পাহাড় আর নদীর গল্প
ছোট্ট একটি গল্প শোনাবো আজ, নদী আর সবুজ পাহাড়ের গল্প।
এই পাহাড়ের বুক চিঁড়ে , কতকাল ধরে ধেয়ে চলেছে
খরস্রোতা দুরন্ত এক নদী।
নদী আর পাহাড়ে কতো দিনের সখ্য
দুটিতে কত ভাব, কী গভীর বন্ধুত্ব।
তবুও জানো পাহাড়টা পারলো না, পারলো না নদীকে ধরে রাখতে।
আর পারবেই বা কিভাবে বলো?
নদীর যে ধর্মই ছুটে চলা।
গ্রাম থেকে শহরে, দেশ দেশান্তরে;
কালের স্রোতে সে গিয়ে পড়ল সাগরে।
শত তপস্যার বৃষ্টি যখন ঝরে, তপ্ত ধু ধু মরুপ্রান্তরে,
সে সুখ, সে তৃপ্তি শুধু মরুভুমিই জানে।
বাঁধ ভাঙ্গা নদীকে তাই আজ আর কে পায়!
সে কি আর বারণ মানে?
যারে পাবার আশায় এতকাল বয়ে চলেছে,
পাহাড়কেও ফেলে আসেছে দূর বহু দূরে।
পাহাড়ের আজ বড্ড মন খারাপ।
আজ নাকি নদীর বিয়ে, সাগরের সাথে।
পাহাড়ের চোখের জল যে নদী হয়েই বয়ে চলে, নদীতেই মিশে একাকার হয়।
তাই পাহাড়ের কান্না প্রকৃতি দেখতে পায় না।
মনের গভীরে, স্মৃতির কোন গহীন কুঠরিতে আজও যে নদী বেঁচে আছে,
বেঁচে আছে সেই আদিম ভালবাসা, তার হদিশ কে রাখে?
পাহাড়ের কী বা ক্ষমতা যে মহাকালের লেখা রীতি সে বদলাবে?
নদীকে যে সাগর পানেই ছুটে যেতে হবে,
নদী কখনো উল্টো দিকে বহমান নয়,
নদী চাইলেই পারেনা শুরু থেকে শুরু করতে,
সে পারে না তার পাহাড়ের কাছে ফিরে যেতে।
এই বাস্তবতার ভাড়ে নত হয়ে
পাহাড় এখনো একা, অটল দাঁড়িয়ে।
কোথাও কেউ নেই সান্ত্বনা দেবার
কেউ নেই তার হাতে হাত রাখার
নিঃস্ব পাহাড়ের বুক ফেটে কখনো আসে হাহাকার, কখনো দীর্ঘশ্বাস
তবুও নদীকে পাহাড় করে স্মরণ
নদীকে ভালোবেসে যাবে সে আজীবন।
খুব ভাল লাগলো পাহাড় আর নদীর গল্প
অনেক ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন