আহমাদ আলী'এর ব্লগ
ফরম্যাট মামুন
স্লিপিং স্লিপিং ফরম্যাট ভাই
অফিসে এলে ভুলে যাই
নতুন বছরে ফরম্যাট নাই
কোথায় গেলে বল তা পাই।
তুমি ফরম্যাট জানে সবাই
তাইতো তোমার তুলনা নাই
ফরম্যাট ফরম্যাটে কাটে বেলা
কাজে তোমার নেই তো হেলা।
স্লিপিং স্লিপিং থাকো তুমি
কাজে তোমার ভিন্ন জমি
ক্যানভাসে তুমি আঁক ছবি
ফরম্যাট খেলা তোমারি হবি।
‘M’-ফর মামুন এটাই জানি
‘F’-ফর ফরম্যাট তাও মানি
তোমার ভাষা বোঝাই কঠিন
সব কিছুতেই সবুজ জমিন।
০২.০১.২০১৪
বড়দিনে ‘টপ সিক্রেট’
মনে পড়ে আজ থেকে পঁচিশ বছর আগে। ১৯৮৮ সালের ২৫ ডিসেম্বর দেশের একজন সুনাগরিকের সরকারি বাসায় গিয়েছিলাম। উদ্দেশ্য পরস্পরকে কাছ থেকে চেনা বা জানা। আমি তখন জগন্নাথ কলেজের ছাত্র। স্কুলজীবন থেকেই আমার লেখালেখির অভ্যাস। স্থানীয়ভাবে প্রকাশিত বিভিন্ন দেয়ালিকা, সাপ্তাহিক স্বদেশ খবর, সাপ্তাহিক সন্দ্বীপ, দৈনিক খবর, আজাদ এবং ইত্তেফাকসহ বিভিন্ন পত্রিকায় নানা সমস্যা-সম্ভাবনা, অনিয়ম-দুর্নীতি, সামাজিক অনাচার-অবক্ষয় নিয়ে লিখতাম। এর মাঝে ১৯৮৭ সালের দিকে বাজারে এলো দৈনিক ইনকিলাব নামে একটি পত্রিকা। এ পত্রিকায় ’৮৮ সালে যৌতুকবিরোধী আমার একটি লেখা প্রকাশিত হয়। এ লেখার জন্য একটি অভিনন্দন চিঠি আসে অফিসের ঠিকানায়। সে সময় লেখালেখির সুবাদেই ইনকিলাবে যাওয়া হতো। এখান থেকেই ইনকিলাবের তৎকালীন সহকারী সম্পাদক শ্রদ্ধেয় মফিজ ভাইয়ের (মরহুম মফিজ উদ্দিন আহমদ) সাথে আমার এক রকম হৃদ্যতা গড়ে ওঠে। তিনি আমাকে যারপরনাই স্নেহ করতেন। আমার ভালো-মন্দ খোঁজ-খবর করতেন। আমার প্রতি তার দাবি ছিল- আমি যাতে অন্তত সপ্তাহে একবার তার স্নেহধন্য আতিথেয়তা গ্রহণ করি। তার দেয়া রুটিন মতো তার অফিসকক্ষে ঢুকতেই বললেন, ‘তোমার একটি চিঠি আছে, যাওয়ার সময় নিয়ে য
আমার আমি : কিছু এলোমেলো স্মৃতি
জীবন থেকে প্রতিটি ক্ষণ হারিয়ে যাচ্ছে। মানবিক জীবন, সংসার জীবন, ব্যক্তি জীবন এমনকি পেশা জীবনও বাদ পড়ছে না এ গৎবাঁধা সময়সূচি থেকে। মহামনীষীদের লেখায় এ সত্যটি প্রকাশ পেয়েছে ঠিক এভাবে- ‘Time and Tide wait for none’- সময় এবং স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না। কেবলই বয়ে চলে।
পৃথিবীর প্রতিটি প্রাণীর সাথে সময়ের এ কঠিন নিয়মে আমিও আবদ্ধ। একে একে জীবন থেকে ঝরে গেছে চারটি যুগ, ৪৮টি বছর (নভেম্বর ১০, ১৯৬৫-২০১৩)। এ দীর্ঘ জীবন পরিক্রমায় কী পেয়েছি, কী পাওয়া উচিত ছিল- এ নিয়ে এখন কোনো অনুযোগ, অভিযোগ বা আক্ষেপের সুযোগ নেই। তবে গুণীজনেরা অকপটে লিখে গেছেন- ‘মানুষ যা চায় তা কখনো পায় না; যা পায় তা ভুল করেই পায়’। আমার চাওয়া-পাওয়ার ক্ষেত্রেও এর ব্যত্যয় ঘটেনি।
হাতিরপুলের সেকাল-একাল!
