THESIS ON “A MONTH OF AN AVERAGE VERSITY STUDENT”
INTRODUCTION
মাস হইল বছরের গুরুত্বময় অংশ।১২ টি মাস মিলিয়া তৈরি হয় এক একটি বছর।আবার মাস সাধারণত হইয়া থাকে ৩০ দিনের সমন্বয়ে।যদিও ৩১ দিনের মাস ও বিদ্যমান তবুও দিনের হিসেবে চক্ষু মুদিয়া বলিয়া দেয়া যায় যে ৩০দিনা মাস ই আদর্শ।২৮ দিনের মাস ও আছে ঈংরেজি বছরে।ঊহা সুর্যের ঘুর্ণন জনিত গণণা জটিলতার বলি হিসেবে চার বছর পর পর ২৯ দিন হইয়া যাইতে বাধ্য হয়।কথা হইতেছে মাস লইয়া।মানুষ কি করিয়া তাহাদের মাস কাটায় কি তরংগে কি লয়ে ইহা বড়ই আজব এবং মোহনীয় ব্যাপার।আলোচ্য অভিসন্দর্ভে মূলত একটি ছাত্রের বিশেষ করিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের যে কি না মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে আসিয়াছে তেমন এক জনের মাসাতিপাতের বর্ণনা দেয়া হইয়াছে।
OBJECTIVE
১। সমগ্র মাসকে চারটি অংশে ভাগ করে সেসব ভাগে লাইফস্টাইলের বিবর্তন পর্যবেক্ষণ।
২।প্রয়োজনীয় লেখচিত্রের মাধ্যমে বিষয়ের ব্যাখ্যা।
LITERATURE SURVEY:
উল্লেখ্য যে এই জনগুরুত্বময় ব্যাপারে বঙ্গদেশ তো বহু দুরের বিষয় কিন্তু বৈদেশেও কোন গবেষনা হয়নাই।বিভিন্ন ছোট ছোট কিন্তু গুরুত্বময় ব্যাপারে পৃথিবীবাসীর এ ঊদাসীনতা রীতিমত দুঃখজনক।কিন্তু জাতি হিসেবে আমরা আবার “জীবনে আনে ছোট ছোট বড় পাওয়া” নীতিতে বিশ্বাসি।তাই বাঙালি জাতির এ ঐতিহ্য ধরে এই প্রথম এমন একটি বিষয়ে গবেষনা।পোড়ার দেশে কোন কথা ই কি সহজে বলিবার ঊপায় আছে?-- হ্যা আসলে ইহাই বলিতে চাহিয়াছিলাম- এই মহান বিষয়টিতে আমিই প্রথম বিজ্ঞানী।
RESEARCH MODEL:
একটি মাস কে কেবলই দিন বা ঘন্টার হিসেবে সীমাবদ্ধ করিয়া রাখা বোকামী।এই প্রতিদিনে কি ঘটে কি হয় ইহা জানাও জরুরী।একটি মাস কখনই একই ছন্দে যায়না।কখনো রাজার হালে কখনো মন্ত্রির হালে বা কখনো যায় ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র প্রজার হালে। এ সবই মূলত নির্ভর করে পিছনের পকেটে থাকা একটি ব্যাগের সার্বিক পুরুত্বের উপর যাহার নাম মানিব্যাগ(ব্রিটিশ গোয়েন্দা ভন্ড আবার ইহাকে ভাব ধরিয়া ওয়ালেট বলিয়া থাকে)। সব দিক বিবেচনা করিয়া একটি মাস কে চার অংশে ভাগ করা যায়ঃ
১. হেমন্ত সময়
২. বসন্ত সময়
৩.শীতার্ত সময়
৪.বৈশ্বিক মন্দা সময়
BRIEF DESCRIPTION:
১. হেমন্ত সময়ঃ(মেজরিটি হিসেবে ব্যাপ্তি ১-১০ তারিখ)
বাংলাদেশে আমরা সকলেই জানি হেমন্ত এক মহান ঋতুর নাম। ইহাতে নবান্ন হয় ।ফসল তোলার আনন্দ হয় বেশ জোড়েশোরে।ঠিক তেমনি ছাত্র সমাজে মাসের প্রথম দিকটা হেমন্ত তুল্য।কারণ টিউশনি নামক এক মহান পেশার ফসল মাসের প্রথম দিকেই মিলিয়া থাকে।চলে তাই ছাত্রদের নবান্ন।এই সময় ছাত্ররা বিগত মাসের পাওনা মিটিয়ে দেয় আর নিজেরা বিরানি খেয়ে আরামসে থাকে।এই সময় বিভিন্ন প্রয়োজনীয়তা বেশ বড় হয়ে দেকা যায়- যেমন ঘুরাঘুরি,বইপত্র কেনা এবং বাকি মেটানো।এই সময়ে পছন্দ হইলেই যেকোন শার্ট,প্যান্ট বা ডিভিডি কিনিয়া ফেলা হয়।পুরা দিন সাতেক চলে এই নবান্নের উতসব।কিন্তু গোল বাধে অন্য জায়গায়- মাসের শুরু সবার এক জায়গায় নয়। বলিয়া দেয়া যায় ১ তারিখেই মাসের শুরু।কিন্তু এই হেমন্ত নির্ভর করে নৈবেদ্য বা বেতনপ্রাপ্তির উপর।তবে দেখা যায় ১-১০ তারিখের মাঝে সবার চলিয়া আসে-নৈবেদ্য।যাহারা চাকুরে বাবার সন্তানকে পড়ান তাহারা সাধারনত ১-৬ তারিখের মাঝেই বেতন পাইয়া যান।চাকুরেদের বেতন তো আর অত বেশি নয় জলদিই গোণা শেষ তাই তাহারা জলদিই বেতন দিয়া দেন।কিন্তু ব্যাবসায়ি বা অতি বড়লোক পড়ালে তুমি বাবা শেষ।ইহাদের টাকা বেশি গুনতে টাইম লাগেও বেশি তাই বেতন পাওয়া যাইবে দেরিতে তাও লাজ লজ্জার মাথা গেয়ে কম্পক্ষে দুইবার বলার পর।আর যদি পড়াও চিটাগাঙের “খাস সওদাগরের” সন্তানকে তবে লিখিয়া দিলাম ১৭-২০ তারিখের আগে তোমার হেমন্ত আসিতেছেনা।(লেখকের নিজের এক চাটগা র সওদাগর কন্যাকে পড়ানোর দুঃসহ অভিজ্ঞতা আছে)। নিচে প্রথম স্তম্ভটি ১-৫ তারিখের বেতনপ্রাপ্তদের।২য়টি ৬-১০ আর শেষটা ১০-২০ তারিখের হতভাগারা।
২. বসন্ত সময়ঃ(ব্যাপ্তি ১০-১৭ তারিখ)
এ সময় মোটামুটি পকেট ভালোই গরম থাকে ।বিরিয়ানি খাওয়া ভালো হয় ।দোকান বাকি এসময় খুব হয়না।জীবন আদতেই রঙিণ থাকে।মনেও তাই পড়ে তার ছায়া।মোবাইল কানে রাখিয়া চলে বনলতা সেনের সাথে কথা।প্রেমিকের আলাপ দেখিয়া স্বয়ং জীবনানন্দ বাবুও অবাক হইয়া যাইবেন-এবং স্রষ্টার কাছে ধন্যবাদ জানাইবেন একালে জ্জন্ম না নেয়ার জন্য-“একালের এত কবির মাঝে ভাত মিলিতোনা” ভাবিয়া।উপরন্তু শিশির ভাদুরি তুল্য অভিনয়। এমনি কথা চলে রসিয়ে রসিয়ে—কিন্তু সামনে রুমমেট বা বন্ধু জাতীয় কেউ এলেই “মায়ের সাথে জরুরি কথা” চলে।খোদাই জানে ভরদুপুরে বা রাত্র দিপ্রহরে ছাদের উপর পানির ট্যাংকের চিপায় “মায়ের ” সাথে এত কি গুরুত্বপুর্ণ কথা?আর কে এই “মা” কার “মা”।বুদ্ধিমান অনেকে এই সময়ের শেষে সতর্ক হইয়া যায়।বিরিয়ানি বন্ধ করিয়া হলের অমৃতের দিকে তাহাদের নজর পড়ে-কারণ সামনে দুঃসময়।
