বিয়ের পরের শব্দ...গুলো
মাকে খুশি করতে পারার মতো আনন্দ আর নেই। ছোটবেলা থেকেই দেখে এসেছি মা পান খান। এবং এক খিলি পান এগিয়ে দিলেই মা খুশি। মাকে খুশি করা যে খুব সহজ- এটা জানতাম ২৯ বছর পর্যন্ত।
এরপর জীবনের কোনো এক লগ্নে এসে বিয়ে করতে হলো। আমার আড়াই যুগের ধারণা পাল্টাতে সময় লাগল আড়াই দিনেরও কম। পান আনতে মনে ছিল না। কিন্তু ব্যাখ্যাটা হলো এরকম- বিয়ে করে পাল্টে গিয়েছি! অথচ আগেও কতদিন ভুলে গিয়েছি পান আনতে। তখন এমন কথা শুনিনি। ওদিকে মায়ের কাছে গেলে, মায়ের সঙ্গে গল্প করলে বউকে তার জবাবদিহি করতে হয়। হায়, এ কোন জীবনে প্রবেশ করলাম আমি! মা আর বউয়ের মাঝে একটা দেয়াল খুঁজে পেলাম। এপাশে গেলেও দেয়ালে পিঠ ঠেকে, ওপাশে গেলেও ঠেকে যায়।
যে বিষয়গুলো, যে ঘটনাগুলো কিংবা কথাগুলো আমার কাছে অতি সাধারণ এবং স্বাভাবিক বলে মনে হতো; বিয়ের পর আবিস্কার করলাম, সেই স্বাভাবিকতার ভেতরে নানামাত্রিক গভীর সুড়ঙ্গ আছে। আমি সেইসব অচেনা সুড়ঙ্গে হাবুডুবু খেয়ে মরতে থাকলাম।
আমার দুই ভাগ্নেকে আমিই খাওয়াতাম, নাওয়াতাম এবং ঘুম পাড়াতাম। বিয়ের পরেও তা চলছিল। ওদের ঘুম পাড়িয়ে তারপর আসতাম নিজের কক্ষে। একটুতো দেরি হতোই। একদিন বুঝলাম বউ ব্যাপরটা পছন্দ করছে না। আমি কী করব! হঠাৎ করে ছাড়তে পারি না, রাখতেও পারি না। সে এক মহাযন্ত্রণা। এ যন্ত্রণা বলে বোঝাবার নয়। যারা ভোগে, শুধু তারাই বুঝবে।
নাহ্। ভেবেছিলাম লেখাটা লিখব হালকা চালে। এখন দেখছি সিরিয়াস হয়ে যাচ্ছে। আচ্ছা আবার শুরু করি।
গত বইমেলায় আমার একটি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে। নাম 'ফুলের বনে যার কাছে যাই'। উপন্যাসের বিবাহিত নায়কের সমস্যা হচ্ছে- যাকে দেখে তাকেই তার পছন্দ হয়ে যায়। বিবাহিত নারীদের কথা জানি না, তবে পুরুষরা বোধহয় বিয়ের পরে অন্য নারীর দিকে বেশি তাকায়। বিয়ের আগে যা হয়ত অতটা করত না। এর কারণ, আমার মনে হয়, অন্য মেয়ের দিকে তাকিয়ে সে বোঝার চেষ্টা করে- মেয়েটা সুন্দর, নাকি তার বউটা সুন্দর।
আমি কখনো মশারি ছাড়া ঘুমাই না। আগে অতি উৎসাহ নিয়ে মশারি টাঙাতাম। ঘুম সুখের, সুতরাং মশারি টাঙানোও সুখের। কিন্তু এখন মশারি টাঙানোর সময় হলে আমি নামাজে দাঁড়াই। সালাম ফিরিয়ে আড়চোখে দেখি মশারি টাঙানো হয়েছে কিনা। না হলে নামাজ প্রলম্বিত করি কিংবা মোনাজাত ধরে বসে থাকি।
কাজের মেয়েদের আমি বরাবরই স্নেহ করি। এই স্নেহের ভেতর অন্য কিছু কখনো ভাবিনি। বিয়ের পর এই স্নেহটুকু আমি আর দেখাতে পারি না। কেন পারি না- নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন।
এবার খবরটা পড়ুন-
লেখা শেখাতে শিশুদের বিয়ে:
ইংল্যান্ডের উস্টার। সেখানকার ওয়ারডন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র গেথিন ফক্স। বয়স ছয় বছর। তার সহপাঠী এক ছাত্রী পাঁচ বছরের ক্যালি গিয়েরি। আর দশটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের কোনো তফাত নেই। তারপরও গেথিন আর ক্যালি খবর হয়েছে, কারণ স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের দুজনকে বিয়ে দিয়ে দিয়েছে। একটি বিষয় নিয়ে কীভাবে লিখতে হয় তা ভালোভাবে শেখাতেই নাকি এই অভিনব আয়োজন!