সেকাল:
হাতিরপুলে হাতি ছিল
মাঝখানে সড়ক আর
দুই ধারে বিল ছিল।
হাতিরপুলে পুল ছিল
মাঝখানের সড়কে
রেললাইনও ছিল।
হাতিরপুলের খুব
নামডাক ছিল
গা ছমছম ভয় ছিল।
হাতিশালায় হাতি আর
বিলঝিলে দস্যুদের
রামরাজত্ব ছিল।
পুলের ধারে মাহুত আর
ছিন্নমূলের বাস ছিল
হাতি পালন কাজ ছিল।
এককালে অনেক জমি ছিল
জমিতে ধান আর পাটের
ভালো চাষ ছিল।
তেজি রোদে মাথলা মাথায়
ফসল বোনা আর নিড়ানি
কৃষকের কাজ ছিল।
একাল :
হাতিরপুলে হাতি নেই
বিল নেই ঝিল নেই
পুল নেই রেল নেই।
গা ছমছম ভয় নেই
দস্যু নেই মাহুত নেই
জমি নেই ফসল নেই।
উঁচু কাঁচা সড়ক নেই
ছিন্নমূলের বাস নেই
ঘাস নেই গাছ নেই।
কৃষক নেই মাথলা নেই
ফসল বোনা নিড়ানি নেই
নামটি আছে সেই।
হাতিরপুল, ঢাকা
১৭.১২.২০১৩
স্মৃতিতে অম্লান ময়ূরপঙ্ক্ষী নৌকা
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালীন আমার বয়স তেমন বেশি নয়। তবে অনেক কিছুই স্মৃতির আয়নায় মাঝে মধ্যে উঁকি দেয়, এই যা। দিনক্ষণ মনে না পড়লেও স্পষ্টই মনে পড়ে, যুদ্ধ-উত্তর বাংলাদেশে রমনা রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আগমনে বিশাল একটি আয়োজন হয়েছিল। আর এ উপলক্ষে তৈরি করা হয়েছিল বিশাল একটি মঞ্চ, যা ছিল ময়ূর আকৃতির। তাই ময়ূরপঙ্ক্ষী নৌকা হিসেবেই এটি পরিচিতি পেয়েছিল। নদীমাতৃক বাংলাদেশে ময়ূরপঙ্ক্ষী নৌকা নিয়ে আছে নানা কল্পকাহিনী, আছে বাস্তব ঘটনাও। ময়ূরপঙ্ক্ষী নৌকা আমাদের সংস্কৃতিতে মিশে আছে। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে বাঙালি জাতির জনককে বাংলার ঐতিহ্যে বরণ করা হয়েছিল খুব সম্ভব এ কারণেই। সে সময়ে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন অনেকের মধ্যে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। কারণ স্বাধীনতাযুদ্ধকালীন ভারত বাংলাদেশের মিত্র হিসেবে কাজ করেছে।
কাহি তুমি কার?
কাহি তুমি কার?
(আঞ্চলিক)
কাহি মোদের রওশেন
একবার ভেবে কওছেন
দোষটা কী কাহার
তার এতো কষ্টে
লাভ কি তোঁয়ার।
সুখের একি সংসার
ভেঙে ক্যান ছারখার
কাহারে করলা তুমি
বড়ই অপমান
যায় বুঝি তার জান।
কাহা মোদের এরশাদ
বুঝবে তুমি এর স্বাদ
মান করে তাই খর্ব
ভাবছো বুঝি গর্ব
ভাঙবে অহঙ্কার।
সত্য করে বল কাহি
তুমি কি কাহার?
সর্বদলে কাহা নেই
তোঁয়ারই বাহার!
তয় জাপা কার?
