কৃতজ্ঞতা প্রকাশের অন্যরকম ঝক্কি ......!!!
আজকাল যদিও লেখা লিখি তেমন আর হয়ে ওঠে না , তবুও কদিন আগে নাজ আপুর জ্যাকেট মালিকের কাহিনী পড়ে মনে হলো নিজেও দু লাইন লিখে ফেলি ...
বাদুড় আর প্যাচার সাথে সখ্যতার কারনেই হোক আর বদঅভ্যাসের কারনেই হোক আমি পড়াশুনা শুরু করতাম রাত ১০টার পরে আর উঠতাম শেষ রাতে ... এর পর ঘন্টা ২ - ৩ ঘুমিয়ে সারাদিন অন্য ইজি কাজে বিজি থাকতাম ... রাত তখন প্রায় শেষ, ঘুমের কারনে চোখ টানছে ... সব গুছিয়ে ঘুমুতে যাব এমন সময় ঝনঝন আওয়াজে টেলিফোন বেজে উঠলো , হ্যালো বলতেই দেখা পাওয়া গেল আরেক নিশাচরের ... তবে তার গলায় তো দেখি অন্যরকম সুর ...
>> হ্যালো ...
> দোস্ত তোর কালকে কি অনেক কাজ আছে ?
>> না , তেমন নাই ... ঘটনা কি ?
> আমার একটা কাজ করে দিবি , প্লিজ ?
>> কি কাজ ?
> আজ টুনিকে নিয়ে বেরুবো ...
>> এই টুনি আবার কে ?
> আরে ঐ যে আমার বৌটুনি ...
>> সর্বনাস, ওরে তুই যে বৌটুনি বলে ডাকিস এটা ও জানে ?
> উহু, এখনো না, আজকে বলবো তো ... তাইতো তোর হেল্প দর্কার
>> ক্যামনে কি করতে হইবো কও মামু, সিস্টেম করে দিচ্ছি ...
> মালণ্চতে আজকে লান্চের দাওয়াত দিসি, তুই তো ঐখানের ম্যানেজারকে চিনিস দে না একটু সিস্টেম করে যাতে শান্তি মত আলাপ করা যায়
>> তো শান্তিমত আলাপ করতে চাও আর যাবা ভিড়ভাট্টার মধ্যে, কি কও এইসব ?
> উহু , ওরে ঐখানে নিয়া যাওন যাবে, নিরব কোন জায়গাতে নিয়ে গেলে আগেই সন্দেহ করবো,
>> প্রপোস করোসনাই তো ওরে খাওয়াইতে রাজি করাইসোস ক্যামনে ?
> সেইটা অন্য কাহিনী, পরে কমুনি ... তুই খালি সিস্টেম কইরা ভিতরের কোনার দিকে একটা টেবিল রিজার্ভ করে রাখতে বলিস দুপুর ঠিক ২ টায় ...
ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো আমি আগা মাথা না চিন্তা করেই দিলাম ম্যানেজার মামুরে ফোন দিয়া টেবিলের বুকিং দুপুর ঠিক ২ টায় ...আর বললাম, পৌনে ২টার সময় নিজে গিয়ে আমি দেখতে চাই টেবিল খালি আছে ... মামুও রাজি হয়ে গেল ... কিন্তু গন্ডগোলের কপাল থাকলে কোন কিছু কি ঠিকঠাক হয় ? দুপুর বেলা দোস্ত আমার বান্ধবী নিয়া পৌছাইলো দুপুর ২টার বদলে দেড়টায় ... এসে দেখে পুরা হাউসফুল, এখন এতক্ষন সে বৌটুনির সাথে যে চাপা পিটায়া আসতেছিলো যে আমরা গেলেই টেবিল খালি হয়ে যাবে তোমাকে একটুও অপেক্ষা করা লাগবে না সেইটাও আর হচ্ছে না ... ম্যানেজারও তাকে না চেনার কারনে টেবিলও খালি করে দিচ্ছে না , এক কথায় পুরা