ইউজার লগইন

একটি ফটো স্টোরি: শেষ পর্ব

প্রথমেই স্বীকার করে নিই, আগের পর্বে মহাস্থান গড় জাদুঘরে ঢোকার রাস্তার ছবি দিলেও ওইটা ছিলো একটা শুভংকরের ফাঁকি প্রায়। কারণ জাদুঘরের ভেতরে ক্যামেরা ব্যবহার করতে অনুমতি লাগে। এত বড় প্রত্নতাত্তিক জাদুঘর আমি আগে দেখি নি। এখানে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন সময় যা কিছু সম্পদ খুঁজে-খুঁড়ে পাওয়া গেছে, যুগ ভাগ করে করে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। তবে মুসলমান যুগের নিদর্শনগুলোর সংখ্যা হাস্যকর রকমের কম এবং সেগুলোর মানও তত উন্নত নয়।
এক্ষেত্রে হিন্দুদের মহিমা স্বীকার করতেই হবে। বিশেষ করে তাদের তৈরী দেব-দেবীর মূর্তিগুলোর ভেতরে যে বহুমুখী অর্থ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, অবিশ্বাস্য ব্যপার-স্যপার! এছাড়া যুদ্ধের পোশাক, মেয়েদের অলংকার, গৃহস্থালী সামগ্রী'র যা নমুনা দেখলাম, এককথায় অ-সা-ধা-র-ণ।
একটা কাঠের দরজা দেখেছিলাম। তার প্রতি পাল্লায় ১৭টা করে ৩৪টা চৌকোণা খোপ কাটা। প্রত্যেকটা খোপের ভেতরে বিভিন্ন রকম আসনে বসে আছে একটি করে নারীমূর্তি। মূর্তিগুলোর শাড়ির আঁচলের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত নিখুঁত যত্নে খোদাই করা। আগেকার আমলের মানুষ পারতোও। এবার ছবি। নবিশ ফটোগ্রাফী ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ সহকারে।

১. জাদুঘরের গেট।

01.jpg

২. গোবিন্দ ভিটার উপর। পুরা ট্রিপে একটা হেলিকপ্টার খুব মির্স্কসি। প্রচুর ছবি আছে যেগুলোর এরিয়াল শট না নিলে আসলে মূল বিষয় বোঝা সম্ভব না। এটা তেমনই একটা। এরিয়াল শটের আরেকটা ভালো সাবজেক্ট মনে হৈল বেহুলা-লখিন্দরের বাসরঘরটাকে।

02.jpg

৩. গোবিন্দ ভিটার বিস্তারিত

04.jpg

৪. বড়ই আফসুস কা বাত হৈল বেহুলা-লখিন্দরের বাসরঘরে যাওয়ার পথে ব্যাটারীর চার্জ ফুরায় গেল গা। এইটাই ছিলো সেদিন তোলা লাস্ট ছবি।

05.jpg

৫. ভূ-পৃষ্ঠে ফাটল। যাইতেসি যমুনা নদী দেখতে।

08.jpg

৬. আদিগন্ত বিস্তৃত প্রমত্তা যমুনা।

10.jpg

৭. মাঝখানে চর, দুই পাশে নদী।

11.jpg

৮. বাঁধের এই অংশের নাম প্রেম-যমুনার ঘাট।

12_0.jpg

৯. হঠাৎ দেখলাম এক হুজুর পুরো পরিবার সমেত অন বোর্ড!

