ভালবাসাহীন
বুকের পাঁজরের উল্টো পাশে হৃদয় থাকে
মস্তিষ্কের অনুভূতির খোঁচা সেখানে বিঁধে যায় সহজে।
ভালোবাসাহীন অন্য মানুষ সবাই বলে আমায়
শুনি চুপ থাকি হাসি খোলা মনে , ভালবাসা কারে কয়
তারা ক'জনে জানে।আমার ছিল যা তা তো দিয়েছি
উজাড় করে কোন এক চন্দ্রিমা রাতে । যখন চাঁদ
রুপার চাদর বিছিয়ে ছিল ধরণীর বুকে।কেশে ভেসে আসা
বেলী ফুলের মিষ্টি সুভাসে অন্ধ মাতোয়ারা।
রাত দিন ক্লান্তিহীন সেই পথে রোজ ভাসাতাম ভেলা
চক্ষুর আড়াল হলে দগ্ধ আমার হৃদয় খুজে নিত তোমার
মায়াভরা অধরের হাসি। বৃষ্টির জলে কদম ফুল
দিতাম কুড়িয়ে , সহাস্য তোমায় মনে হত স্বর্গের অপ্সরী।
ঝিনুকের মালা গেঁথে হেসে যেতে আনমনে, দিনের শেষ প্রহরে।
গ্রামে কালবৈশাখী ঝড়ে সব তছনচ, বিধবা লাবন্য ঘরহারা
ব্যাস্তসময় আর অসহায়ের আর্ত চিৎকার আমি ছুটে
যাই অসহায় গৃহহারাদের কাছে ।পাশে দাড়াই কাঁচা বাশের
কঞ্চি দিয়ে ঘর বানাই। নববধূর সহাস্য অধর দেখে
তোমায় মনে পড়ে। ফিরি এক আমবশ্যার গহিন রাতে স্বগৃহে
মায়ের মলিন মুখ আর বাবার চোখের কটাক্ষ চাহনী
সব ভুলে সাঁঝের বেলায় ছুটি তোমার গৃহ পানে। বকুল,
ছোট বোন সেজেছে দারুণ বেলী ফুলের মালায়। যখন শুধাই
তুমি কোথায় , বলে কালবৈশাখী ঝড়ে ভাসিয়ে নিয়েছে
গোর আমবশ্যার রাতে । মস্তিষ্কের নিউরনে খোঁচা পড়ে
বুকের পাঁজরের ওপাশে আমাবশ্যার আধার নেমেছে।
কাল বৈশাখী আমার সব কেড়ে নিয়েছে রেখেছে
শুন্য করে ভালাবাসাহীন এক অন্য মানুষ করে।
(সৌদি আরব । রাত তিনটা ০৫.১০.২০১১)
সুন্দর কবিতা।
ধন্যবাদ
অনেক ধন্যবাদ
ভালো লাগলো...
আপনার ভাল লেগেছে জেনে আমার নিজের ও ভাল লেগেছে ।
মন্তব্য করুন