কর্তৃপক্ষের বক্তব্য হলো, বিয়ের আয়োজন করতে গিয়ে রাজ্যের কথাবার্তা চলে। অনেক পরিকল্পনা করতে হয়। কাছ থেকে ব্যাপারটা সরাসরি দেখলে শিশুরা তাদের শব্দভান্ডার বাড়াতে পারবে। আর তা লিখে প্রকাশ করতে গিয়ে তাদের লেখার হাতও পাকবে।
স্কুলের উপপ্রধান সারাহ অ্যালেন জানান, এই চিন্তাটা এসেছে প্রথম শেণীতে কর্মরত শিক্ষক-কর্মীদের মাথা থেকে। বিয়ের পোশাকের নকশা, অতিথিদের স্বাগত জানানো, বিয়ের কেক, ভোজ, নবদম্পতির হানিমুন প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা শিশুরা বেশ উপভোগ করছে। এর মধ্য দিয়ে বিয়ের মাহাত্ম্য বুঝতে পেরেছে তারা।
-ডেইলি মেইল অনলাইন/প্রথম আলো, ২৭ নভেম্বর
যাক, বিয়ের মাহাত্ম্য শিশুকাল থেকে বোঝা ভালো।
এই সমস্যা তো ঘরে ঘরে।
মাসুম ভাই, বউ বাসায় নাই। সেই সুযোগটা নিলাম। কিন্তু প্রচণ্ড জ্বরের কারণে লেখাটা আর টেনে নিতে পারিনি। আশা- ঘরে ঘরের এই সমস্যা সবাই শেয়ার করবেন। তাতে কষ্ট হাল্কা হবে।
আমার কপালে একটু জলপট্টি দেওয়ার দরকার ছিল। এই সময়গুলোতে বুঝতে পারি বউ কত দরকারি!
সিরাজী ভাই, যে সব মেয়েরা বেশী generous তাদেরকেও কিন্তু পরিবারের সবাই পছন্দ করে না। তাদের মূল্যায়ন করা হয় খুব কম।
বরং মন খারাপ না করে একটু সময় নিন এবং একটু বিশেষ সময় দিন। ডেখবেন সব ঠিক হয়ে গেছে।
ভাবী যদি রাগ করে বাপের বাড়ি গিয়ে থাকেন, তবে তাকে সসম্মানে ফিরিয়ে আনুন।
শারিরীক মানসিক দুভাবেই সুস্থ হয়ে উঠুন এই কামনাই করছি।
''বরং মন খারাপ না করে একটু সময় নিন এবং একটু বিশেষ সময় দিন। দেখবেন সব ঠিক হয়ে গেছে।
ভাবী যদি রাগ করে বাপের বাড়ি গিয়ে থাকেন, তবে তাকে সসম্মানে ফিরিয়ে আনুন''
-না রে ভাই, বউয়ের সাথে আমার ওরকম সমস্যা হয়নি। আমার লেখায় কি অমন কোনো ইঙ্গিত ছিল?
