একটি ফটো স্টোরি: প্রথম পর্ব
প্রথমেই বলে নিই, বিশখানা ছবি আছে, সুতরাং একটু সাবধানে। রোজার ঈদের সময় বগুড়া গিয়েছিলাম। সেখানে কয়েকদিনের জন্য ছিলো শুধুই দিনে ঘুরা-ঘুরি আর রাতে বয়েজ পার্টির বন্দোবস্ত। ব্যপক একটা ট্রিপ হইসিলো। এইরকম সুযোগ আমি জীবনে আরো অসংখ্যবার চাই।
১. এইটা কিসের ছবি বলেন।
২. তোমার জন্য আলো হব, বাতাস হব শিহরণে/ ভেজা বৃষ্টির বান হব ছায়ার আবরণে। রাস্তার মইধ্যে কি জুক্স!
৩. যাত্রাপথে জ্যাম ছিলো ভয়াবহ।
৪. পথে দেখা পেলাম অচেনা দুই ধর্মানুরাগী যুবকের। তবে তাদেরকে কোনরূপ হেয় প্রতিপন্ন করা আমার উদ্দেশ্য নয়।
৫. সাতমাথার বীরশ্রেষ্ঠ স্কোয়ার। এখানে সাতজন বীরশ্রেষ্ঠ'র ছবি রয়েছে। আর সাতমাথা মূলত শহরের কেন্দ্রবিন্দু এবং শহরের মূল সাতটা রাস্তার মিলনস্থল। একটা এরিয়াল ভিউ দিতে পারলে বিষয়টা আরো পরিস্কার হইতো।
৬. শতবর্ষী কালীমন্দির। স্থান: গালাপট্টি, বগুড়া। সময়কাল: ঈদের দিন বিকেলবেলা।
৭. একখান গ্রামের বাড়ি।
৮. গ্রামের বাড়ির অবিচ্ছেদ্য উপাদান, বাঁশঝাড়।
৯. ডোবাপুকুর। গ্রামের লোক-জন দেখলাম গাড়ি বলে ডাকে।
১০. নদীর মতো ধানক্ষেত। সামনাসামনি দেখলে মাথা না খারাপ হয়ে উপায় নেই।
১১. এইবার চলেন মহাস্থানগড়।
১২. শাহ সুলতানের মাজার। বগুড়ায় এই ভদ্রলোকের নামে কলেজ এবং আরো অনেক কিছু আছে। তার যে প্রোফাইল দেখলাম, মারাত্মক!
১৩. মাজার কেন্দ্রিক অভাবী মানুষের পরিচিত দৃশ্য।
১৪. মাজারের উপ্রে মিনার।
১৫. চাইলে এখানে পয়সা দিয়ে মুনাজাত করানো সম্ভব। হুজুর মুনাজাত করাবেন। এজন্য দালাল ও হুজুর শ্রেণী রয়েছে মাজারে। তারা আশেপাশেই ঘুরঘুর করে। বিষয়টা অনেকটা হিলীং-এর মতো মনে হলো।
১৬. শীলাদেবীর ঘাট। জায়গাটা আমার যা তা পছন্দ হয় নাই!
১৭. গড়ের সীমানা প্রাচীর। আকারে-প্রকারে চীনের প্রাচীরের মতো।
১৮. প্রাচীরের ওপর লাল ইট বিছানো রাস্তা।
১৯. গড়ের বাইরে শহরের রাস্তা। মহাস্থান গড়ের ভূমি কিন্তু স্বাভাবিকের চেয়ে বেশ উঁচু।
২০. এইটা এই পর্বের শেষ ছবি। মহাস্থানগড় জাদুঘরে ঢোকার রাস্তা।
আপাতত ক্ষ্যান্ত হই। পোস্ট লোড হৈতে হৈতে যেহেতু সবার বারোটা বাজবে সেহেতু আমি অত্যধিক খুশী।
সবাইকে ধন্যবাদ।
অফিসে বইসা এইসব ছবিওয়ালা পোস্ট দেখা উত্তম। তাই বারবার দেখলাম।
৬ নম্বরে কালী মন্দিরের ফডু দিছেন, আমি ভাবলাম ইলেক্ট্রিক তারের ফডু!
ফডু দেইখা ভালো পাইলাম, সচিত্র ভ্রমন টাইপ হৈছে!
বাশঁঝাড়ের অবিচ্ছেদ্য উপাদান, গেছোভুত, হের ২/১ টা ছবিছুবি নাইকা?
সোজা প্রিয়তে। নস্টালজিক বানায়া দিলেন ভাই।
বল্লখদেশটা কোথায়??!
হামি বোগড়ার ছোল, তাই এড্যা প্রিয়ত নিল্যাম।
আচ্ছা একটা কুইজ কন,
" সুলটির মদ্যে অয়া আছে" মানে কবার পালে, দেশত গেলে কালীবাড়ি'র সন্দেশ খাও্যামু কল্যাম।
ছৌল মানে কী, ছাওয়াল?
হ।
শাপলা ছেলে!!!
বগুড়ার মরিচের ঝাল বেশী।এই কারনে.।.।
ঝালের কি দেকছু মোনা,
বগুড়াত গেলে দেকপু চালত তুল্যা সারে সারে ঝাল শুক্যাচ্ছে। খালি নাকত গেলে হয়, বুঝবার পারবু.....।
আপনে কুটিকার ছোল গো?
ওন্কা কর্যা কোচ্ছেন ক্যা গো, ব্যাটা-বিটি দুজনকই ছোল কয়। আদোর কর্যা হামাকের ওটি ছোলপোলক মোনা কয়া ডাকে গো, কিছু বুঝবার পালেন?
এবি একজনক বেটাছোল কওয়াডা কি জুতের কতা হলো?
