ছাগলের হাল চাষ - ১
রাত দুপুরে আতশ বাজি দেখতে সেন্ট্রালে গিয়েছিলাম। দুধের স্বাদ ভাতের মাড়ে মিটিয়ে ফিরে এলাম। কারন যেখানে আতশ বাজি ফোটানো হচ্ছে তার দুমাইলের ভেতর ঢুকতে পারলাম না, মানুষের ভিড় দেখে অনেকদিন পর বাংলাদেশের কাঙালী ভোজের কথা মনে পড়লো।
আতশ বাজি ফোটানো শুরু হতে তখনো বাকি। অতিথি পাখি আমার পাশে দাড়ানো। ইদানিং সে দাড়ি রেখেছে। শরীরের ওজন ৯০ ওভার হয়ে যাবার পর চোখগুলোও আগের চেয়ে কুতকুতে হয়েছে । ফলে তার মুখের ভাবভঙ্গি আজকাল আমি বুঝতে পারি না। কিছুক্ষন পর সে আমার দিকে তাকিয়ে হতাশ দৃষ্টিতে বললো "মুতে ধরছে"! আমি গভীর মনোযোগে বড় স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকার ভান করলাম , কারন আমারও "মুতে ধরছে"। ভয়াবহ জটিল সব ভিডিও দেখানো হচ্ছে স্ক্রিনে! ২০০১ থেকে ধীরে ধীরে বছরের সব আলোচিত ঘটনাসমূহ দেখানো হচ্ছে একে একে। এর মাঝে আমি আমি অতিথি পাখি "মুতে ধরছে" মুডে শক্ত হয়ে দাড়িয়ে রইলাম।
প্রেমিকার প্রেম নেত্র, কামনাময়ী অঙ্গভঙ্গিমাও অগ্রাহ্য করা যায়! কিন্তু "মুতে ধরছে" অগ্রাহ্য করা যায় না, বিষেশ করে যখন জানা থাকে আশে পাশে কয়েক মাইলের ভেতর কোন পাবলিক টয়লেট নাই, এবং প্রতিটা চিপা গলি মানুষে বোঝাই। শেষ ভরসায়ও গুড়ে বালি পড়লো যখন আবিষ্কার করলাম রাস্তার পাশে একমাত্র ফোনবুথের ভেতর লাইট জ্বলছে। বুঝলাম ঈশ্বরের ইচ্ছা নয় আমরা শান্তিতে বাজি ফোটানো দেখি!
-------------
উপরের লেখাটি ভুমিকা মাত্র। জাষ্ট একটি জটিল পরিস্থিতি বোঝানোর জন্য। সাধারনত এই ধরনের জটিল পরিস্থিতিতে আমি জ্ঞানী চিন্তা করতে পছন্দ করি। বেশির ভাগ সময় জ্ঞানী চিন্তাগুরো টয়লেটের ফ্লাস করার সাথে সাথে চলে যায়, কিন্তু যেহেতু আশে পাশে কোন ত্যাগঘর নাই সেহেতু আজকের জ্ঞানী চিন্তাটি কিঞ্চিত দীর্ঘ হলো!
যে প্রশ্নটি মনে উদিত হলো সেটা হলো - প্রতিটি মানুষ গোসল করার সময় একই জায়গা থেকে সাবান ডলা শুরু করে। কখনোই ভিন্ন জায়গা থেকে নয়। তখনই ভাবলাম একটা সার্ভে করা দরকার। অতিথি পাখিরে দিয়ে শুরু করলাম, দেখা গেলো আমার আর তার অভিন্ন স্টাইল! দুজনই বাম কাধের নিচে থেকে সাবান ডলা শুরু করি। অতিথি পাখির বন্ধুকে জিজ্ঞেস করা হলো! তিনি কুমিল্লার একটি কলেজের শ্রদ্ধেয় ভিপি ছিলেন! দেখে বোঝা যায় পোলাপানদের চড় থাপ্পর দেয়ায় তিনি বিশেষ সিদ্ধহস্ত। তিনি যে হাত থেকে সাবান ডলা শুরু করেন তাতে আর অবাক কি!
বাসায় এসে দুজনকে জিজ্ঞেস কলমা, একজন বললো মাথা থেকে শুরু করে! মাথায় যে সাবান ডলা হয় সেটাই আমার অজানা ছিলো। একটা সার্ভে থেকে কত কিছু বেড়িয়ে আসছে!! আরেকজনকে জিজ্ঞেস করা হলো! সে উত্তর দেয় না, মুখে লাজুক লাজুক চাউনি!! আবার দেখি বারবার নিচের দিকে তাকায়। যা জানা গেলো তা ভদ্র ভাষায় বললে বলা যায় সে নাভির ছয় ইঞ্চি নিচে থেকে সাবান ডলা শুরু করে!
পাশের রুমে গেলাম, সেখানে একজন দেখি ইউটিউবে সাবান ডলার ভিডিও দেখছে! আমি দরজায় নক না করে ঢুকে পড়ায় তাড়াতাড়ি বন্ধ করতে গিয়ে কম্পিউটার মাউস উল্টে ফেললো। আমাদের সাবান ডলাডলির কথা শুনে বেচারা সরাসরি সাবান ডলার ভিডিও বের করে বসলো! আহা! যা একখান ভিডিও না!! সাবান ডলায়ও যে শিল্প আছে তা একটা হলিউডের নায়িকার বাথরুমে ডিভিও ক্যামেরা না নিলে বোঝায় কোনই উপায় নেই! মনটা খুবই উদাস হলো ভিড্যু দেখে। সবানের ভাগ্য নিয়েও জন্মালাম না!
ও! ভালো কতা! আমি শুরু করি বাম হাতের কবজি থাইকা!
ক্যামনে সাবান ডলি এই মুহুর্তে মাথাত আইতাছেনা।
এবার দেয়ার সময় খেয়াল করলে বল্বুনি, তয় কেবল দুদিন হচ্ছে সামনের ৫/৭ দিনে চান্স নাই। তাই উত্তর পেতে কদিন দেরী হবে।।
সাবান দেওনের সার্ভেতো ভালাই এনজয় কর্ছেন
কিন্তু আগের সমস্যার কি করলেন? জ্ঞানী চিন্তা কইরা কতক্ষন ঠেকইয়া রাখলেন ?
যাই গোসল কইরা আসি
আজব সাবজেক্ট পাইছেন ;)
গোসলের সাবান ডলার বিষয়টি কখনো খেয়াল করি নাই আগে, এইমাত্র মনে পড়লো বাম হাতের কনুই থেকেই ডলাডলির সুত্রপাত হয় :)
হা হা হা াহহাহাাহহাহ মজার সার্ভে তো.....................আমি তো দেহা যায় পুরাই ভিন্ন বাম পা থেকে শুরু করি ..............
সার্ভে কতক্ষণ পরে ফ্লাশ করেছিলেন? ;-)
হাঃহাঃহা মারাত্মক সার্ভে হৈছে
হাহহাহাহাহা !!
সেই ভিডিওটার লিঙ্ক দিলে নাহয় একটা কথা ছিলো...
হাহাহাহাহাহা
মন্তব্য করুন