গল্প: জো সুই পাঘদু'
দেখা যাচ্ছে জীবনের গণ্ডিটা আস্তে আস্তে ছোট হয়ে আসছে। ডাইনোসর যুগের একটা ঘটনা মনে করে প্রায়ই পুলকিত হই। একবার ১০ মিনিটের নোটিশে বাড়ি থেকে পালিয়েছিলাম। ডাইনিং টেবিলের ওপর অসমাপ্ত একটা চিরকুট রেখে। যেটাতে লেখা ছিলো, বাইরে গেলাম।
এ বাহির সেই বিকেল কিংবা বেলাশেষে বাহিরে যাওয়া নয়। জুতা-ব্যগ গুছিয়ে নিয়ে চুপ-চাপ কেটে পড়া। যে বন্ধুদের প্ররোচনায় রাত তিনটায় ঘর থেকে বেরিয়ে এক সপ্তাহ পর ফিরেছিলাম, সে বন্ধুদের কেউই আজ বেঁচে নেই। কেউ স্ত্রী’র নীচে, কেউ বিদেশে আবার কেউবা শিল-পাটা না পেয়ে কাগজ-কলম পিষতে গিয়ে পূর্বের জীবন থেকে বিচ্যুত হয়েছেন।
অথচ একটা মহাসময় ছিলো, যখন শেখের টেকের ছয়তলা বাড়িটার ছাদে টাংকির ওপর ছয়জন সারারাত; সম্ভাব্য প্রত্যেকটা কাজের মধ্য দিয়ে আনন্দ টেনে নেয়ার চেষ্টা করেছি। রাশি রাশি আনন্দ দু’হাত ভরে উঠে এসেছে। নিশ্ছিদ্র রাত কখন কোন ফাঁক দিয়ে বের হয়ে গেছে, রোদ উঠে গায়ে জ্বালা ধরিয়ে না দেয়া পর্যন্ত টের পাই নি।
১০ মিনিটের নোটিশে সেবার চলে গেলাম বগুড়া। পরিচিত এক ট্যক্সিক্যব ড্রাইভার ভাড়া নিয়ে এসেছিলো ঢাকায়। ড্রাইভার ছিলো আমার কলেজের বোজম ফ্রেন্ড। তার গাড়ি খালি ফিরে যাচ্ছিলো, আমরা আমন্ত্রণ পেয়ে উঠে পড়লাম।
সন্ধ্যায় এলেঙ্গায় নেমে পেটপুরে মুরগীর ঝোল আর গরম ভাত খেয়েছিলাম। আমাদের সঙ্গে থাকা ভাল্লুকগুলো শেষ হয়ে যাওয়ায়, সেখানে খোঁজ দ্য সার্চ চালালাম সবজি’র। পেয়েও গেলাম সত্যিকারের দেশি ও জটা। এরপরে আসলো যমুনা ব্রীজ। লম্বা একটা কার্ভ, তাতে সারি সারি সোডিয়ামের ফোঁটা; তাকালে মনে হয় যেন কোনো মিল্কিওয়ের ভেতর ঢুকে পড়েছি।
ভয়ে ভয়ে একপাশে গাড়ি পার্ক করলাম। কখন না জানি পুলিশ এসে দাবড়ানি দেয়। এ চিন্তা করতে করতেই গাড়ি থেকে নেমে কেউ রেলিংএর ওপর উঠে, কেউ সেটা ধরে ঝুলে ঝুলে, কেউ গাড়ির বনেটের ওপর বসে, কেউবা এমনিই অত্যুল্লাসে চিৎকার করতে করতে সবজি খেলাম। একপাশ দিয়ে বড় বড় লরি-ট্যংকার হুস-হাস বেরিয়ে যাচ্ছিলো, আরেকদিকে চলছিলো যমুনার কুল কুল শব্দমাখা বাতাস। উড়িয়ে উড়িয়ে অনেক দূর নিয়ে যাচ্ছিলো।
