যদি সতি্য না হয়ে গল্প হতো।
স্কুল এর টানা বারান্দায় দাড়িয়ে জমিয়ে আড্ডা চলছে।স্কুল এর সিনিয়র মোস্ট; আমাদের দাপট টাই যেন আলাদা । টিফিন আওয়ার এর শেষ ঘন্টা পরবে মিনিট পাঁচেকের মধে্য। জানালা দিয়ে ক্লাস রুম এ দেখতে পাচ্ছি মৌরিকে; ধরে বেধেও আজ ওকে বাহিরে আনতে পারলামনা। সেই তখন থেকে পুরো ঘর জুড়ে পায়চারী করছে আর রফিক স্যার এর দেয়া গদ্য আর পদ্য এর ব্যাখ্যা গুলো তখন থেকে আওরে যাচ্ছে।
আজ পড়া দিতে না পাড়লে জোড়া স্কেল এর মার ভাগ্যে জুটবে। কি যে করে না মৌরিটা; পড়া গুলো একদম মুখস্থ করে বসে থেকেও রফিক স্যার সামনে এসে দাড়ালে সে মুখে কুলুপ এটেঁ রাখে। আমি পাশে বসে ওকে অবাক হয়ে দেখি। এরপর যথারীতি শাস্তি।মাঝে মাঝে কি যে হয়না ওর।
সেই ছোটবেলা থেকে ওকে চিনি। এক সেকশন থেকে অন্য সেকশনে বদলি হবার কারনে খুব দীর্ঘ সময় ওর সাথে কাটানোর সুযোগ হয়ে ওঠেনি। তবে ওর সুখ-দুঃখ এর কথা গুলো জানতাম। দশম শ্রেনীতে এসে একই সেকশনে থাকার সুবাদে ঘনিষ্টতা যেন নিবিড় হল।
প্রায়ই গল্প জুড়তাম দু'জন মিলে। সেই একদম পিচ্চি কালের গল্প। কি ভাবে আমাদের প্রথম দেখা হল...আমাদের একসাথে খেলা। যদিও সে সময় ব্যপ্তি টা খুব কম ছিল।
.:"মৌরী".....কি অদ্ভুত মায়াকারা মুখ।স্বভাবে শান্ত,ধীরে ধীরে কথা বলে ,মিষ্টি করে হাসে। জানি ঐ হাসির আড়ালে লুকিয়ে রাখা অনেক গুলো কষ্ট জমাট বেঁধে আছে।যে গুলোকে গলিয়ে দিতে পারলে পৃথিবীটা হয়ত ওর জন্য শান্তির স্থান হতো।
মৌরির সামনে কখনও জ্ঞাত অবস্থায় আমরা আমাদের বাবা মায়ের গল্প জুড়তামনা। তৃতীয়শ্রেনীতে থাকা অবস্থথায় মৌরী ওর মাকে হারালো; এরপর বাবার দ্বিতীয় বিয়ে.. অষ্টম শ্রেনীতে ওঠার পর বাবার মৃত্যু ... সেই সাথে এতদিন যে মা আগলে রেখেছিলেন তিনি চলে গেলেন বাবার বাড়ি....মৌরীর জীবনে খুব দ্রুত সবকিছু পাল্টে গেল।
বড় দুই ভাই এর সাথে শুরু হল ওর একাকি নতুন জীবন। বড় ভাইয়া কিছুটা কড়া স্বভাবের,বোনকে আগলে রাখার জন্য খুব বেশী একটা বাহিরে বের হতে দিতেননা। দিনভর ঘরে বসে একাকি সময় কাটতো ওর।
