গোধুলীর শেষপ্রান্তে দাড়িয়ে, একটি আর্তি ....
আরে, আমার শখের চুড়িটা ভাঙ্গলি কেন ? সাত সকালে ওর চিৎকারে রীতিমত চমকে যেতে হয়েছিল । ঘটনা খুবই সামান্য, ওর দরকার ৫ টা রজনীগন্ধার স্টিক আর তার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে ২৫টা , মানুষ বেশী পেলে খুশী হয় কিন্তু ও তো দেখি পুরাই উল্টা ... ২০ টা এক্সট্রা স্টিকের জন্য মাইর দিতে গিয়ে নিজের কাঁচের চুড়ি ভেঙ্গে যাওয়ার দোষেই এই চিৎকার ... এদিকে নিজের উপহার দেয়া চুড়ি নিজের উপরেই ভাঙ্গার পরে তাকেই দোষ দেয়ার হচ্ছে দেখে ওকে যখন বলা হলো আবার কিনে দিবো তখন যে অগ্নিদৃষ্টি বর্ষিত হলো তাতে করে আসলেই ঐ মুহুর্তে বিভ্রান্ত না হয়ে পারা গেল না, ও আমাকে ভালোবাসে নাকি আমার দেয়া ঐ কাঁচের চুড়িগুলো ? ... তবে তখন যদি মনে থাকতো ওই দিনটি আমাদের জন্য কত স্মৃতিময় তবে হয়তো এমন বোকা হতে হতো না , উফ ! কেন যে ভুলে গেলাম ... পাঁচ বছর আগের এই দিনেই তো আমরা প্রথম .....
দুপুরটা আমাদের বেশ কেটেছে, একসাথে রিক্সায় হাতে হাত ধরে ঘন্টা হিসেবে ঘুরতে ও সবসময়ই পছন্দ করে, সেই সাথে যদি পায় ওর বিশাল খোপা ভরা বেলী ফুলের মালা তা হলে তো সোনায় সোহাগা ... শুধু নিজেরটা না বরং দুজনের আইসক্রীম একলা খেতেই যেন ওর আনন্দ , আজ ওটা নিয়েও আরেক মজা হয়েছে ... নিজের হাতে ধরা আইসক্রীমটা খেতে খেতে যখন দেখলো অন্যটাতে আমার একটা কামড় পড়েছে তখনই চিৎকার , কিরে আমার আইসক্রীমে তুই কামড় দিলি ক্যান ? ... ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বোকার মত প্রশ্ন করে বসি -- আরি কি মুস্কিল, তোর হাতের ওটা কার ? ... " ওটা তো আমার" ... আর আমার হাতেরটা ? ... মিষ্টি করে দুষ্টু হাসি দিয়ে বললো " ওটাও তো আমার"
সন্ধ্যাটা সবসময় বিষাদময় ... ঘড়ির কাটার সাথে ক্রমান্বয়ে হারিয়ে যেতে থাকে আনন্দে মুখরিত ক্ষন গুলো ... গোধুলী রাঙ্গানো এ সময়টি শুধু অন্ধকারাচ্ছন্নই নয় বরং বেজে ওঠে বিচ্ছেদের সুর ... আশাবাদী কেউ যখন চাতকের ন্যায় অপেক্ষা করে আরো একটি স্মৃতিময় দিনের, তখনি অন্য কেউ ক্রমশ এগিয়ে চলে আরেকটি বিভীষিকার যন্ত্রনাময় অভিজ্ঞতার পানে ... সেই সাথে শুরু হয় প্রার্থনা -- সুর্যোদয়ের আলোক রশ্মিতে আরেকবার ছিন্ন করতে চাই রাতের ঘন কালো অন্ধকার , বুক ভরে আরেকবার নিতে চাই বিশুদ্ধ অক্সিজেন, সেলাই করে রাখা ঠোঁটে আরেকবার ফুটাতে চাই এক টুকরো হাসি ... মরতে আমার কোন ভয় নেই, তবে আরেকটা দিন বাঁচতে মন চায় ... শুধু ওর জন্য ...
~লেখাটি আগে (২৮ শে এপ্রিল, ২০১০ )অন্য ব্লগে প্রকাশিত হয়েছিল ~
তুমি লেখক হয়ে উঠছো, দিন দিন।
সে বুঝি আমার কখনো হয়ে উঠা হবে না
নীতিমালার 'গ' অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বিধায় পোস্টটি প্রথম পাতা থেকে সরিয়ে আপনার নিজের ব্লগে প্রকাশ করা হলো।
আমরা বন্ধু আপনার নিকট থেকে নতুন লেখাই প্রত্যাশা করে
ধন্যবাদ
ভালো লাগলো..
: এবার প্রথম পাতার জন্য কড়কড়ে নতুন একটা লেখা দেনদি ভাইডি । ভালো থাকা হোক ।
আচ্ছা ঠিকাছে
অনন্ত দিগন্ত পয়লাই ধরা খাইছে
অনন্ত... নয়া লেখা দেও ... তারাতারি
মডু আমারে ধরা খাওয়াইসে, আমার কইলাম দোষ নাই টুটুল ভাই ...
মন্তব্য করুন