ভজঘট অবস্হা ... এমনে করে মিনিট দশ দাড়িয়ে থাকার পরে যখন দোস্তের বৌটুনি তার পাংশু মুখে কইস্যা থাবর লাগানোর চিন্তা করতেছিলো তখনই আমি গিয়া হাজির ... যেতে যেতেই দোস্ত একটানে সাইডে নিয়া গিয়া কাহিনী কইতেই মিনিট ২ - ৩ এর মধ্যেই ওদের জন্য সব সিস্টেম করে দেয়া হলো ... ওদেরকে টেবিলে বসায় দিয়ে আমি ভাগতেছি এমন সময় দোস্তের বান্ধবী বলে অন্তু ভাই আপনিও আসেন, বসেন আমাদের সাথে ... দোস্তও এমন মুখ করলো যে বুঝলাম তার উপর নিচ সবই ফেটে যাওয়ার দশা হইসে ... কি আর করা, ওকে বাচানোর জন্য বসেই গেলাম ওদের সাথে .... বৌটুনির ঝাড়ির সামনে অসহায় বেচারাকে বাঁচাতে গিয়ে ওদের সামনে কথার ঝুড়ি বাড়িয়ে দিলাম ... এ জিনিস থেকে সে জিনিস , এ টপিক থেকে সে টপিকে কথা বলতে বলতে একসময় যখন দেখি ওরা অনেকটা সামলে নিয়েছে আর বন্ধুকে ছেড়ে টুনি আমার সাথে গল্প শুরু করে দিয়েছে তখনি চটজলদি খাবার শেষ করে " আমার কাজ আছে , আবার দেখা হবে " বলেই বেরিয়ে পড়লাম .... বেরুনোর আগে বন্ধুর হাতে হাত দিয়ে দেখলাম টেম্পারেচার ঠিক আছে, সেই সাথে ওর হাতের চাপে বুঝলাম সব কিছুই আন্ডার কন্ট্রোলে থাকবে ... সুতরাং ... আমার কেটে পড়ার এখনি উপযুক্ত সময় ....
এর পর ...... কৃতজ্ঞতাবশত দোস্ত আমার তার বৌটুনির কাছে আমার নামে কি কি যে গল্প বলেছিল জানি না, শুধু জানি সে নাকি সেদিনের পর থেকে যখনি ওদের দেখা হতো প্রথমেই নাকি টুনি আমার কথা জিজ্ঞেস করতো, আর দেখা করতে চাইতো ... পরে যখন পাংশুমুখে ওর কাছে এই কথা শুনতাম তখন বলতাম ... এমন করলে তুই শুধু একটা গান শুনায়ে দিবি --- আবার হবে তো দেখা এ দেখাই শেষ দেখা নয়তো ...
আহারে
অন্তু ভাই , কি খবর ? কেমন চলে দিনকাল ?
দিন চলেনা আপু, দৌড়ায় ... আর আমি দৌড়াই না , উড়তেসি ... পুরাই কঠিন অবস্হা !!
আজকাল কবিতা লেখা হয়না, নাকি ?
হুমম হয় না
অংকের চাপে কাব্য ডরাইছে মনে হয়
বাকি আর সব কই ? আপনারে দেখে আগেকার আড্ডা মনে পড়ে গেলো
আহারে ! কবিতার জন্য ব্যাপক কষ্ট পাইলাম, বেচারা সংখ্যার চাপে অক্ষরের ছন্দ ভুলে গিয়েছে ....
কাদের কথা জিগাও আপু ? আসলেই আগের আড্ডার সময়গুলো অনেক মিস্করি ...
লিসাপুরে একবার বাইন্ধা আনতে পারলে ভালো হৈতো । সে পড়াশুনা আর জামাই ছাড়া কিছু চিনতেছে না
যা লাগে রশির সাপ্লাই আমি দিবো, তুমি খালি ধরে বেন্ধে আনো ....
বেড়া ক্ষেত খাবো বুজছি.।চালায় যান.।।
বেড়ার বুঝি কোন শখ আল্লাদ নাই ?
