আবোল তাবোল - ৮
#
যে কোন লেখা, বিশেষত ব্লগরব্লগরের ক্ষেত্রে সবচাইতে বড় সমস্যা বোধহয় একটাই - তা শুরু করা!
মাথার ভেতর রাজ্যের যত চিন্তাভাবনার দৌড়াদৌড়ি কিন্তু লিখতে নিলেই সব উধাও। সবাই যেন বাইরে যাবে বলে এক্কেবারে ফুলবাবুটি সেজে রেডি কিন্তু সময় হলে কাউকেই পাওয়া যায় না। এ ঠেলে ওকে, ও ঠেলে তাকে। এই চলতে থাকে, আর লেখা হয় না। আজ তাই আর এত চিন্তা ভাবনার দিকে না যাই, আজ ডাইরেক্ট একশন। যা যা মাথায় আছে থাকুক, টাইপিং শুরু করলাম যা লেখা হবার হোক!
#
অনেক দিন হল আবোল তাবোল কিছু লিখিনা। ভাল লাগতেছে না ব্যাপার টা।
আসলে, কাহিনী হইল কিস্যু ভাল্লাগেনা! দিনে দিনে দিনকাল এমন হইছে যে একটা কিছু মনোমত হয়না। সবার সাথে খালি ঝামেলা হয়, তাই এখন সবার কাছ থেকেই একটু দুরে দুরে থাকার চেষ্টায় আছি। এইসব প্যানপ্যানানি কথাবার্তা লিখতেও ভাল্লাগেনা। এই মন নিয়া ভাল কিছু লেখার উপায় আছে!
তার উপর বাসার নেট আপাতত নাই, ল্যাপটপ মহাশয়ের শরীরও বিশেষ ভাল যাচ্ছেনা। তাই, আজকাল মুঠোফোনই ভরসা।
মাঝে মাঝেই উঁকি দিয়ে যাই, দেখি কে কি লিখে। পড়ি কিন্তু মুঠোফোনের নেটের যা হাল, মন্তব্য করার আর ইচ্ছা হয়না। এই চলছে!
#
গত মাসের শেষে জীবনে প্রথম বারের মত কক্সবাজার ট্যুর দিয়ে এলাম। জীবনের প্রত্যেকটা প্রথম জিনিস-ই খুব স্পেশাল। তবে, প্রথম সমুদ্রস্নানের কাছাকাছি কোন আনন্দের স্বাদ পাওয়াটা অনেক কঠিন হবে। এটা বুঝে গেছি।
৫ দিনের ট্যুরে কি কি করেছি তা বলার চাইতে কি করিনি সেটাই আসলে ভাবা উচিৎ!
ভয়ঙ্কর সুন্দর গর্জন আর মাতাল হাওয়ায় উড়ে যেতে যেতে কক্সবাজারে রাতের বিচে গীটারের টুংটাং সহ আড্ডা আর গান। সেন্টমারটিনসে রাত্রিযাপন, সূর্যাস্তের পথ ধরে হেটে যাওয়া অথবা সূর্যোদয়ের প্রথম আলোয় সুপ্রভাত জানানো ঢেউদের সাথে লুকোচুরি। আবার ছেঁড়াদ্বীপে পৌঁছেই বাঁধভাঙ্গা উল্লাস।নিঝুম দ্বীপ জুড়ে লোনা জলে হুটোপুটি আর প্রবাল দ্বীপে সমুদ্রের প্রবল আলিঙ্গনে প্রবাল থেকে প্রবালে গড়াগড়ি! জাহাজের পুরোটা সময় জুড়ে গাঙচিলেদের হাতছানি। অথবা ফেরার পথ শুরুর একটু আগে ঝটিকা সফরে হিমছড়ি জয় আর ইনানি-তে সমুদ্রস্নান।
এই কটা দিনের অনুভূতি কক্ষনই বলে বোঝানোর নয়।
এইটুকু ভেবে রেখেছিলাম, বাসায় ফিরেই আমার ব্লগ্ন-নিক থেকে বিষণ্ণতা টুকু ঝেড়ে ফেলে প্রো-পিকে একটা বান্দরের ছবি সেট করে দিব!
কিন্তু বাসায় ফেরার পর থেকে লাইফ এত বেশি পানসে লাগতেছে,
এখন মনে হইতেছে এরকম আরও কয়েকটা ঘুরান্তি দিয়ে আসাটা অতীব প্রয়োজনীয়! তারপর, দেখা যাবে নে কি করা যায় না যায়!
#
গত ডিসেম্বরে পাকিস্তানের বাংলাদেশ ট্যুরের সময় মন মেজাজ যারপরনাই খারাপ ছিল। পুরো সিরিজে শুধু একদিনের টিকেট পাইছিলাম, তাও আবার টেস্ট ম্যাচের।
যাই হোক, এইবার আর কোন ঝামেলা হয় নাই।
টিকেট ছাড়ার প্রথম দিনই মাত্র চার ঘণ্টা লাইনে দাড়িয়েই এশিয়া কাপে বাংলাদেশের ৩ টা ম্যাচের টিকেট পেয়ে গেছি।
লাইনের কিছু পোলাপাইনরে কমেন্ট করতে শুনলাম, আমার এতক্ষণ লাইনে দাড়িয়েও ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচের টিকেট না কেনার বোকামিতে আর কি!
