ইচ্ছেঘুড়ি
ঘড়ির কাঁটাটা টকটক করেই চলেছে। ক্লান্তি নেই।কি হয় একটু জিরিয়ে নিলে? বইটা বুকের উপর রেখেই চোখ বুঝে নিলীমা। একাকী ঘরেও ঘড়ির টকটক হেঁটে চলা একা হতে দেয় না তাকে। বই বিছানায় রেখে খাট থেকে নেমে ঘর পেরিয়ে বারান্দায় রাখা চেয়ারটায় বসলো প্রতিরাতের মতো। ঢাকা শহরে আন্ধকার নেই। সোডিয়াম লাইটের আলো অন্ধকারকে তার রূপ পেতে দেয় না। তবু এই রাত তিনটায় নীরবতাটা নিমন্ত্রণ করে নিলীমাকে। নিলীমা একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকে সামনের খোলা জায়গায়টায় অথবা আকাশের দিকে। প্রতিরাতে.....প্রতিরাতে। ইচ্ছে করে দূরে কোথাও যেতে।ইচ্ছে তো কত কি করে! ইচ্ছেগুলো ডানা মেলে উড়তে পারে না, আবার হারিয়েও যায় না। গুটিসুটি হয়ে বুকের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে। একদিন ...কোনদিন এরা ডানা মেলে উড়বে। কত কি ভাবতে ভাবতে অন্ধকারে বসে থাকা মেযেটি হাতের আঙ্গুলগুলো ভাঁজ করে। যেন, পাশে বসা কারো হাত ধরলো। কোন কথা নেই, শুধুই অনুভব। ছুঁয়ে থাকার অনুভূতির চেয়ে আরো জোড়ালো কোন ভাষা কি আছে?তবে সে কি বুঝে এই মেয়েটার কাছে, অনুভূতিতে, নির্ভরতায় সে থেকেই যায়? জানা নেই নিলীমার। নিলীমা ভাবে খুব প্রিয়, নির্ভরতার মানুষটির কাঁধে মাথা রাখে। ভুল করেও পাশ ফিরে না।পাশ ফিরলেই বুকের ভিতর শুণ্যতারা হু হু করে ঘুরে বেড়াবে। একটা সময় তবু উঠতে হয়। দেখতে হয় পাশে কেউ নেই। হাতটা কি একটু কাঁপে?চোখ বুঁজে আবারো তাকে খুঁজে নেয়। খুঁজে কি পায়? পায় তো।
ভোরের ঘুমের আথবা সকালে উঠার জন্য ঘুমাতে যায় নিলীমা। ঘুমের মধ্যেই টের পায় মা এসে মাথায় হাত বুলাচ্ছে। চোখ খোলে না। বুঝতেও দেয় না সে টের পায়। পাশ বালিশটাকে আরও আল্হাদ করে টেনে নেয় সে। একটা দীর্ঘশ্বাস গোপন করে। হয়ত দীর্ঘশ্বাসটা ঘুমের রাজ্যেই কোথাও হারিয়ে যায়!
এইটা কি লাইক্কর্মু?
আপনি পছন্দ করেছেন
পোস্টটি ১ জন ব্লগার পছন্দ করেছেন
পুতুপুতু পোস্টে পিলাচ
পুতুপুতু ছাড়া লেখতে কেন পারি না?কেউ যদি একটা ফুঁ দিতো! কত কি লেখতে মন্চায়। লাইক করছ দেইখা শরমে কালো মেয়ে বেগুনী হইছি।
কেয়া হুয়া আপা ? কুছ হুয়া কেয়া ?
কুচ তো নেহি হুয়া কবিপা/
মেয়ে, তুমি কী দুখী ? নাকী দুঃখ নিয়ে বিলাসিতা ??
আমারে জিগান কেন?আমি কেমনে কমু? আপনি ওই মাইয়ারে জিগান।
মেয়েটা মনে হয় দুঃখী না। হতে পারে দুঃখ বিলাসী।
জাষ্ট চিল !!!
বাজপাখই হৈলে সমস্যা আছে ?
এইখানে চিল আসলো কই থেইকা?আমি দেখতাছি না/ সাঝুর মাথায় গন্ডগোল হইছে/ পুলাডার বিবাহের কমিটি বানান জরুরী
হুমমমমমমমম
এত্ত বড় হুমমমমমম? ঘুমাও কেন?
হু ম ম
ভালতো। ঠাকুর বাড়ির রান্না খাইয়ে মন ভাল করে দেব।
লিনাপু, আপনার কথা শুনে খুশিতে বেগুনী হয়ে গেছি
আপনার রান্না খেতে যাব অবশ্যই/ কি যে খুশি, মুগ্ধ হয়েছি বুঝবনে না/
দুনিয়া এতো দু:খএর জায়গা নাই ।
চিয়ার আপ নীলিমা
কেউ কেউ কষ্ট বিলাসী ও হয়/আবেগী মনকে আবেগকে প্রশ্রয় দেয়/দুনিয়াটা সুখে ভরপুর হলে তো ভালোই/সবাই ভালো থাকুক
এই মেয়েটার এতো মন খারাপ থাকে কেন? নিলীমার কথা বললাম।
আজব তো! আমারে কেন জিগান?আমি কেমনে কমু? মন খারাপ দেখলেন কই?
আপনে লিখছেন ? দারুন্স.। যদিও একটু পুতু পুতু.।
পুুতুপুতু মানে কি? সংগাসহ উদাহরণ দেন তো দেখি!
হুমম!!
"আজ তোমার মন খ্রাপ মেয়ে" টাইপ লেখা দেখি!
সঙ্গা না জানা থাকলেও উদাহরণ হিসেবে এই লেখা দেয়া যায়
হি হি। মন খারাপ কই দেখলেন?মনটা কত ভালো, রুমান্টিক তা দেখলেন না?
ল্যাখেন ,আমিও আর একটু উদাস হই
মেয়েটার মন খ্রাপ কেনু
মেয়েটার আইসক্রিম খাইতে মন্চাইছে। এত রাইতে কেমনে কিনব তাই মন খ্রাপ হইছে।
লাইক্কর্লাম
অট: আপা "সে্যে বসে আছে একা একা" -- তাহসানের গান না ; অর্ণবের গান
থুক্কু গো আফা।ভুল সবই ভুল।
লাইক্করছেন বইলা ধইন্যা।
পিলাস। জাতির ক্রান্তিলগ্নে আপনার এই দিকনির্দেশনামূলক পোস্ট জাতিকে গহীন অন্ধকারে আলোর পথ দেখাবে। জাতির পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা!
জাষ্ট চিল !!!
মন্তব্য করুন