টুকটুক গল্প-৯
১। গতবছর সংসদে বাজেট যখন পাশ হলো দেখলাম গরীবের সবকিছুরই দাম বাড়ছে, শুধু এলপি গ্যাসের দাম কমেছে। বাড়িতেই ছিলাম তখন। খুশী হয়ে আম্মাকে বললাম যে, আপনার গ্যাসের দাম কমবে। আম্মা তেমন গা করলো না, পরদিনই পত্রিকায় দেখলাম যে এখনই কমবে না গ্যাসের দাম, পরে কমবে। আম্মা বললো, -আর কমছে! ৭০০ টাকার গ্যাস ১৪০০ টাকা হইছে। সরকার ভালোই খাওয়াইতাছে। ভোটই দিমু না কাউরে।
মাঝে মাঝেই রাগ করে আম্মা এই কথাটাই বলে। সংগত কারণেই আমার বাবা চুপ হয়ে যান। আমার নানা, দাদা, মা - কে দেখে মনে হয় যে স্কুল শিক্ষকরা মিতব্যয়ী হয়। সবসময়ের খরচের যেই খরচটা বেড়েই চলছে, কমানোর কোন উপায় নেই সেটা নিয়ে মহা বিরক্ত। এলপি গ্যাসের দাম এখন ১৮০০ টাকা। বাড়িতে মাত্র ২ জন মানুষ। তাই হয়ত টেনেটুনে মাস চলে যায়, কিন্তু সবসময় তো একরকম না, আর সবার বাড়িতে শুধু ২ জন মানুষ থাকে না। এত টাকা যদি সাধারণ পরিবারে চুলা জ্বালাতেই খরচ হয় তাহলে চুলার আগুণের সাথে পেটের আগুণও জ্বলতেই থাকবে। জ্বালানী/নিভানী মন্ত্রী বলতেই পারেন যে, যার বাড়ীতে গ্যাস নেই তার এলপি গ্যাস কেনার দরকার কি! গাছের পাতা কুড়ান, লাকড়ি বানান, মাটির চুলায় রান্ধেন। সেটাও কথা। খাওয়ারই দরকার কি? পেটে পাত্থর বেঁধে দাঁত কামড়ে পড়ে থাকাই দরকার কারণ সব খাওয়ার জন্য তো এদেরই আমরা ভোট দেব, তারা খাবে আমরা ঢোক গিলব।
২। কঠিন এক সময়ের মধ্যে দিন-রাত পার করছি। মাঝে মাঝে দম বন্ধ হয়ে আসে, ছুটে পালাতে ইচ্ছে করে কোথাও। পালাতে পারি না বলে কঠিন এই সময়টা থেকে বের হতে প্রাণপণ ইচ্ছে নিয়ে দিন গুণি। তবু কখনও অস্থিরতার সাথে পেরে উঠি না, হুটহাট করে ঢাকা থেকে নরসিংদী যাই আমার সুন্দর, ছোট্ট গ্রামটাতে--বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে। কাল যেতে যেতে ভাবছিলাম, ভাগ্যিস আমার এমন একটা গ্রাম আছে যেখানে স্বর্গের সুখ। যেতে যেতেই সন্ধ্যা হলো। টিভিতে খবরে দেখলাম চাঁদপুর, ভৈরব থেকে ঢাকামুখী সব ধরণের যান চলাচল বন্ধ। একটু চিন্তা হলেও ভাবলাম, নরসিংদীর কথা তো বলে নাই। ভোরবেলা উঠেই দেখি গরম ভাত, গরু মাংস ভুনা রেডি টেবিলে, একটু হলেও খেতে হবে। খেতে বসলাম আর রিক্সাওয়ালা এসে বলে ,
বাস তো নাই, যাইবেন কেমনে? একটা বাসও চলে না, লোকালও না।
আব্বা মসজিদে নামাজ পড়ছিলো, চাচাত ভাইও আসবে অফিসে, ওর সাথেই বের হয়ে গেলাম বাবাকে রেখেই। বাসস্ট্যান্ড এসে দেখি লোকজন ভর্তি কিন্তু কোন বাস নেই, অগত্যা হাতিরদিয়া থেকে সিএনজি দিয়ে ইটাখোলা আসলাম এতটা পথ।
সিএনজিতে উঠার পর রিক্সাড্রাইভার ছেলেটা বলে-
বালা কইরা সাবধানে যাইয়েন।
ভাবলাম, এই ছেলেটাও ভাবে অথচ যাদের ভাবার কথা তারা নাকে তেল দিয়ে ঘুমায়।
ভাই বলে,
অবস্থা ভালা না, আয় বাড়িত যাইগা, অফিস করন লাগতো না।
মানুষজন চরম বিরক্ত। রাস্তায় ঢাকামুখী কোন বাস নেই। এক লোক বলছিলো,
ঢাকাত যারা থাহে হেরা কি সরকারের পরিচিত সবতে? আত্নীয় স্বজন? এই বাসার মাইনষে হেই বাসার মানুষ চিনে না আর হেরা অপরিচিত মাইনষেরে ধরব। যত্তসব!
এই সরকার আসার আগে এক চরম দুর্যোগের দিনে ভয়াবহ পরিস্তিতিতে ঢাকায় আসতে হয়েছিলো মোটামুটি জীবন বাজি রেখে। তাই আজ তত ভীত ছিলাম না যদিও সরকারি দলের এমন সফল হরতাল আগে কখনও দেখিনি। ভাইকে বুঝিয়ে টুঝিয়ে রাজি করালাম ঢাকা আসতে, বাবা-মা তো চিন্তায় অস্থির। সারারাস্তায় দেখলাম মানুষের কি দুর্ভোগ! চোর ছেচ্চর, খুনীতে ভরা দেশ, মানুষের একটুখানি নিরাপত্তা দিতে পারে না কিন্তু বিরোধী দল যেন জনসভা না করতে পারে সেজন্য জনগণের নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে জীবন তেজপাতা করে ফেলছে। বিরোধী দলকে যদি এতই ভয় তাহলে ভালো কাজ করুক সরকার, মানুষ বারবার তাদেরই ভোট দিবে, বিরোধী দলকে বিরূদ্ধেই রাখবে। কিন্তু তারা সেটা করবে না, কত উপায়ে মানুষকে যন্ত্রণা দেযা যায় তার সব উপায়েই সব দল যন্ত্রণা দিবে আর ভুক্তভুগী জনগণ ভুগে ভুগে দিশেহারা হয়ে তাদেরই ক্ষমতায় আনবে বারবার।
দুর্ভাগা আমরা!!
পাবলিকের দিন যাবে খেয়ে শুধু বাশে
তাতে খালেদা-হাসিনার কি যায় আসে!
ছি ভাইয়া! এদের নাম মুখে আনতে হয় না। তওবা পড়।
আপ্নে কি আমারে চিনেন? নাইলে আসেন ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া খেলি
তুমি আমারে চিন তো! আমি গাওগেরামের মানুষ, ঢাকায় কেউ না চিনলে বিরাট বিপদ।
১. ছিহ! আপনি এভাবে বলতে পারেন না, বলার অধিকার আপনাকে দেয়া হয়নি!
২. ভোট আপনাকে দিতেই হবে! না দিয়ে যাবেন কোথায়? আপনি তো দেবেনই, আপনার ভাইবেরাদর-আত্মীয়স্বজন-বন্ধুবান্ধ-চেনাঅচেনা-পরিচিতঅপরিচিত সকলকেই ভোট দিতে হবে। হবেই। আর সরকারকে যে ভালো কাজ করতে বলছেন, ঘটনা কি? সরকার কি কোনো খারাপ কাজ করছে? করতে পারে?ককখোনো নয়, ককখোনো না...
['কক্ষণো' শব্দটি উচ্চারণ করতে হবে এভাবে - ক'র পর আরেকটা ক তাড়াতাড়ি উচ্চারণ করে ফেলুন, কক্, তারপর খো-টা একটু দীর্ঘ লয়ে - খোও-ও - এরকম, তারপর নো-টা বলার সময় ঠোট এমনভাবে সরু করবেন যেন প্রায় উ-কার শোনা। এরকম কক-খো-ও-ও-নো-ও-ওউ! বোঝা গেল ব্যাপারটা?]
{চরম দুর্ভোগে মাথা এলোমেলো হবার জোগাড়! কিছু বললেই 'যুদ্ধাপরাধী' 'স্বাধীনতাবিরোধী' ট্যাগ! বেশ আছি!]
ঘটনা কিতা? সরকার কি আপনেরে ঘুষ খাওয়াইছে? ভাগ তো দিলেন না আমগো। ছিনেমার নায়কের লাহান ইকো কইরা ডায়লগ দিতাছেন! তাইতো কই মুড়ি খাওনের টেকা দিলো কেডায় আপনেরে!
আপনে কি সরকারের বিরুদ্ধে কিছু বললেন?
বটতলার উকিল কিন্তু ধাওয়া দিতে বলছে, মনে রাইখেন! 
মনে তো হইতাছে উকিল আপনেই। কামাল ভাই, পুলিশ কি আপনেরে চিনে? নাইলে কইলাম....
ইয়ে, মানে, ডর দেখাইলেন নাকি!? আপ্নে জানেন, আইজকা আমি মুড়ি খাওয়া দিবসের সাফল্য কামনা কইরা নতুন লেখা লিখছি! এইরম একজন ডেডিকেইইটেড আওয়ামী লেখকরে আপনে ডর দেখান!! আপনের তো সাহস কম না!