সিরাজী ভাই আমি এরকম মন্তব্য করার জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। "আসলে আপনি অসুস্থ এবং স্ত্রী কাছে নেই" এই বিষয় দুটো থেকে একটা ভাবনা তৈরী হয়েছিল।
আপনি একটু খেয়াল করলে দেখবেন, আমি খুব ব্যস্ত থাকি, ইদানীং লিখিও না, অন্য কারও ব্লগে কমেন্ট করার ও যথেষ্ট সময় পাইনা। শুধু আপনার এই লেখায় কমেন্ট করেছি, তার কারণ ইদানীং আমার চারপাশে যে সব নতুন দম্পত্তি দেখছি, ঘরে ঘরে এই সমস্যটা প্রকট।
মনটা খুব খারাপ হয়ে যায়। একটা ভালো ফিলিং থেকে মাঝে মাঝে অনধিকার চর্চা করি........দুঃখিত।
আপনি চাইলে আমার মন্তব্যটা মুছে দিতে পারেন। খুব বেশী ব্যাক্তিগত ব্যাপারে নাক গলানোর জন্য আসলেই দুঃখিত।
ভালো থাকুন,
যাক, শেষ পর্যন্ত আপনাকে পাওয়া গেল এখানে ! ব্লগর ব্লগর নয়, এটি তো রীতিমত রম্য হয়েছে । আমাকে দোষী করেছেন, আপনি নিজেও তো দেখছি প্রায় শুরুতেই শেষ করে দিলেন । তবু ভাল লাগলো ।
নাজমুল ভাই, জ্বরটা এখনো ভালো হয়নি। দোয়া করবেন।
আপনার দ্রুত নিরাময় কামনা করছি ।
হ সেটাই।যতই ভয় দেখান বিয়ে করবোই।
আমার দাদায় করছে বাপে করছে আমিও করবো।
করেন ভাই, করেন। বিয়ের একমাস পর আমার কথা স্মরণ কইরেন। ( এই ১ মাস হানিমুন পিরিয়ড)
ভাল আছি।
খারাপ থাকতে চাই না
খারাপ থাকার অভিজ্ঞতা অর্জন ছাড়া বেঁচে থাকবেন? জীবনের ১৬ আনা মানে তো ১ আনা ভালো, ১৫ আনা খারাপ!
আমার শব্দভান্ডার অনেক কম
শব্দভান্ডার কম, তাই বলে যন্ত্রণা তো আর কম নয়!
ভাবলাম যে বিয়ের পরের এক্স ফ্যাক্টর টাইপ শব্দ-টব্দ কিছু থাকবে ...
কিন্তু কোন শব্দই পাইলাম না
বিয়ের আগেই মা চলে গেলেন না ফেরার দেশে। সুতরাং এইসব ঝামেলা টের পাইনি। ভাবছি, সৌভাগ্যবান, নাকী দুর্ভাগা আমি...
বাই দ্য ওয়ে, উদরাজীর বৌয়ের মত করে নাতো ? কী করে সেটা সবাই জানে। আপনি জানেন কীনা জানিনা ! উদরাজী সবচেয়ে ভাল জানে...
ভাই মেসবাহ য়াযাদ, আপনি কি বলতে চান। আরো পরিস্কার করে বলুন। আপনি হয়ত বউ শাশুড়ির যুধ্ব এখনো দেখেন নাই! আপনার ছেলে কিন্তু বিবাহের উপযুক্ত হয়ে যাচ্ছে! আশা করি আপনি আপনার পুত্রবধু দ্বারা সব জেনে যাবেন। মাঘ মাস সবার জীবনেই আসে!
উদরাজীর বউ কী করে জানতে চাই। কে বলবেন- উদরাজী না মেসবাহ?
ভাই সিরাজী, আপনার চোহারা দেখে বড়ি কষ্টে আছি। আইজুদ্দি অবস্থা আপনার!
পিছনের ব্লগ পড়ুন।
আমার কোন চেহারা? লেখার?