গুড; কিপিটাপ; নিজের ঢোল নিজেরেই পিটাইতে হয়; চাপা পিটায় যাও
খিকজ
তুমরা তো কুনু কামের না, নিজের লেজ আগেই কেটে সাফ করে রেখেছ, অন্যদের গুলো যে লম্বা হয়ে যাচ্ছে সে খেয়াল নাই....... অতঃপর তিনি কেঁচি নিজের হাতেই তুলিয়া নিলেন ...
আমি তো যতদূর জানি তোমার লেজ অন্য একজনের হাতে
জানার কোন শেষ নাই, জানার চেষ্টা বৃথা তাই .....
এক্কু খেক খেক করে কেন ?
খেক খেক!!!
পড়ার সময় আমারো ঢোলের কথা মনে পড়ল!
তাই নাকি
তুমার লেজ লম্বা হয়ে গেছে মনে হচ্ছে ... কাটার সময় হয়ে গেসে ..... কাঁকনের লিষ্টে এক্ষুনি নাম তুলে দিচ্ছি
এবার তোমার কি হলো ?
তুমরা তো কুনু কামের না, নিজের লেজ আগেই কেটে সাফ করে রেখেছ, অন্যদের গুলো যে লম্বা হয়ে যাচ্ছে সে খেয়াল নাই....... অতঃপর তিনি কেঁচি নিজের হাতেই তুলিয়া নিলেন ...
অই এক কমেন্ট বারে বারে কর কেন;
আপনার টা কাটা হইলে কেঁচিটা আমারে দিয়েন.।.।.।.।
নেন ভাই, আপনি ফাস্ট ... আমি লাইনের পিছনে দাড়ালাম
পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য ... খিকজ !!
(প্রথমবার পোষ্ট করে দেখি আসেনি, পরে আবার একই জিনিস কমেন্ট করে দেখি দুইবার এসেছে
)
বুঝলাম।
কি বুঝলেন সাঈদ ভাই ?
তাইলে আর কি, একটা জ্যাকেট কিন্যা নেন
এক্টা নতুন কিছু কথা চিন্তা করা লাগবে মাসুম ভাই, নাইলে তো সবাই দেখা যাবে জ্যাকেট নিয়ে হামলে পড়েছে ...
আপডেট দেন...তারপর কি হইলে ?
অতঃপর অন্তুর পলায়ন পর্বের শুরু
বৌটুনি আপনার টুনটুনি হয়ে গেল নাকি ভাবতেছি
আমি ও তাই ভাবতেসি লীনাপু , এমনটা হইলো না কেনু কেনু কেনু ?
ওরে সর্বনাস ! কি হইসে ভাইয়া ?
বেড়ায় যদি ক্ষেত খায়ালায় তাইলে ক্যামনে কি??

পারফরম্যান্স বড়ই দু:খজনক।

তুমার কাছে আমার কোচিং করা লাগপে বুঝছি ... মাসে কত করে নিবা ?
তারপর কি হইলো? বৌটুনি এখন আপনার?
কপালটা আরেক্টু বড় করতে পারলে হয়তো হয়ে যেত ... কিন্তু আফসুস অত বড় এখনো হয়নাই !!!
অন্তুকে টুনি কি এখন টোনা বলে ডাকে?
দুঃখের কথা আর কি বলবো নুশেরাপু ... এমন যদি হতো, তাইলে তো সে নাজ আপুর মতই টোনাটুনির গল্প লিখে পোষ্টায়া দিতো ...
পোলাপাইন অন্তুর ক্ষেমতাডা দেকলো না... সে যে চাইলেই আমাগো মালঞ্চর হালিম খাওয়াইতে পারে.. এইডা কেউ কয় না
মাইনাচ সবডিরে
সবাই মালঞ্চের কথা ভুলবে এই তো স্বাভাবিক, টুটুল ভাই এর বাসা আছে না ? সেখানে হালিমের সাথে টালিমও পাওয়া যায় ... দেশে আসলে কুনুডাই ছাড়ুম না কইলাম ... খেক খেক
তুমারে তো সিধাসাধা বইলাই জানতাম!!
কি কও ? এখন কিরাম মনে হয় তাইলে ?
টুনি এখন কার? আমি না জাতি জানতে চায়
টুনি এখন টোনার কাছে
মন্তব্য করুন