পেছন থেকে সাইরেন শুনতে পেয়ে ঘাবড়ে গেলাম। চটপট সব গাড়িতে উঠে দৌড়। ভয়ে ছিলাম সামনের চেকিংএ আটকে দেয় কি না। কিন্তু মানুষ যতটুকু ভয় পায়, আসলে কারণ তার চেয়ে অনেক কমই থাকে। এটা জানি বলেই মাঝে মাঝে ঝুঁকি নিতে ভালবাসি। সবাইকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দিতে ভালবাসি।
সিরাজগঞ্জের পর থেকে এ দেশে আর শহর নেই। এরপরে সবই গ্রাম। ঠাকুর বলে গেছেন, গ্রামছাড়া ওই রাঙামাটির পথ। আমি বলি, গ্রাম ছাড়া ওই পিচঢালা রাস্তা। তার দুই পাশে নাম না জানা পাতাবহুল বনজ বৃক্ষের সারি। রাস্তার পিচের এক ধাপ নিচে মাটির জমিনে হলুদ-সবুজের সমারোহে আঁকা সেই পরিচিত অনিন্দ্য অপরূপ ছাপচিত্র। আদিগন্ত বিস্তৃত চোখ-শরীর আর মন জুড়ানো ধানক্ষেত।
একটার পর একটা গ্রাম পেরোতে থাকে আমাদের গাড়ি। আমরা কেউ জানালায় পাএর ওপর পা তুলে, কেউ মুখের ওপর টুপি টেনে, কেউ অকারণেই উদাস হয়ে সবকিছু উপভোগ করতে থাকি।
বগুড়ায় গিয়ে একটা হোটেলে উঠলাম। আসলে হোটেলে ওঠাটা নামমাত্র। কেননা হয়তো দেখা যাবে; রাতেও রাস্তায় রাস্তায় টহল দিয়েই বেড়াবো, কিন্তু তাও একটা ফেরার জায়গা ঠিক করে রাখলাম। বেরিয়ে পড়লাম শহরে। এর আগে ট্যক্সি দাবড়ে যমুনা পেরিয়ে এসেছি, এবার নেমে পড়লাম ডিঙি নৌকা নিয়ে।
অপটু সাতারু আমার মধ্যেও দেখি কোন ভয়-ডর নেই। বাসায় কেউ জানে না, কই আছি। এখানে কিছু হলে কোন গ্রামের কোন ঢালে গিয়ে মরা ভেসে উঠবে ঠিক নেই। কোথায় গায়েবী জানাজা হবে ঠিক নেই। আর কখনো আমার ছোট্টবোনটা আমাকে দেখতে পাবে কি না, জানি না। সেসবের কোনকিছুকেই মাথার মধ্যে খুঁজে পেলাম না। ভেসে চললাম প্রমত্তা সুন্দরী যমুনার ওপর দিয়ে। মাঝে মাঝে সে বিস্ময়কর সুন্দরীকে ছুঁয়ে দেখি, ওর মতো একটা কিছু গড়ার আইডিয়া এসেছিলো কার মাথা থেকে?
