমিয়ে জটলার পাশে গেলেন । একজন কে কাছে ডেকে জিজ্ঞেস কলেন কি হয়েছে ভাই । প্রতিউত্তরে লোকটা বলল , বলদিয়ার কাজে নিয়জিত একজন বাংলাদেশি গরম সহ্য করতে না পেরে অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেছে । (বলদিয়া= সিটি কর্পোরেশন , যাদের মাধ্যমে সকল স্থান পরিস্কার রাখা হয় ) জিজ্ঞেস করলাম হাসপাতালে খবর দেওয়া হয়েছে কিনা। কেউ একজন বলল খবর দেওয়া হয়েছে কিছুক্ষণের মধ্যে তারা এসে যাবে । মনের অজান্তে জাহিদ সাহেবের ভিতরটা মোচড় দিয়ে উঠল । কতই বা বয়স হবে ছেলেটার । শধু মাত্র পয়সার জন্য মা ভাই বোন ছেড়ে সুদূর প্রবাসে এসে কঠোর পরিশ্রম সহ্য করতে না পেরে এমনাবস্তায় পড়েছে। দেশের কেউ কি কোনোদিন তার খোঁজ খবর নেয় ? সে কিভাবে টাকা উপার্জন করছে কেউ সে খবর রাখেনা। যখন ছেলেটার জন্য মনখারাপ হচ্ছিল তখন পাশে বসা মিশরীয় সহকর্মী আহমেদের কথাতে মনটা আর খারাপ হয়ে গেল।
আহমেদ সেদিন বলেছিল মিঃ জাহিদ তোমরা কি খুবই গরীব ? যদি গরীব না হও তাহলে কেন "বলদিয়া " কাজের জন্য তোমরা লোক পাঠাও । শত ভেবে জাহিদ সাহেব কোন উত্তর দিতে পারেননি মিশরীয় সহকর্মীকে । অনেকটা লজ্জায় তিনি সেদিন সারা পথ আহমেদের সাথে আর কোন কথা বলেননি। তার নিজের ও ভাবতে কস্ট লাগে , মিশরের সামান্যতম মানুষ ছাড়া বেশীরভাগ মানুষই কৃষি (মাজরা) কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে ।তারপর ও তারা ৩০০ রিয়াল বেতনে আরবদেশে আসে না ।জাহিদ সাহেব জানেন তার নিজের দেশের কিছু অসাধু মানুষ মিথ্যে আশ্বাস দিয়ে অনেটাকার বিনিময়ে এদেশে পাঠিয়ে নিম্ন মানের কাজে লাগিয়ে দেয় ।
কি ব্যাপার জাহিদ ভাই কি ভাবছেন ? অফিস বয় কাশেম এসে জিজ্ঞেস করল ।
কাশেমের কথা শুনে চিন্তার জগত থেকে বাস্তবে ফিরে এলেন জাহিদ সাহেব।
জাহিদ ভাই আপনার চা ।
কিরে কাশেম এত দেরী হল কেন?
