ইউজার লগইন

মাঝরাতের মাল গাড়ি

লেখাটা অনেক ভালো না লাগা নিয়ে শুরু হলেও শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে থামবে জানি না।বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিত সেই মেয়েটিকে ভেবেই এটি লিখব বলে ঠিক করেছি। আমার কি-বোর্ডের উপরে সিগারেটের ছাই জমে যাচ্ছে আর অর্ধমাতাল অবস্থায় আমি লিখে যাচ্ছি।

কেননা আধাবোতল হুইস্কি খেয়ে যখন হলে যাচ্ছিলাম তখন দেখেছিলাম মেয়েটিকে কয়েকটি লোকের সঙ্গে বসে থাকতে। ফুলার রোডে। না, সে ফুটপাতে বসে ছিলো না, বসেছিলো রাস্তায়। আর উঁচু ফুটপাতে বসেছিলো দু চারজন যারা মার্ক্সবাদ কিংবা লেনিনবাদে বিশ্বাস করে।

ওসব ওরা কতটা বোঝে তা নিয়ে অনেকেই সন্দেহ পোষণ করে। খোদ আমিও। যদিও বামপন্থা কিংবা সমাজতন্ত্রের কিছুই আমিও ঠিক মত বুঝি না। কিন্তু ওই মেয়েটি ওসব বুঝতেও চায় না। ও চায় একটুখানি ভালোবাসা। এই ভালবাসাটুকু পাবার জন্য যখন ওর মনের ভিতরে ছল ছল করে ওঠে তখন আমি ওকে দেখতে পাই, দুর থেকে। কারণ, কোনও এক রাতে মাতাল অবস্থায় ওকে ফোন করেছিলাম আর একগাদা কবিতা বলে চলেছিলাম।

মনে পড়ে, তখন আমি বসেছিলাম মাতামুহুরি নদীর পারে। পাশেই ছিল মারমাপল্লীর শ্মশানঘাট আর ঘন অন্ধকারের বাঁশঝাড়। আর বুকের ভিতরে কিসের যেন অভাব টের পেয়ে ফোন করেছিলাম ওকে।

ও বলেছিল, শুনতে খুব রোম্যান্টিক লাগছে। কিন্তু সে রাতে আমার মাতলামোতে ভয় পেয়ে কি না জানি না, তারপর থেকে ও আমাকে পাশ কাটিয়ে যেতে শুরু করলো। ক্যাম্পাসে, পার্কে, টিএসসিতে সবখানে। যেন দেখা হলেই আমি যা তা বলা শুরু করে দেব।

সে যাই হোক, মেয়েটি এবং মেয়েটির পারিপার্শ্বিকতার অনেক কিছুই আমি জানার এবং বোঝার চেষ্টা করে চলেছিলাম। কিন্তু কি করে ছোট্ট মেয়েটিকে সহজ করে বিষয়গুলো বোঝানো যায় সেটা ভেবে বের করতে এখন আমার গলদঘর্ম হতে হচ্ছে।

তবু এ লেখাটা ওকে উদ্দেশ্য করেই। আমি ওকে কবিতায় ঘায়েল করতে পারি হয়ত অনায়াসে। একগাদা প্রেমের মিথ্যে গদ্য শোনাতে পারি অনায়াসে। মাঝরাতে অনায়াসে ওর হলের সামনে গিয়ে নাম ধরে চিৎকার করতে পারি। ডিপার্টমেন্টে গিয়ে সবার সামনে হাত ধরে টেনে বের করে এনে বলতে পারি- তোমাকে চাই।

কিন্তু আমি চাই খুব যত্ন করে ওকে পাশে বসিয়ে বলতে। কথা বলার সুযোগ আমি পাই না কিংবা সুযোগটা ও আমাকে দিতে চায় না।

যখন আমারও মনের ভিতরে সূর্যটা হটাৎ উঁকি দেয় আর আশা ভরসা সব রাস্তা হারায় তখন বিশ্বাস করি শেষ বলে কিছু নেই।

মেয়েটি অবুঝ থেকে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের আর দশটা মেয়ের মতই মুখে প্রসাধন মাখে আর ঠোঁটে তুলে নেয় নয় টাকা দামের সিগারেট।

পোস্টটি ১৩ জন ব্লগার পছন্দ করেছেন

বিষণ্ণ বাউন্ডুলে's picture


না বলা কথার ভাত নাই..

নিয়োনেট's picture


দুই লাইন শুনে পুরোটা শোনার আগ্রহ যদি না থাকে তার তবে কি করে জোর করে শোনাই বিষণ্ণদা?

তানবীরা's picture


বোঝে না সে বোঝে না

http://www.youtube.com/watch?v=J2JQQm1h6xQ

একদিন সাহস করে ডেকে বলেই দেন, যা থাকে কপালে Big smile

নিয়োনেট's picture


দুপুর বেলায় এতো সুন্দর একটা গান শোনাবার জন্য ধন্যবাদ আপু। মন্তব্যের জন্য আরও একটা ধন্যবাদ। Smile

প্রিয়'s picture


কিচ্ছু বলা লাগবেনা। হঠাৎ করে একদিন মেয়েটার হাত ধরে বলবেন যে তোমাকে ছাড়া চলতেসেনা তাইলেই দেখবেন খুশী হয়ে যাবে। Smile

নিয়োনেট's picture


একদিন সেটাও করে ফেলতে পারি। কাজ হলে আপনার কাছে ঋণী হয়ে থাকবো Smile

মন্তব্য করুন

(আপনার প্রদান কৃত তথ্য কখনোই প্রকাশ করা হবেনা অথবা অন্য কোন মাধ্যমে শেয়ার করা হবেনা।)
ইমোটিকন
:):D:bigsmile:;):p:O:|:(:~:((8):steve:J):glasses::party::love:
  • Web page addresses and e-mail addresses turn into links automatically.
  • Allowed HTML tags: <a> <em> <strong> <cite> <code> <ul> <ol> <li> <dl> <dt> <dd> <img> <b> <u> <i> <br /> <p> <blockquote>
  • Lines and paragraphs break automatically.
  • Textual smileys will be replaced with graphical ones.

পোস্ট সাজাতে বাড়তি সুবিধাদি - ফর্মেটিং অপশন।

CAPTCHA
This question is for testing whether you are a human visitor and to prevent automated spam submissions.

বন্ধুর কথা

নিয়োনেট's picture

নিজের সম্পর্কে

অতীতের ভিত্তিতে নিজেকে ডিফাইন করা অর্থহীন। আর আগামীও অদেখা। বর্তমানে আমি কী সেটা যদি এখন বলি, সেই তথ্য খানিক সময় পরে ইনভ্যালিড হয়ে যাবে, যেহেতু মানুষ প্রতি সেকেন্ডে বদলায়। ফলে, নিজের সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু বলাটা কঠিন কাজ।