কি জানি বাবা, আমি অত কিছু বুঝি না। গাঁটের টাকা খরচ করে স্টেডিয়াম যাব খেলা দেখতে। সেখানে গলা ফাটাইয়া চিল্লায়ে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য যদি নিজের দেশটাই না থাকে , তাইলে আর ক্যাম্নে কি!!
#
ওইদিন এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচ টা দেইখা আসলাম। হইতে হইতে হইল না। জেতার এত কাছে গিয়ে ফেরত আসতে কষ্ট লাগে খুব। কি আর করা, বিশ্ব ক্রিকেটের সবচাইতে আনপ্রেডিক্টেবল দুই টিমের খেলায় এমন হইতেই পারে। দিনটা আমাদের ছিল না, তাই হইল না। আরেকদিন দিন টা আমাদের হইব, আবার ফিরা আসব চট্টগ্রাম, ১১ই মার্চ ২০১১!
যাই হোক, ফেরার পথে ওয়েদার টা অদ্ভুতুরে অন্যরকম ছিল! আমি আমার লাইফে কখনো এত থমথমে অবস্থা দেখিনাই। বার বার মনে হইতেছিল, একটা ভয়ঙ্কর কিছু হবে। কোন একটা ‘হাইপ’ যে আমাদের দৈনন্দিন জীবন কে কতটা অস্থির করে তুলতে পারে, এটাও দেখা হয়ে গেল! পুরাই যুদ্ধু যুদ্ধু ভাব!
#
গত বছরের শেষ টা অসাধারণ কেটেছিল আমার। কারন ‘সুরের ধারা - রবীন্দ্র উৎসব ’।
কাল পেপারে পড়লাম সেই অনুষ্ঠানের ডিভিডি বের হচ্ছে। আজ লালমাটিয়ায় সুরের ধারার অফিসে যোগাযোগ করে নিয়ে এলাম ৬ ডিভিডি’র সেট।
যার মাঝে আছে-
*সহস্র কণ্ঠে রবীন্দ্রনাথ,
*তিনটি গীতিনাট্য (চিত্রাঙ্গদা, কালমৃগয়া আর চণ্ডালিকা),
*গান্ধর্বলোক অর্কেস্ট্রার পরিবেশনা আর
*সমাপনী অনুষ্ঠান মালা।
এই অসাধারণ অনুষ্ঠানের অসম্ভব প্রিয় কিছু মুহূর্ত এখন যখন ইচ্ছা তখনি আবার দেখতে পারবো, ভাবতেই মন ভাল হয়ে যাচ্ছে!
#
যাই হোক, অনেক প্যাচাল পাড়লাম।
দুইদিনের সরকারি হরতালের রেশ কিছুতেই কাটতেছেনা, খালি ঝিমানি আসে।
কিস্যু ভাল্লাগেনা, খালি বাসায় বইসা ঘুমাইতে মন চায়!
যাই, ঘুম যাই!
ভাল থাকেন সবাই। অনেক ভাল, সবসময়।।
আবোল তাবোল কথাবার্তা ভাল লাগল।
ধন্যবাদ, লীনা'পা..
বইমেলার বই নিয়ে কিছু লিখলেন না যে?
ভাল আছেন তো?
আপনি তো দেখে আবোল তাবোল বক বক করে ভাগলেন। কক্স মিয়ার বাজারে কী কী করলেন সেইগুলো সচিত্র প্রকাশ করবেন না আজব!!। পোস্ট এডিট করে ছবি লাগান মিয়া।
হিঃ হিঃ
খুব বেশি ছবি তোলা হয়নি, দৌড়াদৌড়ি তে সবখানে ছবি তোলার কথা মাথাতেই আসেনাই! ছবি তে পুরো ট্যুর আসবেনা, তাই দেই নাই!
এখনো আমি নিজেই সব দেখি নাই। যাচাই বাছাই করে নেই, ভাল লাগার মত কিছু থাকলে সামনে একটা ছবিব্লগ পোস্টানো ইচ্ছা আছে।
ঠিক কথা ।
উপরে দ্রষ্টব্য হপে!
ভিভিডির সেটটা কতো?
৫০০ টাকা।
আপাতত শুধু সুরের ধারার অফিসে পাওয়া যাচ্ছে।
২/৭, ব্লক বি, লালমাটিয়া।
সামনের পোষ্টে বান্দরের ছবি দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
তাইলে, সেন্টমার্টিনসে গিয়া বসত গড়তে হপে!
আমার মনের কথা কইলেন দেহি!
দুখখের কথা কি কমু, আমার যে, ঘুম-ও আসে না!
তাইলে, জাইগা থাকার ট্রাই করেন।
দেখবেন, ঘুমাই পড়ছেন!
ফটুক কই?
যাচাই বাছাই প্রক্রিয়া বিবেচনাধীন,
পছন্দসই কিছু ফটুক পেলে একখান ছবিব্লগ পোষ্টানোর ইচ্ছা পোষন করি!
আবোল তাবোল কথাবার্তা ভাল লাগল
ফটুক কই?
এতদিন পর!
তবুও ধন্যবাদ।
এখনো ছবি বাছাই চলছে।
মন্তব্য করুন