চলে যাই বয় ইন স্ট্রাইপড্ পাজামা’র শহর নওগাঁয়। সীমান্তের টানা কাঁটাতার মনে শিহরণ জাগায়। সেখানকার সহজ-সরল ভালোমানুষদের জন্য মায়া জন্মায়। আমি অক্ষম মায়ার তাড়নে পীড়িত হই। আমার শুধু মায়া দেখানো ছাড়া এ মানুষগুলোর জন্য কিছু করার নেই।
ওরা গ্রামের হাটে নিজের মাচার লাউটি তিন টাকায় বিক্রি করে। সেই নধর লাউ কিনে নিয়ে যাওয়া ব্যপারীর গৃহিণী সেটা রুই মাছের মাথা দিয়ে রান্না করে। বিছানায় পা তুলে বসে ব্যপারী মাথার মগজ চুষে। আর সেই গ্রাম্য চাষী দু’মুঠো কাউনের চাল ফুটিয়ে, সেদ্ধ আলু চটকে তাতে একটা পোড়ামরিচ ডলে ভাত খায়। আমি পীড়নের কারণেই খুব বেশিদিন মহান এ মানুষগুলোর সংসর্গে থাকতে পারি না। ওদের চোখের সামনে থেকে তাড়াতাড়ি সরে যাই।
এগিয়ে যাই গাইবান্ধার চরাঞ্চলের দিকে। গাইবান্ধা জেলার মানুষ বহু পোড় আর ঘাট-বেঘাট ঘুরে পানি খাওয়া মানুষ। সহজে তাদের বোকা বানানো যায় না। আমরা এক সুদের কারবারীকে বোকা বানালাম। নিজেদের সাংবাদিক বলে পরিচয় দিলাম। ভদ্রলোক খাতির করে ইউপি চেয়ারম্যনের বাড়িতে নিয়ে গেলেন। চেয়ারম্যন তার প্রতি অনুরক্ত ছিলেন। যে কারণে কোনো সন্দেহই করলেন না।
সে বাড়িতে প্রথমেই একটা পেটচুক্তিতে খাওয়া হলো। ভেবেছিলাম এতেই বেশ চলে যাবে। এখন দু’টো আলাপ পেড়ে বিদায় নিই। কিন্তু চেয়ারম্যনের মনের আশা ছিলো ভিন্ন। তিনি চাচ্ছিলেন, তার নামে একটা রিপোর্ট কোনো পত্রিকায় ছাপা হোক। দুপুরের খাবারের জন্য তাই পুকুরের কাতল মাছ জাল দিয়ে টেনে তুললেন। তার গিন্নি ঝোল-মসলা দিয়ে সে মাছ এমনভাবে পাকালেন যে খেতে খেতে ঘুম চলে এসেছিলো প্রায়।
দুপুরে টানা ঘুম দিলাম, সন্ধ্যায় ছিলিমে সাজানো তামাকের গড়গড়ায় টান দিলাম। চেয়ারম্যন খবর দিয়ে শহর থেকে রঙিন পানি আনিয়েছেন। সে পানি সঙ্গে করে উপভোগ সাগরে ভাসলাম কয়েক বন্ধু কিছুক্ষণ। অর্থকষ্টের দরুণ ক'দিন ধরে এ জিনিসটির অনুপস্থিতি অনুভব করছিলাম সবাই।
তবে পরে চেয়ারম্যনের মনের আশা পূরণের জন্য বিভাগের এক বড় ভাইকে বলে দেশের প্রথম শ্রেণীর এক দৈনিকে একটি রিপোর্ট ছাপানোর ব্যবস্থা করেছিলাম। সেই চেয়ারম্যন এক ভরসকালে ফোন করে এমন চিল্লাচিল্লি আর ধন্যবাদের গোলা ছোঁড়া শুরু করছিলেন, যে মনটাই ভরে গিয়েছিলো।
সেবারে ভদ্রলোকের খাতির-যত্নের বহর দেখে ফেরার সময় আর টিকিটের টাকা চাই নি। পুনরায় বেরিয়ে পড়েছিলাম রাস্তায়। যৎসামান্য টাকা ছিলো, তা দিয়ে কোনমতে ফিরে আসি রাজশাহীতে। কাজলার পাড়ের শালবন মেস-এ। এখানে লক্ষ লক্ষ বন্ধু-বান্ধব থাকতো। আসলে থাকতো মোটে কয়েকজন; কিন্তু ওরা এত অমায়িক ছিলো যে, লক্ষ লক্ষ মনে হতো।
