শোকগাথা
১.
একটা খবরঃ
আবীর নামে এক কলেজপড়ুয়া তরুণকে গুলি করে মেরে ফেলেছে পুলিশ। পুলিশের ভাষ্যমতে সে বন্ধুদের নিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ায় পুলিশ পাল্টা গুলি করে। আহত অবস্থায় অস্ত্র হাতে আবীর উদ্ধার হয়, পরে মারা যায়। তার বন্ধুরা পালিয়ে যায়। গোলাগুলির ঘটনায় একজন এএসআই আর একজন কন্সটেবল গুরুতর(!) আহত হয় বলে পুলিশ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। পল্লব থানার ওসি অবশ্য জানিয়েছেন,- সন্ত্রাসীদের গুলিতে না, পড়ে গিয়ে উনারা আহত হয়েছেন।
গোলাগুলির ঘটনায় দুজন আহত একজন নিহত হলেও ঘটনাস্থলের মানুষরা মাত্র দুটো গুলির আওয়াজ শুনতে পেরেছেন বলে জানান।
.
আবীর মৃত্যুর আগে প্রমাণ করে যেতে পারেননি তিনি দোষী কিংবা নির্দোষ কিনা। মৃত্যুর পরে তাই প্রমাণ করতে চেষ্টা করছে তার বাবা-মা।
ক্রন্দনরত মা মনোয়ারা প্রথম আলোকে জানান, আবির কোনো অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। তাঁর বিরুদ্ধে কোনো থানায় অভিযোগ নেই। কলেজে আসা-যাওয়ার বাইরে সব সময় তিনি বাসায় থাকতেন। পুলিশ নিরীহ ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে হত্যা করেছে।
আবিরের বাবা গোলাম ফারুক বলেন, তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে কোথাও জিডি পর্যন্ত নেই। পুলিশ ডাকাত সাজাতে চেয়েছে, এসব মিথ্যা।
সাক্ষ্য দিচ্ছেন প্রতিবেশীও-
প্রতিবেশী আবু তৈয়ব আলীসহ কয়েকজন মহল্লাবাসী বলেন, আবিরকে কখনো রাস্তায় আড্ডা দিতে, এমনকি মাঠে খেলাধুলা করতে দেখা যায়নি।
এ কেমনতরো দেশ? এ দেশে তরুণ বয়সী কেউ রাস্তায় আড্ডা না দিলে কিংবা মাঠে খেলাধূলা না করলে মানুষ নিরীহ মনে করে ... এ দেশে ভাল ছেলেরা কলেজ আসা-যাওয়ার সময়টুকু বাদে সারাদিন শুধু ঘরেই থাকে!
.
.
.
আরেকটা খবরঃ
অবৈধভাবে ভারত প্রবেশ করেছিল ফেলানী ও তার বাবা। ফিরে আসার সময় কাঁটাতারে কাপড় জড়িয়ে আটকে পড়েছিল ফেলানী। বিএসএফ দূর থেকে অতর্কিত গুলি চালায়। প্রায় চার ঘন্টা ঝুলে থাকে ফেলানীর লাশ, কাঁটাতারের বেড়াজালে।
ঘটনাটার ভারতীয় দৃষ্টিভঙ্গিটা কেমন?
এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য সিপিএমের জগাই সাহা বলেন, “ওই কিশোরী যে দেশেরই নাগরিক হোক না কেন, যে ভাবে দেহটি বেড়ার উপরে ঝুলছিল তা চোখে দেখা যায় না। সেই কারণেই এলাকার বহু বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। গ্রামবাসীদের অনেকেই মনে করেন, গুলি না-করে কিশোরীকে গ্রেফতার করা যেতে পারত।” সূত্রঃ আনন্দবাজার
জগাই সাহার মতে, লাশটা ঝুলে থেকেই যতো বাগড়া লাগিয়ে দিল। চোখের আড়ালে হলে মন্দ হতো না।
.
.
.
২.
চারদিনের ব্যবধানে দুটো ঘটনা পত্রিকার পাতায় শিরোনাম হয়ে এলো। একটা নিয়ে ব্লগে-আড্ডার টেবিলে তোলপাড়। আরেকটা ঘটনা নিয়ে কারো তেমন কোন মাথাব্যথা নেই। অথচ দুটো ঘটনায় কি অদ্ভূত মিল! তার চাইতেও অদ্ভূত অমিলটুকু।
ডাকাতির অপবাদ মাথায় নিয়ে বিনা বিচারে মরতে হল আবীরকে, দেশী পুলিশের হাতে। আর অবৈধ অনুপ্রবেশের দোষে বিনা বিচারে মরতে হলো ফেলানীকে, ভিনদেশীদের হাতে। পত্রিকায়-ব্লগে ফেলানীকে ঘিরে আন্দোলন আর প্রতিবাদে গল্প-কলাম আসতে লাগলো। আর আবীর নীরবে মরে পড়ে রইলো।
ফেলানীরে নিয়ে রাজনীতি করা যায় ঐজন্য ওকে নিয়ে এত হৈ-চৈ কিন্তু আবীরকে নিয়ে তো আর রাজনীতি করা যায়না কারন এইরকম আবীররা প্রতিদিনই মরছে।সে এই পক্ষের আমলে হোক আর ঐ পক্ষের আমলেই হোক।
বাংলাদেশের নর্ম হচ্ছে ভালো ছেলে মানে যারা পরীক্ষায় ফার্ষ্ট সেকেন্ড হয় তারা সব সময় বাড়ীতে থাকে -- সারাক্ষন পড়ালেখা করে -- আর বাবা-মার কথায় উঠবস করে।
যারা এই ধরনের কমেন্ট করে যে আড্ডা না দিয়ে, খেলাধুলা না করলে ভালো ছেলে নিরীহ ছেলে হয়ে গেছে -- তাদের চিড়িয়াখানায় পাঠাবার সময় হয়ে গেছে।
আর ঘরে বসে থাকা ছেলেরা -- আজকাল মোবাইল আর কম্পুটার দিয়ে আরো ভয়ানক কাজ করতে পারে।
=======================
ফেলানির ব্যাপারে আসলে ঝুলে না থাকলে এতো সাড়া পড়তো না ।
মেয়ে আর কম বয়েসী না হলে এতো কথাও বলা হতো না ।
কারণ গতবছর ৭২ জন বাংলাদেশী মারা গেছে বিএসএফ এর গুলোতে - কতোগুলো নিয়া এমন আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
তাও কথা বলা হচ্ছে এটাই সৌভাগ্য - না হলে সীমান্তে মানুষ মারা গেছে শুনে হাই তোলাই রেওয়াজ হয়ে যাচ্ছিলো।
======================
আমাদের সমাজ ব্যবস্থা এমন যে -- ২ টা অপরাধী ধরার জন্য ১ টা নিরাপরাধকে মরতে হলে সবাই সেটা কবুল -- এখন নিরাপরাধ ব্যাক্তিটি আমি না হলেই হয়।
হওয়া উচিত ছিলো ১ নিরাপরাধ কে বাচানোর জন্য ২ টা অপরাধী পার পেয়ে গেলে তাই সই ।
বাংলাদেশে সবচে কম মূল্যে বিকায় মানুষের জীবন আর আত্মসম্মান।
আশির দশকের শেষভাগে। এক বন্ধু দুর্ঘটনায় মারা গেছে দূরদেশে। খবর পেয়ে তার বাসায় গিয়ে পরিবারকে শান্ত্বনা দিয়ে ফিরে আসার পথে ভরদূপুরে গাছের ছায়ায় খুব মন খারাপ করে বসে আলাপ করছিলাম জীবন কত তুচ্ছ ইত্যাদি নিয়ে।
হঠাৎ কোত্থেকে একটা পুলিশের জীপ এসে হুঁশ করে দাঁড়ালো। বন্দুক হাতে সেপাইদল নেমে এল। বললো গাড়ীতে ওঠ। জিজ্ঞেস করলাম, কেন? তেড়ে উঠলো ওরা। কেন মানে থানায় গিয়ে টের পাবি। এরকম ব্যাবহারের জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। কোমরে দড়ি দিয়ে নিয়ে যাবে এরকম মনে হলো। এই কিংকর্তব্যবিমূঢ় অবস্থায় গাড়ী থেকে নেমে এলেন এসআই। দেখা গেল উনি সাথের এক বন্ধুর বড় ভাইয়ের বন্ধু। উনি এসে সেপাইদের নিবৃত করলো। বললো, না এরা খারাপ ছেলে না। আমাদের বললো, এই ভর দুপুরে এখানে আড্ডা দিচ্ছি কেন, বাসায় যাও।
পাঁচ মিনিটে কেস খালাস।
কিন্তু যদি পরিচিত কেউ না থাকতো? নির্ঘাত কোন ডাকাতি বা ছিনতাই মামলায় ঝুলিয়ে দেয়া হতো।
এদেশে আইনের যারা রক্ষক, আইন ভক্ষণ করার একটা নৈতিক অধিকার তাদের আছে বলে মনে করা হয়।
ঘনাদা-টেনিদাদের রকে কি গড়ের মাঠে বসার দিন শেষ। খান মোহাম্মদ ফারাবীর চরিত্ররাও বেঁচে গেছে। ভালোত্ব-খারাপত্বের কী অসহ্য উদ্ভট ধারণা নিয়ে চলছি আমরা!
আমাদের অনুভূতিগুলোকে ভোঁতা করে দেয়ার জন্য আনন্দ আয়োজনের অভাব নেই পৃথিবীতে।
সত্যই সেলুকাস, কি বিচিত্র এই দেশ ! বৈচিত্রময় সৌন্দর্যের লীলাভূমি এ দেশে আর কত লীলা-খেলা কতদিন ধরে চলবে তা নিয়ে আমরা কি শুধু গবেষণা চালিয়ে যাব ? আর কিছুই কি করার নাই ?
দেশে পরিচিত কারো বিয়ে ঠিক হলে যদি জিজ্ঞেস করি, ছেলে কি করে? প্রথম উত্তর হলো "পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে" আর মেয়ের কথা হলো "জীন্স ফীন্স পরা লারে লাপ্পা কিংবা গান বাজনা করা টাইপ মেয়ে না"
হায়রে দুনিয়া আর হায়রে বাংলাদেশ আর তার মানুষ আমাদের আপন জন
আপনাদেশের মানুষ যখন গুলি কইরা মাইরা ফেলার আগে দুইবার চিন্তা করে না, ভিনদেশের মানুষ করবে কেন?
বাংলাদেশের দেশ প্রেমের সাথে ভারত বিরোধিতাটা কিভাবে যেন যুক্ত তাই ফেলানীর ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়ার যতটা দেশপ্রেমী যিশ পাওয়া যায় আবীরের টায় তা পাওয়া যায় না;
যেদিন থেকে দেশে rab ধারণাটা শুরু হইছে সেদিন থেকেই আসলে অসংখ্য আবীরের মৃত্যুদণ্ডে স্বাক্ষর করা হয়ে গেছে
হুম্মম... কয়েক বছর পরে আবার আমরা হয়তো এই রকম একটা খবর পড়বোঃ
"ওসি রফিক ডিভিশনে!