না ব্লগের এটি ছোল-পোল গুলান কোমা নষ্ট হয়া যাইচ্ছে...
মর্ছি!
গত বছর বগুড়ায় গেছলাম। কটকটি দই এগুলি খাইছি। ছোটবেলায় টিভিতে দেইখা বগুড়া ইয়ুথ কয়্যারের ভক্ত হইছিলাম। ঐ গ্রুপের ছৌল আইমীন মেয়েছৌল ঘুলান সোন্দর আছিল। তাদের নাচগান খুব ভাল লাগত। গ্রুপের লীডার ছিল টিপু। একটা গানের কথা এখনো মনে আছে, জম্মদিন হারে আলো আসো নাচন কোদন করি .....
ক্যা ভাই তুমি ওড্যা শোনোনি, "ঐ কাল্যা ছুড়িডা হামাক পাগলা করিছে, তার মিড্যা চোখের তীরডা হামার কলজ্যাত ঠেকিছে...ঐ কাল্যা ছুড়িডা হামাক দিওনা করিছে.।
আপনে কুটিকার ছোল গো?
কেন গো বহিন!!!!!!!আমি তো তুমাকে আগেই বুলেছি আমার বাড়ি কুন্ঠে।ভুলে গেলছো????
হামার বাড়ি রাজশাহী গো। আর আমার বাপের আর মায়ের বাড়ি কুষ্টিয়া।
তুমাক বুলি নাই তো, হামি রাইহান ভায়ক কছনু গো।
তুমি হামার বাড়ির পাশের ভাই সেডা তোমাক আবার কওয়া লাগবি? হামার মাতাত কি কিছুই নাই তা বুল্যা
ছবি দেখে খুব খুশি হলাম।বগুড়া আসলেই একটা সুন্দর শহর। সাতমাথার ওখানে একটা ঘোড়ার ভাস্কর্য ছিলো ওটা আছে না ভেংগে ফেলছে?
আর বেহুলার বাসরঘরের ছবি কই? বগুড়ার ঐ জায়গাটা সবচেয়ে সুন্দর।
ক্যা গো রাছেল ভাই, আপনি কোমা মানুষটা একটু ক্যন্কা জানি আছেন, ক্যা ঝালের কথা কব্যার পারেন আর দই, ক্ষীরসা এগল্যর কথা কবার পারেন না,
এগলার কোথা আগেই একদিন বুলেছি।বোগড়ার ম্যালা কিছু ভালো।আর দই-ক্ষিরসা তো কথায় নাই।
ছবিগুলো খুবই সুন্দর হয়েছে । বর্ণনা একটু বিস্তারিত হলে আমার মত আনাড়িদের উপকার হতো । সুযোগ নেই যাদের, তাদের বিনাখরচে বেড়ানোও হতো । ছবি দ্রুত আপলোড হয়েছে, বারোটা বাজেনি মোটেই । বাঁশঝাড়ে বাঁশের স্বল্পতায় কষ্ট পেলাম । মাছের পিঠে সওয়ার হয়ে এসেছিলেন এই পীরসাহেব (শাহ সুলতান) - আবদুল্লাহর পূর্বপুরুষ !
চমৎকার!
মন্দিরের অবস্থা দেইখা খারাপ লাগল।
বাহ ! বেশ বেশ !!
কৈতে ভুলে গেছি, ১ নং ছবিটা গাড়ির ভিতর থেকে তোলা... গ্লাসে বিষ্টির পানি...
সাব্বাস। সাব্বাস। সাব্বাস।।
দেখে মজা পেলাম।
হামিও বোগড়ার ছোল.....।
মেলাদিন বাদে দেখেচ্ছি শহরটাক...।
গান শোনেন.......
হামরা বোগড়ার ছোল, পুটি মাছ ধরতে যায়্যা ধইরা আনি বোল.....
এমবেড কোড কেডা খাইলো? ভিড্যু দেয় কেন্কা কইরা?
বগুড়া যে একটা সুন্দর জেলা সেটা আগে ঝানতাম না। কতো কি জানার আর শেখার বাকি রয়ে গেলো জীবনে।
বগুড়া আমার জন্মস্থান
বছর পনেরো আগে মাঝরাতে একবার বগুড়ার উপর দিয়ে যাবার সময় আধো ঘুমে দই খাইছিলাম। তাছাড়া আর কিচ্ছু মনে নাই। প্রিন্স তারেক ভাইডি বোগড়ার ছৌল না?
দেশে থাকতে অফিসের কাজে বগুড়া যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল তিনদিনের জন্য। মহাস্থান গড় প্রকাশ বেহুলা লক্ষিন্দরের বাসর ঘর দর্শন করিয়া প্রীত হইয়াছিলাম। চট্টগ্রামের ছেলের বগুড়া মিষ্টি পান খেয়ে আক্কেলগুরুম হইয়া গেছিল। মহেশখালির পান পাতাটাই মিষ্টি হয় আর বগুড়ার ঢাউস আকারের পানকে মসলা দিয়ে মিষ্টি করা হয়। দই খেয়ে নিয়েও এসেছিলাম ঘরের জন্য। অতিরিক্ত মিষ্টি এই দই বেশি খাওয়া যায় না। তবে সব মিলিয়ে বগুড়া খুব ভাল লেগেছে।
সাতমাথার বীরশ্রেষ্ঠ স্কোয়ারের আর কোন ছবি নেই? বাঁশঝাড়ের অবস্থা বেশ করুণ মনে হল।
মাইনষের ঘুরাঘুরি ফটু পোষ্ট আমি দেখি না, লাইক ও করি না।
ছবিগুলা তো অনেক সুন্দর!!!!
মন্তব্য করুন