আমার নাম বাসেটঠ!
আমার অপেক্ষা করা ছাড়া কোন গতি নেই কারণ
খেয়া মিস করার খেসারত দিতে হয় সাতার কেটে না হয়
আবার মাঝির পুনরায় ফিরে আসায়
তুমি ফিরে আসবে কখন ?
একটা গল্প লিখতে চেয়েছিলাম প্রতিষ্টাটাসে
পরে ভাবলাম না গল্পটা আমি একান্তগোপনে তাহার কানে কানে বলিতে পারি,চেতনে না হলেও
অর্ধচেতনে,ঘুমে
স্বপ্নের কাছে জমাদিয়ে দিলাম এই গল্পের ঘট।
তুমি ওখান থেকে একটি বের করে দেখে নিও এবং হ্যাঁ
এতকাল জানিতাম গল্প বলিতে পারা যায় শুনিতে পারা যায়
এবার জানিলাম গল্প দেখিতেও পারা যায়,গল্প দেখিয়েও দেয়া যায়।
তুমি অন্য কোন দেশের নাগরিক হইতে চাও না।এটা আমার জন্যে খুব আনন্দের।আনন্দের কারনটা বলা যাবে না তোমাকে।কারণ তুমি যদি কারণটা জেনো ফেলো তাহলে তুমি অন্যকোন দেশ নয়,পৃথিবীর সবগুলো দেশেরই নাগরিক হইতে চাইবে।আর তোমার এই চাওয়াটা যার কাছে,আমি চাইনা,আমার জন্যে তুমি অন্য কারো কাছে অন্য কিছু চাও!
এরপর তুমি আমাকে খুঁচিয়ে চলিয়াছ নিরবধি।কারণটা কি কারনটা কি?আমি যতো চুপচাপ থাকি এই প্রশ্নে,তুমি ততই আমাকে খোঁচালে।তাতে কি হইলো,গর্ত থেকে বের হয়ে এলো সাপ,কেঁচো,বনবেড়াল,ধূর্তশেয়াল এবং আরো কত কিছু।তার মধ্যে দু'য়েকটা হিরে মানিক জহরতও থাকিলো ।এইসব দেখে আমার থেকে এখন তোমারই ত্রিশঙ্কু অবস্থা।আমি এই ফাঁকে গল্পটা বলিয়া শেষ করিতে চাই !
খ.
হ্যালো বাসেটঠ?
কি বলিলে !আমার নাম বাসেটঠ!
রাগিয়া গেলে?
তুমি চুপ থাকিলে এরপরও আমার করা পরবর্তী পাঁচটি প্রশ্নে।আমি এবার নিরুপায়।চুপ থাকিবার ভয়াবহতা নিয়া আমি সর্বদা তটস্থ।ইতিহাস কহে,দীর্ঘকালীন চুপ থাকিবার পরে মহামতি গৌতমের জন্ম হইয়াছে।হেরা পাহারের ইতিহাসতো চুপ থাকিবার কথা শুনিয়া সিনা চিৎ করিয়া দাড়াইল।ঐদিকে ক্রুশকাঠি ফুলের তোড়া ছুড়িয়া বলে ,ভুলিয়া গেছ কি কলি থেকে কাল হইবার কথা। দীর্ঘকালীন চুপ থাকিয়া নিজাম ডাকাত আউলিয়া খেতাবধারী এই বাঙলায়।অতএব নিরবতাকে আমি ভয় পাই।নিরবতা থেকে চুপ থাকাকে আমি ভয় পাই কারণ নিরবতা শব্দ থেকে বাঙলা,নিরবতা ভেঙ্গে বেরিয়ে আসে ভাই। এই ভাই তোমার আমার মায়ের সহদরা নয়,এই ভাই নিরবতা থেকে উঠে আসা বাঙলা ভাই নামক এক দানব।অতএব নিরবতাকে আমি ভয় পাই।এরপর তোমাকে নিরব দেখিলে,চুপ চাপ দেখিলে আমি ভয় পাই কী রুপান্তর হয় নিরবতা ভাঙ্গিয়া এই ভেবে। নাহ আমি তোমাকে নিরব থাকিতে দেব না।থাকিতে দেবনা চুপ চাপ। তাহলে?
তাহলে আমি কি করতে পারি?
আমি তোমার নিরবতা ভাঙ্গিতে পারি!
সেটা কী ভাবে?