13_0.jpg

১০. এই পাল তোলা নৌকাগুলো ভাড়ায় পাওয়া যায় না। ভাড়ার নৌকা ইঞ্জিন চালিত। এমনিতে নদী ভ্রমণের জন্য ইঞ্জিনের নৌকা বেশি নিরাপদ, কিন্তু বিকট শব্দ হয়। অবশ্য একসময় কান সেটাতে অভ্যস্ত হয়ে যায়।

14_0.jpg

১১. মাঝনদীতে দেখা পেলাম নৌকা বাইচওয়ালাদের। ওরা প্র্যাকটিস করছিলো।

15_0.jpg

১২. জেগে ওঠা চরের পার ধরে ধরে চেয়ে আছে কাশবন।

16.jpg

১৩. চরের ভেতরে।

17_0.jpg

১৪. এটাও চরের ভেতরে।

18_0.jpg

১৫. আমাদের বাহন।

19_0.jpg

১৬. আমাদের মাল্লাদ্বয়।

20_0.jpg

১৭. যাই বলেন, গাছ দেখলে শাখামৃগদের কখনো ঠেকানো যায় নি, মনে হয় যাবেও না।

22_0.jpg

১৮. নৌকার গলুইয়ের উপ্রে শুয়ে থাকতে থাকতে মুনয় ভাব আইসা পড়ছিলো।

24_0.jpg

১৯. জীবন নদীর পারে।

25_0.jpg

২০. ভাঙন তবু স্বপ্ন থাকে। (কপিরাইট-মাসুম ভাই)

27_0.jpg

২১. মসজিদের পার এভাবে বাঁধানো হইসে কেন? যাতে ওস্তাদের বেইজ্জতি না হয়ে যায়। Big smile

26.jpg

২২. ভুড়ির কাবাব। ভুড়িতে মসলা মাখিয়ে রাখা হয়েছে। কয়লার গনগনে আঁচে পুড়িয়ে পরিবেশিত হবে। পাওয়া যাবে কলোনী বাজার (বিহারীপট্টি) আর সাতমাথায়। একবার খেলে এ জিনিসের স্বাদ ভুলা প্রায় অসম্ভব। এখন পর্যন্ত প্রতি শিক এক টাকা।

29_0.jpg

২৩. শেষ ছবি। ফিরছি ইট-কাঠ-সুড়কি, লোহার পোক্ত ফ্রেম, জানলার গ্রিল আর দেয়ালে ঘড়ির ঠিকানায়।

30.jpg

---

প্রথম পর্ব এখানে

(এই ফটো স্টোরিটা শাপলা আপু'কে উৎসর্গিত। তাকে একটা গিফট দেয়ার কথা ছিলো। Smile )

পোস্টটি ১৩ জন ব্লগার পছন্দ করেছেন

রাসেল আশরাফ's picture


ছবির জন্য তোমারে ২ কেজি বগুড়ার দই,১ কেজি ক্ষীরসা আর আমার রাজশাহীর একমণ ক্ষিরসাপাত আম দিলাম ফ্রী.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.। Love Love Love

মীর's picture


আমের লিগা অসংখ্য ধইন্যবাদ। আপনে আছেন কিমুন?

মেসবাহ য়াযাদ's picture


যখন এইসব জায়গায় গেছিলাম, তখন না ছিল ক্যামেরা। না ছিল ব্লগ... আফসুস ! বড়ই সৌন্দর্য্য হৈছে। থ্যাংকু...

মীর's picture


ক্যামেরা থাকলেও তো এখন আফসুস মিটানো যাইতো। ভাইজান আপনারে ওয়েলকু।

নাজমুল হুদা's picture


নবিশ হলেও ছবিগুলো সুন্দর । ভ্রমণে শেয়ার করতে পেরে আনন্দ পেলাম । আনন্দ দেবার জন্য ধন্যবাদ ।

মীর's picture


আরে আগে আমারে ধন্যবাদ দিতে দেন, আপনে যে আনন্দ পাইসেন সেইজন্য।
আর আপনার ধন্যবাদটুকুর জন্যও কিন্তু শুভেচ্ছা রৈল।

তানবীরা's picture


ভাবছি, বাইরে যা দেখেছি দেখেছি এখনের মটো হলো দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া। যা থাকে কপালে এবার এসে বগুড়া, সুন্দরবন আর বান্দরবন।

মীর's picture


আফা, গাইড লাগলে আওয়াজ দিয়েন। এই অধম রেডী আছে।

সাঈদ's picture


বড়ই সৌন্দর্য্য। যাক, নিজে যেতে না পারার কস্ট কিছু লাঘব হলো

১০

মীর's picture


তাইলে তো পোস্ট ব্যর্থ। যদি কষ্ট কিছুটা বাড়তো তাইলে হয়তো সুযোগ পাইলে ট্রাই নিতেন। Tongue

১১

রুমিয়া's picture


হ ....ছবিগুলা বড়ই সৌন্দর্য্য..!!!!