মুড়ি খাইছেন? নাকি ভেজাল মুড়ি খালি অন্যরে খাওয়াইতে উৎসাহ দিতাছেন?
বাঙ্গালী খালি মুড়িই খাইপে না, জনসভায়ও যাইপে বিরানী খাইতে।
জনসভায় যাইবেন?
ঠিকাচে, উকিলরে জানাইতেছি! যথাযথ ধাওয়ার ব্যবস্থা করতে হপে! 
আমি যামু কইছি? মুড়ি পাঠাইবেন না, বিরানী খাইতে যাইতে চাইলেও উকিলের ডর দেখান! আপনে তো ওই দলের ঘুষ / মুড়ি ভালোই খাইছেন দেখতাছি। নেন কফি খান
ঘুষের কথা কন ক্যান? আমাগো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়া তো ঘুষ চেনেনই না। এরকম মন্ত্রী কুনুদিন দেখছেন? আমার লেখা পইড়া বুঝেন নাই যে, আমি একজন ডেডিকেইইটেইড আওয়ামী লেখক!? এরপরও কথা কন কোন সাহসে?!?
ইহ জিন্দেগীতেও এরম দেখি নাই। যার ৪৮ ঘন্টা হয় না ৪৮ দিনেও । ছুডুবেলা নামতা পড়ে নাই।
তাও কিছু কমু না। আপনেরে ডরাইছি।
যাইবেন নাকি বিরানী খাইতে? কমু না কাউরে।
এখানে দেখি দুজনের বিরানী খাওয়ার প্ল্যান ঠিক হৈতেছে, ভালু ভালু
হ্যালো হাই বাই বাই! আপনে আমাদের বিরানী খাওয়ার পিলানে প্যাজগি কেনু লাগান? খাইবেন? চলেন।
আমাদেরতো কেউ ডাকেনাই
কাইন্দেন না। লুক্টা মনয় বেবাগতেরে মুড়ি খাইতে কইয়া এক্লাই পলায়া বিরানী খাইতে চইল্লা গেছে।
মুড়ির ব্যবসা মনয় রমরমা
কিরম লুক দেকছেন? আমগো মুড়ির দিকে মনোযোগ দিয়া নিজে কইলাম বিরানী ব্যবসায় গেছেগা।
ঋণাফা আর বেলিফা খালি চিপায় যান ক্যান?