প্রথমে তোমার দৈহিক অবস্থান ঠিক করিয়া নিব।এরপর দেখিতে হইবে দেহটি কোন দেশে অর্থা
ৎ কোন জ্যামিতিতে আছে।তারপর দেখিতে হবে হাওয়ার গতিবিধি,তারপর জলবায়ু তারপর আয়ু মানে তোমার দেশ।পাশ্চাৎদেশ,সম্মুখদেশ,অগ্রদেশ,স্থুলদেশ,সূক্ষ্মদেশ,সাধকদেশ,সিদ্ধিদেশের সাথে সামান্য বাঙলাদেশ নিয়া একটা বিশেষ বাক্য তৈরী করিয়া তোমার দিকে ছাড়িতে হইবে।দেখিতে হইবে খুব সাবধানে যে এই ছাড়ার মধ্যে দিয়া যেন বাক্য হাওয়ার সাথে সাথে সমান গতির বেগ পায়।আমিও তাই করিলাম।বাক্যটিকে হাওয়ার মধ্যে দিয়া তোমার দিকে পাঠাইলাম।ভাবিলাম কাজ হইয়াছে ।কিন্তু না হয়নি।বুমেরাং হইয়া ফিরিয়া এসেছে আমার দিকে।এইটা বুঝিলাম আমার অপরিপক্কতার দোষ।বালক সুলভ।বেগের জায়গায় আবেগ হইয়াছে । আহা! তবুও আচানক,তোমার খানিকটা সাড়া পাইলাম।ইহার কারন কি? জানিলাম ঘটনার জন্ম সময়ই সমান একটা প্রতিক্রিয়া বা ঘটনাপ্রতিক্রিয়া ঘটে।আমি বলিলাম,আমার পাঁচটা প্রশ্নের জবাবে মাত্র একটা উত্তর।বাল্যকালের পরীক্ষার ক্ষেত্রে যদি এমনটা হইতো!,,,
তখনই তুমি হোহো করে হাসিয়া উঠিলে
তোমার হাসির শব্দ!তুমি বলিলে কি?আমি বলিলাম জলময়।
ইহা শুনিয়া তোমার হাসি আরো বাড়িয়া গেল।তুমি বলিলে,চলো কর্ণফুলী ঘুরিয়া আসি।আমি বলিলাম কিভাবে?তুমি বলিলে একটা নৌকা কিনিয়া আনো।আমি বলিলাম, ঠিকাসে, যাইতেছি। এরপর তুমি একবার ঘুমাইলে সেই ঘুমে স্বপ্ন ছিলো,ছিলো চলনবিলের মাঝে বালকের শাপলা ফুল তুলিবার দৃশ্য।এরপর যখন ভোর আসিল,তোমার ঘুম ভাঙিলো,আমি তখন তোমার সামনে।বলিলাম নৌকা খরিদ হইয়াছে ।চলো কর্ণফুলী ঘুরিয়া আসি।তুমি বলিলে নৌকাটা এইখানে নিয়ে এসো! আমি বলিলাম কোন খানে?তুমি বলিলে এই ঘরের ভিতরে। নৌকাটাকে আমি তোমার ঘরের ভেতরে নিয়ে এলে তুমি বলিলে ,ঐ খানে নয় এইখানে।আমি খাটের উপর নৌকাটা রাখিবার সময় তুমি বলিলে,ঐখানে নয় এইখানে,,
ঠিক ঠাক অইখানে রাখার পর হারিয়ে গেলো আমার বাসনার নৌকা ।
গ.
তার সাথে আর নৌকা ভ্রমণ হয়নি।
সে আর আমার নৌকা এখন একই বিছানায় শোয়।
উত্তম হইয়াছে। যদ্যপি সাধু ভাষায় বিরচিত গল্প-প্রবন্ধের স্বাভাবিক সু-স্বাদ ঈষৎ বিঘ্নিত হইয়াছে গুরুচণ্ডালী দোষের কল্যাণে। তদুপরি বিষয়বস্তুর চমৎকার উপস্থাপন প্রশংসার শক্ত দাবীদার।
ঠিকাছে
গুরুর সাথে চন্ডালের মোলাকাত হইয়াছে
গুরুর সাথে চন্ডালের দেখা হইয়াছে জুতা মাজাবার সময়।চন্ডালের জায়গাটা নিছে হইলো ব্রাক্ষ্মণ আর মুচির জায়গাটা নিলো হইলো গিয়া গুরু।
তয় মীর ভাই কথা দিলাম ইহা সমাধান যোগ্য।এডিট অর্থে ধরিবেন।
আমার নৌকাটার হাল দেইখা আপনার প্রতিক্রিয়া জানতে চাই?
নৌকা অতিশয় চমৎকার অবস্থায় রহিয়াছে। নদীতীরের যেখানটাতে শক্ত বালু'র ওপর ঠিকরাইয়া পড়া ঢেউ মনোরম ছলাৎ ছলাৎ শব্দসুরের জন্ম দেয়, সেইখানটাতে উহাদেরকে একটি বাড়ি বানাইয়া দিন। দুই কার্যদিবসের এ ধরাধাম। কিসে কার কি আসে?
সাধু আর চলিতের মারাত্বক দূষন। কিন্তু থীমটা চমৎকার
প্রতিভা ঠিকরে বেরুচ্ছে
আপনার লেখার ভক্ত হয়ে যাইতেছি।
কি আর বলবো বলেন?
কি আর বলবো বলেন?
মন্তব্য করুন