১২

মীর's picture


মন্তব্যও তো দেখি বড়ই সৌন্দর্য্য!!! কাহিনী কি??

১৩

রাসেল আশরাফ's picture


কাহিনী তুমি বুঝবা না।তুমার দিল বলে কিছু নেই তুমি পাষাণ!!!!! Crazy Crazy Crazy Crazy

১৪

মীর's picture


হ কইসে আপ্নারে! খুব বুঝছেন।
পুরুষ মাইনষের ঠিক সময়ে বিয়া না হৈলে না কি উল্টা-পাল্টা কথা শুরু করে, এইটা এতদিন খালি জানতাম; অহন আমি নিজেই শুনলাম। Devil Devil Devil Devil

১৫

রাসেল আশরাফ's picture


এই জন্য তো কই খালি ফেসবুকে আসো তখন দেখবা কি বুঝছো আর কি অমুল্য ধণ পায়ে ঠেলেছো।

আর আমারে এমন অপবাদ দিলা আমি বুইড়া হইয়ে গেছি আমার ঠিক সমইয় বিয়ে হয় নাই।আমার যদি এই অবস্থা হয় তাইলে সাঈদ ভাই,নাহিদ ভাই তো মেয়াদ উত্তীর্ন হইয়ে গেছে। Shock Shock Shock Shock

তুমারে ভালা পাই তাই কিছু কইলাম না নাইলে রাজশাহীর ভাষায় কিছু গালি-গালাজ দিয়ে দিতাম। Crazy Crazy Crazy

১৬

হাসান রায়হান's picture


রাসেলের কথা সইত্য

১৭

হাসান রায়হান's picture


এরম পাষাণ আর দেহি নাই। কাউরা দিলও এর থিকা ভালো।

১৮

রাসেল আশরাফ's picture


কাউরা দিল

এইটা কি রায়হান ভাই??

১৯

হাসান রায়হান's picture


যেকোনো কিছু ধইরা লও। মেজাজ এরম খারাপ হইছে ভাষা খুইজা পাইতেছিনা। মীর এরম চাঁড়াল আগে বুঝি নাই।

২০

হাসান রায়হান's picture


স্যরি চন্ডাল হইব।

২১

মীর's picture


এইসব কোনো কথা? আমারে এইরম পচাঁনির মানে কি? রাসেল ভাই'র ঠিক সময়ে বিযা হয় নাই সত্য; কিন্তু রায়হান ভাই'র তো সবকিছু ঠিক-ঠাকই আছিলো। এহন তো দেহি সবখানেই গরমিল।

২২

রাসেল আশরাফ's picture


Crazy Crazy Crazy Crazy Crazy Angry Angry Angry Angry Devil Devil Devil

২৩

শওকত মাসুম's picture


কাহিনী কী। এরম এক সৌন্দর্য পুষ্টে পেচ্ছাপেচ্ছি কেন?

২৪

আরাফাত শান্ত's picture


বড়ই মনোহর ছবিগুলান!

২৫

মীর's picture


ধইন্যাপাতা।

২৬

সাহাদাত উদরাজী's picture


ছবি গুলো দেখে গেলাম! আর মন্তব্য গুলো, একে বারে কাউরা দিল !