#ভীষন ব্যস্ত সময় কাটছে আমাদের। মার্চ ০৪,২০০৪.তারিখে প্রথমবারের মত পাবিলক পরিক্ষায় অঃশগ্রহন..যে যার মতো বিভিন্ন কোচিং এ পরীক্ষা দেয়া নিয়ে ব্যাস্ত। #ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০০৪.সূর্য ডুবে গেছে। পড়ার টেবিল এ বসেছি ,,,,এমন সময় ফোন এ আমার ডাক এল.. আমার ভাইয়ের বন্ধু আমার সাথে কথা বলতে চাচ্ছে শুনে অবাক হয়ে ফোনটা কানে লাগাতে যা শুনলাম তা আমার ধারনার অতীত ছিল। কোন কথা না বাড়িয়ে ভাইয়া আমাকে সরাসরি বললেন,,,,, মৌরি আজ বিকেলে মারা গেছে...।।
কি বলব, কাকে ফোন করব, কি করব সব কিছু কেমন যেন এলোমেলো ... আজ ৭ বছর পরও দিনটির কথা যখন ভাবতে যাই ,,... এলোমেলো লাগে সব কিছু।
আজ ভাবি তোর মনে এত কষ্ট ছিল।মাকে কাছে পাবার এত আকুলতা.. তাই বুঝি যাবার আগে চিঠিতে জানিয়ে দিয়েছিলি... তোকে যেন তোর মায়ের বুকে শোয়ানো হয়..।
খুব জানতে ইচচ্ছে করে রে আমার ,,,,, এখন কেমন আছিস?...মায়ের বুকে শুয়ে কতটা শান্তিতে আছিস?
হাজার মানুষের ভীরে সময়ে অসময়ে তোর সেই মুখটা ভেসে ওঠে। স্কুল থেকে বিদায় বেলার দিন আমার ডাইরীটা চেয়েছিলি...কিছু লিখবি বলে.. আর বলেছিলি যেদিন তুই থাকবিনা ..সেদিন তোর লেখা পড়ব আর তোকে মনে করব..... আজ খুব মনে হয় .. কেন সেদিন তোকে আমার ডাইরীটা এগিয়ে দেইনি...খুব জানতে ইচ্ছে হয়..কি লিখতি তুই আমার ডাইরীর পাতায়.......
দুঃখজনক
দুঃখজনক।
কিছু কথা অজানা থাকাই ভাল, নইলে দুঃখ আরো বাড়ে
হয়ত সতি্য তাই আপু..........
আরে আপনের নতুন লেখা কই? আপনের বন্ধুর নতুন লেখা কই? কি অবস্থা!
আরে আপনি এত দিন পর...।আমি তো আজ অনেক দিন পর এবি তে লগইন করতে পারলাম......পরীক্ষা নিয়ে ব্যাস্ত...।
আরে পড়ার টাইমে যদি ব্লগিং-ই না করেন, তাইলে কেমনে কি? দ্রুত কী-বোর্ডের উপ্রে লাফ দিয়া একটা কবিতা ছাড়েন। ইগজ্যাম টাইম ইজ দ্য বেস্ট টাইম ফ' ব্লগিং।
আর প্রকৃতিরে একটা খবর দিয়েন্তো। তার কি হৈসে শুনি।
প্রকৃতি মহা ব্যাস্ত......কি নিয়া তা জানিনা..বার্ত পাঠায়..দেব..
আর আপ্নারে যে একটা কবিতা লিখতে বললাম সেইটার কি হৈল?
আপনার লেখা..পড়ছিলাম..এক কথায় মুগ্ধ... কবিতা যে ছন্ন ছাড়া শব্দ গুলো জোড়া লাগতে চায়না ...................।
লাগতে চায় না কি চায় না, সেটার বিচার করবে পাঠক। আপনে শুধু নিজের দায়িত্বটুকু পালন করেন। আর সেটা হলো লেখা পোস্ট করা।
)
আর মুগ্ধতার রেশ কাটলে আরেকবার পইড়েন। যেসব অসঙ্গতি প্রথমবারে চোখে পড়ে নাই, দ্বিতীয়বার পড়বে।
(অবশ্য লেখাটা যত বড়, এই জিনিস দুইবার পড়ানো পানিশমেন্ট দেয়ার মতোন..
মন্তব্য করুন