দেখি গপসপ কইরা ঋনাফা ঋন দেয় কিনা। পিছলায়া তো গেলোগা।
বুকের রক্ত গলায় উঠিয়ে, এনেছো গনত্রন্ত্র।
গনত্রন্ত্রের নাম ভাঙ্গিয়ে, জপছে এরা...
মানুষ মারা মন্ত্র।
জয় বাংলা। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।
একবার তারেক রহমান আর কারা কারা যেন, এমন বন্ধের দিনে ২০০৬ এ যতসম্ভব ত্রিশে এপ্রিল ছিল বোধহয়, হাওয়া ভবনে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছিলেন, কাচ্চি খেয়েছিলেন, পেপারে তারপরদিন পড়েছিলাম।
এবার কাচ্চি হয় নাই?
সহমত।
একটা সময়, সময়টাকেও এড়িয়ে যাবার
একটা সময়, শুধুই যেন হাত বাড়াবার
একটা সময়, দমবন্ধ কষ্ট পাবার
একটা সময়, স্বপ্নটাকে ছুঁয়ে দেবার.........
বাহ্। ধন্যবাদ আপনাকে।
লেখায় সুপার লাইক দিলাম, তোর এই গল্প বলার স্টাইলটা আমার দারুণ লাগে।
ধন্যবাদ লীনাপা।আপনেরেও দারুণ লাগে
মুড়ি খাইছেন? নাইলে কিন্তু কামাল ভাই উকিলের কাছে বিচার দিপে।
না শোকর বান্দা! তোমাদের এই মহান সরকার দামী গ্যাসে রাইন্ধা খাওনের সুযোগ করে দিছে! সারা দুইন্নার মাইনষে যখন ২ ঈদ পালন করে সেইখানে হ্যাট্রিক ঈদের ব্যবস্থা কইরা দিছে তাও হাউহাউ! তবে রে!
হ আফা। ঈদ মুবারক। আসেন কুলাকুলি করি।
্নয়া জামা কিনছেন নাকি! তা ম্যেনুতে শেমাই আছে তো!
না রে! নয়া জামা ও নাই, সেমাই ও নাই। পাইনসা ঈদ।
এখানে কোলাকুলি হইতাছে মনে হচ্ছে?
পুরাই কলিকাল
আমি হাজির
জয়িতাঅঅঅঅঅঅঅঅঅঅঅঅঅঅআাাাাাাাাাাাা তাড়াতাড়ি যা
কুলাকুলি হইয়া গেছে?
আসসালামুআলাইকুম মাসুম ভাইজান।
জ্যোতি লাইনে দাড়াও
কেন? সালামি দিবেন? দেন। মুড়ি কিনুম। এক্টু পরে আমি মুড়ি খামু আর বাসন শুনুম।
কোলাকুলির মধ্যে আবার সেলামি কিসের?
কুলাকুলি তো বড়দের সাথে। ঋনাফা, জেবীনাফা---। আপনে তো মাসুম।
আমি তো বড়দের মাসুম
ঋণাফা-বেলিফা-মাসুম্ভাইয়ের কোলাকুলি পর্বও হৈল? আসলেই ঐতিহাসিক দিন এক্টা!