সিরাজী ভাই, আসেন বুখে আসেন। কোলাকুলি করি। কঠিন কথা গুলো কি সহজে বলে গেলেন। অনেক কথা বলার আছে, বলা যায় না। শুধু মোনাজাত ধরে বসে থাকি।
কষে কোলাকুলি করলাম, উদরাজী
@সাহাদাত ভাই, এর আগে বাসর রাতে ইবাদত করা পাবলিকের কাহিনী পড়সিলাম, আজকে পড়লাম সাহাদাত ভাইয়ের মুনাজাতে বসার কাহিনী। ভাই, ওস্তাদের লগে খাতির জমানোই কি একমাত্র মুক্তির রাস্তা?
মীর, বাসর রাতে ইবাদত করার কাহিনিটা একটু বলুন না প্লিজ
ভালো লাগেনি। সিরাজির কাছ থেকে এমন হতাশা-হতাশা, অভিযোগ-অভিযোগ লেখা আশা করিনি।
হতাশা, অভিযোগ জীবনের বিশাল অংশ রশীদা। এই বয়সে এসে সেসবের এক-আধটু প্রকাশ করলে দোষ নেবেন না।- ''সিরাজী''
@সিরাজী। সেটা ঠিক আছে, কিন্তু লেখাটা একপেশে হয়ে গেল না? আমি যৌথ পরিবারে বড় হয়েছি, খুব কাছ থেকে সংসারে নারী-পুরুষের রূপ দেখেছি, দুইদিকেরই কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। তবে একজন পুরুষ যদি কঠিনে-কোমলে নিজের পরিবার আর স্ত্রীর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে চলতে পারেন, তবে সংসারে শান্তি না থাক, স্বস্তি থাকে। আমাদের ভাই কিংবা স্বামীদের দেখা যায়, হয় মা, নয় বউকে প্রাধান্য দেয়।
সিরাজী ভাই, আশা করি আরো ব্যাখা দেবেন।
এই কঠিনে কোমলে ভারসাম্য রক্ষা করতে গিয়ে পুরুষটি যে কী রকম ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে- তা বোঝানো মুশকিল।
ভুক্তভোগী ভাইয়েরা, আসেন একটা মোনাজাত ধরি।
বস ধরেন ... মোনাজাতে অনেকেই শরিক হইবো
হাজী ভাইয়ের দোয়া কবুল হবে ১০০%।
আরো কত্ত কিছু যে আছে ...
টুটুলদা, বলেন না শুনি। না বলে বলে তো হার্ট এটাক হয়ে যাবেন।
চুপচাপ পড়ে গেলাম আর ভুক্তভোগীর তালিকায় নাম লেখালাম
ভুক্তভোগী হয়ে চুপচাপই থাকবেন?
বউ-শাশুড়ীর মনস্তাত্তিক দ্বন্ধ আসলে অনেক পরিবারেরই সমস্যা। এদিক দিয়ে আমি নিজকে সৌভাগ্যবান মনে করি। আমরা এখনো যৌথ পরিবার। দুই ভায়ের সংসার, মা....আর তিন তিনখান অতি দুষ্ট প্রকৃতির কাচ্চা-বাচ্চা। আমাদের সংসার রীতিমতো 'রণক্ষেত্র'। না না বড়দের জন্য নয়, তিন 'বিচ্ছু'র মারামারি আর ঝগড়াঝাটিতে....। বাসার দুই বউ বাচ্চা-কাচ্চা সামলাতেই সারাক্ষণ ব্যস্ত, ঝগড়া করার সময় কোথায় ! মা'র সংগে অবশ্য আমার বউয়ের প্রথম প্রথম কিছু সমস্যা হয়েছিল...। এখন বউ-শাশুড়ী দিব্যি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করছে। এর মধ্যে কিভাবে যেন একযুগ পেরিয়ে গেছে...সুখে-দু:খে,ভালো-মন্দে বেশতো ছিলাম...বেশতো আছি। হয়তো আর বেশীদিন সবার একসংগে থাকা হবেনা ,কারণ বাচ্চারা বড় হচ্ছে...তবুও আমার আভিজ্ঞতায় মনে হয়, যৌথ পরিবারই সুখের নীড়....।
চুপচাপ পড়ে গেলাম
আজকাল আমার কমেন্ট গুলো নকল হয়ে যাচ্ছে। ভাবছি কপিরাইটের মামলা করব। জাব্বার কাগু থেকে পরামর্শ নিতে হবে। জাব্বার কাগু এবার নুতন নকল করছেন!! জানেন কিছু।
জানিনাতো ! জানতে ইচ্ছা করছে । জাব্বার কাগুর কিচ্ছা সবারই ভাল লাগবে । প্রকাশ করা হোক ।
কাকা@আপনার কোন কোন কমেন্টগুলো কপিরাইট করবেন তার লিস্ট দেন!!!!!!