রাজশাহীতে তখন ঘনসিরাপের দাম মাত্র দেড় কি দুই টাকা। মনের সুখ মেটানোর এরচে’ মহামহোপায় আর কি হতে পারে। টুপভুজঙ্গ হয়ে নৌকার গলুইএর ওপর শুয়ে শুয়ে হাত-পা ছড়িয়ে ঊর্ধ্বাকাশে তাকিয়ে থাকলে একসময় আরামে চোখ বুঁজে আসে। সে অনুভূতি বোঝানো সম্ভব নয়।
ফেরার টাকা জোগাড় হলো এক বন্ধুর বছরের ফিস জমা দেয়া স্থগিত করে। বললাম, আমাদের ওখানে ছেলে-পিলে ফাইনাল পরীক্ষার আগে একবারে চার বছরের ভর্তির টাকা জমা দেয়। আর তুই নরকের পাপীর মতো বন্ধুদের কষ্ট দিয়ে বছর বছর ফিস ভরে যাচ্ছিস। ধিক্কার তোকে।
এরপরে যেদিন ফিরতি বাসে চড়ছিলাম, সেদিনও জানতাম; একদিন এই দিন থাকবে না। একদিন হারিয়ে যাবো। আর সেটাই জরুরি খবর হয়ে দাঁড়াবে। এখন আমি কেবল আর সবার মতো আমার নিজের ক্রমাগত গুটিয়ে আসা গন্ডিটার দিকে তাকিয়ে থাকি।
---
স্মৃতিচারণ খুবই ভালো লাগলো মীর। বের হয়ে গিয়েও পোষ্টটা দেখে আবার লগ ইন করলাম।
আরে গল্প লিখসি কয় স্মৃতিচারণ।
আমি কি ঘুমামু না?প্রত্যেকদিন সকালে এলার্ম বন্ধ করে আবার ঘুমাই যাই আর অফিসে লেট।
কইলেন তো নিজের কাহিনী।পুরোনো দিনের কথা।আমার কি দুষ?আপনার এসব লেখা পড়লে তো আমারো সেইসব দিনের কথা লিখতে ইচ্ছে করে। কিন্তু....
গল্পটা আপ্নার কাছেই শুনছিলাম।
মীর, খোঁজ the search দেখেছেন?
এখনো সৌভাগ্য হয় নাই।
ডিসক্লেইমারে লিখে দেন কয় পার্সেন্ট আপনার জীবন থেকে নেয়া, কয় পার্সেন্ট শুনে-দেখে লেখা, কয় পার্সেন্ট কল্পনা থেকে
দেখা, শোনা কিংবা কল্পনা সবই তো জীবনেরই অংশ।
আরে! দারুণ একটা লেখা। ঘর পালানোর মজাই আলাদা। গল্পটা (স্মৃতিচারণ) মনটাকে একটানে কলেজজীবনে নিয়ে গেল।
ঠ্যাংনোট:
শিরোনামটা যুৎসই লাগে নি। আপনি যদি "I am sorry" বুঝিয়ে থাকেন তাহলে "je suis désolé" যুক্তিসঙ্গত। pardon অর্থও দুঃখিত কিন্তু তা "excuse me" জাতীয় ক্ষেত্রে মানানসই। আর উচ্চারণে "ঘ" এর বদলে "হ" হলে মূল এর কাছাকাছি শোনায়, যদিও তা ফরাসী "r" এর সঠিক উচ্চারণ নয়।
তাৎক্ষণিক অনুভূতিটা ভাগ করে নিলাম। আশা করি কিছু মনে করবেন না।
শিরোনামে i am sorry বা তার কাছাকাছি কোনো কিছু বোঝানো হয় নি।
আমি r এর উচ্চারণ ঘ লিখি।
এটাও তাৎক্ষণিক অনুভূতি।
মনটা জুড়িয়ে গেল
অরিত্রদা'কে দেখে আমারও।
আপ্নাকে সেদিন আমরা ভোট দিয়েছিলাম।
জটিল লাগলো এই অংশটুকু।
এমন কিছু বন্ধু ছিলো যারা সকাল ১১টা-সোয়া ১১টার দিকে এসে আমার রুমের দরজা ভেঙ্গে ফেলার উপক্রম করতো। কোনমতে উঠে দরজাটা খুলে দিতে পারলেই ব্যস্। এরপরে আবার হয়তো রাত তিনটা-সাড়ে তিনটার দিকে আমি আমার রুমে ঢুকে দরজা আটকে দিতাম। সেসব সময়গুলো আসলেই অন্যরকম ছিলো লীনা'পু। যে বন্ধুটি কারেন্ট চলে গেলেই পাশের বাসার মোনালিসার সঙ্গে দুষ্টামী শুরু করে দিতো, সে এখন বিবাহিত। ওইদিন জিজ্ঞেস করলাম, মোনার কি খবর? এরপরে সে যা বললো, তা বলা যাবে না। আমি খালি চিন্তা করি, আমি নাহয় বড় হই নি, তা বলে কেউই কি বড় হবে না?