কুলাকুলির প্রস্তাব দিলাম আমি, আর সুযোগ নিলো মাসুম্ভাই
এইসব ক্ষেত্রে প্রস্তাবের অবকাশ নাই দাদাভাই, সুযোগ লইতে হয়! যেমুন মাসু্ম্ভাই লইছে!
আপ্নের জন্য সমবেদনা!

এই তিনজনে আবার চিপায় যাইতেছে। ঘোর কলিকাল।
আপ্নে আসার ফলে চাইরজন হৈল!
আসতাগফেরুল্লাহ!
ক্যান, আসতাগফেরুল্লাহ ক্যান ? সেই দিন বইমেলায়তো দেখলাম সবতে বৈদেশি ব্লগারের লগে কোলাকুলি করতাছো

সেই দিনতো ঈদ আছিলো না
জয়িতা

মেসবাহ ভাই, আপ্নে সেদিন কোলাকুলি করছেন নাকী!
কেডা কুলাকুলি করলো? আমি তো দেখ্লাম না।

লীনাপা
তুইতো সেদিন ছিলি না, চ্রম চলছে
হ আমি সবাইরে জিগাইলাম, কেউ যাইব কয় নাই। তাই এক্লা বইসা থাইকা চইলা আসছি।
আপনেরা ভিডিও করতেন, দেখতাম,।জীবনে তো কুলাকুলি করি নাই। হের লাগি কেউ বই ও কিনে দেয় নাই।
আহেম! কি যে করো নাই সেইটা খোদা জানে
ইয়ে মানে! হ। আজ কুলাকুলি দিপস।
চান্দু ধরা খাইছে
চান্দু আবার কেডা? কেমনে ধরা খাইলো? পুলিশ বানছে? আহারে! লুক্টা বালাছিল।
পিছলে যাস ক্যান
আসেন

ভুক্তভুগী জনগণ ভুগে ভুগে দিশেহারা হয়ে তাদেরই ক্ষমতায় আনবে বারবার - ্কি করবে আফা আপ্নেতো খাড়ান ন
কেউ না খাড়াইলে ভুট দিব কারে
দুই আফায় খোলা মাঠে গুল দিতাছে
এইবার আফনে খাড়ান আমরা লগে আছি
আমারে যুগাযুগ মন্ত্রি বানাইয়েন 
তুই বুড়িরে ব্যাঙ্কের ভল্টে টাকা গোনার চাকরী দিয়া আয় আমি আর তুই দুই দলের ভার নেই
বুড়ি কেডা?
আপনেরা খাড়ান। মুড়ি দিপে কামাল ভাই, আমরা খামু আর ভোট দিমু। একজনেই মনে করেন যে, ৫০ টা ভোট দেওনের চেষ্টায় থাকমু। পুলিশ জনগনের মানে আমগো বন্ধু। হেতেরা হেল্পাইবো।
বুড়ি কেডায় ইঙ্গিতে বুইঝা ল