তারপর আপনার সাথে দেখা হবে ময়দানে।।
তারপরও বিবাহ করবো ইনশাল্লাহ!
আপনার জন্য খাছ দিলে দোয়া করি।
চুপ্চাপ পড়ে গেলুম
সংসারে পুরুষের যেমন ১ লক্ষ দোষ অপছন্দ করি, তেমনি ব্যক্তিগতভাবে মেয়েদের এমন আত্মকেন্দ্রিকতা অথবা আত্মসচেতনতা যা একটা সুন্দর সম্পর্ক ভেঙ্গে দিতে পারে তা ততধিক অপছন্দ করি।
বিয়ের পর একটা নতুন মেয়েকে যেমন একটু সময় (পারিবারিকভাবে বিয়ে হলে কমপক্ষে ২ বছর আনুমানিক)দেয়া উচিত, তেমনি মেয়েদের ও উচিত ছেলেদের এবং ছেলের মায়েদের প্রতি, পরিবারের প্রতি সহনশীল হওয়া।
আমি মনে করি, এ ক্ষেত্রে সনাতন মায়েদের চেয়ে শিক্ষিত মেয়েরা আরও বেশী ভূমিকা রাখতে পারেন।
আসলে যে কোন সম্পর্ককে একটা "মূল্যবান সম্পর্ক" হিসেবে দাম দিলে, অনেক স্যাক্রিফাইস করতেও ভালো লাগার কথা। পরিবার শুধু স্বামী কে নি্যেই হওয়া উচিত নয়।
আমার বিরাট শ্বশুর বাড়ি, এই দশ বছর ধরে যত ভালো সম্পর্ক প্রত্যেকের সাথে, তাতে স্বামী ভদ্রলোক ও মাঝে মাঝে ধন্দে পড়ে যান------ আসলেই এটা সম্ভব কিনা!!!! খুব মন থেকে বলি, আমার বাবার বাড়ির চেয়ে আমার শ্বশুর বাড়িতে সময় কাটাতে আমার অনেক বেশী ভালো লাগে......অথচ আমার রুচি এবং শিক্ষার সাথে যদি মেলানো হয়, তাহলে আমার শ্বশুর বাড়িকে ৩৬০ ডিগ্রী উল্টো ধরা যায়।
আমি মনে করি সদিচ্ছা থাকলে এসব বাধা কোন বাধাই না।
(আমার এই বক্তব্য পুরুষকূল হ্য়তো বিশ্বাস করবেন না, আর নারীদের নিশ্চিত বিরাগভাজন হব।") কি যে করি!!!! ( ( ( ( ( (
এই না হলে আমাদের শাপলা আপু।
ভাবছি বিয়ের পর আমার বৌয়ের সাথে আপনার সই পাতায় দিবো। সাথে আমার মায়ের সাথেও।
@ রাসেল ভাই, সনাতন ভাবনা হল, মা তার ছেলে সন্তানকে কারো সাথে ভাগ করতে পারেন না সহজে, কোন কোন মা সারাজীবন পারেন না। আবার বউরা তার স্বামীকে ভাগ করতে রাজী নন কারো সাথে, এমন কি মায়ের স্নেহের কাছেও... সম্পর্কের এই টানাপোড়েনে পড়ে সবার আগে ছেলেরা দ্বিখন্ডিত হবে এটাই চিরাচরিত নিয়ম।
আর মহা গোলমালের সূত্র যেহেতু ছেলেরা (মানে দ্বিখন্ডিত হওয়ার) তাই জোড়া নিজেরা লাগার চেষ্টা করবেন না শুরুতেই (মানে আগে যা ছিলেন তাই হবার আর কি.............।)। বরং শুরুতেই চেষ্টা করুন অন্য দুটো দ্বিখন্দিত সম্পর্ককে জোড়া লাগাবার।
উপকারী টিপসঃবিয়ের পর কোন থার্ড পার্সন (শাপলা আপু টাইপ ) এর সাথে নিজে বা বউ বা মা কাউকেই সই পাতাতে দেবেন না মনের ভুলেও, তাহলে কেলেঙ্কারী হবার সম্ভাবনা বেশী থাকে। বরঙ কষ্ট করে, মা আর বউকে দুজন দুজনের সই পাতিয়ে দিন...........দেখবেন ভবিষ্যত খুবই ভালো।
