নীল উইপোকাদের বাস্তবতা কিংবা কল্পনায় গন্তব্য খোঁজার চেষ্টা
একটি সমবায়ী পিঁপড়া তার নিজের চেয়ে অনেকবড় আকারের কিছু একটা দাঁতে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। আমি ঘরের কালো অন্ধকারের দিকে তাকিয়ে কথাটা ভাবছিলাম। হতেই হবে এমন কোনো কথা নেই, আবার হলেও খুব বেশি সুবিধা নেই। বাংলাদেশে ২০১৩ সালে বেঁচে থাকা একজন ছাপোষা কেরানী না হয়ে যদি ষাটের দশকের একজন বিটনিক হতাম, তাহলে কি ক্ষতি হতো?
কোনো এক প্রেম হাওয়ায় পেয়ে হাওয়ায় হারানোর পর চন্দ্রবিন্দুর অনিন্দ্য খুব সুন্দর একটি গান গেয়েছে। শিরোনাম হচ্ছে মন। শুনছি গানটা। আর কিছুই করা হচ্ছে না। মন আলেয়া পোড়ালো খালি হাত, মন জাগে না জাগে না সারারাত। রাত যত গভীর হচ্ছে, সুরটা তত মধুর হয়ে কানে প্রবেশ করছে। টেট্রা হাইড্রো ক্যানাবিনল মেশানো একটি সিগারেটের অভাবে ফুসফুস হাঁপিয়ে উঠছে। আধেক শোয়া অবস্থা ছেড়ে উঠে একটু কষ্ট স্বীকার করলেই নির্বাণলাভ সম্ভব। অথচ ইচ্ছে করছে না। মনে হচ্ছে এভাবে বুকের ভেতর একটা ক্লান্ত ফুসফুস নিয়ে শুয়ে থাকি অনন্তকাল। আর স্পিকারে বাজতে থাকুক, নাহয় পকেটে খুচরো পাথর রাখলাম।
ফরেস্ট গাম্প সিনেমাটা আরেকবার দেখতে হবে। হয়ে উঠছে না দেখা। হীরক রাজার দেশে দেখে একটা ভিন্ন ধরনের মজা পেয়েছি। গুপি গাইন-বাঘা বাইন সিরিজের বাকী মুভিগুলোও দেখে ফেলা দরকার। এইরকম আরো যে কতকিছু করে ফেলা দরকার! কিসের কি? মাঝে মাঝে অনলাইনে টোয়েন্টিফাইভ গ্রেট ফরেস্ট গাম্প কোট শীর্ষক আর্টিকেল পড়া হয়। এছাড়া আর কখনোই খুব বেশি কিছু করা হয় না।
সেদিন কপ্টার ও আমি হারিয়ে যাবার জন্য বের হয়েছিলাম। রাতে ঠিক সময়ে বাড়ি ফেরার পাশাপাশি দিনের বাকী কাজগুলোও মোটামুটি সফলভাবেই সম্পন্ন হয়েছিলো। অথচ এক সময় ক্রিকেট খেলতে সকালে ব্যাট নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে তিন জেলা ঘুরে তিন দিন পর বাড়ি ফিরেছি। বুঝতেই পারি নি, কিভাবে কি হয়ে গেছে।
আজকাল হেরে যাওয়া মেনে নেয়ার চর্চা করি আর শ্বাসনালী খুঁড়ে বানানো গভীর খাদের কিনারে উবু হয়ে উঁকিঝুকি দিই। আমি আমার নিজের জন্য এই খাদটা খুঁড়েছি। দীর্ঘ সময় নিয়ে, অনেক যত্ন করে। আমার চারপাশের প্রতিটি মানুষ আমাকে এ কাজে সাহায্য করেছে।
আজ সাহায্যকারীরা একে একে সবাই এসে আমার চারপাশে ভিড় করে দাঁড়িয়েছে। আমি কখন খাদের কিনার থেকে নিচে লাফ দিই সেটা দেখার জন্য অপেক্ষা করছে। অথচ আমি লাফ দিচ্ছি না। আমার ভয় করছে।
এটাই খুব সম্ভবত আমাদের জীবন। আমরা যাপন করি, বুঝতে পারি না।
---
একটু বেশি এলোমেলো, একটু বেশিই গভীর। আর কিছু বলতে ইচ্ছে করছে না এখন। লেখাটা হয়তো বেশ কিছু সময় আমায় ভাবুক মোডে সেট করে রাখবে।
এত্ত এত্তদিন পর প্রিয় মীর ভাই এর লেখা। আহ, আমার রাত্রিজাগা সফল।
ধন্যবাদ, শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা প্রিয় বাউন্ডুলে।
রাতজাগা চালু থাকুক। আমার দিক থেকে সেগুলো সফল করার চেষ্টাও থাকবে।
সুইট বিষন্নতার পোষ্ট!
ততোধিক সুইট মন্তব্য!
হ্যাঁ মীর ভাই ! এ জীবনই বয়ে বেরাচ্ছি আমরা ! আমরা জাগি, রাগি,ক্ষিপ্ত হই, দীপ্ত হই, রুক্ষ হই, হাসি, কাঁদি, প্রেম দিই, নিই । তারপর নিঃস্ব হয়ে এক দিন খাদের কিনারে গিয়ে দাঁড়াই । কিন্তু লাফ দেইনা । এই যেমন আমি ! ৬১'র পাড়ে দাঁড়িয়ে আছি টুপ করে একদিন ঝরে যাব বলে !
এত দেরী করে লিখেন, রাগ হয় ! পুরানো বন্ধুরা, এই যেমন রাসেল,লীনা দিলরুবা, টুটুল, মেসবাহ য়াযাদ,নিভৃত স্বপ্নচারী, তানবীরা, উর্মি, এমন আরো অনেকে এখন নিয়মিত লিখেন না । কষ্ট দেয় । এ বি 'র মরো মরো অবস্থা এখন, গণজাগরণ মঞ্চের মতো ।
ভালো থাকুন !
ইনি কে???
আর এবি'র অবস্থা গণজাগরণ মঞ্চের মতো হলে, সেটাতো খুবই খুশির কথা কাদের ভাই।
শহীদ জননী জাহানারা ইমামের গণআদালতের পর এদেশে স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকারদের বিরুদ্ধে দল-মত-নির্বিশেষে পুরো দেশের মানুষের অংশগ্রহণে এমন একতাবদ্ধ প্রতিরোধ একবারের জন্যও গড়ে ওঠে নি। এ সুযোগে ধীরে ধীরে ঘৃণ্য কালো সাপেরা আমাদের সমাজের রন্ধ্রের ভেতর প্রবেশ করেছে। তারা স্বাধীনতার প্রতীক জাতীয় পতাকাকে ক্ষত-বিক্ষত করেছে। বাংলাদেশিদের নিরক্ষতার সুযোগে নিজেদেরকে ধোয়া তুলসী পাতা হিসাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছে।
২০১৩ সালে দেশের মানুষ আবারও রাজাকার গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তাদের রায় দিয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের মুমূর্ষু চেতনা আবার জাগ্রত হয়েছে এবং জোয়ারের ঢেউয়ের মতো সেই চেতনা ৫৬ হাজার বর্গমাইলে ছড়িয়েছে। স্বাধীনতাবিরোধী কি, তারা কেন পরিত্যাজ্য- এসব ব্যপারে দেশের প্রায় সর্বস্তরের মানুষ বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের মধ্যে একটি সঠিক ও পরিস্কার ধারণা গেছে। এই প্রজন্ম যখন বড় হবে, তখন নিশ্চিতভাবেই তাদের বিভ্রান্ত করাটা কালো সাপদের জন্য সহজ হবে না। এটা দেশের উন্নতি, অগ্রগতি এবং বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর মতো প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জনের পথে বাংলাদেশকে নিরন্তর সহযোগিতা করবে।
আমি জীবদ্দশায় এমন চমৎকার একটি ঘটনার অংশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও সাক্ষী হতে পেরে যারপরনাই গর্বিত। এবি যদি এমন একটি গর্বের জায়গা তৈরি করতে পারে, তাহলেও আমার চেয়ে বেশি খুশি কম লোকই হবেন।
তাই বলছিলাম আসলে, এবি'র অবস্থা গণজাগরণ মঞ্চের মতো হলে সেটা খুবই খুশির কথা আমার জন্য। আপনার জন্য কিনা, সেটা আপনিই বলুন।
আমি খুবই আনন্দিত এই জন্য যে আমার মন্তব্যের জেরে আপনি দীর্ঘ এবং বিশ্লেষণমূলক মন্তব্য করেছেন ।
ভুল বশতঃ পুরানো বন্ধু "শর্মি" টাইপো হয়ে "উর্মি" হয়ে গেছে । ক্ষমা চাচ্ছি.।
গণজাগরণ মঞ্চ সম্বন্ধে আমার ও আপনার উপলব্দিতে মৌলিক কোন পার্থক্য নেই । একজন সচেতন তরুণ হিসেবে আপনি যেখানে উৎসাহী, সেখানে বয়স্ক বলে আমি হয়তো একটু কসিয়াস ! প্রথম দিকে আমারো উৎসাহের শেষ ছিলনা । প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে সব কাজ রেখে নেট খুলে বসে পড়তাম শাহাবাগ দেখবো বলে । ধাক্কা খেলাম প্রথম যেদিন 'অগ্নিকন্ঠী' থাপ্পর খেলেন । অতঃপর দলীয় সঙদের মঞ্চে আনাগোনা, নেতৃত্ব দখল, ইমরান এইচ সরকারের '৭১ এর বঙ্গবন্ধু হবার তীব্র আকাঙ্কা আমাকে দমিয়ে দেয় । তারপরও নেট খুলে বসে থাকতাম, চেয়ে চেয়ে দেখতাম রং বদল ।
২য় প্যারা থেকে যা বলেছেন তাতেও আমি আপনার সাথে দ্বিমত নই । মা জাহানারা ইমামের পর কেউ আর হায়েনাগুলার বিচারের কথা বলেনি । শাহাবাগ সে ঐতিহাসিক দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিল, নব প্রজন্মকে দালাল-রাজাকার ছিনিয়েছে । কিন্তু শেষটা কেমন হলো মীর ভাই ? গত চার দশকের আর সব আন্দোলনের মতো শাহাবাগও আমার ধারণায় ইতিহাসে মাইল ফলক হয়ে থাকবে বিরাট এক কলঙ্ক তিলক নিয়ে । পাঁচতার হোঠেল,হররোজ নূতন নূতন পাঞ্জাবি আর নুতন মডেলের মোবাইল ! আহা ! বাংলাদেশ নেতৃত্বকে কত কি দেয় ! অথচ সাধারণ মানুষকে দেয় বঞ্চনা আর যন্ত্রণা !