৩. শীতার্ত সময়ঃ(ব্যাপ্তি ১৮-২৬তারিখ)
শৈত্য-ভায়া ইহা বড়ই ভয়াবহ জিনিস।শীতের সামনে সকালের ঘুম ছাড়া আর কোন কিছুই যেমন প্রিয় নয় তেমনি মাসের শীতার্ত সময়ে চাওয়া পাওয়া গুলাকে একরকম ঘাড় ঘরে ঘুম পাড়ানো হয়।মনের ভেতর থাকা ভালোবাসা গাছের পাতা সব না হলেও চার ভাগের এক ভাগ যে ঝরে যায় ইহা স্পষ্ট।ফোনালাপ চললেও দেখা করিবার সময় হয়না-আর হইলেও যেকোন রেস্তোরা বা শপিং মল থেকে হাজার হাত দূরে।বিরিয়ানি বা বাইরের খাবার “নো ওয়ে!!!হলে আছে খাবার খাব তাই”।চলে অনুবীক্ষনিক মাছ মাংসের টুকরা দিয়ে পেট বাবার হাদিয়া দেয়া।বিকালে উত্তম নাস্তাও নিষিদ্ধ প্রায়।চলে বন কলা খেয়ে স্বাস্থ ঠিক রাখার লড়াই।ধার এ সময়েও খুব করা হয়না।তবে মনের আকাশে তারা কমে যায়।স্বর্গ থেকে জীবন বাবুর বিষম হাসির শব্দ পেলুম মনে হয়!!!
৪. বৈশ্বিক মন্দা সময়(ব্যাপ্তি ২৬-৩০ তারিখ)
এবার শুরু কঠিন সময় –ওরে মন্দা এসে গেলরে।এ সময় প্রথমেই একশ্রেণীর গৌরীসেনের কাছ থেকে অর্থ কর্জ করা হয়।দোকানে এটা ওটা কেনার পর “মামা খাতায় লিখিয়া রাখো ...” বলা হয় প্রায়ই।টিউশনিতে এখন প্রায়ই দরজার দিকে চোখ যায়- এই বুঝি আংকেল এলেন আর দিয়া গেলেন বেতন!!কিন্তু এ যে হইবার নয়।তাই শুকনা মুখে টিউশনি থেকে প্রত্যাবর্তন।মনের আকাশ একদমই তারা ছারা।ফোনালাপও শুণ্যের কোঠায়।ও পাশ থেকে আসলেই তবেই একটু হয় আর কি।মনের দুঃখে এসময়ই যা একটু পড়াশোনা হয়।
CONCLUSION AND FURTHER RECOMMENDATION:
সংক্ষেপে ইহাই একটি ছাত্রের জীবন স্টাইলের ক্রমবিবর্তনের ধারা এক মাসে।
ভবিষ্যতে যে এ বিষয়ে কাজ করবে তার যা করা উচিত
১. সমাধানের উপায়।
২.এখানে শুধু একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে বেইস করে করা হয়েছে। তা আরো বাড়াতে হবে।
৩.ফোনালাপ কমানোর উপায় বের করিতে হইবে। ইত্যাদি...।
********************THE END****************
সুন্দর একটা বিষয় জানা হলো
ধন্যবাদ
মন্তব্য করুন