২। দুইজনেরই মনের যত্ন বেশী বেশী নেবেন, প্রথম কিছুদিন। মানে চুরি করে একটা শাড়ি কিনতে যাবেন না অথবা ইচ্ছা থাকলেও যাবেন না, চুরি করে ফুচকা খেতে। (ঘন ঘন উপহার দেয়া মেয়েদের মনের যত্নের মধ্যে পড়ে।) শাড়ি কিনলে অবশ্যই দুটো কিনুন। যেদিক শক্ত বেশী তার জন্য একটু দামীটা। যেদিকটা নরম তাকে আগবাড়িয়ে একটু কথা খরচ করে বুঝিয়ে বিগড়ে যাওয়া পরিস্খিতি সামাল দিন।
৩। নিজের মা'কে যতবার মা ডাকবেন, তার কাছাকাছিবার অন্য মা'কেও মা ডাকুন....।দেখবেন পরিস্থতি দ্রুত নিজের নিয়ন্ত্রনে চলে এসেছে।
বেশী না বছর দুয়েক নিজে দ্বিখন্ডিত থেকে অন্য সম্পর্ক দুটোকে একটু বেশী কেয়ার করলে বছর দুই পরে তারা দুজন মিলে, আপনাকে একত্রিত করবে আর আপনার যত্ন নিতে শুরু করবে, দ্বিগুন।
সম্পর্ক কোন লিখিত সূত্র নয় যে, সব গুলো একই নিয়মে চলবে, তবে কিছুটা তো আন্দাজ করা যায়ই।
অযথা লেকচারের জন্য বড়ই দুঃখিত। ( ( ( ( (
জটিল বলেছেন আপু।আসলে আমার চিন্তা ভাবনা গুলোও এই রকমের কিন্তু মুখে বলি না কারন বললে লোকজন বলবে ব্যাটা বিয়ের আগে কপচানী যায় আগে মাঠে নেমে দেখ তখন বুঝবা কত ইটে কত খোয়া হয়।
দোয়া করবেন।ভালো থাকবেন।
অফট পিকঃ সেদিন কবিতাটা ড্রাফট করে ভাল কাজ করেন নাই।
মনে দুঃখ পাইছি।
@ শাপলা, আপনার টিপসগুলো পড়ছি আর দীর্ঘশ্বাস ফেলছি। সেই সময়টা পেরিয়ে এসেছি আমি। তখন এরকম টিপস কেউ দেয়নি।
শাপলার 'অযথা লেকচারে'র 'উপকারী টিপস'-এর সাথে সাথে আমি কিছু যোগ করি ! 'আমার-তোমার' বলার সময় সতর্ক থাকবেন । তোমার ভাই, তোমার মা, তোমার বোন বলার চেয়ে (স্বামী) আমার শালা, আমার শাশুড়ি, আমার শালী এবং (স্ত্রী) আমার দেবর, আমার শাশুড়ি, আমার ননদ ইত্যাদি বলে দেখতে পারেন । এদের গুণপনা (মন্দ অর্থে হলেও) নিজের দিকে টেনে নিলে উপকার পাওয়া যায় । নিজেদের মধ্যে সমঝোতা থাকবে । 'তোমার অমুক এই করেছে' বলার চেয়ে 'আমার অমুকের কান্ড শোন' ধরনের কথা অনেক বেশী কার্যকর, ভুল বুঝাবুঝির অন্তরায় । জানিনা যা বলতে চেয়েছি তা পরিষ্কার করে বলতে পারলাম কিনা ।
''আমি মনে করি, এ ক্ষেত্রে সনাতন মায়েদের চেয়ে শিক্ষিত মেয়েরা আরও বেশী ভূমিকা রাখতে পারেন।
আসলে যে কোন সম্পর্ককে একটা "মূল্যবান সম্পর্ক" হিসেবে দাম দিলে, অনেক স্যাক্রিফাইস করতেও ভালো লাগার কথা। পরিবার শুধু স্বামী কে নিয়েই হওয়া উচিত নয়।''
দারুণ বলেছেন শাপলা।
আপনার লগে আমার কত মিল... মানে আপনার কথার লগে আর কী...