আমি বড় হয়েছি কিন্তু আমার সব বন্ধুরা বড় হয়নি।আপনার এই কমেন্টটা পড়ে বন্ধুদের সাথে কাটানো সেইসব দিনের কথা কিছু লিখতে মন্চায়।সেই যে আমার নানা রঙের দিনগুলি.......
লিখেন এবং লিখে আমাকে উৎসর্গ করেন।
দেখি, চেষ্টা করি।
কবিতার মত গল্প! মীরের প্রত্যকটা পোস্ট একটি আর একটিকে ছাড়িয়ে যেতে চায়। প্রকৃতি-বন্দনা ও বর্ণনায় মীরের দক্ষতা অনন্য ।
লেখায় তাড়াহুড়ার ছাপ দেখা যাচ্ছে । একটু মনোযোগী ও টাইপে যত্নবান হলে পাঠকদের প্রতি সুবিচার করা হবে। লেখা শেষ করেই "প্রকাশ করুন"-এ ক্লিক না-করে অন্ততঃ একবার প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে দেখবার অনুরোধ রইল ।
নাজমুল ভাই, আমি কখনোই লেখা শেষ করে প্রকাশ বাটন ক্লিক করি না। একেকটা লেখা ৭-৮ বার পড়ে, প্রচুর ঘষা-মাজা করে তারপরে ছাড়ি।
আর আমি মনোযোগ সহকারেই লিখি এবং টাইপের প্রতি যতটুকু যত্নবান থাকা যায়, থাকতে চেষ্টা করি। এরপরও পাঠকের প্রতি অবিচার হয়ে যায়, যার মূলে রয়েছে আমার ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা।
জেনে খুশি হলাম । ভাইরে, ক্ষমতা কোন সীমাবদ্ধতায় আটকে থাকবার মত কিছু নয়। যদি তা-ই মনে করেন, তবে তা অবশ্যই ডিঙাতে হবে ।
তো আমি কি জানি না যে, ডিঙাতে হবে? ওইটার চেষ্টা কর্তে কর্তেই তো মাথার চুলগুলো পড়ে যাচ্ছে
দেশী গল্পের নাম ফরাসীতে!! গল্প ভালো লাগলেও নামের কারনে পাঠক বিব্রত এবং এর কারণ জানতে চেয়ে লেখককেও বিব্রত করলাম। উত্তর দিয়ে পাঠকের বিব্রতবোধ দূরীকরণ করুন।
ডিসক্লেইমারে যদি উত্তরটা লুকিয়ে থাকে সেটা জানতে চাই।
এইটা পুরোপুরি অনিশ্চিত একটা বিষয়। নিজেও জানি না কেন ফরাসী নাম দিই। কিন্তু ফরাসীতেই দিই। এই গল্পটার নাম হিসেবে আমার শুধু একটা কথাই মনে আসছিলো, হারিয়ে গিয়েছি। অর্ণবের গান। চাইলে বাংলায় একটা নামতো দিতেই পারি নীড়দা'। কিন্তু তাও মাঝে মাঝে ভিনদেশি ভাষায় শিরোনাম দিতে ইচ্ছে করে। এবং আপনার এই মন্তব্যের পর চিন্তা করছি রুশ ভাষায় কিছু শিরোনাম দেবো।
এককালে বাঙালি মুসলমান নবজাতকের নাম আরবীতে রাখতো। আমার ফরাসী নামের পেছনের কাহিনী কিন্তু মোটেও সেরকম নয়
গতবছরের শেষ দিনে মানিকগঞ্জ গিয়ে অনেক চেষ্টা করেও কাঁচা রাস্তা পাই নাই। সাঈদরে বলি রিমোট এলাকায় নিয়ে যাও। ঘন্টা ধরে যাওয়ার পরও খালি পিচঢালা রাস্তা। মাটির রাস্তা পাইলাম শেষ পর্যন্ত, তবে পদ্মার পাড়ে।
এর মানে হৈল গিয়া ডিটো
অপূর্ব সুন্দর বর্ণনা। বয়ান সুপরিমিত। মহামহোপায়-এর মতো চমৎকার শব্দচয়নের নজিরও আছে।
২.
