মশিউর রহমান (নীলকমল)'এর ব্লগ
আমাকে সৃষ্টি করা না হলে কিছুই সৃষ্টি করা হতো না
লেখাটি নিজেকে দিয়ে একটু চিন্তা সহকারে বিচার করবেন
.................................................
যখন আমি পৃথিবীতে ছিলামনা তখন পৃথিবীও আমার কাছে ছিলনা
যখন আমি পৃথিবীতে থাকবোনা তখন পৃথিবীও আমার কাছে থাকবেনা
এখন আমি আছি পৃথিবীও আমার কাছে আছে।
অতএব, আমি আছি পৃথিবী আছে
আমি নাই পৃথিবী নাই
তাহলে আমার জন্যই পৃথিবী সৃষ্টি করা হয়েছে
আমাকে সৃষ্টি করা হয়েছে বলেই পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছে
আমাকে সৃষ্টি করা হয়েছে বলেই আকাশ বাতাশ সৃষ্টি করা হয়েছে
আমাকে সৃষ্টি করা হয়েছে বলেই গ্রহ তারা চাঁদ সূর্য সৃষ্টি করা হয়েছে
আমাকে সৃষ্টি করা হয়েছে বলেই নদীনালা সাগর ঝরনা পাহাড় পর্বত সৃষ্টি করা হয়েছে
আমিও বলতে পারি আমাকে সৃষ্টি করা না হলে কিছুই সৃষ্টি করা হতো না !!!!!!
মশিউর রহমান (বাংলার বাউল)
আন্ধার
আস্তে আস্তে ফিকে হয়ে যায় জীবনের সকল আনন্দ উচ্ছাস,
পলিত হয়ে যায় শালিকের ঠোঁটে যৌবনা সবুজ ঘাস ও পাতার হাসি।
আমি শুকনো পাতার মরমরে শুনি নতুন জীবনের গল্প
যে ফুল বা পাতা বোঁটা হতে খসে পরে তা আর শোভা পায়না বোঁটায়।
সোনালী দিন গোধলির হলুদ আবরণে মিলিয়ে যায়
গরুর খুরে ধীরে ধীরে ঘিরে ধরে আন্ধার,
অজ্ঞতা বাদ দিলেই আন্ধার মানেই ধরিত্রী।
আমি আন্ধারের মাঝে দেখতে পাই আদিম শুদ্ধতার রুপ,
আমি খুঁজে পাই নতুন জীবনের আসাদন
একদিন আন্ধারের মাঝেই আরাধনায় রত ছিলাম।
ও হ্যা দিন !
আমি দিনকে হেলায় ফেলায় হারাতে চাইনা
দিনকে গুঁজে দিয়েছি প্রিয়তমার নাক ফুলে,
দিনকে গুঁজে দিয়েছি প্রিয়তমার গ্রীবার সৌন্দর্যে হার করে,
দিনকে গুঁজে দিয়েছি পল্লিবালার কোমরের ভাঁজে
কলশের চোয়ানো ফোটা ফোটা জলে,
দিনকে গুঁজে দিয়েছি প্রজাপ্রতির ডানায় আর ভ্রমরের গুঞ্জনে,
দিনকে গুঁজে দিয়েছি চিকমিক ঢেউ মেঘনার বুকে.......
কিন্তু সব কিছু ছাপিয়ে দিনের উচ্ছাসের মাঝে ব্যর্থতার গন্ধও পাই !
পালকী
আজ শুধু নারীর নাম
এছাড়া নাই তার দাম।
সম্ভ্রান্ত বাঙ্গালী নারী
বিয়েতে শশুড় বাড়ী
অন্য আরও কত কাজে
থাকত সে নানা সাজে।
কাঠের একটি ছোট ঘর
লাজুক নারী তার ভিতর
দরজা ছিল পর্দা টানা
দেখ যেতনা মুখ খানা
চার বেয়ারা ঘাড়ে চড়ে
দেশ বিদেশ ঘুরে ফিরে
হুমহুমনা চলে দুলকি
ঐতিয্যবাহী সে পালকী।
চলত সদম্ভে
হারাল কালের গর্ভে!
এখন যাদুঘরে
অনড় থাকে পরে
নিঃসঙ্গ ও একাকী
ঐতিয্যবাহী সে পালকী।
মশিউর রহমান
26.07.2012
পালকী
আজ শুধু নারীর নাম
এছাড়া নাই তার দাম।
সম্ভ্রান্ত বাঙ্গালী নারী
বিয়েতে শশুড় বাড়ী
অন্য আরও কত কাজে
থাকত সে নানা সাজে।
কাঠের একটি ছোট ঘর
লাজুক নারী তার ভিতর
দরজা ছিল পর্দা টানা
দেখ যেতনা মুখ খানা
চার বেয়ারা ঘাড়ে চড়ে
দেশ বিদেশ ঘুরে ফিরে
হুমহুমনা চলে দুলকি
ঐতিয্যবাহী সে পালকী।
চলত সদম্ভে
হারাল কালের গর্ভে!
এখন যাদুঘরে
অনড় থাকে পরে
নিঃসঙ্গ ও একাকী
ঐতিয্যবাহী সে পালকী।
মশিউর রহমান
26.07.2012
এক স্রষ্টা-এক বিশ্ব-এক জাত '' মানুষ''
বাউল কথাটির উৎপত্তি নিয়ে বিভিন্ন মতভেদ রয়েছে । ''বাউল'' শব্দের অভিধানিক অর্থ ধর্মীয় সংকীর্নতা ও সংস্কার হইতে মুক্ত সাধক সম্প্রদায়বিশেষ।কারও মতে সংস্কৃত 'বাতুল'শব্দ হতে বাউল শব্দের উৎপত্তি কারন তারা বাতাশের হিসাব করে[[বাতাশের হিসাব মানে কি তা ৪নং ষ্টেপে বলা আছে]]।
কারও মতে বাউল আউল শব্দ হতে আসছে, মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত বাউলরা আউলিয়া স্বরুপ।মুসলিম বাউলরা বে-শরাহ ফকির/সাধক। বে-শরাহ মানে শরীয়ত বা সামাজিকতা বহির্ভুত যেমন নামাজ রোজা হ্জ্জ যাকাত ইত্যাদি বিধি নিষেধ পালন করে না তারা নিজেকে জানার মাধ্যমে আল্লাহকে জানতে চায়।বাউল হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যেও দেখা যায় অনুরুপ ভাবে তারা হিন্দু ধর্মের আনুষ্টানিকতা মানে না তারাও নিজেকে জানার মাধ্যমে ঈশ্বরের খোঁজ করে।
বাউলরা বিশ্বাস করে মানুষের জাত এক 'মানুষ'। একমাত্র সৃষ্টির বা বংশ বিস্তারের তরে নারী ,পুরুষ এই দুই ভাগে ভাগ করা হয়।বাউলরা বিশ্বাস করে,মানব দ্হেতেই সাধন ভোজন ধর্ম কর্ম । দেহের উর্ধে কিছু নাই । আল্লাহ বা ইশ্বর দেহতেই বিরাজমান। বাউলরা বিশ্বাস করে,যা আছে বিশ্বভান্ডে তা আছে দেহ ভান্ডে ।বাউলরা আরএক অর্থে দেহ তত্ববিদ।