বোন শাপলা, আপনার কথা গুলো পড়ে মনটা ভাল হয়ে গেল। একটু ভাল চিন্তা সমাজ তথা পরিবারকে পাল্টে দিতে পারে। নারীরা কেন নারীর জন্য শত্রু হয়ে দাঁড়াবে!
ভাল লাগলো শাপলার আন্তরিকতাপূর্ণ মন্তব্য । সবাই এমন হোক, সুন্দর হয়ে উঠুক সবার সাথে সব্বাইয়ের সম্পর্ক ।
চুপচাপ পড়লাম...
শুভকামনা!
বিয়ের পর স্ত্রীকে মায়ের কাছে রেখেছিলাম দেড় বছর। শুরুর দিকে দুমাস পর একদিন মা হাসিমুখে বলে উঠেছিলেন, পুত, চৌকাঠটা ভালাই!
এখন স্ত্রী আমার মায়ের কাছে থাকে না। কিন্তু মায়ের মতে চৌকাঠ এখনো ঘুণহীন।
(কানে কানে বলি, মায়ের ভাষায় চৌকাঠ হচ্ছে আমার স্ত্রী)
ভাল লাগলো লেখাটা। এরকম ভুক্তভোগী অনেক দেখেছি-জানি না এর সমাধান কি। মানুষের মধ্যে পরিস্থিতির গুরুত্ত্ব অনুভব করার ক্ষমতা-বিনয়-পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ-ভালোবাসা পরিমিত মাত্রায় ভাবে উপস্থিত থাকলে হয়তো সমস্যাটির কিছুটা সমাধান হতে পারে।
শাপলা আপনার মন্তব্যের সাথে একমত আমি। বিয়ের পর ছেলেদের ভালবাসা দ্বিখন্ডিতই শুধু নয় বহুভাগে প্রবাহিত করতে হয়া যারা শুধু নতুন বউয়ের কথায় নাচেন , সমস্যা জটিল হয় সেখানেই। যে ছেলেরা ভালবাসা সকলের মাঝে বন্টন করতে পারে ,তারাই পায় আসল সুখের নাগাল। একটা মেয়ে নতুন সংসারর নতুন পরিবেশে তার স্বামীকেই আবলম্বন করেত চাইবে সেটাই স্বাভাবিক। বউকে মাথায় না তুলে, ভালবাসুন, পরিবারের অন্যদের দিকেও নজর দিন, দেখবেন সবঠিক।
প্রয়োজন পড়লে পাকা অভিনেতা হন- সংসারে। কি বলো উদরাজী?
লিটু, আমি আর কি বলব, তুমিই সব বলে দিলে। ১ যুগ তো পার করে দিলাম!
লিটু, আমি আর কি বলব, তুমিই সব বলে দিলে। ১ যুগ তো পার করে দিলাম!
মন্তব্য করুন