২৭

মীর's picture


Davie

২৮

আজম's picture


দারুন সব ছবি
গিয়েছিলাম মহাস্থানগড় ও মহাস্থানগড় জাদুঘরে।
প্রেম-যমুনার ঘাটের কথা শুনে ছিলাম সময় অভাবে যেতে পারি নাই Sad
ঐদিকে আবার গেলে আপনার পোস্টটা কাজে লাগবে।
ধন্যবাদ।

২৯

মীর's picture


ওয়েলকাম ব্রো Smile

বগুড়া গেলে জানায়েন এবং ছবি দিতে ভুইলেন না।

৩০

লীনা দিলরুবা's picture


চার নাম্বার ছবিটার জায়গায় এক্ষুণি চলে যেতে ইচ্ছে করছে।

৩১

মীর's picture


ওইটা হচ্ছে বেহুলা-লখিন্দরের বাসরঘরে যাওয়ার রাস্তা। গ্রামের মেঠো পথ। ভ্যান বা ব্যাটারিচালিত রিকশাগুলোয় করে যেতে অসাধারণ লাগে।

৩২

শাওন৩৫০৪'s picture


প্রেম যমুনার ঘাটে কি কহালি ছাগলই প্রেম করে, নাকি মানুষের প্রেমও দেখা যায়?

৩৩

মীর's picture


মানুষের প্রেমও দেখা যায় শাওন ভাই। তবে চতুষ্পদীদের তুলনায় মানুষের মধ্যে প্রেম-ভালবাসা কম।

৩৪

হালিম আলী's picture


৬ নং ছবির লোকটার মতো মাছ মারতে ইচ্ছে হচ্ছে। জীবনে এভাবে একবার মেরেছিলাম।

৩৫

মীর's picture


আমার সেই সৌভাগ্য হয় নি। তবে মাছ মারতে ভাল লাগে অনেক।

৩৬

sonali's picture


আমাকে বাদ দিয়ে এসব জায়গায় ঘুরার অন্যায় আমি কনদিন ও মাফ করবনা। Not Talking Not Talking Not Talking Not Talking Not Talking Not Talking Not Talking Not Talking Not Talking Not Talking

৩৭

মীর's picture


মানুষ ভাবে এক, হয় আরেক। আমি স্যরি। মাদার নেচার হয়তো একটা সুযোগ দিয়েছিল কিন্তু কাজে লাগানো গেল না।

৩৮

জেবীন's picture


ভাল পোষ্ট!
কত জায়গা আছে যাওয়া হয়ে উঠবে না, কিন্তু এম্নি কিছু পোষ্টের কল্যানে জানা হয়ে যায়

৩৯

মীর's picture


Smile

মন্তব্য করুন

(আপনার প্রদান কৃত তথ্য কখনোই প্রকাশ করা হবেনা অথবা অন্য কোন মাধ্যমে শেয়ার করা হবেনা।)
ইমোটিকন
:):D:bigsmile:;):p:O:|:(:~:((8):steve:J):glasses::party::love:
  • Web page addresses and e-mail addresses turn into links automatically.
  • Allowed HTML tags: <a> <em> <strong> <cite> <code> <ul> <ol> <li> <dl> <dt> <dd> <img> <b> <u> <i> <br /> <p> <blockquote>
  • Lines and paragraphs break automatically.
  • Textual smileys will be replaced with graphical ones.

পোস্ট সাজাতে বাড়তি সুবিধাদি - ফর্মেটিং অপশন।

CAPTCHA
This question is for testing whether you are a human visitor and to prevent automated spam submissions.

বন্ধুর কথা

মীর's picture

নিজের সম্পর্কে

স্বাগতম। আমার নাম মীর রাকীব-উন-নবী। জীবিকার তাগিদে পরবাসী। মাঝে মাঝে টুকটাক গল্প-কবিতা-আত্মজীবনী ইত্যাদি লিখি। সেসব প্রধানত এই ব্লগেই প্রকাশ করে থাকি। এই ব্লগে আমার সব লেখার কপিরাইট আমার নিজেরই। অনুগ্রহ করে সূ্ত্র উল্লেখ না করে লেখাগুলো কেউ ব্যবহার করবেন না। যেকোন যোগাযোগের জন্য ই-মেইল করুন: bd.mir13@gmail.com.
ধন্যবাদ। হ্যাপি রিডিং!