নোট: কাহি-কাকি, মোদের-আমাদের, রওশেন-রওশন, কাহার-কাকার, তোঁয়ার-তোমার, ক্যান-কেন,
জান-জীবন বা প্রাণ, তয়-তবে, জাপা-জাতীয় পার্টি।
১২.১২.১৩
নাম তার মোস্তাক
নামটি তার মোস্তাক
নেই কোনো রাখঢাক
আসে যখন অফিসে
পা মোছে পাপোসে।
বসে যখন চেয়ারে
কেউ নেই কেয়ারে
হাসে বসে মুচকি
প্রিয় মাছ কাচকি।
সারা দিন আপলোড
মনে রাখে নিউজ কোড
ডেস্কটপ নয় ল্যাপটপ
তার আছে জানা সব।
যায় কখনো চ্যাটিংয়ে
স্বপ্ন আঁকে ব্যাটিংয়ে
যায় না তবু মিটিংয়ে
মাঝে মধ্যে ডেটিংয়ে।
ছুটির দিনে গুলশানে
কাটে সময় জলপানে
পছন্দ তার মাছ-ভাত
ভয়টি শুধু বজ্রপাত।
***পুনশ্চ : মোস্তাকের অনুরোধে ঢেঁকি গেলা
@হাতিরপুল, ঢাকা-১১.১২.১৩
কথার কথা!
‘প্রধানমন্ত্রিত্ব চাই না আমি’
বললেন দেশের রাজা
আঁকড়ে রাখা পদটি ছাড়া
এতোই কি সোজা!
মন্ত্রী আর প্রতিমন্ত্রী
করলেন পদত্যাগ
দিন কয়েক কাটলো বটে
ফের হলো টার্ন ব্যাক।
প্রজা ছাড়া রাজ্য তার
গঠন হলো সারা
আবুল কামরুল আছে
নেই তো সাহারা।
নতুন গড়া সরকারে
মঞ্জু উপদেষ্টা
দল ছেড়ে সর্বদল
মিটিয়েছে তেষ্টা।
স্বৈরাচারের আত্মা তার
বললেন জনগণ
সরকার থেকে সরে এসে
করলো জয় কার মন।
আজ আছি কাল নেই
এইতো তার খেলা
ঝাড়ু-জুতা মিছিল করে
এরশাদেরই জেলা।
মিলিটারির পোশাকটি
বড় এক অর্জন
মাঝপথে এসে দেয়
বিশাল এ গর্জন।
০৭.১২.২০১৩
ভুলের ভাণ্ডার
ভুল বানানটি সঠিক বটে
লিখবেন না কেউ ভূল
তুল লিখেন টুল লিখেন
লিখবেন না বানান মুল।
মূল কিন্তু মুল নয়
রাখবেন মনে সবে
মুল যদি লিখে কেউ
ভুল জানবেন তবে।
কুল যদি বরই হয়
কূল নদীর পাড়
ভুল বানানে অভ্যস্ত
লজ্জা দেবে স্যার।
তুলা লিখেন কুলা লিখেন
লিখবেন না কেউ মূলা
মুলা বানান সঠিক তবে
লিখবেন না ফরমূলা।
ফরমূলা নয়, ফরমুলা
জেনো নিশ্চয়
ইংরেজি উচ্চারণে
(ূ) ঊ-কার নাহি হয়।
কারণ বারণ মরণ লিখেন
ধরণ লিখবেন না
ধরণ যেন ধরন হয়
লিখতে ভুলবেন না।
গুণ লিখেন ঘুণ লিখেন
গুন লিখবেন না
গুণিতকের মর্মকথা
এতে পাবেন না।
কাঁটা-বোঁটা সবই লিখেন
ফাঁটা লিখবেন না
ফ-এর ওপর চাঁদ বসালে
ফাটা থাকবে না।
হাসি লিখেন কাশি লিখেন
হাস লিখবেন না
চাঁদ ছাড়া হাঁস-ফাঁস
কিছুই হবে না।
বাড়ি-গাড়ি সবই লিখেন
হাড়ি লিখবেন না
হাঁড়ির ওপর চাঁদের টিপ
দিতে ভুলবেন না।
আসন বাসন নয়নে
‘ন’ হবে নির্ভুল
প্রান ঘ্রান ত্রান লিখে
করবেন না তাই ভুল।