ঢাকা কমার্স কলেজের মেধাবী ছাত্র নিহত কামরুল ইসলাম মোমিন হত্যা মামলার আসামি মতিঝিল থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম কারাগারে ডিভিশন (প্রথম শ্রেণীর বন্দির মর্যাদা) ভোগ করছেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিশেষ পিপি এসএম রফিকুল ইসলাম রফিকের ডিভিশন বাতিল করতে ওই আদালতে আবেদন করেন। আগামী ১৮ জানুয়ারি এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ওসি রফিক ২০০৯ সালের ২৯ জুন কারাগারে তাকে ডিভিশন দেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেন। মহানগর দায়রা জজ আদালত কারা বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। ওসি রফিক একজন পুলিশ পরিদর্শক মাত্র। তিনি ডিভিশন-১ পাওয়ার অধিকার রাখেন না। ডিভিশন-১-এর সুবিধা ভোগ করার ক্ষেত্রে সংসদ সদস্য, যুগ্ম সচিব পদ মর্যাদার ব্যক্তি, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল বা বিরোধী দলের জেলা পর্যায়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সুযোগ রয়েছে। তাই আবেদনে রফিকের ডিভিশন বাতিলের অনুরোধ জানানো হয়। জানা যায়, আদালতের আদেশে অত্যন্ত সুকৌশলে হস্তক্ষেপ করে ওসি রফিক টাকার জোরে কারাগারে ডিভিশন আদায় করেছেন। তিনি হত্যা মামলার আসামি হলেও কখনও তাকে আদালতে আনা-নেওয়ার সময় হাতকড়া পরানো হয়নি। বিষয়টি রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আদালতের গোচরে আনলে তাকে হাতকড়া পরানোর নির্দেশ দেন আদালত। ২০০৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর উত্তর ইব্রাহিমপুরের বাসার সামনে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ওসি রফিকের নির্দেশে সন্ত্রাসীরা গুলি করে মোমিনকে হত্যা করে।
কারাগারের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সমকালকে জানান, জেল কোডের ৯১০ বিধি অনুযায়ী বিচারিক আদালত যে কাউকে ডিভিশন দিতে পারেন। আদালতের আদেশানুযায়ী ২০০৯ সালের জুলাই থেকে ওসি রফিককে ডিভিশন দেওয়া হয়েছে। আদালতের আদেশের পর জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমোদন সাপেক্ষে তাকে ডিভিশন দেওয়া হয়।"
সোর্সঃ http://www.samakal.com.bd/details.php?news=17&action=main&menu_type=&option=single&news_id=124089&pub_no=572&type=ুকয়েক বছর পরে আবার আমরা হয়তো এই রকম একটা খবর পড়বোঃ http://www.samakal.com.bd/details.php?news=17&action=main&menu_type=&option=single&news_id=124089&pub_no=572&type=
~
তার ও আগে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভাসিটি`র নিরিহ ছাত্র রুবেল কে বাসার সামনে থেকে নিয়ে ঠান্ডা মাথায় মেরে ছিলো বিখ্যাত এসি আকরাম ... ঘটনা একই, শুধু তারিখ আর নাম গুলো বদলায়
~
http://www.amardeshonline.com/pages/details/2010/11/25/54960
খালি র্যাব পুলিশের দোষ দেই কেন? আমার মনে পড়ে র্যাব আসার অনেক আগেএকসময় জনতা ছিনতাইকারী পাইলে আগুনে পুড়ায় মাইরা ফেলতো। তারপর ট্রেন্ড চালু হয়ে গেল। এমনকি ছিনতাইকারী সন্দেহে কয়েকজনকেও পুড়ায় মাইরা ফেলা হয়। আমাদের মানবিকতাবোধে গ্যাঞ্জাম আছে।
অনেক আগে বলেছিলাম এক ব্লগে , আমরা কি কথা সর্বস্ব জাতিতে পরিণতহয়ে উঠছি ?