দুই বুড়ি তো ট্যাকা ছাড়া কিছু বোঝেনা তাই ভল্টে পাঠায় দিমু
কামাল ভাইর মুড়ির উপরে ভরসা নাই, ব্যবসার প্ল্যান মনেইতেছে, পরে ট্যাকা চাইবো
ট্যাকা চাইবই। ইলেকশনে দাঁড়াইবেন, ভোট দিমু আর টেকা দিবেন না? তাইলে দূরে যান। এক ভোট এক ডিব্বা টেকা।
খাইছেরে! আমি ট্যাকা পামু কই

আপনে ঋন দিবন। পাশ করলে তো দেশের বেবাগ টেকা আপনের। আপনে টেকা খাইবেন, বালিশ বানাইবেন, টিস্যু বানাইবেন-------------
বুদ্ধি খারাপ দেস নাই
বুদ্ধি দিসি এখন টেকা দেন ঋনাফা।
বাকীর খাতায় লেখে রাখ, ক্ষমতায় গেলে মিটায়ে দিবো
ক্ষমতায় গেলে তো মিছা কইতে কইতে কি কইতাছেন কই যাইতেছেন কিছুই কইতারবেন না।
আইজ এক্টা ছিনেমা বাড়াইছে। নাম- খবর আছে। পোস্টার এখানে দিতে ডর লাগে।
পোস্টার কি মানুরটা?
এইটা কি চিপা?

তুই আর জয়িতা বরং নতুন দল শুরু কর, বুড়িরা এম্নিতেই ভাইগ্যা যাইব
চিপা ভালুনা, আমি তাই যাই

বুড়িদের আসলেই ভাগানো দর্কার
দেন না ভাগায়া!
হ মাসুমদের চিপায় যাইতে হয় না। বড় হইয়া নেন আগে।
আই লাভ চিপা
হ, বুড়িদের ভাগান। ওদের ভাল পাই না
আইজাকা ইনাদের ভিত্রে অতিমাত্রায় চিপাপ্রীতি পরিলক্ষিত হৈল!
)
তাইতো কম কম কইলাম
আপনেরা দুইজনও দেহি একমত হইয়া ভালুবাসাময় কথা কইতাছেন।
আপনাদের দেখেই আমাদের দুই আফার শেখা উচিত।
আপ্নে এখনও চিপায়? নাউজুবিল্লাহ!

আইজ যেহেতু অইতিহাসিক দিবছ
তুরা দুইজন তগো নতুন দলের ঘুষণা দে 

মাছুম ভাই প্রঃ আলুতে খবর ছাপায়ে দিবনে, আমারে কলাম যুগাযুগ মন্ত্রি বানাইস
দলের নাম কামাল ভাই বানাইপে।

আপনে ষড়াষ্ট্রমন্ত্রী, আমি আড্ডা মন্ত্রী
আমি কৈলাম খাওন মন্ত্রী
আমি আপাতত মুড়ি ব্যবসার ধান্ধায় আছি! আপ্নেরা দল বানান, ক্ষমতায় যান, মন্ত্রী হন, আর যাই করেন - দয়া কইরা মুড়ি দিবস বিলুপ্ত কইরেন না।

আমারে রেলমন্ত্রী দেয়া লাগবে কিন্তুক!!
আয় যাইগা
কই যাও? মিছিলে?
পুলিশ দুলাভাই বন্দুক নিয়া আসতেছে। গুল্লি করবে যেই তিনজন চিপায় গিয়ে গপসপ করতাছে।
আড্ডা শ্যাষ, আমি হাজির...
সরকারের মাথা মুথা আউলায়ে গেছে
৯৯
১০০
১০১***
পোষ্ট পড়ার পর কমেন্ট পড়তে পড়তে পোষ্টে যে কি পড়ছিলাম ভুইলা গেছিগা...
মন্তব্য করুন