প্রাণ ঘ্রাণ ত্রাণ বানানে
লিখবেন মূর্ধন্য- (ণ)
এ নিয়মে লিখে যান
বর্ণ বর্ষণ আর কার্পণ্য।
অনুরোধে হবে করুন
অবস্থাতে করুণ
তোরণ বানিয়ে তারুণ্য
ধান্ধাবাজির অারেক নাম রিচ অ্যান্ড ফেমাস
রিচ অ্যান্ড ফেমাস নামের আড়ালে দেশের রিচ অ্যান্ড ফেমাস ব্যক্তিদের নিয়ে বাণিজ্য চালাচ্ছে পত্রিকাটির প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক মনজুর সাদেক খোশনবিশ। যিনি শেয়ার বিজ্ করচা নামে একটি পত্রিকারও প্রতিষ্ঠাতা প্রধান সম্পাদক।
সরকারি কোনো অনুমোদন (ডিক্লিয়ারেশন নম্বর) ছাড়াই গত ৩-৪ বছর ধরে প্রকাশিত হয়ে আসছে রিচ অ্যান্ড ফেমাস। এর নেই কোনো সরকারি নিবন্ধন বা ডিএ নম্বর, নেই কোনো ডেটলাইন বা প্রকাশনার দিন-তারিখ। অথচ বাহারি প্রিন্টার্স লাইনে রয়েছে অসাংবাদিকদের প্রাধান্য। প্রতিষ্ঠাতা প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকের নামের পাশাপাশি বেশকিছু নামের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া গেলেও বাস্তবে এ পত্রিকায় কোনো লোকবল নেই। উপ-সম্পাদক হিসেবে যে নামটি (হাসিনা সাদেক) উল্লেখ আছে, তিনি প্রধান সম্পাদকের স্ত্রী। এস এম জাহিদ-নির্বাহী সম্পাদক পদধারী ব্যক্তি শেয়ার বিজ করচার কম্পিউটার সেকশনে গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে কর্মরত। সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে উল্লিখিত তানিয়া আফরোজ প্রধান সম্পাদকের সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ)।
দম্ভের দণ্ড
গোলাম মাওলা রনি
টানছেন জেলের ঘানি
অহমিকার দণ্ড জেনো
মান ভুলো না মানী।
ফাদার অব ল’ তিনি
বলেন বারংবার
একটুখানি অহমিকায়
গেলেন কারাগার।
ইটিভি আর জিটিভি
নেই তিনি কোথায়
নীতিপ্রীতির নানা কথা
বলেন মুখে ঠায়।
সাংবাদিককে হেন জ্ঞান
করলেন কোন ভুলে
জটবাঁধা আইনের শাসন
তারই তরে খোলে।
মানীর মান রক্ষা করা
দায়িত্ব বল কার?
অহমিকার টুঁটি চেপে
ধর তো একবার।
আইন প্রণেতা বটে তুমি
আইনই তোমার কাল
নিজের হাত নিজেই তুমি
করলে একি লাল!
২৬.০৭.২০১৩
কোন চোরের নাতি
একাত্তরে স্বাধীন মোরা
বাঙালি এক জাতি
কাজে নয় কথায় বড়
কোন চোরের নাতি।
লিখেছেন কবি এক
রামগরুরের ছানা
দুর্নীতি করবে তারা
বলতে এসব মানা।
খুন ধর্ষণ গুম হত্যা
চলতে নেই মানা
জনগণের নিরাপত্তা
নেই কারো জানা।
কুকুর থেকে সাবধান!