অন্যান্য স্যারদের চা পানি দিয়ে এসেছি তাই ।
ও আচ্ছা । ঠিক আছে ।
কাশেম এই অফিসে চাকুরি করে বেশ কয় বছর । প্রথমে জাহিদ সাহেব কে স্যার বলে ডাকত ।কিন্তু জাহিদ সাহেব একদিন কাশেম কে ডেকে বললেন
- শোন কাশেম তুমি আমাকে স্যার বলে ডাকার দরকার নাই। জাহিদ ভাই বলে ডেক ।
প্রতিদিনের মত চা পান শেষে নজর বুলান ইন্টারনেটে বাংলাদেশি দৈনিক পত্রিকাগুলোতে । জাহিদ সাহেব প্রথম আলো পত্রিকাটা একটু বেশী পড়েন । তবে আজকের পত্রিকার হেড লাইনটা দেখে আবারো মন খারাপ হয় গেল ।আসলে যেদিন মন খারাপ থাকে সেদিন সর্ব ক্ষেত্রে মন খারাপ হয়ে যায়। বাওংলাদেশ সরকার সৌদি আরবে নারী গৃহকর্মী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেখে।
গত পরশু ইন্দনেশিয়ান সহকর্মী রনেলের কথাগুলো মনের অজান্তেই চোখের পর্দায় ভেসে উঠে ।ফারিহা ইন্দনেশিয়ান মেয়ে। সম্পর্কে রনেলের প্রতিবেশী । ফারিহার বাবা বেছে নাই , নিতান্তই গরীব , বর্তমানে হাসপাতালে মুত্যের সাথে পাঞ্জা লড়ছে দু সপ্তাহ যাবত ।গতবছরের শেষ দিকে ফারিহা গৃহকর্মীর ভিসাতে সৌদি আরবের আল কাশিম শহরে আসেন । তার মালিক এক প্রভাবশালী সৌদি সে সাতটি বিয়ে করছে। সর্বকনিষ্ঠ বউয়ের সাথে সে শহরে থাকে। সেই বাসার কাজের জন্য ফারিহাকে আনা হয় । প্রথম প্রথম ফারিয়ার ভাল লেগেছিল কাজ করতে , কিন্তু যত দিন গড়াতে থাকে তার নানা সমস্যা দেখা দিতে থাকে কাজে । এক দিকে বিদেশের মাটিতে কার কাছে অভিযোগ করবে , অন্য দিকে চাকুরী হারানর ভয় । তাই মুখ বুঝে সব সহ্য করছিল । ধীরে ধীরে তার উপর মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতনের মাত্রা বাড়তে থাকে । কিন্তু অসহায় ফারিহা কার কাছে বিচার দিতে পারছে না কারন তাকে ঘরের বাইরে যেতে দেওয়া হয়না। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অমানুষিক কাজ । রাতে দিনে সৌদির স্ত্রী বাসাতে না থাকলে যৌন নির্যাতন আর অযাথা হয়রানী করত তার মালিক ।অসহায় ফারিহা চেস্টা করে ও তার সর্বনাশ ঠেকেতে পারেনি । তার মালিক তাকে যৌন নীপিড়ন করে এবং নিয়মিত ভাবে ধর্ষণ করতে থাকে । এক পর্যায়ে ফারিহা মারাত্মক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরিশেষে তার মালিক তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে । সৌদির নিয়মানুযায়ী কোন মহিলা কর্মী কে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তাদের দুতাবাস কে জানানো হয় । ইন্দনেশিয়ান দূতাবাস থেকে লোক ফারিহাকে দেখতে গেলে সে তার দুর্ভাগ্যর কথা তাদের জানায় ।দুতাবাস কতৃপক্ষ এ বেপারে একটি নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করেন । বর্তমানে ফারিহা হাসপাতালে মুত্যর সাথে লড়াই করছে ।
কেন জানি জাহিদ সাহেবের দুচোখ বেয়ে এক ফোঁটা অশ্রু বের হয়ে গেল। হয়ত একবছর পর কোন অসহায় কিশোরী বাংলাদেশী গৃহকর্মী ভাগ্যে এমন ঘটতে পারে । না তিনি চান না এমন কিছু ঘটুক। তারপর ও কেমন জানি লাগে জাহিদ সাহেবের কাছে।