উঠেছি....কথার মারপ্যাচ এবুদ্ধির রূপ প্রদর্শনমূখ্য উদ্দেশ্য হয়ে উঠেছে...ঘটনার বিভৎসতা আর বাস্তবতা তুচ্ছ হয়ে উঠেছে, কারন এসব একটুপরেই ক'দিনপেরোলেই চাপা পড়ে যাবে কালের অন্ধ অতলে।
কিন্তু মানবতা যে কেঁদে কেঁদে মরে মরে মরে না।
এই ভাবে ঠান্ডা মাথায় গুলি করে মেরে সেটাকে এনকাউন্টার/ক্রসফায়ার ইত্যাদি নাম নাম দেয়া নতুন কিছু না। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর থেকেই এটা ভালোভাবে চালু করেছিলো রক্ষিবাহিনী। মাঝে এর প্রকোপ কমে গেলেও বন্ধ হয়ে যায়নি কোনো সময়ই। কিছু কাল আগের অপারেশন ক্লিন হার্টের কথাতো মনেই আছে, হঠাৎ করে মানুষের হৃদয় ঘটিত রোগ দেখা দিলো ! চিন্তা করা যায় এই তথাকথিত সভ্য সমাজে সেই সব বেআইনী হত্যার কোনো বিচার না হয়ে তথাকথিত সার্বভৌম সংসদে ইনডেমনেটি দেয়া হয়েছিলো। র্যাব বা পুলিশের ক্ষেত্রেও আওয়ামি সরকার তা করবে শোনা যাচ্ছে, হয়তো সে ক্ষেত্টে ভাষা ভিন্ন হবে।
র্যাবের ক্ষেত্রে যা হয়েছে তা সরকারের ইচ্ছাতেই হয়েছে। সামরিক বাহিনী থেকে আসা অফিসাররা যারাই ক্রসফায়ারের নামে হত্যার সাথে যুক্ত ছিলো তারাই কিন্তু পুলিশে পদক পেয়েছেতথাকথিত সাহসীকতা ও সেবার জন্য। এই সব হত্যাকান্ড প্রাতিস্ঠানিকভাবেই হয়েছে ও হচ্ছে। সরকার বা বিচার বিভাগ এসব দেখেও দেখবে না। পুলিশও যেসব হত্যা করছে তথাকথিত বন্দুকযুদ্ধের নামে সেগুলোও কোনোরকম বিচার হবে না কারন পেছনে রাস্ট্রের মদত আছে। পুলিশও উৎসাহিত হচ্ছে কারন এসবে কোনোরকম শাস্তি হচ্ছে না , বরন্চ এটা তাদের পকেট ভড়াতে সাহায্য করে।
এসবের বিচার না হলে এর বন্ধ হবে কি ভাবে ? কি ভাবে বুঝবো দেশে আইনের শাষন আছে ?
আবিরের ক্ষেত্রে যা হয়েছে তা গা সহা ব্যপার এখন। প্রতিদিনই তা ঘটছে, আমরা শোকাহত হচ্ছি, আবার ভুলেও যাবো।
সীমান্তে যা ঘটছে তা কি নতুন ? প্রতি বছর এটা ঘটছে। কেনো সীমান্ত অন্চলে ভারতন বিরোধী মনোভাবের সুযোগ নিয়ে উগ্রবাদী ইসলাম ধর্মজীবি দলগুলো শক্তি সন্চয় করে ঘাঁটি করছে বা কেনো সীমান্ত অন্চলে জামাতের জনপ্রিয়তা বাড়ছে সেটাকি অন্য দলগুলো লক্ষ্য করে না।
আওয়ামি সরকারের মতো ভারতবান্ধব ও ভারততোষণ কারী সরকারের কাছ থেকে শক্তিশালি কিছু আশা করা বোকামী হবে। আমরা শোকাহত হওয়া ছাড়া কিছুই করতে পারছি না।
শেখ মুজিব হত্যা মামলার প্রথম মামলায় রায় হইছিলো জনসম্মুখে ফাঁসির আদেশ। তখন অনেকের মধ্যে দেখছি সেই ফাঁসির মঞ্চ দেখনের উচ্ছ্বাস। মানবিক উপলব্ধির জায়গাতে আমরা মধ্যযূগেই আছি এখনো...