বাই দ্যা বাই ২৪/০৯/০২ তারিখ "আমাদের সময় কম" এ কসাই কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে সুইডেন থেকে আসা "মামা বাহিনী"র কমন্ডার শহীদুল হক মামা'র একটি সাক্ষাৎকার ছাপা হয়েছে । কষ্ট করে কি একটু পড়ে দেখবেন ? আরো ক'দিন আগে মঞ্চের অন্যতম সংগঠক অঞ্জণ রায়ের একটি লেখাও ছেপেছিল পত্রিকাটি । পড়ে দেখার অনুরোধ রইল ।
ভাল থাকুন ।
গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র রূপসী বাংলা হোটেলে থাকে- এটা বাঁশেরকেল্লা পন্থীদের একটা অপপ্রচার। যা আসলে ডাহা মিথ্যা ছাড়া কিছু নয়।
নতুন পাঞ্জাবির কথাও ওরাই কোনো ছুতো পেলেই ওঠায়। আমার ধারণা, মুখপাত্র পাঞ্জাবির প্রতি ফ্যাসিনেটেড। বিষয়টা এতটুকুই। এতে আসলে বিরাট প্রাপ্তি খোঁজার চেষ্টা করলে ভুল হবে। নিত্যনতুন মোবাইল সেটের কথা আপনার কাছ থেকে আজ শুনলাম। দামি মোবাইল সেট এই যুগে আসলে হাতে হাতে ঘোরে। এটা যে খুব বিরাট একটা কিছু, তা আমার মনে হয় না।
তারপরেও আপনার অণুবীক্ষণ যন্ত্রে বিষয়গুলো বড় হয়ে ধরা দিয়েছে। এটা আপনার সংকট। এতে আমার করার কিছু নেই। বিষয়টা নিয়ে আমার সঙ্গে শলা-পরামর্শ করতে চাইলেও আপনাকে হতাশ হতে হবে। পরামর্শক হিসাবে আমি খুবই নিম্নমানের।
দাবি করছেন শাহবাগের ঘটনাক্রম প্রথম দিন থেকে আগ্রহ সহকারে পরিদর্শন করেছেন, সেজন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার এখন যদি আর এর সঙ্গে থাকার ইচ্ছা না থাকে, তাহলে আপনাকে স্বাগতম জানাই। এ আন্দোলন সম্পর্কে আপনার ভেতর কি অনুভূতি তৈরি হয়েছে, সেটা জেনে আমার আসলে খুব বেশি লাভ হলো না। কারণে আমার এখনও আন্দোলনটার প্রতি পূর্ণ আগ্রহ আছে এবং আমি এর সঙ্গে আছি।
লাকি আক্তারের ঘটনাও আমার অজানা নয়। ঘটনার ভেতরের ঘটনাও। কিন্তু তাতেও আমার এ আন্দোলনের প্রতি আগ্রহ কমে নি। যারা সেদিন ওই ঘটনা ঘটিয়েছিলো তারা আজ আন্দোলনের সঙ্গে নেই। লাকি আছে, আমিও আছি।
আর যেসব লেখার রেফারেন্স দিয়েছেন সেসব লেখা আমি পড়েছি। সেসব লেখা থেকে আপনি যদি আমাকে আন্দোলনের ব্যপারে অনাগ্রহী হয়ে ওঠার পরামর্শ খুঁজে নিতে বলেন, তাহলে আমি বলবো স্যরি।
এ বিষয়টা নিয়ে মন্তব্যের পর মন্তব্য করতেও ভালো লাগছে না ভাইজান। আপনার মতামত নিয়ে আপনি থাকেন। আমি আমার মতো থাকি, কি বলেন?
"মন" গানটার একটা অসুবিধা হলো একবার বাজালে সারারাত বাজাতে হয়
হুম, আমরা অনেকেই হয়তো
ডিটো তানবীরাপ্পু। বিশাল ডিটো। প্রায় গ্রেট মেন খিংক্স অ্যালাইক পর্যায়ের, কি বলেন?
মন্তব্য করুন