জাহিদ ভাই আজকে কি মবিন কে দেখতে যাবেন ? যদি যান আমাকে ও সাথে করে নিয়ে যাবেন । কাশেমের কথায় আবারো চিন্তার মাঝে ছেদ পড়ল ।হ্যা আজ তার মবিন কে দেখতে যাওয়ার কথা ।
মবিন ছেলেটার সাথে দুই বছর আগে পরিচয়। একদিন মার্কেট থেকে কেনাকাটা করছিলেন জাহিদ সাহেব। হঠাত দেখলেন একটা ছেলে খুব অসহায় ভাবে দাঁড়িয়ে আছে । জাহিদ সাহেব তাকে ডেকে বললেন কি ব্যাপার তোমার কি কোন সমস্যা । জবাবে সেদিন মবিন বলেছিল না দেশের জন্য মন খারাপ । এক সপ্তাহ হল এখানে এসেছি । ছেলেটির কথা শুনে জাহিদ সাহেবের বুকটা ধক করে উঠলো । সেই থেকে মবিনের সাথে জাহিদ সাহেবের পরিচয়। সাপ্তাহিক ছুটির দিন তিনি মবিনের বাসাতে বেড়াতে যান , কখন ও কখন ও মবিন চলে আসে জাহিদ সাহেবের বাসায় । মবিন একটা ভাল কোম্পানিতে কনস্ট্রাকসন কাজ করে। দেশে তার বোনের বিয়ের কথাবার্তা চলছে ।কিন্তু হঠাত করে সবকিছু কেমন যেন উলট-পালট হয়ে গেল। গত সপ্তাহে মবিন এক্সিডেন্ট করে। জীবন মূত্যের মাঝে এখন হাসপাতালে দিন কাটছে। প্রতিদিন কাজ শেষে জাহিদ সাহেব মবিন কে দেখতে যান। মবিনের বোনের বিয়ের ব্যাপারে মবিনের বাবার সাথে কথা বলেন কিন্তু মবিনের দুর্ঘটনার কথা বলেন না।
দূর আজ কোন কাজ হচ্ছে না । বড় একটা দীঘশ্বাস ফেলেন জাহিদ সাহেব। আজ শুধু সবার কথা মনে হচ্ছে , দেশের কথা মনে হচ্ছে । না আজ আর কাজ করবেন না ।
গত মাসে অফিসের একটা কাজে অন্য একটা শহরে যেতে হয়েছিল জাহিদ সাহেব কে । সেখানকার নামকরা হোটেলে তিনি আর তার সহকর্মী উঠেন । রাতে ডিনার সেরে রুমে এসে দেখেন একজন বৃদ্ধ লোক তাদের কামরা পরিস্কার করছে । আমাদের দেখে সে আরবিতে বলল স্যার আপনাদের কোনকিছু দরকার হলে আমাকে বলবেন । এমন সময় তার ঝাড়ুর ছোঁয়া লেগে গেল আমার সহকর্মীর শরীরে।তাতেই সে রেগে ফায়ার। যা তা বলে বৃদ্ধ কে গালিগালাজ করতে লাগল । জাহিদ সাহেব তার সহকর্মীকে শান্ত করার চেস্টা করতে লাগলেন । তার সহকর্মী বৃদ্ধকে জিজ্ঞেস করলেন তোমার দেশ কোথায় । বৃদ্ধ বলল বাংলাদেশ ।জাহিদ সাহেবের সহকর্মী তখন হাসতে হাসতে বললেন তাই বল তোমরা ছাড়া এতবড় বেকুব কে হবে । লজ্জায় জাহিদ সাহেবের মাথা হেট হয়ে যায় । কিন্তু তিনিই বা কি করতে পারেন।
শুধু যে দুঃখের ঘটনাই ঘটে জাহিদ সাহেবের তা কিন্তু নয়। গত পরশু জাহিদ সাহেবের কোম্পানির সাথে বড় একটা কোম্পানির চুক্তি হয় । সে কোম্পানিতে আইটি ম্যানেজার হিসাবে জাহাঙ্গির চাকুরী করে , সেদিন নিজেকে বাংলাদেশি হিসাবে পরিচিতি দিতে গিয়ে গর্বে জাহিদ সাহেবের বুক ভরে উঠে। জাহিদ সাহেব মনে মনে স্বপ্ন দেখেন একদিন বাংলাদেশী লোকেরা ভাল ভাল পজিশনে কাজ করছে। কেউ আঙ্গুল দেখিয়ে বলবে না এরা বাঙ্গালী নিম্ন মানের কাজ করে ।আত্মমর্যদায় বলীয়ান হবে সকল বাংলাদেশী ।
অনেকক্ষণ হয়ে গেল কাশেমের কোন খোঁজ নেই। নিজের ডেস্ক থেকে উঠে নিচে নেমে এলেন জাহিদ সাহেব । এদিকে সেদিকে খোঁজে কাশেম কে কোথায় ও না পেয়ে গেট কীপারের কক্ষে এসে দেখেন কাশেম কাঁদছে । জাহিদ সাহেব কে দেখে কাশেম আরো জোরে কেঁদে উঠল ।
কি হয়েছে কাশেম ?