শিরোনামে অনতিপ্রচলিত ভাষার নিয়মিত ব্যবহারে নির্জ্ঞানের অস্বস্তি আরেকবার জানালাম।
৩.
৪.
বেশি ভালো লেখায় টাইপো চোখে লাগে বেশি।
ব্যগ->ব্যাগ
ক্যব->ক্যাব
ট্যক্সি->ট্যাক্সি
ট্যংকার->ট্যাংকার
চেয়ারম্যন->চেয়ারম্যান
[বিদেশী শব্দে বিকৃত বা বাঁকা উচ্চারণে ‘অ্যা’ বা ‘য-ফলা আকার’ ব্যবহৃত হবে। কিছু তদ্ভব এবং বিশেষভাবে দেশী শব্দের ক্ষেত্রেও য-ফলা আকার যুক্ত রূপ অপরিবর্তিত থাকবে।]
গন্ডি->গণ্ডি
বিচ্যূত->বিচ্যুত
অত্যূল্লাসে->অত্যুল্লাসে
আমি আর একটু যোগ করিঃ
শেখের টেকের > শেখেরটেক (এক শব্দ)
দৌড় > দৌঁড়
রেলিংএর > রেলিংয়ের
পাএর > পায়ের
ব্যপারীর > ব্যাপারীর
ঝোল-মসলা > ঝাল-মসলা
অর্থকষ্টের > অর্থসঙ্কটের
একবার বলেছিলাম, নুশেরা'পু সবার লেখা ঠিক করে দেয়; আমারটা করে না। এতদিনে সেই আশা পূর্ণ হলো। লট অভ থ্যংকুস্ টু মাই ফেভ। ভুল সংশোধিত।
ঘনসিরাপ মানে কি ? ফেন্সী আপা ? সেরম বিশ্রী বস্তু ।
গল্পটা ভালো লাগছিল ।
চরম সত্যি ।
ভালো লাগছিল!!
পরে আর লাগে নাই?
এইটা কোন আমলের গল্প??যে আমলে ঘনসিরাপের দাম দেড় থেকে দুই টাকা??
পুরান আমলের।
সবজি ভুক!
আপ্নারে না দেখলাম সেদিন ভ্যনগাড়ি থেকে ফুলকপি কিনতে।
যাউক্গা, ব্লগ সম্পর্কে আপনার ভাবনাগুলো নিয়ে একটা আলাদা পোস্ট দিতারেন সাহাদাত ভাই।
আমারও লিখতে ইচ্ছা করতাছে। কিন্তু................ এতো ভালো কেমনে লেখে?
আপনার লেখা পড়লে আমার যেটা প্রায়ই মনে হয়।
হারিয়ে গিয়েছি গানটা আমার দ্বারা সর্বস্বস্ত্বরক্ষিত। (ঠিক বাংলাটা মনে আসছে না)
ডিসক্লেমার না জানলে মন্তব্য করবো না।
অঃটঃ আপনার মেইল আইডি পেতে পারি মীর?
ঢাকা খুব বাজে একটা শহর,
হারিয়ে যাওয়ার কোন সুযোগই দেয় না।
মন্তব্য করুন