সিরাজ শিকদারকে হত্যার পরে রাষ্ট্রপ্রধান/সরকার প্রধানের উক্তি যেন কি ছিল ? সেই কি শুরু, নাকি তার আগেও ? সব ভুলে যাই, মনে থাকেনা কিছু, মনে রাখিনা কিছু !
আমরা শোকগাথা লিখতে পারি সর্বোচ্চ চোখের জল ফেলতে পারি কিন্তু যারা স্বজন হারায় তারা বুঝে হারানোর বেদনা!
আপনার পোস্টটা খুব ভালো লাগলো!তবে এই ভাল লাগা খারাপ লাগার কোনই মুল্য নাই তাদের কাছে যারা নিরপরাধ হয়ে গুলি খায় কখনও দেশের কখনোবা বিদেশের বাহিনীর হাতে!
একদিন আমাদেরও এই দশা হতে পারে।
আমাদের সহ্য শক্তি অনেক বেড়ে গেছে। সস্তা পকেটমার আর ছিঁচকে চোরের উপরেই সেগুলো জমে থাকা বারুদ হয়ে বেরোয়।
সত্যই সেলুকাস, কি বিচিত্র এই দেশ-- এ গুলো বলা না বলা সমান। আগে জানতাম পুলিশ সরকারের গুন্ডা বাহিনী হিসাবে কাজ করে কিন্তু কেনো যেনো মনে হচ্ছে এটাকে ভাড়াতে খুনী হিসাবেও ব্যবহার করা যায় এখন।আবীরের ক্ষেত্রে এমন হবারই সুযোগ বেশি।
পরে আলাপ করবো। কিছু জিনিষে একমত, কিছু জিনিষে না। ব্যাপক ক্যাচাল করার মত পোস্ট-কমেন্ট।
একমত কিসে না সেটা হয়তো আন্দাজ করতে পারছি, আরণ্যক ভাইয়ের কমেন্টেই বুঝতে পারছি কিছুটা। যে আবীরের মতো ঘটনা আসতে আসতে গা-সওয়া হয়ে গেছে, আর ফেলানীর মতো ঝুলে থাকা এই প্রথম, তাই মিডিয়া কাভারেজ বেশি।
অস্থির চিত্তের কারণে আমি হয়তো আমার কথাটুকু বুঝাতে পারি নাই। কথাটা খুব সরল- ঘরের মানুষ মারলে আর বাইরের মানুষ মারবে না কেন?
আমরা টিভি, খবরের কাগজ, ব্লগে প্রতিদিন কত অমানবিক খবর পড়ি!শুধু পড়ি।
এখনো কাউকে কাউকে বলতে শুনি ক্রসফায়ার আইন শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য নাকি ভাল। নিজের ঘরে যেদিন র্যাব টোকা দেবে তখন হয়তো আর একথা বলবে না।
ক্রস্ফায়ারের নামে তারা খুনের লাইসেন্স পেয়ে গেছে। কেউকেউ উপরি আয়ের রাস্তাও। পুলিশ সব সময় নির্দোষকে চালান করে আসল্টাকে সামাল দিয়ে রাখে। ক্রিমিনালরা তাদের কাছে সোনার ডিম দেওয়া হংসী
ভাংগু, তুমি যে ব্যাপারটা খেয়াল করছ, এবং তুমার কাছে যে ব্যাপারটা গা-সওয়া হয়নাই সেই জন্য হ্যাটস অফ... আমি অবাক হইছিলাম যে বিএসেএফের গুলিতে মারা যাওয়ায় ১৫ বছরের আন্ডার-এজ ফেলানী'র বিয়া হইলো না এইটা নিয়া বিভিন্ন লেখার স্টার্টিং দেইখা...!!!
সবচাইতে মেজাজ খারাপ হয়, এই ব্যাপারটা নিয়ে ব্যবসা হয়, সেটা দেখলে।
মন্তব্য করুন