জাহিদ ভাই । আমার বাবা আর বেঁচে নাই ।একটু আগে দেশ থেকে ফোন এসেছে।
কি বলে কাশেমকে শান্তনা দিবেন ভেবে পাচ্ছেন না জাহিদ সাহেব। তবু ও মনের অজান্তে বলে উঠলেন বাবা মা কারো চিরদিন বেঁচে থাকে না । শান্ত হও কাশেম। তোমাকে ভেঙ্গে পড়লে চলবে না । এখান থেকে দেশের সবাইকে সাহস জোগাতে হবে তোমাকে । তুমি বাসায় চলে যাও আমি অফিসে বলে দিচ্ছি । আর সন্ধ্যায় তোমার বাসাতে আসছি।
গেট কীপার পাকিস্তানি লোকটাকে ডেকে কাশেমকে একটা লিমুজিনে উঠিয়ে দিলেন জাহিদ সাহেব। আজ আর অফিস করতে ইচ্ছে করছে না । অফিসের গেস্ট রুমে এসে বসলেন জাহিদ সাহেব। সাথে সাথে মনেপড়ে গেল আজ থেকে বহুবছর আগে এমনি করে তার বাবার মূত্য সংবাদ তারকাছে এসেছিল । সেদিন তিনি ফিরে যেতে পারেননি মৃত বাবাকে দেখতে। কিভাবে তিনি যেতেন কত ঋণের বোঝা ছিল সেদিন তার মাথায়।কেদে কেঁদে চোখের জলে একাকার করেছেন কিন্তু সেই শোক আজ ও বুলতে পারেননি । সে যে কি কষ্টের তা কাউকে বলা যায় না । নিজে নিজে জ্বলেছেন প্রতিদিন ।আজ তার কাছে টাকা পয়সা সবই আছে নাই শুধু বাবা। বাবার কথা মনে হওয়ায় দুচোখের কোন দিয়ে কখন পানি এসে গেছে খেয়াল করেননি । এদিকে কাজের সময় শেষ হয়েগেছে তার খেয়াল নেই। জাহিদ সাহেব বাসাতে ফিরেন নতুন একদিনের অপেক্ষা নিয়ে । অনাগত দিনে কি হবে তা তিনি যেমন জানেন না অন্য কেউ ও তা জানেন না । যিনি জানেন তাকে কেউ দেখে না ।
বিঃদ্রঃ এই গল্পটি ৬০ লাখের ও অধিক বিদেশী প্রবাসীদের কে উৎসর্গ করলাম, যারা প্রতিনিয়ত হাজারো কস্টের মাঝে সুদূর প্রবাসে তাদের দিনযাপন করেন।
অনেক কষ্টের কথা গুলো শেয়ার করলেন... বিদেশ থেকে আসা টাকার সবচাইতে বড় অংশটাই মিডিলইস্ট থেকে আসে... অথচ তাদের জন্য সরকারের (যেকোন সরকারের) কোন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেই... আর এটা হচ্ছে সবচাইতে দূর্ভাগ্য জনক
আশা রাখি বাঙালীরা কর্মক্ষেত্রে ধীরে ধীরে উপরের দিকে অবস্থান করবে অদুর ভবিষ্যতে...
টুটুল ভাইয়া আমি ও আপনার মত আশা রাখি । কিন্তু সরকার সে আশা হতাশায় রুপান্তর করে বারবার । অনেক শুভকামনা রইল ।
টুটুলদার কথার সাথে একমত।
আমি সবসময় তাই ভাবি ।
বড় আশায় বুক বাঁধি বার বার --- ভাল থাকুন।
বাস্তবতা আমাদের কে সত্যিকার অর্থে আশায় বুক বাঁধতে দেয় না আপুনি ।
গলপটা হবে শাকিল সাহেবের একদিন
এবির মোষট কনটরিবিউটার হিসেবে আপনি একটি এ্যাওয়ারড পাওনা
আপনারা কষ্ট করে আমার লেখা পড়ছেন এটাই আমার পুরুস্কার। আর কিছু চাই না। হ্যাঁ শাকিল সাহেবের একদিন হয়ত হত , হয়ত না।
আসলেই গল্পটা হবে শাকিল সাহেবের একদিন।
যদি মীর সাহেবের একদিন লিখতাম তাহলে কি মন্দ হত । অনেক ভালবাসা আর শুভকামনায়।
মন্তব্য করুন