সতর্ক এক বাণী
পুলিশের দূরত্ব
বজায় রাখো মানী।
লোকে যারে বড় বলে
বড় সে তো নয়
নিজের বড় নিজে বলে
বড় সেই হয়।
সততা কোন ছাড়
আজব বাংলাদেশে
দুর্নীতির কালো হাত
তোমারই আশপাশে।
টাকা নিয়ে ধরা খায়
মন্ত্রী যেই দেশে
পদত্যাগে পার পায়
বিদায় হেসে হেসে।
চোরের মার বড় গলা
বলার উপায় নেই
টিপে টিপে বলে কথা
মন্ত্রী এখনো সেই।
দফতরবিহীন হোক
আপত্তি কিসে
লজ্জার মাথা খেয়ে
তিনি অফিসে।
বর্ষণের মেধা-মনন ও মুরগি কাহিনী
মেধা ও মনন
ছেলে আমার সেন্ট গ্রেগরী উচ্চ বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণীতে পড়ছে। পড়াশোনায় ভালো, কি খারাপ তা বলার উপায় নেই। তবে কোনো বিরতি ছাড়াই প্রতিটি চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ওপরের ক্লাসে প্রমোটেড হয়েছে। তার সম্পর্কে বলার বিষয় হচ্ছে, ও যখন গেন্ডারিয়ার স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে কেজিতে পড়ে, তখন সেন্ট গ্রেগরী স্কুলে এডমিশনের জন্য ওই স্কুলের এক শিক্ষকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। শিক্ষক মহোদয় জানি না কি কারণে তাকে দেখে পরের বছর চেষ্টা করতে বললেন। অগত্যা কি করা, ছেলের মেধা যাচাইয়ে কোনো কোচিং বা স্পেশাল টিচিংয়ের ব্যবস্থা না করে ভর্তিযুদ্ধের জন্য ওর মা নিজেই শিক্ষকের দায়িত্ব নিলো। স্কুলের নিয়ম অনুযায়ী ছেলের সাথে মা-বাবা দুজনকে ইন্টারভিউর জন্য নির্ধারিত তারিখে প্রধান শিক্ষকের (ব্রাদার রবি পিউরিফিকেশন) কাছে হাজির হতে হলো। ইন্টারভিউর পর ঘোষিত তারিখে ফরম সংগ্রহ করা হলো।
ড্যাম কেয়ার
আহা! কি যে বাহারে
কমছে সূচক শেয়ারে,
কতো কি যে প্রণোদনা
প্রধানমন্ত্রীর বিবেচনা
গেলো মাঠে মারা যে।
মুহিত কামাল সালমান
করলো জারি ফরমান,
মৌলভিত্তি জেনে বুঝে
লগ্নি করো শেয়ারে
রবে ড্যাম কেয়ারে।
কি যে মজা আহা! রে
সূচক কমছে বাহা রে,
স্বল্প মধ্য দীর্ঘমেয়াদে
প্রণোদনা কয় কাহারে
বাড়ছে কি দর শেয়ারে।
ফটকাবাজের সরদার
কমিটি করে বারবার,
তদন্ত নয় সময়ক্ষেপণ
প্রতিবাদে দলন-পীড়ন
কি তামাশা বাহা রে।
দিন নয়, মাস নয়
বছর গেলো পেরিয়ে,
দরপতনের এমন ধারা
দেখেনি কেউ শেয়ারে
মরছে যুবক আহা! রে।
অর্ধাহার আর অনাহারে
যাচ্ছেবা কেউ দিন গুজারে,
দায়দেনা লোনের দায়ে
মানসম্মান সব হারিয়ে
নিচ্ছে বেছে পরপার!
নিঃস্ব সবাই কাঁদছে এবার
কাঁদছে যে তার পরিবার,
আত্মহনন কেউবা করে
সাধ্য কি তা দুর্নিবার
কমছে সূচক বারবার।
০৮.০২.২০১২
মোবাইলের গুণকীর্তন
মোবাইলের গুণকীর্তন
শোনেন মিয়াভাই
মোবাইল ছাড়া জীবন
মোদের যেন বৃথাই।
মোবাইলে চলছে মোদের
পণ্য বেচাকেনা
জরুরি সব খবরাখবর
থাকছে না অজানা।
মোবাইলেই শুনছে গান
খেলছে নানা খেলা
একাকীত্ব কাটছে বটে
কাটছে সময় মেলা।
মোবাইলেই চলছে কাটা
ট্রেন-প্লেনের টিকেট
ব্যস্ত সময় দেখছে খেলা
ফুটবল আর ক্রিকেট।
ভ্রমণে দেশ-বিদেশে
ঠেকায় সাধ্য কার
ছেলে-বুড়ো নর-নারী
মোবাইল সঙ্গী তার।
বার্থডে আর ম্যারেজ ডের
হচ্ছে পিকস আপলোড
সপ্তাশ্চর্য সুন্দরবনকে
করছে আরো ভোট।
ডাকহরকরার আশায় মা
থাকেন না পথ চেয়ে
মোবাইলে এসএমএস
যাচ্ছে সহসা পেয়ে।
প্রবাসী স্বামীকে আর
লিখে না বউ চিঠি
নির্ধারিত নম্বর দিয়ে
সেন্ড বাটন দেয় টিপি।
* টিপি-টিপে দেয়।
পুনশ্চ : আমরা বন্ধুর তানবীরা আপার অনুরোধের ঢেঁকি গেলা এ ছড়াটি।